

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নেই। বাজারে যারা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, সেটা তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত হতে পারে—সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৬ টাকা, পাম ওয়েলের দাম ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৩ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
গত আগস্টেও ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। সে সময় ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছিল মাত্র এক টাকা বাড়াতে।
নতুন করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হলেও উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে—সরকার এখনো বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয়নি।
মন্তব্য করুন


চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারন নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা তৃতীয় কোনো দেশের উদ্বিগ্ন হওর কোনো কারণ নেই’।
নির্বাচনের পর্যবেক্ষক নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন, অহেতুক বির্তক তৈরি করতে পারে এমন কাউকে আনতে চায় না সরকার’।
এ সময় ইসলামী বক্তব্য জাকির নায়েককে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সময় বিমানবন্দর এলাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো গাড়িতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও গাড়িতে ছিলেন। এই সময়ে গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিয় নেত্রীর মুখ দেখার সুযোগ করে দিতে গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামান তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন।
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।
এছাড়া, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিরতির পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে কাতার থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। যাত্রার আগে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
তার আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো কিছু সমস্যার সমাধান করলে এবং জনগণ সচেতন থাকলে নির্বাচন সুন্দর হবে।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদায়ন এবং বদলির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে তিনি যে কোনো অনিয়মের খবর প্রকাশ করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানায়, একক ব্যক্তির নামে সিম কার্ডের সংখ্যা ১০টি থেকে ২টিতে কমিয়ে আনতে চায় সরকার। নির্বাচনের আগে সেটি ৫-৭টিতে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
তারেক রহমানের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ির অনুমতি দেয়ায় তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শংকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, অন্য কেউ চাইলেও অনুমতি দেওয়া হবে। সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
মন্তব্য করুন


অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না বলে জানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার চ্যানেলে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৭ মে) সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সুন্দরবনের জল সীমানায় বিজিবির যশোর রিজিয়নের আওতাধীন রিভারাইন বর্ডার গার্ড (আরবিজি) কোম্পানির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জলসীমান্ত রক্ষায় কাজ করবে বিজিবির ভাসমান বিওপি।
ভারত সুন্দরবনের জলসীমাসহ বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারত মান্দারবারি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করেছিল, সেখানে আমি পরিদর্শন করেছি। ভারতকে আমরা জানিয়েছি- আমাদের কোনো বাংলাদেশি যদি তাদের (ভারতে) ওখানে থেকে থাকে তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠান। যেমন ভারতের যারা বাংলাদেশে আছে তাদের আমরাও প্রোপার চ্যানেলে পাঠাই। আমরা কাউকে পুশইন করি না।
তিনি জানায়, গতকাল আপনারা দেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে আনসার এবং স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধে ভারত পুশইন করতে পারেনি। আপনারা সবাই যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ভারত পুশইন করতে পারবে না। বিজিবির সঙ্গে জনগণ এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা দরকার।
পুশইন ঠেকাতে প্রতিবাদমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিপ্লোমেটিক সল্যুশনের (কূটনৈতিক সমাধান) জন্য এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এ বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এটা (পুশইন) ওরকম উসকানি মনে হচ্ছে না। যেহেতু এর আগেও উনারা (ভারত) পুশইন করেছিল অনেক আগে; যে সময় পুশইন করেছিল সে সময় আমি বিজিবির ডিজি ছিলাম।
হঠাৎ এই সময় আবার কেন ভারত পুশইন করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছেন গুজরাটে বাঙালি কলোনির মতো ছিল (বাঙালি বস্তি)। গুজরাটে সেটা ভেঙে দেওয়ার পরেই এটা (পুশইন) শুরু হয়েছে।
ইউএনএসিআরের কার্ড হোল্ডারদেও পুশইন করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটা আমরা অলরেডি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। এর ভেতর কিছু রোহিঙ্গা চলে আসে। যেসব রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ছিল তাদেরও পাঠিয়েছে, আবার ভারতীয় রোহিঙ্গাদেরও পাঠিয়ে দিচ্ছে। এজন্য আমরা এটার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় আছে কি না, যাদের পুশব্যাক করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় একেবারেই নাই আমি বলবো না। আপনাদের অনুরোধ করবো যদি থাকে জানান, আমরাও যেন প্রোপার ওয়েতে (নিয়ম মাফিক) পাঠাতে পারি।
ভারত যেহেতু পুশইন করছে বাংলাদেশও ভবিষ্যতে পুশব্যাক করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার দেশের নাগরিক হলে পুশব্যাক করার কোনো অধিকার নেই। অবৈধভাবে ভারতীয় যারা বাংলাদেশে আছে তাদেরকে ভারতের মতো পুশব্যাক করবো না, তাদের প্রোপার চ্যানেলে পাঠাবো। অবৈধভাবে পাঠানো আইনসিদ্ধ নয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, আরবিজি কোম্পানির অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে দ্রুতই রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, দ্রুত তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুতই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোনোভাবেই আর রাষ্ট্রপতিকে পদে দেখতে চাই না।
এর আগে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। আসামি হিসেবে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিও। ৩৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকায় সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার নেন। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়।
‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।
সেখানে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চান, আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না’।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকবে ১ লাখ সেনা। এছাড়া নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
তিনি বলেন, জনগণই নির্বাচনের মূল শক্তি। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তখন তা কেউ আটকাতে পারবে না। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও এসেছে। এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হবে। আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণই আসল শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতৈক্য হয়, তবে সেটি ইতিবাচক হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আইন ও ব্যবস্থাপনারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে, সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা আছে, নির্বাচনের সময় তা এক লাখে উন্নীত হবে। নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারসহ সবাই মাঠে থাকবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অনেক সফলতা রয়েছে। অনেক কষ্ট করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান কিছুটা কঠিন। ফটিকছড়ি, রাউজানের মতো অর্ধেক পাহাড়ি, অর্ধেক সমতল এলাকায় সমস্যা থাকলেও উদ্ধার অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগেও অভিযান চলবে।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলের বিষয়ে তিনি বলেন, বুধবার ঢাকাতেও মিছিল করেছে। ঢাকার কমিশনার ফোন করেছিলেন, আমি বলেছি এগুলো আইনের আওতায় আনতে। গ্রেফতারও করা হয়। তারপরও তারা জামিন পেয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে তারা সহজে জামিন না পায়।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের মিছিলের সংখ্যা বাড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন- নির্বাচনের আগে মিছিলের সংখ্যা বাড়বে, তবে ছাত্রলীগের নয়। সবাই মাঠে নামবে। ছোটখাটো এসব (ছাত্রলীগের) মিছিল আর হবে না।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় নেই। পুরোটা আরাকান আর্মি দখল করেছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আরাকান আর্মি মাদক নির্ভরশীল, প্রচুর মাদক আসে। এর পরিবর্তে আমাদের দেশ থেকে চাল, সার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র যায়। আমরা আলোচনা করছি, যাতে এগুলো আর না যায় এবং মাদকও ঢুকতে না পারে। মাদক আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। এজন্য আমরা ফোর্স বৃদ্ধি করেছি, মাদক সমস্যা কমে আসবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। যত তাড়াতাড়ি তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা সম্পর্কে বলেন, এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো স্থানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এজন্য এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। উদযাপনে ভেতরে দুই ভাগ বা তিন ভাগ। এটি কোনো বাধা হবে না। এটি পুণ্য কাজ, তাই কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না বলে আমরা আশা করি।
তিনি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ করেছেন, যাতে সহযোগিতা করে পূজার আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা পায়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


