প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস এপ্রিলে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচারে আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি এমন অনেক প্রশ্ন আসছে। আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের আয়োজন ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার শেষ দিনের প্রথম পর্বে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক মনির হায়দার।
সংলাপে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবী দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের উপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল সেদিকে আপনারা ফোকাস করেন নি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকবো। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততবেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো।’
দেশে ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোন বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরুহ।’
বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কি সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাস এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কি হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি-না প্রশ্ন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আইনিভাবে, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন। সে আইনে মানবতাবিরোধী আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের উপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইন জেনারেল সেটার বিচার হবে। ঐ আইনেই বলা আছে, ডমেস্টিক অন্যান্য আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, ঐটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোন বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) বেগম ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৯০৮-এর ৩/৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়, যার নম্বর-৯৭ তারিখ-২২/৮/২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ।
তিনি বলেন, মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘ তদন্ত শেষে মোট ৫২ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নম্বর-০১, ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভোজ্যতেলের (সয়াবিন তেল) বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে কত বাড়ানো হয়েছে তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব সব সময় উল্টোভাবে পড়ে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে।
মন্তব্য করুন
দশমাস দশদিন গর্ভধারণ করে পৃথিবীর আলো-বাতাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিঃস্বার্থ আর নির্ঝঞ্ঝাট ভালোবাসায় আগলে রেখে সন্তানকে বড় করে তোলেন মা। সে ভালোবাসার কোনো সীমা নেই, পরিমাপ নেই, নেই কোন খাদ। মায়েদের এই আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। মা দিবসে মাকে ঘিরে বিভিন্ন স্মৃতি ও মায়ের ভালবাসা কথায় রোমন্থন করেছেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনে সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণার উৎস ও আশীর্বাদ হলো তার মা। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে পৃথিবীর সব মায়েদের গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। আসলে আমার কাছে সারাজীবন অর্থাৎ প্রতিটি দিনই মা দিবস। নির্দিষ্ট একটি দিনে হয়ত আমরা মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে দিবস হিসেবে পালন করি। তবে মাকে ভালোবাসাতে কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। সারাটি জীবনই মা দিবসের মতো আবেগ-অনুভূতি আর ভালোবাসা ধরে রাখা বাঞ্ছনীয়। কেননা সন্তানের কাছে তার মা হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে আপন ও আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল।
তাছাড়া মা-সন্তানের সম্পর্ক হচ্ছে পৃথিবীতে এমন একটি সম্পর্ক যেটি অবিচ্ছিন্ন। শুধু মানুষ নয় বরং আমরা যদি প্রকৃতির দিকে তাকাই সেখানেও দেখব প্রাণীকুলের মধ্যেও মায়েরা কতটা দায়িত্বশীল। সন্তানকে সবাই ফেলে যায়, কিন্তু মা কখনো ফেলে যেতে পারেন না।
মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে অধ্যক্ষ ইউসুফ বলেন, আমার মা একজন গ্রামের মানুষ। আমিও গ্রামে জন্মেছি ও সেখানেই বড় হয়েছি। আমার বেড়ে ওঠার পেছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি যখন পড়ালেখা করতাম, অনেক সময় আমার পরীক্ষার ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বইপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ সব মা জোগাড় করে দিতেন। বিশেষ করে রাত জেগে যখন পড়তাম, তখন মা তার ঘুম বাদ দিয়ে আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাত যতই হোক না কেন সবসময়ই আমাকে গরম খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তবে তাই বলে বাবাদের অবদানও অস্বীকার করার মতো নয়। বাবারাও উপার্জন করে আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে বিষয়েও অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। তবে সংগত কারণেই বাবার চেয়ে সন্তান মায়ের কাছেই বেশি সময় থাকার সুযোগ পায়। তাই আবারও বলছি, কোনো একজন মানুষের সাফল্যের পেছনের সবচেয়ে প্রেরণার ও আশীর্বাদ হচ্ছেন তার মা।
মাকে ঘিরে একটি ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, একটি ঘটনা যা এখনও আমাকে কষ্ট দেয়। আমি একবার হারিয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার বাবা ঢাকায় চাকরি করতেন। ঢাকা থেকে গিয়ে যখন আমাকে মাকে জিজ্ঞেস করছিলেন আমি কোথায় আছি। মা ভয়ে একেবারে ঘরছাড়া ছিলেন চারদিন। আমি যখন ফিরে এলাম তখন এ ঘটনা শুনেছি। এটি আমাকে এখনও খুব কষ্ট দেয়।
একাল আর সেকালের মায়েদের আদর স্নেহের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের দিনে গ্রামীণ বা শহুরে জীবনে মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক অনেক বেশি ছিল। তখন আমরা অনেক ডানপিঠে ছিলাম। সারাদিন ঘুরেছি ও খেলাধুলা করেছি। কিন্তু সবসময়ই আবার মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার একটি আকুলতা ছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যায় যখন ঘরে ফিরতাম তখন মায়েরও অন্যরকম আকুলতা খেয়াল করতাম। তাছাড়া মায়ের হাতের পিঠা পায়েসের তো তুলনাই ছিল না। বিভিন্ন পার্বণে মা যেসব খাবার তৈরি করতেন, সেটি হয়ত নাগরিক জীবনে ঘটেও, তবে গ্রামীণ জীবনে যেসব আয়োজনে যে প্রাণ ছিল সেটি এখন আর নেই। দেখা যেত, সামান্য একটি পাটিসাপটা পিঠাও আমাদের অনেক মধুর লাগতো। শীতকালে ভাঁপা পিঠা তৈরি বা আয়োজন অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করত। ছোট সময়ে মায়ের হাতে যেসব পিঠা খেয়েছি এখন অনেক মিস করি।
