প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বুধবার দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।
এখন বিএনপি কী করবে-সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চায় বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি বলেও জানান দলটির প্রভাবশালী এই নেতা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই বৈঠকসহ সার্বিক বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, এতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে পৃথক দুই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা ঠিক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিয়ে যান তারা। কিন্তু বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি।
এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল। দেশবাসী তাকিয়ে ছিল বৈঠকের আউটকাম নিয়ে। কিন্তু বিএনপি বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।
১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আব্দুল কুদ্দুস খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম লোকমান হোসেন গাজী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুরা নিজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, আজ সকালে গোছলে যান আব্দুল কুদ্দুস গাজী। এ সময় তিনি অসুস্থ অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। দল মনে করে জুনের আগে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
বিএনপির এই নেতা জানায়, সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, পঞ্চাদশ সংশোধনীর পূর্ববস্থা বহাল চায় বিএনপি। ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেওয়া হয়নি, এটা নিয়ে ভুল ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রধান উপদেষ্টার যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের দাবি। এটাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময় জানান প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন।
এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ‘অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে।
আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্ধারিত সময়সীমা মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
রোববার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০ ডকুমেন্ট স্ক্যানার এবং ৪৩০০ ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউএনডিপি। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী। সিইসি জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপেও তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবি করা হলেও সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছয় মাসের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে এতে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।
১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।
সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।
জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।
ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।
সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রাইভেটকারের ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহতদের দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হলেও পথেই আরও চারজনের মৃত্যু হয়। আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বৈশাখ উৎযাপনের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ বছর ব্যাপক আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে। রোজার মত চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
সম্প্রতি বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির দোকানে ভাঙচুর হয়েছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, এসব দোকানের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানায়, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ৪৯ জনকে আটকও করা হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গায় মেলাও হচ্ছে, বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন