ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক কোনো দলের বিশেষ সুবিধা নেওয়া ও নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাববেন না। মনে রাখবেন পেশি শক্তি কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আপনাদের সব কাজ জনস্বার্থ ও আইন দ্বাড়া পরিচালিত হয়।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের তোষামোদ করতে বারণ করে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক দল থেকে দূরে থাকবেন। আমি বারবার আপনাদের বলছি, আপনারা এখন যদি তেল দেওয়া শুরু করে দেন তাহলে আপনাদের তেল কিন্তু নির্বাচনের পর শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অতএব এখন যার কাছে যে তেলটা আছে রিজার্ভ করে রাখবেন। পরে কিন্তু তেলটা কাজে লাগাতে পারবেন। এজন্য আপনারা কোনো দলের দিকে যাবেন না। আপনারা একেবারে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা এটা পূরণ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।
বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন ১৬৮ জন বিডিআর সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন, কাশিমপুর-১ কারাগার থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ১২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির নাম প্রকাশ করেন। তাদের মধ্য থেকে ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েই মুক্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে কারাকর্তৃপক্ষ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। সেই রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২৭৮ জন খালাস পান।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। একই সঙ্গে ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া ২৮৩ জন আসামি খালাস পান।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণে মনোযোগ দেওয়ার কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের আগে ৫৪ জন আসামির মৃত্যু ঘটে। হত্যা মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে ২২৬ জন আপিল করেছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ ৮৩ জন আসামির খালাস ও সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যরা গত ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার আল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে। তাদের ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর ১৬৮ বিডিআর সদস্যের মুক্তি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এই ঘটনা পিলখানা বিদ্রোহের ক্ষত আবারও উন্মোচন করেছে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখবেননা। বরং আপনাদের যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গুলোর জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামী নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনে নোয়াখালী খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগস্টের বিপ্লব প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। আগে দেশ বাঁচান, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে কোনো বাংলাদেশী বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী মাফিয়া হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল গুলোকে এক সাথ হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের জাল উঠছে। তাই এখনো গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনো আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ ও প্রতিযোগিতার সময় তৈরী হয়নি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউছুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাশেম,যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী প্রমূখ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে দেশ তিনটির এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার (২২ মে) বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ ছিল। আগামী ২৮ মের মধ্যে এই স্বীকৃতি আসতে পারে।
নরওয়ের ঘোষণার পরপরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, তার দেশও ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আমরা সবাই এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার বলেছেন, দেশটির মন্ত্রী পরিষদও ২৮ মে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। সমন্বিতভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংক, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস—এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে এনআইডির তথ্য ফাঁস করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পেয়েছে। তবে এটি ইচ্ছাকৃত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রতিষ্ঠান কতটুকু তথ্য নিচ্ছে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্য নিচ্ছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পরে নাসির উদ্দিন কমিশন পুনরায় যাচাই-বাছাই করে। নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এবার বিসিসির পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিয়মিত মতবিনিময় ও তদন্ত চলমান থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশিত হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা পত্র প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা একটি প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখছি। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের কাছে স্পষ্টভাবে কিছু বলা আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভব নয়।’
সচিবালয় ইস্যুতে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এই মুহূর্তে সচিবালয় একটি ক্রাইম সিন। সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগুনের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্ত চালানোর জন্য আমরা সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি সাংবাদিকরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। সহযোগিতার অংশ হিসেবে একটি সাময়িক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি, এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। এটি একেবারেই তদন্তের প্রয়োজনে। ক্রাইমের যে লক্ষণগুলো সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, বেশি মানুষ প্রবেশ করলে আলামত নষ্ট হতে পারে, এজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বার্থে এই তদন্ত সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোয়াজ্জেম হোসাইন।
শপথ নেওয়া ২৫ বিচারপতি হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন), আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজিউদ্দিন আহমেদ ও ফয়সাল হাসান আরিফ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম সাইফুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান ও মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দিহিদার মাসুম কবীর, হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মুরাদ-এ-মাওলা সোহেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, সলিসিটর (সিনিয়র জেলা জজ) মো. রাফিজুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, মো. লুৎফর রহমান ও রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাতেমা আনোয়ার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান, সৈয়দ হাসান যুবাইর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উর্মি রহমান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।
গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে এখন বেসামাল হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত রাখতে নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জেলা সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে আওয়ামী সরকারের মদদে জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোনও মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার এবং বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, গতকাল ১৭ মে রাতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৯নং ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, ৮নং ফুলকোচা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, ২নং কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল, সাবেক ছাত্রনেতা ও শেরপুর জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেনকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়। তার আগে শেরপুর জেলায় জেলা সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আগের রাতে ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে জনবিচ্ছিন্ন সরকার এ ধরনের অপকর্ম সংঘটিত করছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৯ জুন) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, বৈঠকটি মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন।
এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। সফরটি ঘিরে রয়েছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা তাৎপর্য।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সফরের অংশ হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।
প্রেস সচিব আরও জানায়, লন্ডনে যাত্রার আগে ঢাকায় ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ওই বৈঠকে সফরের বিভিন্ন দিক ছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী। সফরকালে বৈঠক হবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় নিয়েও।
চার দিনের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশাও প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন