

ডেস্ক রিপোর্ট:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে এ বছর বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। আজ থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুন থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে। কলেজে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকবে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নেই। কলেজের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন থেকে পুনরায় কলেজে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
এবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, যা শুরু হয়েছে গত রোববার (১ জুন) থেকে। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল, এবং ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোটামুটি যা আসছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। কিছু ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে এককভাবে টাকার অঙ্ক খুব বেশি নয়। আগে অনেক বড় বড় কিছু অনুমোদন দেওয়া হত, তবে এখন যে অনুমোদনগুলো আসবে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে, এবং মসুর ডালের কেনা হচ্ছে, কারণ এর প্রয়োজন রয়েছে। অতএব, রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে—চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি—এগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারকে আরও সহনীয় করার চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে। কারণ এসব পণ্য বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের কিছুটা গ্যাপ আছে। দাম বাড়ানোর পর পরেই অনেক সাপ্লাই ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই ৮ টাকা বাড়ানোর পর আরও দাম বাড়বে বলে আশা করেন। তিনি বলেন, আমরা আজ সয়াবিন আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে যতটা সম্ভব সাপ্লাই আসুক, যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়।
তিনি আরো বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কত জায়গায় যেতে পারেন? কিছুদিন আগে আমি পাবনা গিয়েছিলাম, সেখানেও একই অবস্থা। ডিসি বলছেন, আমরা কমিটি করেছি এবং তারা বাজারে যায়। তবে, যখন তারা চলে আসেন, পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানুষ যদি সচেতন না হয় এবং মনিটরিং না করে, তবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমাদের এখানে সহনশক্তি বেশি, তবে বাইরে ক্রেতারা সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ করেন। ভারতে দাম বেড়ে গেলে তারা প্রতিবাদ করে, কিন্তু আমি এখানে প্রতিবাদ করতে বলছি না, তবে সবাই যেন মনিটরিং করে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের শক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "ডেফিনেটলি।" সিন্ডিকেট না বললেও, ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, যারা সরাসরি আমদানি করেন এবং সাপ্লাই দেন, তারা সবই এই সিস্টেমের অংশ।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ পুলিশের সাত অতিরিক্ত ডিআইজি এবং সাত পুলিশ সুপারকে বদলি করেছে সরকার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করে নতুন একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনের সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
বদলি হওয়া সাত অতিরিক্ত ডিআইজির মধ্যে ডিএমপির সুলতানা নাজমা হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, ডিএমপির মো. ছালেহ উদ্দিনকে র্যাবে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের (সিএমপি) মো. হুমায়ুন কবিরকে পিবিআইয়ে, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ রিয়াজুল হককে পুলিশ টেলিকম ইউনিটে, পিবিআইয়ের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হককে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, বিএমপির মো. শামীম হোসেনকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ওএসডি হওয়া আসমা সিদ্দিকা মিলিকে ঢাকা টিডিএসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বদলি হওয়া সাত পুলিশ সুপারের মধ্যে ডিএমপির গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাকে পুলিশ সদর দপ্তরে, বরিশাল পিবিআইয়ের মো. হুমায়ুন কবিরকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, রেলওয়ে পুলিশের শাকিলা সোলতানাকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, পিবিআইয়ের মোমতাজুল এহসান আহাম্মদ হুমায়ুনকে হাইওয়ে পুলিশে, পিবিআইয়ের আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানকে হাইওয়ে পুলিশে, এসবির মো. আমীর খসরুকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, "আমরা অন্তবর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্বে সামান্যতম গড়িমসি হয়, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যদি তারা এটি করতে না পারে, তাহলে এটি তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হবে।"
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, খুনী হাসিনার বিচার করা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যারা এই হত্যাযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত, যারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, খুনী হাসিনার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র গড়িমসি করেন, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর আর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আগামীর প্রজন্ম- আপনাদের শুধু একটি অনুরোধ করতে চাই, আমরা দলকানা হবো না, কোনো গোষ্ঠীর পূজা করবো না। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।"
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, "বিভিন্ন মহলের প্রোপাগান্ডার সেলগুলো বক্তব্যের খণ্ডাংশ নিয়ে ঘটনাগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এই অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলোকে বিভিন্নভাবে গুজবের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে কি না, এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করার মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।"
শহীদ পরিবারগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "এটা শুধুমাত্র শুরু, অল্প কিছু টাকা দিয়ে মানুষ হারানোর শোক পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কথা দিতে চাই, এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন যতদিন থাকবে এবং আপনারা যতদিন থাকবেন, আপনাদের জন্য জীবনের বিনিময়েও কাজ করে যাবো।"
শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৫৮ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আশশেফা খাতুন, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
মন্তব্য করুন


কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই আগামী নির্বাচনের ঘোষণা আসবে। সবাই ভোট দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে ভয়াবহ তথ্য রয়েছে, সাংবাদিকরা এ নিয়ে কাজ করলে অনেক কিছু পাবেন। তবে আগামী নির্বাচনটি অনেক ভালো নির্বাচন হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। বিশেষ করে আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক প্রায় ১৬ হাজারের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এতে কয়েক লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্বাধীন মতের মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পরবর্তী সরকার এসে অবশ্যই ধরে রাখবে বলে মনে করছেন আইন উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য করতে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় আনা হয়েছে। এখন থেকে এই খাতে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, রেস্তোরাঁর খাবারের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে তিন-তারকা, চার-তারকা ও পাঁচ-তারকা হোটেল ব্যতীত সব রেস্তোরাঁয় আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বাদে অন্য পোশাক বিপণনে আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়েছে।
নন-এসি হোটেল, মিষ্টির দোকান এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শতাধিক পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা করেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং জাতীয় নাগরিক কমিটিও।
মন্তব্য করুন


বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না।
আজ শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘শুধু ভালো ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভালো মানুষ হতে হবে। তাহলেই দেশের উপকার হবে।’
তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। উন্নয়নের জন্য প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।’ এসময় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে পুরস্কার দেন তিনি।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’ হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে বিচার বিভাগে অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।'
এ পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যাতে বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করা যায় এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা পায়। বিশেষভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে মনিটরিং সভা নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্যান্য আদালতে সেবার মানোন্নয়নের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা নিতে পারেন এবং যেকোনো অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। অভিযোগসমূহের তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত অন্যান্য পরিকল্পনাগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে। বিশেষত, ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলোকে পুরোপুরি ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, বিচার বিভাগে মেধার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেলোশিপ বাস্তবায়ন করতে নীতিমালা প্রণয়ন দ্রুত চলছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিচার বিভাগ জনগণের সেবার জন্য গঠন করা হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা কী এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে বিচার বিভাগ কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা জানার জন্য প্রধান বিচারপতি ২০২৫ সালে দেশের সকল বিভাগীয় শহরের আদালতগুলোতে স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এই মিটিংগুলো রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে কাগজবিহীন বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এই বেঞ্চের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল কাগজাদি অনলাইনে প্রদান করা হবে। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও পেপার-ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে এক কনফারেন্সে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত সংগ্রহ করা হয়। শিগগিরই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
মন্তব্য করুন


মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।
গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


দেশে অবশ্যই নির্বাচন করার পরিবেশ আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবে। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে দেড় লাখ পুলিশ। ভোটের দিন সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবে সাড়ে ৫ লাখ আনসার।
সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ইসি সচিব।
লুট হওয়া অস্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লুট হওয়া ৮৫ শতাংশ রিকভারি হয়েছে, বাকিটা হয়নি কাজ চলমান।
তবে বৈঠকে দেশে সম্প্রতি কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
মন্তব্য করুন