

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুটা হলেও মুক্তি ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সাহসিকতার সাথে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। তাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কতজনকে আয়নাঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অসংখ্য নেতাকর্মী ও দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আজ দলের এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর বিক্রমকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, দেশ গঠনের অগ্রদূত এবং জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের এক অনন্য প্রতীক ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখনই দেশ ও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, জিয়াউর রহমান তখনই আপসহীনভাবে দেশ ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক ও গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। আজকের বর্ধিত সভায় তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, দেশের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকারসহ যাদের আমরা হারিয়েছি, তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। পুনরায় একই অপরাধ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
রোববার, জনস্বার্থ রক্ষার্থে এসব ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজধানীর সব ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং জামাতা রাকীন আল-মাহমুদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও, তাদের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা রয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এবং তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মন্তব্য করুন


পূর্ব ভারতের ওড়িশায় গতকাল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দ্রুতই রিপোর্ট পেশ করা হবে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে রেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। স্পষ্ট হয়নি এই ঘটনার মূল কারণ কী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের পেছনের চারটি বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে উঠে যায়। ওই লাইন দিয়ে এসেই লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতেই চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডলের সামনে পাঁচটি কামরা দুমড়েমুচড়ে যায়।
ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থল বালেশ্বরে অন্তত ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১০০ জন অতিরিক্ত ডাক্তার সেখানে সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন জানিয়েছেন, তিনি ১০ থেকে ১৫ জনের নিচে চাপা পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমার হাতে আর ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন ট্রেনের বগি থেকে বের হই, তখন দেখি কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে, কারো আবার মুখ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর ওড়িশা রাজ্যে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে।
সেখানে উল্লেখ করা হয় যে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়া আসা করতে করমোনডেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে ছিল কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে তথ্যের জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করেছে উপ-হাইকমিশন।
হটলাইন নম্বর: +91 90 38 35 35 33 (হোয়াটসঅ্যাপ)
এনএফ
মন্তব্য করুন


দেশের যুগসন্ধিকালে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মতো গুরুদায়িত্ব পালনে কোথাও কোনো ব্যর্থতার অবকাশ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। একই সঙ্গে আইনের শাসন কাকে বলে- সেটা দেখিয়ে দিতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিইসি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে কার্যকরভাবে মাঠ পর্যায়ে যারা সরকারকে সচল রাখেন, যারা দেশটাকে চালু রাখেন, তাদের প্রায় সবাই এখানে উপস্থিত আছেন। আপনারা জানেন, আমরা একটা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের উপরে যে গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছে, যদি সঠিকভাবে সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই আমরা, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জবাব দিতে পারব না। আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছিলাম, আইনের শাসন কাকে বলে- সেটা আমরা দেখিয়ে দিতে চাই। কথাটা বলার কারণ হচ্ছে- আমাদের বিরুদ্ধে সামষ্টিকভাবে আনা যে কোনো অপবাদ আমরা ঘোচাতে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই যে আমরা সঠিক, সুন্দর নির্বাচন করতে পারি এবং এটা একমাত্র আইনের শাসনের মাধ্যমেই সম্ভব।’
‘সুতরাং মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তারা আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। মনে রাখবেন, আইন আমাদের সবার জন্য সমান’, যোগ করেন সিইসি।
এ সময় সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সচেতনতার সঙ্গে পালন করার আহ্বান জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন,‘বলতে গেলে সারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রশাসন যাদের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তারা আজ এখানে উপস্থিত আছেন। আপনারা যখনই সাহসী পদক্ষেপ নেবেন, আইনের প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন ও বিধিবিধানের আলোকে কাজ করবেন- ইলেকশন কমিশন আপনাদের পক্ষে থাকবে।’
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচনের সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হলে কোথাও কোনো রকমের বিচ্যুতি ঘটবে না বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি। এ সময় সবাইকে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে ও কার্যকরভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, নির্বাচন কমিশনার- আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত) এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা, যারা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্তব্য করুন


ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। জুলাই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪০৩ থেকে ৩৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমেছে অটোগ্যাসের দামও। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম এক টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুন মাসে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
আজ বুধবার নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির বোতলজাত এলপিজির দাম ৬২৫ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম এক হাজার ৪২১, ১৫ কেজির দাম এক হাজার ৭০৫, ১৬ কেজির দাম এক হাজার ৮১৮, ১৮ কেজির দাম দুই হাজার ৪৬, ২০ কেজির দাম দুই হাজার ২৭৩, ২২ কেজির দাম আড়াই হাজার, ৩০ কেজির দাম তিন হাজার ৪০৯, ৩৩ কেজির দাম তিন হাজার ৭৫০, ৩৫ কেজির দাম তিন হাজার ৯৭৭ এবং ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫ হাজার ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুন সবশেষ সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে চার দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে সাত দফা। এ দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।
মন্তব্য করুন


একাত্তরে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয় দুইবার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বলতে চাই, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো একাত্তর ইস্যুর নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময়ের দলিলটি দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক। এর পর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে (বাংলাদেশে) এসে প্রকাশ্যে এবং খোলামনে বিষয়টির সমাধান করেছেন। ফলে বিষয়টির দুইবার সমাধান হয়েছে। একবার ১৯৭৪ এ, আরেকবার ২০০০ এর শুরুতে।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম বলেছে হৃদয় পরিষ্কার করতে। আপনারা আপনাদের হৃদয় পরিষ্কার করুন। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।
এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন


এবার থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামকরণের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হবে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। পাশাপাশি আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিদায় নিয়েছে, তা যেন আর কখনো ফিরে না আসে—এ বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপ-কমিটিগুলো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শুরুতে শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমঙ্গল দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এরপর থেকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নামেই শোভাযাত্রা করে আসছিল চারুকলা।
২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেসকো।
গত ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়েছিল, এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সবশেষ গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে চারুকলার শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি জানান, চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার অনুষ্ঠান হবে।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এবার পাসের হারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সেই হিসাবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
অন্যদিকে, এবার মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে শেখ নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হিসেবে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন শেখ নাঈম কাসেম। হেজবুল্লাহর যে অল্প কয়েকজন নেতা এখন জীবিত আছেন, তিনি তাদের একজন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হাসান নাসরাল্লাহ। শিয়া ধর্মগুরু হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হেজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। পরে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিএদ্দিন বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলীতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের বিরোধিতা করার জন্য এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া শক্তি হেজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছিল ইরান। তখন দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন দখল করেছিল।
হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অরাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীর একটি, যেটিকে অর্থায়ন করেছে ইরান। হেজবুল্লাহর বিমান বিধ্বংসী ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলেও মনে করা হয়।
মন্তব্য করুন