

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার এক সেমিনারে জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তিনি এই মন্তব্যটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সেমিনারে করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার প্রতিদিনের শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।"
এছাড়াও, ফাওজুল কবির খান জ্বালানি খাতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দেওয়া যাবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমি জানি না, কতদিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটকারীদের বিচারের জন্য একটি জ্বালানি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, "বর্তমান সরকার কোনো পিছুটান ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে, এখানে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।"
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলেও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দুদক জানায়, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরের সঙ্গী করা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে দেয়া তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। এছাড়া পুতুল পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা প্লট আয়ত্ব করেন। এরই মধ্যে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে দুদক আরও জানায়, এছাড়া পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ লুফে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।
তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থে ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যারা ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন, তাদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি কতদিন চলবে?
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ছিল সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিএসএফ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে জোরালো প্রতিবাদ জানানোর পর আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ১৫-২০ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সংঘাতের সময় বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে ওই যুবকের পেটে গুলি লাগে। দুর্বল স্থানে রাবার বুলেটও প্রাণঘাতী হতে পারে। আহত যুবককে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আমরা এটা মেনে নেই, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া কতদিন চলবে?
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণেই হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি আরও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা। বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও কিছু ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। আমরা দুইভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব: বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে। তৃতীয়ত, কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিএসএফ সদস্যের রক্তাক্ত অবস্থার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে যে, ঘটনাটি সত্যিই ওই স্থানে ঘটেছে কি না।
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যদি কোনো ঝুঁকি থাকে, আমরা বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছি।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৭০০ জন এখনও পলাতক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন উপলক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, "৭০০ জনের মতো বন্দি কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে, তবে তারা এখনও ধরা পড়েনি। যারা ছিল, তারা এখন কারাগারে রয়েছে।"
একই সময়, তিনি চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "ছিনতাই ও চাঁদাবাজি অস্বীকার করছি না, তবে যারা এসব করছে, তারা ধরা পড়ছে। আবার, যারা পালিয়ে যাচ্ছে, তারা এসব কাজ করছে, যা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।"
পুলিশের স্বল্পতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশের সংখ্যা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তবে আগের মতো কাজের উদ্যম নেই। তাদের উদ্যম বাড়ানোর জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জামিনে বেরিয়ে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, "তাদের দ্রুত ধরা হয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।"
৫ আগস্টের পর অনেক দাগী আসামিকে ক্ষমা করা হয়েছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "সাধারণ ক্ষমায় কেউ বের হয়নি, তারা জামিনে বের হয়েছে।"
এছাড়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এখন থেকে ০৯৬১২০২১৬৯০ নম্বরের মাধ্যমে বন্দিদের অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখের তথ্য পাওয়া যাবে। বন্দির স্বজনরা এই নম্বরে ফোন করে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন


নিত্য পণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে আমাদের পক্ষ থেকে ইচ্ছে করে তাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে না, এমন মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সিস্টেমের সঠিক কাজ না হওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ছয় বছর সময় লেগেছে, যা সাধারণভাবে অস্বাভাবিক। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অনেক আইন ও পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, তবে সমস্যা হচ্ছে এর বাস্তবায়ন নিয়ে।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে এবং পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ৩৯টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার এক সেমিনারে জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তিনি এই মন্তব্যটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সেমিনারে করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার প্রতিদিনের শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।"
এছাড়াও, ফাওজুল কবির খান জ্বালানি খাতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দেওয়া যাবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমি জানি না, কতদিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটকারীদের বিচারের জন্য একটি জ্বালানি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, "বর্তমান সরকার কোনো পিছুটান ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে, এখানে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।"
মন্তব্য করুন


ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের ডাকা মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) হরতালে ঢাকা মহানগরীতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনারের সংস্কার করা কার্যালয় উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই দমনে কাজ চলছে। এ এলাকায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। টহল ডিউটিও বাড়ানো হয়েছে। অচিরেই ছিনতাই বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা রাস্তা বন্ধ করে ট্রাফিক বিঘ্ন ঘটায়। দাবি আদায়ের স্থান রাস্তা হতে পারে না। টেবিলে বসে সমাধান করুন। ঢাকাবাসীকে কষ্ট দিয়ে দাবি আদায় হতে পারে না।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এ এম নাসির উদ্দিন। প্রয়োজনে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোট বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি। শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সিইসি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং ও রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। প্রিসাইডিং অফিসাররাই কেন্দ্রের প্রধান উল্লেখ করে সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের দিন আপনি হচ্ছেন আপনার কেন্দ্রের চিফ ইলেকশন কমিশনার। আইন আপনাকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে। দরকার হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনটি কেন্দ্র গোলমাল করলে তিনটিই বন্ধ করে দিন। প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট স্থগিত করা হবে, কিন্তু আইনের শাসন মানতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বস্ত করে বলেন, ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে আছে, পুরো ফুল সাপোর্ট দেবে। তবে শর্ত একটাই আপনাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। সিইসি বলেন, একটি সফল নির্বাচন করতে হলে সমন্বয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে একটি সেন্ট্রাল ইমারজেন্সি রেসপন্স সেল গঠন করা হচ্ছে, যাতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
সিইসি আরও বলেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা মূলত শিক্ষক বা বেসামরিক কর্মকর্তা। তাদের অনেকেরই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞতা নেই। তাই প্রশিক্ষণে জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অনুশীলন থাকতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর মধ্যেও এ অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, তবে তারা এখন জোরেশোরে ট্রেনিং নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন


জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা হিসেবে)। বিশ্বব্যাংক এই অর্থায়নটি করবে 'এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন' প্রকল্পের আওতায়।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বব্যাংক এর আগে স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি (এসইউএফ) তহবিল থেকে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত করেছিল। কোভিড-১৯ চলাকালে কিছু অর্থ প্রত্যাহারের পর বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির জন্য অতিরিক্ত ৩ কোটি ডলার অর্থায়ন প্রয়োজন ছিল, যা বিশ্বব্যাংক অনুমোদন করেছে।
এই ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর, যার মধ্যে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়া, অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও, পূর্ববর্তী বছরের মতো এই অর্থবছরে কোনো কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না।
মন্তব্য করুন