মন্তব্য করুন
গতকাল রাত থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবের বাড়িটি ক্রেন দিয়ে ভাঙা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ভবনের অর্ধেকের বেশি এবং অন্য একটি ভবনের ২০ শতাংশ ভাঙা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির সামনে হাজার হাজার উৎসুক জনতা জমায়েত হয়েছেন। কেউ কেউ হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভাঙার কাজে অংশ নিচ্ছেন, আবার কেউ কেবল দাঁড়িয়ে দেখছেন। একটি ক্রেন দিয়ে দক্ষিণ পাশের ভবনটি ভাঙার কাজ চলছে।
এ সময় ফয়সাল করীম নামের একজন উৎসুক জনতা বলেন, "এই বাড়িটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয়নি। আজ এটা ভেঙে ফেলা মূলত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাই এই জায়গায় একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হোক।"
তার কথার মাঝখানেই অন্য একজন বলেন, "বাড়িটি ভেঙে আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হোক, যাতে তারা এখানে বসবাস করতে পারে।"
এ সময় কেউ কেউ এই জায়গায় মসজিদ নির্মাণের দাবিও তুলেছেন।
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে ৩২ নম্বরের এই বাড়িটিতে আসেন এবং ভাঙচুর শুরু করেন। মধ্যরাতে ক্রেন নিয়ে আসা হয় এবং তখন থেকেই বিরতিহীনভাবে ভাঙার কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পাঁচ বছরেই বাংলাদেশকে সোনার খনিতে রূপান্তর করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে পণ্য তৈরির কাঁচামালের অভাব রয়েছে, তবে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সে অভাব পূরণ করতে পারে। আল্লাহ তা’আলা জ্ঞানার্জনে কাউকে মনোপলি দেননি। যে যত চেষ্টা করবে, সে ততটা অর্জন করতে পারবে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই।
উপদেষ্টা জানান, লেবার প্রোডাক্টিভিটি, ইউটিলিটি প্রপোরশন, লজিস্টিক এক্সিলেন্স, কস্ট টু ফিন্যান্স, এক্সেস টু ফিন্যান্স ও এক্সেস টু মার্কেট নিশ্চিত করতে পারলে কাঁচামালের অভাব পূরণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত ‘ব্যবসার ভবিষ্যৎ: উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপদেষ্টা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা গবেষণা ব্যুরো দু’দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গত রমজানে সরকারের অর্থ বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক প্রচেষ্টার সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক ছিল। তাই নিত্যপণ্যের দামও কম ছিল।
গণঅভ্যুত্থানের পর বাজারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জ ছিল বলেও দাবি করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তথাকথিত সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। তখন সাপ্লাই সাইড ঠিক রাখা ছিল খুবই জটিল। সামগ্রিক প্রচেষ্টায় আমরা সেই অবস্থার থেকে উত্তরণে সক্ষম হয়েছি। এটি সম্ভব হয়েছে ব্যবসায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের ফলে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর আমাদের রিজার্ভ ১০ বিলিয়নের মতো ছিল। বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আমাদের দায় ছিল ৬ বিলিয়ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আমরা সেসব দায় পরিশোধ করেছি। বর্তমানে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসকেরা ক্রোনিস তৈরি করেছিল। সম্পদের বণ্টন ছিল মারাত্মকভাবে সামঞ্জস্যহীন। যে ক্রোনিস তারা তৈরি করেছিল, দেশের অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা ছিল না; বরং তারা বাজার ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করেছিল।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও জানান, ভবিষ্যতের সরকার যদি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাজার পরিচালনা করে এবং নিরপেক্ষ সংস্কার কার্যকর করে, তাহলে বাজার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে এবং সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। এতে আরও অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী।
পরে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
মন্তব্য করুন
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস এপ্রিলে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।
বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট ছিল এবং তাতে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, যা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ২০২৬ সালের জুনের কথা বলেছেন, যা পরস্পরবিরোধী এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি জানান, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।
রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন জানায়, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।
এ সময় তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকায় প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়।
রোববার (২৯ জুন) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ওনাদের সঙ্গে আমাদের সরকারের অনেকদিন ধরে আলোচনা চলছিল।
তিনি জানায়, ‘এই মিশনের একটা শাখা ওনারা বাংলাদেশে খুলতে চাচ্ছিলেন; আলোচনা করছিলেন। এই আলোচনার একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
উপদেষ্টা জানান, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে এটা পরীক্ষা করবো। তা চূড়ান্ত করে টুর্কের কাছে তা পাঠানো হবে।
আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবে।
তিনি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের পর তিনি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটা অফিস হবে। প্রাথমিকভাবে এটা হবে তিন বছরের জন্য। তিন বছর পর দুই পক্ষই যদি মনে করে এটা নবায়ন করা দরকার তাহলে এটা বিবেচনা করে দেখতে পারবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন