

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, যারা বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন, তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বই ছাপানোর বাণিজ্য বা একচেটিয়া ব্যবসা আরও সুশৃঙ্খল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের ছাপা, ভালো মানের কাগজ এবং মজবুত মলাট নিশ্চিত করা হবে। এখন থেকে বই দেশেই ছাপা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যারা মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেককে বদলি করা হয়েছে। অতীতে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হবে।”
বই বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের বাজারমূল্যে বই ছাপানো হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর যারা সরকারে থাকবেন, তাদের কাছে সেই তালিকা হস্তান্তর করা হবে।”
তিনি আরও জানান, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যবইগুলো শুদ্ধ ও পরিমার্জন করা হয়েছে। আগের নিয়মে নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হতো, তবে এখন উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে, অফিসার, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার একটা মুখ্য ভূমিকা রাখবে তো নির্বাচনের মধ্যে। এটা ছাড়া তো সম্ভব না।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় হলে আপনারা সবই জানতে পারবেন। এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না।
আপনারা কেন রোডম্যাপ..., আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা, এটাকে রোডম্যাপ বলবো না, আমাদের যে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে, সেগুলো কোনোটা কোনো সময় শুরু করব, কোনো সময় শেষ করব এটাকেই অনেকে রোডম্যাপ বলে, আমরা বলছি না। সেটা অবশ্যই আছে। যে কোনো অফিসের একটা কর্মপরিকল্পনা থাকবে। এত বড় একটা নির্বাচন হবে, একটা কর্মপরিকল্পনা আমাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
নট ফর শেয়ারিং এভরিবডি যে আপনারা জানুন। এটা নিজস্ব, সংশোধন হতে পারে, এদিক-ওদিক হতে পারে। একটা সম্ভাব্য একটা কর্মপরিকল্পনা প্রথম থেকেই করেছি তো।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের যে বিষয়টা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বা একদম হচ্ছে না, বিষয়টা এমন না। নির্বাচনের ডেট যথাসময়ে জানতে পারবেন।
আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করব। সরকারের সঙ্গে এ জন্য পরিকল্পনা করে ঘোষণা দিয়ে দেখা করতে হবে এমন না। ফরমালি, ইনফরমালি নানাভাবে যোগাযোগ হতে পারে। আমরা সরকারের ধারে কাছে নেই, একটা দ্বীপে আছি এমন তো না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে, এর মধ্যে ইসি সংস্কার আছে, এর মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত তো। এগুলোকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। সময় হলেই যোগাযোগ হবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার দুই দিনের মাথায় চলতি অর্থবছরের শেষ বৈঠকে বসেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৈঠকে অনুমোদিত উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে— উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ, বিভাগীয় শহরগুলোতে মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন, চারটি নতুন মেরিন একাডেমিতে সিমুলেটর ও নৌপ্রশিক্ষণ সুবিধা স্থাপন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বিত সেবা সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম।
এছাড়াও অনুমোদন হয়েছে— বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন ১৩টি সার সংরক্ষণাগার (বাফার গোডাউন) নির্মাণ, কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে টিটিইটি রিচার্জ প্রোগ্রাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনায় নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ স্থাপন, আইপিআইএমএস শক্তিশালীকরণ এবং ডিজিটাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারি নিরীক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি প্রত্যাশা করছে সরকার।
মন্তব্য করুন


আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারবো কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের চাপ সৃষ্টি করে যেতে হবে যাতে তারা স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
তিনি জানান, বার্মিজ সামরিক জান্তাকে খুশি করার জন্য তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র ঘনিষ্ঠ চাটুকার ও কিছু কূটনীতিক রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন নাম তৈরি করেছিলেন- FDMN, অর্থাৎ 'জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক'। এই শব্দটি আসলে বার্মিজ গণহত্যার মূল আখ্যানকে মেনে নেয়ার একটি কৌশল, যেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো 'FDMN' নয়- তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। 'FDMN' শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। (আমি নিজে ওই দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম)
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রূপান্তর ঘটাবে। বর্তমান অস্থির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ। এ সময়, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’
এ সময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাতটি পরামর্শ উপস্থাপন করে তিনি।
এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরতাকে সহযোগিতায় রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এশিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈচিত্র্যই এর শক্তি এবং পরীক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে, অথচ সেই অর্থের অভাবে কোটি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে কিংবা ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাও মেটাতে পারছে না। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ইতোমধ্যে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, আর সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সেই সংকটকে আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত করেছে।
এর আগে সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাপান পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী টোকিও বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন


চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সোমবার (১২ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক জিনিস সমাধান হয়ে যায়। অনেক প্রশ্ন সমাধান হয়। আশা করি দেখা সাক্ষাতের কারণে অনেক সুফল পাবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে একে অপরকে দোষ দেই। দোষ দিলে সমাধান হবে না। আমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে। সেটা নিয়ে নিজেদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অভাব ঘাটতির মধ্য দিয়েও ভালো করা সম্ভব। অন্তবর্তী সরকার নিজেদের সীমারেখার মধ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। স্বাস্থ্য সেবায় কোনো কাঠামো লাগে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের বাসা থেকে আড়াই কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি জানান, সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি অনুসন্ধান চলমান ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা এবং যৌথবাহিনীর সহায়তায় তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
দুদকের হেফাজতে থাকা উদ্ধারকৃত টাকা ও জব্দকৃত আলামত আদালতে উপস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। দুদকের গোয়েন্দা সেল গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে তার নামে অবৈধ সম্পদের আমলযোগ্য তথ্য পায়।
এর আগে, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবার একটি সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্য ডেমোক্র্যাটকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেনকে ‘একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া’ হিসেবে বর্ণনা করে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পরিষদ বলেছে, “প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন- তার নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।”
বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।
ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনও কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তারা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না— সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
মন্তব্য করুন


আগামী ২০ মে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।
সোমবার (১৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আম পরিবহন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে একই খরচে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন জেলার জেলা প্রশাসকরা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই তিন জেলা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, এবার ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ট্রেনে ৯টি করে ওয়াগন থাকবে। এছাড়া আম পরিবহন ও বাজারে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। আমের বাজারে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে। সড়কে আম পরিবহনে কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। এমনকি কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্যান্য পরিবহনে বেশি ভাড়া নিলে বা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন