

নতুন বছরের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অনেক শিক্ষার্থী এখনও নতুন বই হাতে পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই আশ্বাস দেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখনও অনেক শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছায়নি। তবে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে। বই ছাপাতে দেরি এবং বিতরণ প্রক্রিয়ায় সমস্যার কারণেই এখনও নতুন বই পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রকৃত চাহিদার চেয়ে বেশি বইয়ের অর্ডার দেওয়া হয়। অতিরিক্ত চাহিদা অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য সব লেনদেন দেখানো হয়।’
এই উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা ছিল। পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে, তা বলা যাবে না। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
এদিকে, নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মূল্যবোধ গঠনে কাজ করে যাবেন। সবার সহযোগিতায় শিক্ষা খাতের সমস্যা সমাধান এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি নিজ দপ্তরে যান। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে আসেন তিনি। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময়ও করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক সি আর আবরার। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছিলেন।
মন্তব্য করুন


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে যাওয়া এবং আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে বিশ্বাস করি না। গোটা জাতি মনে করে অতি দ্রুত একটি নির্বাচন একমাত্র এখন পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতন্ত্রের দিকে যাবো।
আজ বুধবার গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ও নির্বাচনী ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা হতাশ হয়েছে, তারা সারাজীবন হতাশ থাকে। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হয়তো তারা এখনও দেয়নি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছে, আমরা আশা করবো তারা একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই জাতীয় এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করে এসেছেন প্রফেসর ড মুহাম্মদ ইউনূস। তাতে প্রমাণ করেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য এমন কিছু করবেন না, যেটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন


দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা টাকা পাচার করে তারা সব বুদ্ধি জানে, কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ফরমালিটি কোনো সরকার অ্যাভয়েড করতে পারবে না। মনে করেন, আমি বললাম টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংকে। সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও, দেবে না তো। ওটা আপনার লিগ্যাল ওয়েতে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন ১১-১২টা আমরা একেবারে হাই প্রায়োরিটিতে দেখছি। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদেরকেও ধরা হচ্ছে।’
এ সময়ও কিছু অর্থ পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আচ্ছা কিছুদিন পরে দেখি। একটা রিভিউ আমরা করছি। দেখি কতটুকু আনা যায়। আপনারা জানেন অলরেডি অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে বাহিরের কতগুলো দেশে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় অ্যাকাউন্ট আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে সেটার তথ্যও আছে। এখন বাকি একটু কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও তুলে ধরার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার যাদের চোখে পড়ে না, তারা আসলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন না। শুধু ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলো না দেখে ভালো বিষয়গুলোও দেখতে হবে। সরকারের ভুল যে নেই, তা নয়। সমালোচনা করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। এতে ভুল সংশোধন করা যাবে।
আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূসক ও কাস্টমস সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার অনেক জুনিয়র অর্থনীতিবিদ আছেন, যারা শুধু সরকারের ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলোই দেখেন।
শুধু বলেন, এটা নেই, ওটা নেই। কিন্তু ভালো দিকগুলোর প্রতিও নজর দেওয়া জরুরি। এ সময় তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সুনাম রয়েছে জানিয়ে তা ধরে রাখার পরামর্শ দেন।
এ সময় ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্নের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাজ্যের লন্ডন হিথরো, ব্রাসেলস ও বার্লিনসহ ইউরোপের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার প্রেক্ষিতে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে সব বিমানবন্দরে পাঠিয়েছে ১০টি বিশেষ নির্দেশনা।
বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খানের সই করা নির্দেশনাপত্রটি দেশের সব বিমানবন্দরের প্রধান এবং বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিশেষ ১০ নির্দেশনা-
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করা।
২. অপরিচিত বা সন্দেহজনক ইমেইল ও লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা।
৩. হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবাঞ্ছিত বা সন্দেহজনক লিংক কিংবা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা।
৪. সফটওয়্যার (সিকিউরিটি প্যাচ) ও অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট রাখা।
৫. পাইরেটেড বা ক্র্যাকড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
৬. অফিসিয়াল ডিভাইসে ব্যক্তিগত সফটওয়্যার বা অ্যাপস ইনস্টল না করা।
৭. মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) ব্যবহার করা।
৮. দাপ্তরিক কাজে বেবিচক এর ইমেইল অ্যাড্রেস (caab.gov.bd ডোমেইন) ব্যবহার করা।
৯. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের নিয়মিত ব্যাকআপ রাখা।
১০. পেনড্রাইভ স্ক্যান ব্যতিরেকে ব্যবহার না করা।
বেবিচক সূত্র জানায়, গত মাসে কুর্মিটোলায় বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাইবার হামলার ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে লন্ডনের কিছু বিমানবন্দরে হামলার পর সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করতে হয়েছিল বলে অবহিত করা হয়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও আগাম সতর্কতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী সম্প্রতি দেশের সব বিমানবন্দরে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন


ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।
১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর উইমেন ২০২৩’ এর চতুর্থ আসর। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাব সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে উইমেন ইন ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের দলীয় প্রেজেন্টশন পর্ব। এতে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রজেক্ট এলিসা, টিম ক্লাইমেট অ্যাভেঞ্জার্স, টিম বায়ো গ্রীন, টিম ভিশনারীজ, টিম সানশাইন, টিম লুমেনিসিনস, টিম গ্র্যান্ডে ও টিমটার্মিনেটরসের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর লাইফ’ শীর্ষক সভার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাবের প্রধান এম এম জিমরান খান। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায়, সিনিয়র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সাবা মোয়েম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার লিয়াকত হোসেন, সুমাইয়া টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার রিপা আর জাহান।
তৃতীয় পর্বে শুরু হয় গ্র্যান্ড ফিনালের সমাপনী অনুষ্ঠান। উইমেন ইন ডিজিটালের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের পাটোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন উইমেন ইন ডিজিটালের ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আছিয়া খালেদা নীলা।
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন দ্য ন্যাশনাল উইমেন হ্যাকাথন ২০১৭-এর বিজয়ী শামসুন নাহার লিপি। প্রোগ্রামটির বিচারক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড শেফায়েত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদেললাহি সেকসহ প্রমুখ।
উইমেন ইন ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আছিয়া নীলা বলেন, উইমেন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি হওয়া সত্বেও প্রতিবছর এ ধরনের কম্পিটিশন করেন যাতে টেকনোলজিতে নারীদের পদার্পণ বাড়ানো যায়। এখনো ডিজিটাল টেকনোলজিতে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের কিছুটা সাহস দিতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা চেষ্টা করি সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নারীদের ঢাকা এনে প্রপার মেন্টরিং এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল টেকনোলজি বেজ প্রডাক্ট ডেভলপ করতে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি জেন্ডার ফর ইকুয়ালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। বিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ১৩২টি প্রজেক্ট থেকে ৫৮টি প্রজেক্টকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করেন। কয়েকটি পর্বে যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা আটটি প্রজেক্টকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বুয়েটের প্রফেসর সিলিয়া শাহনাজ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ মাহফিজ কামাল অনিক, আইসিটি ডিভিশনের বিগ-এর হেড অব অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর সিদ্ধার্থ গোস্বামী, ক্রিয়েটিভ কনসারভেশন অ্যালায়েন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার শাহরিয়ার কেইসার রহমান ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্ট অফিসার রেবেকা সুলতানা।
প্রতিযোগীদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনস আর্কিটেক্ট লিডার অ্যান্ড আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান।
প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে তিনটি প্রজেক্ট। প্রথম হয়েছে প্রজেক্ট টিম সানশাইন, দ্বিতীয় হয়েছে টিমএলিসা, তৃতীয় হয়েছে টিম গ্র্যান্ডে, চতুর্থ হয়েছে টিম লুমেনিসিনস।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ বিজয়ী টিমকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনসের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রথম টিমকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় টিমকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ টিমকে ৩০ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগেই দেশে ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভিডিও কলে ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এসময় ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।
বাসসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাসস জানিয়েছে, ড. ইউনূস জর্জিয়েভাকে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের পূর্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি (ড. ইউনূস) তার পূর্ববর্তী কাজে ফিরে যাবেন।
বাসসের প্রতিবেদন জানিয়েছে, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ড. ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তার নিজেরই।
ড. ইউনূস জানান, তার সরকার এরইমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।
তিনি নিউইয়র্কে গত বছরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সময় জর্জিয়েভার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পুনরায় আশ্বস্ত করেন যে আগামী ফেব্রুয়ারি রমজান মাসের আগে নির্ধারিত সময়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো স্পষ্ট করেন, নির্বাচন শেষে তিনি তার পূর্বের কাজে ফিরে যাবেন।
ফোনালাপে আইএমএফ প্রধান বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এই অমূল্য সময়ে শক্ত অবস্থানে যেতে হলে সাহসী সংস্কার অনিবার্য।
এসময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের দুটি প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।
এর আগে ২টা ৫০ মিনিটে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। পরে ৬ নং ভবনের সামনে তারা ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা না সরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এর মধ্যে সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ৫৯ জনকে আটক করে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।
একজন শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা বৈষম্যহীন এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল চান। পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ডে তাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার চান। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করবেন।
এর আগে ২০ অক্টোবর একই দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। সেদিন শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মসূচি চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে, এমনকি কক্ষের সামনেও ভাঙচুর চালান।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতা বজায় রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার হচ্ছে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতা। সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন-কানুনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের হবে। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আরো অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কার্যক্রমে ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে দশ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের এই প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করছে। আশা করি, সফল ট্রেনিং হবে। কমিউনিকেশন ব্রেকডাউন যেন না হয়। প্রফেশনালিজ অ্যান্ড নিউট্রালিটি বজায় রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন