

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি বৃহৎ জোট গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে চায় বিএনপি। আর ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না যায় সেই বার্তাও দিতে চায় দলটি।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দল ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বার্তা দিতেই হাইকমান্ডের এই বৈঠক।
তরুণ-যুবকদের রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কর্মসূচি প্রণয়নের কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যনির্ভর।
মন্তব্য করুন


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম ইসলাম। আমরা ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চাই।’
জামায়াত নেতাদের কোনো বেগম পাড়া বা পিসি পাড়া নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি জামায়াত। জামায়াত যেমনি দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, যেমনি দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ বিচারের নামে প্রহসন দেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের রাজনীতি হবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই আমরা।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করেছি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভোটের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, আমরা দেশের জন্য কী করতে চাই তা জনগণকে জানানো এবং জনগণের আস্থা ধরে রাখা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে মিশনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ হোসিয়ারি মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, কিছু সংখ্যক লোক নিজেদের স্বার্থে আমাদের অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের আমাদের দলের ৩১ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। আমরা তাদের কায়দায় জবাব দেবো না।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে। শুধু একটি নির্বাচনই নয়, পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে। এখন কথায় চিড়া ভিজবে না। জনগণকে জানাতে হবে এবং তাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। বিগত ১৫ বছরে নির্যাতনের শিকার হয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা বন্ধ করেনি বিএনপি। তাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।
তারেক রহমান বলেন, আমরা ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করছি না। জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে, আপনাদেরও জনগণের দিকে তাকাতে হবে। অনেক সময় দলের মধ্যে কিছু দুষ্টু থাকে, তাদের টাইট করে রাখতে হবে। আমাদের ৩১ দফা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার, আমাদের।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি নেতা মাহমুদা হাবিবা, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোট ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশঙ্কা করছেন, এমন হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।
যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো—বেশি সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে, দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কোন পদ্ধতি ভোট হবে- তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধান খুলে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না। এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো নির্বাচন পরিচালনা। এই বিষয়টি উপেক্ষা করে যদি অন্তর্বর্তী সরকার অন্যান্য কাজে বেশি মনোযোগ দেয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘রোড টু ইলেকশন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সরকারের দায়িত্ব হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তবে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই সংবিধান প্রদত্ত আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।
এ সময় তিনি জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়ারও আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এই দেশের মানুষ গ্রহণ করে না।’
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি সংস্কার কমিশন থেকে নয়, বরং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি থেকে এসেছে। এই পিআর পদ্ধতি জনগণ চায় না, জনগণ চায় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে।’
নির্বাচন ঘিরে সামনে কঠিন পরীক্ষা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আহ্বান জানান তিনি। সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে ছিল।
এখনো কেউ কেউ প্রচার করছে যে আমরা সংস্কার চাই না—এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। বিএনপি নিজেই সংস্কার আন্দোলনের ফসল।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, কিছু দল বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা চাই ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হোক।
জনগণ এখনই নির্বাচন চায়। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সুযোগটি যেন হারিয়ে না যায়।’
মন্তব্য করুন


সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে এবং এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা প্রতিটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।"
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।"
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দল আজ বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।"
তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান এখন দেশকে হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় মন্তব্য করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায়। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
আব্দুল হালিম বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একের রূপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রত্যাশা জামায়াতের।
আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নস্যাৎ করতে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এখনো প্রশাসেন বিভিন্ন স্তরে আওয়ামী লীগের দোসররা অবস্থান করছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিগত সময় চারজনের পরামর্শে শেখ হাসিনা সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
তাদের পরামর্শে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র জনতাকে গুলি করে, বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে।’ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা সত্ত্বেও অপরাধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রতিনিধিদল আহত ভূলতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দোলন ভূঁইয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক খোঁজ খবর নেয়। পরে তার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোমিন মিথুনসহ সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুটা হলেও মুক্তি ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সাহসিকতার সাথে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। তাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কতজনকে আয়নাঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অসংখ্য নেতাকর্মী ও দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আজ দলের এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর বিক্রমকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, দেশ গঠনের অগ্রদূত এবং জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের এক অনন্য প্রতীক ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখনই দেশ ও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, জিয়াউর রহমান তখনই আপসহীনভাবে দেশ ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক ও গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। আজকের বর্ধিত সভায় তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, দেশের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকারসহ যাদের আমরা হারিয়েছি, তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরণ ও দুঃশাসনের বিষয়ে জনগণ অবগত। জিয়াউর রহমানের পর দলটি দীর্ঘসময় দেশকে শাসন করেছে। কিন্তু দলটি দেশে কখনো জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীর জাতীয়তাবাদের মধ্যে সমস্যা দেখেছিলেন। সেই সমস্যার সমাধান তিনি খুঁজে বের করেছিলেন। তা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমান সবক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী নীতি মেনে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান দেশ থেকে একদলীয় স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ভিন্নমতকে উৎসাহিত করতেন তিনি।
মন্তব্য করুন