টাইফয়েড টিকা নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (সিরডাপ মিলনায়তনে ‘টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি-২০২৫ এর সাফল্য এবং শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘টাইফয়েডের টিকা নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে এর মূলে রয়েছে সম্মক ধারণা না থাকা। উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।’
সরকারের উদ্যোগে দেশজুড়ে শিশুদের টাইফয়েডের টিকা দেয়ার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজব। এসব গুজব প্রতিহত করে টিকা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের সরকার আহ্বান জানিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ৯০ লাখ লোক টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ঝুঁকি নিরসনে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫ জনকে টাইফয়েডের টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটা মহলের আপত্তি নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে ঘনবসতি এবং দূষণের কারণে টাইফয়েডের টিকা দেয়া প্রয়োজন।’
মন্তব্য করুন


সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই এবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অকশন শেড (নিলামঘর) থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি চাকা গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় গত সোমবার বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন।
জিডিতে বিষয়টিকে চুরি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বাদী বিমানের কর্মকর্তা মোশারেফ লিখেছেন, গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ‘আনসার্ভিসেবল টায়ার’ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জিডিতে বলা হয়, খুঁজে না পাওয়ার পর বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একটি ‘বেসরকারি এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাকে’ ১০টি চাকা ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর এটি ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষকে’ না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার বলছেন, উড়োজাহাজের চাকার বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, একেকটি চাকার দাম পাঁচ থেকে ১৫ হাজার ডলার। সেই হিসেবে প্রায় কোটি টাকার চাকা বেঁচে দিয়েছেন বিমানের কর্মীরা। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মূলত অবৈধ অর্থের জন্য টায়ারগুলো সরানো হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর দায় স্বীকার করে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দিয়েছেন ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হোসেন। সেখানে তিনি বলেন, বিমানের ১০টি টায়ার তিনি ‘বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে’ দেন। এরপর বেসরকারি এয়ারলাইন্সটি তাদের থেকে ৬টি টায়ার নিয়ে অকশন শেডে রাখেন। এটি নিরাপত্তা সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হয়। নিরাপত্তা শাখার দুজন সদস্য এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন।
পরের ঘটনার বর্ণনায় বিমানের এই অভিযুক্ত কর্মকর্তা আরো জানায়, নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ওই টায়ারগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিমানের টায়ারগুলো ফিরিয়ে এনে অকশন শেডে রাখা হয়।
এসব বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর গণমাধ্যমকে জানান, টায়ারগুলো নিলামের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সেগুলো সরানো হয়েছিল। তদন্তে দুজনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে এসেছে। এর সঙ্গে আরো কারো সম্পৃক্ততা আছে কি না, খোঁজা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী খুব দ্রুতই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন