ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই। প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অনেকে বলে সব বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু সেটা সম্ভব না। এ জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা : যাপিত জীবনের আলেখ্য’ বইয়ের প্রকাশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা কতটা কঠিন তা তুলে ধরে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য—তাদের ক্ষমতার ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ নেই। এখানে সংস্কার না হলে যত সংস্কারই করা হোক, কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার দরকার।’
সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন দেখা গেছে এ রকম অবস্থা বিশ্বে কোথাও নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনের জন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে। যদিও আইএমএফ প্রাথমিক হিসেবে বলেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার লাগবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক হোসেন জিল্লুর রহমান।
মন্তব্য করুন
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২০টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা ভোগ দখলে রেখেছেন। এছাড়া, তাদের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা রয়েছে এবং মোট ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামি তার ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মীরা কাজে যোগ না দিলে বিকল্প জনবল নিয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ কারো কোনো নাশকতা বরদাশত করা হবে না। আজ রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি কয়েক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশের কয়েক জেলায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) নেতা কর্মীরা। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকেরা। এই ঘটনার পর পবিসের কয়েক নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় সমিতির কর্মীরা কাজ না করে আন্দোলনের ডাক দেয়। এসব প্রেক্ষাপটে এই কথা বলেন উপদেষ্টা
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও আরইবি একীভূত করা, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকারের সব জায়গায় আউটসোর্স করা কর্মী আছে। এসব দাবি রাতারাতি মেনে নেওয়ার মত নয়। অর্থনৈতিক বিষয় আছে।’
বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে পারে না আইনত। অনেকেই সরকারকে দুর্বল ভাবছে। তাই যখন-তখন দাবি তুলছে। আসলে তা নয়। বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এ সরকার এসেছে, তাই মানুষের সমর্থন আছে।’
সাবস্টেশন বা বিদ্যুতের লাইন কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা কাজ না করলে বিকল্প জনবল দিয়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। বিদ্যুৎ বন্ধ করা বেআইনি ও অন্যায়। আশা করব, তারা এসব কাজ থেকে সরে আসবে।’
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসরে গেল রবিবার অতিথি হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জামদানি শাড়ি পরে। তবে ধরনটি ছিল ভিন্ন। শাড়ি পরা সেই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে জয়া জানান, এটি তৈরিতে সময় লেগেছে ৬ মাস।
জয়ার পরা জামদানির এমন উপস্থাপন অনেকের পছন্দ হলেও কেউবা আবার জড়িয়েছেন বিতর্কে। এ নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। কারো কথায়, জামদানির ১২টা বাজিয়েছেন জয়া! সেটাও কানে গেছে এই অভিনেত্রীর। তবে এসব সমালোচনা মোটেও গায়ে মাখছেন না বরং ভবিষ্যতে জামদানি নিয়ে আরও বেশি বেশি ফিউশন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জয়া আহসান।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয়; তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়? আমরা যত ফিউশন করব তত বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারব। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি।’
জয়ার কথায়, ‘১ ডিসেম্বর আমি যখন মঞ্চের পেছনে বসেছিলাম, সবাই আমাকে দেখে প্রশংসা করেছে। “কাড়াক সিং”র সহকর্মীরা আলাদা আলাদা করে আমার হাত, চুল, গয়নার ছবি তুলছিল। এমনকি “হীরামান্ডি”র একজন অভিনেত্রীও পুরস্কার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, “তোমার জামদানিটা এত সুন্দর। আমি কি এটা একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?” উনি জামদানির টেকচার ছুঁয়ে দেখছিলেন। আমার কাঁথার জ্যাকেটটা ধরে দেখছিলেন। এসবই তো আসলে ভালোলাগার বিষয়।’
সবশেষে জয়া বলেন, ‘আমি মনে করি জামদানি, মসলিন এমনকি আমাদের গামছাকেও একবার ব্যবহার করে ঘরবন্দী করে না রেখে যত বেশি ফিউশন করে পরতে পারি, বিশ্বে ততই এর চাহিদা বাড়বে।’
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ বিষয়ে জরিমানার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় জুম প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের দেশের বিভিন্ন ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নৌপথে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে নৌপথের বিশেষ অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহনসমূহকে ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য বিআইডব্লিউটিসির কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনসমূহ প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারবেন।
নৌ দুর্ঘটনা রোধে ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৫ দিন দিনে-রাতে সার্বক্ষণিক বাল্কহেড (বালুবাহী) চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটে যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করতে পারবেন না। কোনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতেও পারবেন না। বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টা যেসব জলযানের ফিটনেস নেই, তাদেরকে অবিলম্বে ফিটনেস সনদ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার একটি চার্ট ঘাটগুলোতে টাঙিয়ে রাখতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা ঢাকার জিরোপয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার তিনি নিজেই এই পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে আমি কেন পদত্যাগ করেছি, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।"
