

ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ২টার পরে পাকিস্তানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকার পৌঁছান তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন, যা পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তিনি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সোমবার (০৬ অক্টোবর) রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এর আগে, ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন, এবং সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করে এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী প্রেরণের আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’
জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’
তিনি কর্মী কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস. এম. নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যারা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’
মন্তব্য করুন


নির্বাচন ঘিরে জনগণের প্রত্যাশা বিশাল উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২-৩ দিনে এটা (জনগণের প্রত্যাশা) বুঝতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যে চ্যালেঞ্জই সামনেই আসুক আমাদের মূল লক্ষ্যই জাতিকে স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এই প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দেয়া রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন। এর বেশিও নয়, কমও নয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস রয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা খুব একটা মসৃণ নয়। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের পর সকল পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দায়িত্ববান ও বিজ্ঞ।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে নির্বাচন বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, সামনের সপ্তাহে গণভোটের আইন করা হবে। আইনটা হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন।
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং জানিয়ে তিনি বলেন, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন কখনো হয়নি।
সিইসি আরও বলেন, আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।
মন্তব্য করুন


বিদেশে বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস এবং বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে টেলিফোনে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয় বলে বিদেশের কয়েকটি মিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, টেলিফোন কলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতদের অন্য মিশনে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
তবে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর এ নির্দেশনা দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতরা পাননি। তবে সরকারের এমন নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিদেশের দুটি মিশন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানায়, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোনে সরকারের এই নির্দেশনার কথা অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন দূতকে জানানো হয়েছে। তারা অন্য মিশনে জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে ছবি সরিয়ে ফেলার বিষয়টিও তদারকি করবেন তারা।
আরেক কূটনীতিক বলেন, আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সরাসরি আমাদের জানাননি।
ওনার পক্ষে কাছাকাছি একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে সীমানা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছি।
তিনি আরও জানান, ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে গড় ও মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোথাও জনসংখ্যা, কোথাও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং কোথাও প্রশাসনিক দিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ একভাবে করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভোট কি হবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, এই প্রশ্ন আমাকেও অনেকে করে। ভোট হবে বলেই আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় সব রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে দলগুলোর নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে সুযোগ রাখা হবে।
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হবে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের কিছু লোক বলছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কিন্তু কেনো কঠিন হবে? নির্বাচন করতে এতো সময় কেনো লাগবে? যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজশাহীতে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হলে অন্তবর্তী সরকারের বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। আমাদের একটি সংবিধান আছে, তারপরও গণপরিষদ নির্বাচন কেনো? এ ধরনের কথাগুলো মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও কাছে মাথা নত করে না, এটাই বিএনপির অপরাধ, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে মিটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একটি লুটেরা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর মতো একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা করে রক্তাক্ত হাত নিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেনো? যারা লুটেরা, যারা খুনি, তাদেরকে ভারত আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহত ও নিহত ১৫ জনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এহসানুল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই আগামী নির্বাচনের ঘোষণা আসবে। সবাই ভোট দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে ভয়াবহ তথ্য রয়েছে, সাংবাদিকরা এ নিয়ে কাজ করলে অনেক কিছু পাবেন। তবে আগামী নির্বাচনটি অনেক ভালো নির্বাচন হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। বিশেষ করে আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক প্রায় ১৬ হাজারের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এতে কয়েক লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্বাধীন মতের মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পরবর্তী সরকার এসে অবশ্যই ধরে রাখবে বলে মনে করছেন আইন উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


সরকার এবার কেজিপ্রতি ৩৯ টাকায় ধান এবং ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, আমন সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু নির্বাচন, তাই আগেভাগেই সংগ্রহ শেষ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, আমন ধান বেশি পরিমাণে কেনা হবে। ধান ও চালের মধ্যে আগে সংগ্রহের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ব্যবধান থাকতো। এবার তা হবে না, যা কৃষকদের উৎসাহিত করছে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হবে। সংগ্রহের ডেডলাইন আগামী ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় এর আগেই প্রায় সবটা সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, ৫০ হাজার টন ধান, ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের মিনিমাম টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু হিসাব করে ধান উৎপাদনে কিছু পরিমাণ ঘাটতি থাকে, যার কারণে আমাদের আমদানি করতে হয়।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫০ লাখ পরিবার থেকে ৫৫ লাখ পরিবারের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ৫ মাস দেয়া হত আগে, এখন সেটা ৬ মাস করা হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কমিটেড। অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব হস্তান্তর করবে, তখন খাদ্য মজুদ অনেক বেশি পরিমাণে থাকবে বলে আশা করি।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বিভিন্ন শহরে গাজাবিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘটিত হিংস্র ও অবৈধ ঘটনার ওপর বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা এবং ভাঙচুর কাজ জন নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অপমানজনক।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলা দায়ের করা চলছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বিচারের আওতায় আসবে তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রচেষ্টায়, পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছিল।
এ ছাড়া আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরো ব্যক্তি জড়িত শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় তোলা ভিডিও ফুটেজ কঠোরভাবে পর্যালোচনা করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সহিংসতা ও ধ্বংসের জন্য দায়ী তাদের গ্রেপ্তার না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন কাউকে অনুরোধ করছি যে তথ্য নিয়ে তদন্ত করতে সাহায্য করতে পারে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থায়িত্বকে দুর্বল করতে চায় তাদের জবাবদিহি করা হবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি পুরো মাত্রায় থাকলেও তফশিল ঘোষণার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
শনিবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফশিল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল ইসির। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনও জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফশিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের জাতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আয়োজিত মিটিংয়ে ছিলাম।’
তফশিল ঘোষণার প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তফশিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ করতে পারে নাই।’
তবে নির্বাচন আয়োজনে ইসি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করি, সঠিক তথ্যটা দেন...নিশ্চয়ই নির্বাচনের ব্যাপারে জোর প্রস্তুতি চলছে।’
সাংবাদিকদের নিয়ে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ); সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর পরিচিতি’ শিরোনামের কর্মশালায় বক্তব্য দেন আখতার আহমেদ। এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করে ইউএনডিপি ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
মন্তব্য করুন