বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, যারা বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন, তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না।


বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বই ছাপানোর বাণিজ্য বা একচেটিয়া ব্যবসা আরও সুশৃঙ্খল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের ছাপা, ভালো মানের কাগজ এবং মজবুত মলাট নিশ্চিত করা হবে। এখন থেকে বই দেশেই ছাপা হবে।”


তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যারা মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেককে বদলি করা হয়েছে। অতীতে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হবে।”


বই বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের বাজারমূল্যে বই ছাপানো হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর যারা সরকারে থাকবেন, তাদের কাছে সেই তালিকা হস্তান্তর করা হবে।”


তিনি আরও জানান, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যবইগুলো শুদ্ধ ও পরিমার্জন করা হয়েছে। আগের নিয়মে নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হতো, তবে এখন উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম
ছবি: সংগৃহীত



আগামী জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব নির্বাচনী উপকরণ ক্রয় ও মাঠ পর্যায়ে বিতরণ সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে এমন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার দুই মাস আগে ঘোষণা হবে সংসদ নির্বাচনের তফসিল। আর নির্বাচনের সেই কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে একটি সময়সীমা করেছে নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।


রোডম্যাপে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মধ্যে প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হবে। পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চলতি বছরের ২২ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করে ১৫ নভেম্বর নিবন্ধন সনদ দেওয়া দেওয়া হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি প্রদানে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হবে একই সময়ের মধ্যে।


নির্বাচনী তথ্য প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, টিঅ্যান্ডটি, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সঙ্গে সভা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।


এদিকে আগামীকাল থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, যা শেষ হবে ভোটের কয়েকদিন আগে। নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার ইত্যাদি মুদ্রণ ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যে, নির্বাচনের সকল প্রকার মালামাল সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


এছাড়া ব্যবহার উপযোগী স্বচ্ছ ব্যালট চূড়ান্ত করা হবে ৩০ নভেম্বর মধ্যে, ১৫ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাজেট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের জন্য বৈঠক ১৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বরে মধ্যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম সভা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। আবার নির্বাচনের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ৩১ অক্টোবর হবে। একই সময়ের মধ্যে ৩১ আইসিটি সংক্রান্ত সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে।


রোডম্যাপে মোট ২৪ ধরনের কার্যাবলি ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এক-এগার সরকারের সময়কার এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমবারের মতো রোডম্যাপ ঘোষণা করে। এরপর প্রতিটি কমিশন সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে আসছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

শুল্কচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে বাণিজ্য উপদেষ্টা

শুল্কচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে বাণিজ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত



মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর, এই সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে দলটি বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছে।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান, 'বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই প্রতিনিধিদলের সদস্য।'


শফিকুল আলম আরও জানান, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।'


উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ঘোষণায় শুধু বাংলাদেশ নয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার পণ্য রপ্তানির ওপরও বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।


তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ৯ জুলাই থেকে পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন, যেন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়।


শফিকুল আলম জানায়, ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা বৈঠকের কথা রয়েছে, যেখানে শেখ বশিরউদ্দিন বাংলাদেশি দলের নেতৃত্ব দেবেন। ঢাকা আশা করছে, আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি চুক্তি হবে, যা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।


হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিলেও তার হুমকির প্রভাব একটুও কমবে না। বিশ্বনেতারা প্রতিদিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করছেন এবং একের পর এক প্রস্তাব দিচ্ছেন চুক্তিতে পৌঁছাতে।'


অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সিএনবিসিকে বলেন, 'সামনের দিনগুলো অত্যন্ত ব্যস্ত হবে। আমার ইনবক্স ইতোমধ্যেই ভরে গেছে—নতুন নতুন প্রস্তাব, সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।'


উল্লেখ্য, মার্কিন প্রশাসন যেসব দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করছে, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই বাড়তি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে এখনো আলোচনা ও চুক্তির সুযোগ রেখে দিয়েছে উভয় পক্ষ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

জাতীয় অগ্রগতির সুযোগ নষ্ট হলে পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

জাতীয় অগ্রগতির সুযোগ নষ্ট হলে পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
ইউনূসের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

জাতি গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানো না গেলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "জাতি গঠনে আমাদের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে সবাইকে বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”

অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠন করা হয়। জাতির উন্নয়ন যাত্রায় নৌ ও বিমান বাহিনী বরাবরের মতোই দক্ষতার সঙ্গে জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেমন সবার সহযোগিতা পেয়েছে, ভবিষ্যতেও জনগণ তা পাবে বলে আশা করি।” এবারের পরিচালনা পর্ষদকে দক্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, "সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা যেভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে পেশাদারিত্বের প্রমাণ। ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।”

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

"নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এবং প্রতিরক্ষা সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোকচিত্রে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তাঁর মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরে তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের প্রাঙ্গণে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা


ডেস্ক রিপোর্টঃ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

অনেক দেশের চেয়ে কূটনীতিকদের ভালো নিরাপত্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ

অনেক দেশের চেয়ে কূটনীতিকদের ভালো নিরাপত্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ

ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক ভালোভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের বেশ ভালো মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাদের অব্যাহতভাবে এ মানের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন শাহরিয়ার আলম। ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিলের প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা।

আরও পড়ুন>>বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় পুলিশের পরিবর্তে থাকবে আনসার

জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে প্রচুর কাজ আছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা এনগেজমেন্টে যেতে চাচ্ছি না। ইটস নট এ ইস্যু। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যপরিধির একটা অংশ এবং সবাইকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিল নিয়ে আর কথা বলতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, আমরা খুবই অবগত এবং এটাই আমাদের লাস্ট ওয়ার্ড। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে, দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এ রিলেটেড ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।

গত রোববার (১৪ মে) থে‌কে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ‌্যসহ মোট ছয় দে‌শের কূটনী‌তিক‌দের বাড়‌তি প্রটোকল সু‌বিধা‌ বা‌তি‌ল ক‌রে‌ছে সরকার।
কূটনী‌তিক‌দের বাড়‌তি প্রটোকল সু‌বিধা‌ বা‌তি‌লের বিষ‌য়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বল‌ছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও আবশ্যকতা নেই।

এদিকে, বিদেশি কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বা আগামী রোববারের (২১ মে) মধ্যে নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

সফলতার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও বড় আশীর্বাদ হলেন মা

সফলতার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও বড় আশীর্বাদ হলেন মা

দশমাস দশদিন গর্ভধারণ করে পৃথিবীর  আলো-বাতাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিঃস্বার্থ আর নির্ঝঞ্ঝাট ভালোবাসায় আগলে রেখে সন্তানকে বড় করে তোলেন মা। সে ভালোবাসার কোনো সীমা নেই, পরিমাপ নেই, নেই কোন খাদ। মায়েদের এই আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। মা দিবসে মাকে ঘিরে বিভিন্ন স্মৃতি ও মায়ের ভালবাসা কথায় রোমন্থন করেছেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, মানুষের জীবনে সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণার উৎস ও আশীর্বাদ হলো তার মা। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে পৃথিবীর সব মায়েদের গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। আসলে আমার কাছে সারাজীবন অর্থাৎ প্রতিটি দিনই মা দিবস। নির্দিষ্ট একটি দিনে হয়ত আমরা মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে দিবস হিসেবে পালন করি। তবে মাকে ভালোবাসাতে কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। সারাটি জীবনই মা দিবসের মতো আবেগ-অনুভূতি আর ভালোবাসা ধরে রাখা বাঞ্ছনীয়। কেননা সন্তানের কাছে তার মা হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে আপন ও আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল।

তাছাড়া মা-সন্তানের সম্পর্ক হচ্ছে পৃথিবীতে এমন একটি সম্পর্ক যেটি অবিচ্ছিন্ন। শুধু মানুষ নয় বরং আমরা যদি প্রকৃতির দিকে তাকাই সেখানেও দেখব প্রাণীকুলের মধ্যেও মায়েরা কতটা দায়িত্বশীল। সন্তানকে সবাই ফেলে যায়, কিন্তু মা কখনো ফেলে যেতে পারেন না।

মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে অধ্যক্ষ ইউসুফ বলেন, আমার মা একজন গ্রামের মানুষ। আমিও গ্রামে জন্মেছি ও সেখানেই বড় হয়েছি। আমার বেড়ে ওঠার পেছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি যখন পড়ালেখা করতাম, অনেক সময় আমার পরীক্ষার ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বইপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ সব মা জোগাড় করে দিতেন। বিশেষ করে রাত জেগে যখন পড়তাম, তখন মা তার ঘুম বাদ দিয়ে আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাত যতই হোক না কেন সবসময়ই আমাকে গরম খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তবে তাই বলে বাবাদের অবদানও অস্বীকার করার মতো নয়। বাবারাও উপার্জন করে আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে বিষয়েও অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। তবে সংগত কারণেই বাবার চেয়ে সন্তান মায়ের কাছেই বেশি সময় থাকার সুযোগ পায়। তাই আবারও বলছি, কোনো একজন মানুষের সাফল্যের পেছনের সবচেয়ে প্রেরণার ও আশীর্বাদ হচ্ছেন তার মা।


মাকে ঘিরে একটি ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, একটি ঘটনা যা এখনও আমাকে কষ্ট দেয়। আমি একবার হারিয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার বাবা ঢাকায় চাকরি করতেন। ঢাকা থেকে গিয়ে যখন আমাকে মাকে জিজ্ঞেস করছিলেন আমি কোথায় আছি। মা ভয়ে একেবারে ঘরছাড়া ছিলেন চারদিন। আমি যখন ফিরে এলাম তখন এ ঘটনা শুনেছি। এটি আমাকে এখনও খুব কষ্ট দেয়।

একাল আর সেকালের মায়েদের আদর স্নেহের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের দিনে গ্রামীণ বা শহুরে জীবনে মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক অনেক বেশি ছিল। তখন আমরা অনেক ডানপিঠে ছিলাম। সারাদিন ঘুরেছি ও খেলাধুলা করেছি। কিন্তু সবসময়ই আবার মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার একটি আকুলতা ছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যায় যখন ঘরে ফিরতাম তখন মায়েরও অন্যরকম আকুলতা খেয়াল করতাম। তাছাড়া মায়ের হাতের পিঠা পায়েসের তো তুলনাই ছিল না। বিভিন্ন পার্বণে মা যেসব খাবার তৈরি করতেন, সেটি হয়ত নাগরিক জীবনে ঘটেও, তবে গ্রামীণ জীবনে যেসব আয়োজনে যে প্রাণ ছিল সেটি এখন আর নেই। দেখা যেত, সামান্য একটি পাটিসাপটা পিঠাও আমাদের অনেক মধুর লাগতো। শীতকালে ভাঁপা পিঠা তৈরি বা আয়োজন অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করত। ছোট সময়ে মায়ের হাতে যেসব পিঠা খেয়েছি এখন অনেক মিস করি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

হত্যাচেষ্টা মামলায় আবারও রিমান্ডে সালমান ও পলক

হত্যাচেষ্টা মামলায় আবারও রিমান্ডে সালমান ও পলক
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ওমর ফারুক তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরে। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ জামিন আবেদন খারিজ করে প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা ওই সময় মিছিলে হামলা চালিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীম চোখ ও নাকে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।


এ ঘটনায় ২৮ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন মো. শামীম।


গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ১৪ আগস্ট খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হন জুনায়েদ আহমেদ পলক।


রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, আন্দোলন দমন করতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।


বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।


জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র‌্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’


এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।


১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।


অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।


যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

বিএনপি ও ইসলামি আন্দোলনের বৈঠক, জাতীয় ঐক্যসহ যেসব সিদ্ধান্ত হলো

বিএনপি ও ইসলামি আন্দোলনের বৈঠক, জাতীয় ঐক্যসহ যেসব সিদ্ধান্ত হলো
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। 


সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।


যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-


১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।



২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।


৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।


৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।


৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।


৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।


৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।


৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।


৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।


১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।


বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি

এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
ছবি: সংগৃহীত



এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।


রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।  


সিইসি বলেন, ‘জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় ইসি। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।’


জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নারী নেত্রীদের সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে ইসি।


সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত আছেন।  


এরপর জুলাই যোদ্ধা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি। ইতোমধ্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংলাপে উঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।


উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংলাপ শুরুর দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অর্ধেকেরও বেশি সুশীল ও বুদ্ধিজীবী অংশ নেয়নি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০