এর আগে, তিনি কেবিনেট সেক্রেটারির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার ব্যক্তিগয় সচিব (পিএস) এর মাধ্যমে এই পদত্যাগপত্র কেবিনেটে পাঠানো হয়।
গত নভেম্বরে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন। তাদের মধ্যে অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করেনি। এজন্য নির্বাচনী অপরাধে জড়িতদের অবশ্যই বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনা উচিত।
বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের বিভিন্ন অপরাধ ঘটেছে এবং এসব অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং যারা অপরাধ করেছেন, যাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের অবশ্যই বিচার করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কমিশনকে বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়নি। তবে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩ থেকে ৯০ ধারায় নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বর্ণনা রয়েছে এবং এসব অপরাধ যথাযথভাবে প্রয়োগ করা উচিত।
বিগত নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পর যে যুক্তি দিয়েছিল, যে নির্বাচনের পর অপরাধের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়, তা নিয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা ইচ্ছা করলে তদন্তের ভিত্তিতে নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। গেজেট প্রকাশ হওয়ার আগেই তদন্ত করে নির্বাচনে ত্রুটি থাকলে পুনঃনির্বাচনও দেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু তারা ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেননি।
তিনি আরও বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এই সাক্ষাৎ অল্প সময়ের জন্য হতে পারতো, তবে এটি দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর, এবং সংস্কার কমিশনও তাদের যথাযথ সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি, তবে কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে প্রদান করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে আরও একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এক বিরাট ক্ষমতা রয়েছে, এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তারা আইন-কানুনের গ্যাপ পূরণ করতে পারেন।
নতুন কমিশন তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়া যায়নি, তবে তাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই এবং তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা তাদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত।
মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচারে আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি এমন অনেক প্রশ্ন আসছে। আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের আয়োজন ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার শেষ দিনের প্রথম পর্বে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক মনির হায়দার।
সংলাপে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবী দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের উপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল সেদিকে আপনারা ফোকাস করেন নি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকবো। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততবেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো।’
দেশে ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোন বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরুহ।’
বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কি সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাস এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কি হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি-না প্রশ্ন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আইনিভাবে, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন। সে আইনে মানবতাবিরোধী আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের উপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইন জেনারেল সেটার বিচার হবে। ঐ আইনেই বলা আছে, ডমেস্টিক অন্যান্য আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, ঐটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোন বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তিনি নিজেই তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, তিনি এ সংবাদের কথা জানেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখেছেন। তবে এই তথ্যের উৎস সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
"এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। যদি এমন কিছু হয়, তবে আমরা নিজেরাই তা জানাবো। রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন হলে এবং সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার বা আসিফের (ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) পক্ষ থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সরকারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি," বলেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে, একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দল ঘোষণার আগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। এছাড়া, সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আগামী জুন মাসে পদত্যাগ করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার নতুন দল প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে এবং এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। নতুন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও চলছে।
কিছুদিন ধরেই ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, "ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে আসলে তা মেনে নেওয়া হবে না।"
এ বিষয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, "আমি যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিই, তবে অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করব।"
মন্তব্য করুন