

নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে সেই দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐকমত্য কমিশন জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিচার-সংস্কার-নির্বাচন, অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহ্সান মাহমুদের লেখা বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, সত্যিকার অর্থে যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। জনগণ সেই নির্বাচনের ফল মেনে নেবে। কিন্তু যদি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়, তার দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকেই বহন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবাক হয়ে আমরা লক্ষ করলাম—গতকাল যখন ঐকমত্য কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো, নোট অব ডিসেন্টগুলো নেই! পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে, ইগনোর করা হয়েছে। এটা তো ঐকমত্য হতে পারে না। তাহলে ঐকমত্য কমিশনটা করা হয়েছিল কেন? এই ঐকমত্য কমিশন—এটা আমি বলবো, জনগণের সঙ্গে একটা প্রতারণা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এটা প্রতারণা।
তিনি বলেন, গতকাল ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সেখানে স্বাক্ষরও করেছেন, তিনি এটার চেয়ারম্যান। অবাক হয়ে আমরা লক্ষ করেছি, আমরা যেসব বিষয়ে একমত ছিলাম না, সেসব ক্ষেত্রে আমরা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। সেই নোটগুলো লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু গতকাল যখন তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন, সেই নোটগুলো পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা ঐকমত্য নয়, এটা প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে এ বিষয়গুলো সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় এটি ঐক্যের বিপরীতে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের সংকটগুলোর সমাধান সম্ভব। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের যে পার্লামেন্ট গঠিত হবে, সেই পার্লামেন্টই সংবিধানের মধ্যদিয়ে সংস্কারের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে। আমরা সে কারণে ৫ আগস্টের পরই নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। তখন অনেকে বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতা চায় বলেই তাড়াহুড়ো করছে। আজ প্রমাণ হচ্ছে, নির্বাচন যত দেরি হচ্ছে, ততই সেই শক্তিগুলো শক্তিশালী হচ্ছে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জাতি হিসেবে ঠিক কোথায় যেতে চাই—সেটা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছি কি না, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। এত বড় একটা অভ্যুত্থান, এত ত্যাগ, এত প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তন—আমরা কি সেটা জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে পারছি? দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখছি, যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হয়ে পড়ছি। বিভক্তির এ প্রক্রিয়া কারা করছে, কেন করছে—এটা আমাদের বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবলভাবে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি করে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার প্রবণতা চলছে। অথচ এই সময়টা আমাদের ঐক্যের সময়। ন্যূনতম বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছে একটা জাতীয় পথনির্দেশ তৈরি করার সময় এটা। কিন্তু সেই জায়গায় বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে।
বিএনপি সংস্কার চায় না—এমন প্রচারণাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্যদিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল বিএনপি। অথচ কনসাসলি একটা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে যে বিএনপি সংস্কারবিরোধী—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এত বড় অভ্যুত্থানকে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারছি না। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হচ্ছি। কারা এই বিভক্তি তৈরি করছে, তা আমাদের বুঝতে হবে।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ‘চর্চা ডটকম’র সম্পাদক সোহরাব হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সকালে মহান বিজয় দিবসে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তারা আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবে। ইনশাল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে সেই যুদ্ধে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মঙ্গলবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে যান তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এসময় বিএনপি নেতারা শপথ নেন-‘এ দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেটি অব্যাহত থাকবে’, জানান মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি। আমরা এদিনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে আসবেন। তার দেশে আসা যেন গণতন্ত্রের লড়াইকে আরো বেগবান করে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন


দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিম্নমানের জন্য রাজনীতিবিদরা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা’ নামের শিক্ষাবিষয়ক ম্যাগাজিনের আয়োজনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু অতি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষা রাখা উচিত আর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বেশির ভাগের জন্য ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং ব্যবস্থা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, বিএ বা এমএ পাস করার পর ছাত্রছাত্রীরা কাজ পান না, কারণ, এই ডিগ্রিগুলো চাকরি দিতে পারে না। কিন্তু যদি কেউ বিএসসি পাস করতেন বা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা নিতে পারতেন, তবে তার চাকরি কেউ আটকাতে পারত না। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা, ইনস্টিটিউট বা ভোকেশনাল সেন্টারগুলোর অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদরাই একটি দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। একজন রাজনৈতিক নেতা যেমন জাতিকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যান বা পথ তৈরি করেন, আবার কেউ নিচে নিয়ে যান বা পথ নষ্ট করেন। দেখার বিষয় কে জ্ঞানে গরিমায় রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করতে চায় আর কে কেবল নিজের স্বার্থে রাজনীতিকে ব্যবহার করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, কিন্তু রাজনীতিবিদদের বিভাজনে সেটি নষ্ট হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনাকে রপ্তানি খাতের জন্য একটি ‘সন্তোষজনক অবস্থা’ হিসেবে দেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার দুপুরে গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটা জয়-পরাজয়ের কোনো বিষয় না। যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে সে হিসেবে প্রতিযোগিতায় আমরা তুলনামূলকভাবে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। আমরা ২০ শতাংশ, পাকিস্তান ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ২০ শতাংশ আর ভারতে ২৫ শতাংশ। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ট্যারিফের ফিগারটা সন্তোষজনক। ট্যারিফ বিষয়ে আমাদের প্রতিযোগীতাদের সঙ্গে সেটা হয়েছে সেটা ঠিকই আছে। এটা সন্তাষজনক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের নতুন এই হারের পেছনে কী আছে সে প্রসঙ্গ টেনে সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, পুরো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি। সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। এর (ট্যারিফ) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর ইমপ্যাক্টটা কী হবে সেটা আমরা বলতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নেগোসিয়েশনের পেছনের যে বিষয়গুলো, এটা তো একটা প্যাকেজ। এখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু ট্যারিফের কত পারসেন্ট কমানো হলো সেটা তো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কী দাবি-দাওয়া ছিলো এই বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারব।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারণে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন, এখন কী তারা স্বস্তির মধ্যে এসেছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি তো বলছি, আপাতত ২০ শতাংশ ট্যারিফ নির্ধারণ অন্তত এই মুহুর্তে আমাদের রপ্তানি বাজার বাধাগ্রস্থ করবে না। সুতরাং এই মুহুর্তে এটা সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি বানিজ্য সচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার একটা কথা বলেছেন। এটার সঙ্গে ট্যারিফের কোনো সম্পর্কের ইঙ্গিত করছেন কি না প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, কিছু তো করতেই হবে। কারণ আমেরিকানদের পুরো ট্যারিফের বিষয়টা হচ্ছে তাদের পণ্য রপ্তান্তির স্বার্থে। সেজন্য তো এই অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কতটুকু অ্যাবজর্ব করতে পারবে, আমাদের অর্থনীতি কতটুকু এবজর্ব করতে পারবে, আমাদের ব্যবসায়ীরা কতটুকু এভজর্ব করতে পারবেন, আমাদের ইকোনমি কতটুকু এবজর্ব করতে পারবে সেই বিষয়গুলো আলোচনার বিষয়। আমরা বিস্তারিত জানলে সেটার ওপর মন্তব্য করতে পারব।
একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুরো বিষয়টা খোলাসা করা উচিত।
আমীর খসরু বলেন, বাণিজ্য শুধু আমাদের আমেরিকার সঙ্গে নয়, অন্যান্য দেশেও আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়। সেই জায়গাগুলো বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে আমরা কোথায় দাঁড়াচ্ছি সেটা বুঝতে হবে, পর্যালোচনা করতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানিটা আমাদের আরো বেশি ডাইভারসিফাই করতে হবে। বিদেশে ডাইভারসিফাই করতে হবে। দেশেও ডাইভারসিফাই দরকার। আমাদের শুধু আমেরিকা নির্ভরশীল অর্থনীতি হতে পারে না। সেটাই হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সেজন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহন এবং আমাদের যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ইউজ অব ড্রিম বিজনেস যেটা অত্যন্ত নিচে এখন, সেটাকে এই ডিরেগুলেশনের মাধ্যমে, রিভেলুয়েশনের মাধ্যমে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। বড় ধরনের পরিবর্তন আমাদের আনতে হবে।
মন্তব্য করুন


তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় কাউন্সিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা প্রস্তাব করেছেন, তা দেশের স্বাস্থ্য খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার শক্তি রাখে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পারস্পরিক হিংসার যে কালচার তৈরি করা হয়েছে, তা আমাদের ধ্বংস করেছে, আমাদের এ কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
সরকারের ওষুধশিল্প নীতিসহ বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মন্তব্য করুন


‘দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না’ বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি সিঙ্গাপুরে অবতরণ করেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে। সেখানে অবতরণের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিরাপদে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।
গতকাল রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
গত দুই দিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করে। গতকাল এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে।
তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ সাতজনকে আসামি করে নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।
অভিযোগ জমা দিয়ে সালাহউদ্দিন জানান, মামলা করার জন্য আমার আরো আগে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততা এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে দেরি হয়েছে। এ কারণে যে কাজটা আমি বেশ কয়েক মাস আগে করতে পারতাম, সেটা দেরি হয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রাথমিকবাবে সাতজনকে আসামি করেছি। এর মধ্যে শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ র্যাব পুলিশের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তবে আরো অনেক আসামি রয়েছে যারা বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে বের হবে যেগুলো আমার পক্ষে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সকলের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায় বিএনপির এই নেতা।
এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়।
এরপর সালাহউদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান।
ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।
এনসিপি দ্রুত নির্বাচন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, যদিও আমরা নতুন রাজনৈতিক দল। এই এক বছরে আমাদের অনেক কিছু কাঁধে নিতে হয়েছে। আমরা দল গঠনে সেই সময় পাইনি। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি কম থাকুক, বেশি থাকুক সেই জন্য আমরা কখনো নির্বাচন পেছানোর কথা ভাবি না।
নাহিদ বলেন, দ্রুত নির্বাচন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রয়োজন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য। ফলে ফেব্রুয়ারিকে ধরে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেবো।
এনসিপি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা নয়। আমরা নতুন গঠিত হয়েছি। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছি। এই নির্বাচন আমাদের সামনে একটা প্রথম চ্যালেঞ্জ, প্রথম টেস্ট হবে আমরা এটাতে অংশগ্রহণ করবো। ভালো করি, মন্দ করি এটা জনগণ বিবেচনা করবে।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরণ ও দুঃশাসনের বিষয়ে জনগণ অবগত। জিয়াউর রহমানের পর দলটি দীর্ঘসময় দেশকে শাসন করেছে। কিন্তু দলটি দেশে কখনো জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীর জাতীয়তাবাদের মধ্যে সমস্যা দেখেছিলেন। সেই সমস্যার সমাধান তিনি খুঁজে বের করেছিলেন। তা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমান সবক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী নীতি মেনে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান দেশ থেকে একদলীয় স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ভিন্নমতকে উৎসাহিত করতেন তিনি।
মন্তব্য করুন