

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে, নিঃসন্দেহে তারা ইতোমধ্যে অনেক ভালো কাজ করেছে। আমাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন।
শনিবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আগে ও পরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। তার মাধ্যমে আমাদের আশাগুলো কিছুটা হলেও পূরণ করার সুযোগ হবে। আশা করব, আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো, ফ্যাসিবাদবিরোধী আমরা সবাই একজোট হয়ে একসঙ্গে তাদেরকে সহযোগিতা করব। আমাদের যে লক্ষ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারব।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বেশ কয়েকটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে, একটা গুরুত্বপূর্ণ দল (এনসিপি) সম্ভবত কাল (রবিবার) নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবে। আমরা তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা প্রত্যাশা করি, এই তরুণেরা, এই নবীনেরা যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।’
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানিয়ে দলের মির্জা ফখরুল বলেন, কতগুলো বিষয়ে একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছি না। যতগুলো বিষয়ে একমত হওয়া যাবে, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। যেগুলোতে একমত হবে না, নির্বাচনের পরে সেগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা করব, ওই বিষয়গুলো আমরা একমত হব।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এসময় মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ মামলায় ১০ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। রায়ে সব আসামির খালাসের প্রত্যাশা করেন দলটির আইনজীবীরা।
তারা জানান, জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতেই বিচারের নামে প্রহসন করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আর রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, ধারণার ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। আর দুদকের অবস্থান ছিল, মামলার নথিপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণে কোথাও বেগম জিয়াসহ আসামিদের দুর্নীতি অনিয়ম কিংবা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ মেলেনি।
মঙ্গলবার খালাস চেয়ে শুনানি করেন এ মামলার আরেক আসামি কাজী সলিমুল হকের আইনজীবী। এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলাকালীন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার ও দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়, যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল, তার নেতৃত্বে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মামলা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন


আগামী ১২ আগস্ট যুব দিবস উপলক্ষে ৪ হাজার ৯৮৫ জনকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ঋণ দেবে সরকার। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে এ ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
সোমবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মঙ্গলবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করা হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উত্তর তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবকদের সম্পৃক্তকরণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী যুবসমাজকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক কারিগরি প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার মহান ব্রত নিয়ে বছরে প্রায় ২ লাখ যুব কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও যুব কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় যুব দিবসে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবকদের বিগত এক বছরে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা যুব ঋণ দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য ১ হাজার ৭৬ জন যুবককে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব পালন করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আত্মকর্মী, উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল বা জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের ৬৪টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হাতে দমন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে না পারে, সে জন্য দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল-মতনির্বিশেষে সবা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান।
তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, "সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কে ঘোষণা দিয়েছে, আমি জানি না।"
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কিনা—এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।"
এ বিষয়ে সরকার কি সরে আসছে? এমন প্রশ্নে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, "মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিল?"
সাংবাদিকরা জানান, জনপ্রশাসন সচিব মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। আমরাতো ঘোষণা দেইনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না।"
তিনি আরও বলেন, "অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো প্রস্তাবনা গেছে কিনা, তা জানতে চাই। তবে আমরা এখনো ঘোষণা দেইনি বা সিদ্ধান্ত নেইনি।"
সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
অর্থ বিভাগের হিসাবে, মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। তবে আপাতত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করে পাস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোর্ডের সামনে অবস্থান নেন এবং প্রধান ফটক আটকে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এসএসসিতে ভালো ফলাফল করলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও বাকী বিষয়গুলোর ফলাফল এসএসসির উপর ভিত্তি করে ম্যাপিং করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চায়, সব বিষয়ের ফল ম্যাপিং করে তাদের পাস দেখানো হোক।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বোর্ডে জড়ো হন। তারা বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং নানা স্লোগান দেন। পরে বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিছু শিক্ষার্থী বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। চেয়ারম্যান তাদের লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে আশ্বাস দেন।
তবে সেই আশ্বাসে অনেক শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল পরিবর্তনের দাবি জানান। বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফটকে অবস্থান করে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে বলেছি এবং তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো। কিন্তু তারা তা না শুনেই বোর্ডের সামনে বসে আছে। তারা সবাই আজই পাস চায়।’
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী দায়িত্ব শেষে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না। বুধবার (২ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনীতির প্রতি কোন টান নেই উল্লেখ তিনি পোস্টে লেখেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জল্পনা চলছে। আমার কিছু বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি যে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আমি কোনও শীর্ষ রাজনৈতিক দলে অথবা নতুন প্রতিষ্ঠিত কোনও দলে যোগ দিচ্ছি। সত্যি বলতে, কোনও রাজনৈতিক দল বা এমপি হওয়ার পর আপনি যে ধরণের জীবনধারা গ্রহণ করেন তার প্রতি আমার কোনও ক্রাশ নেই।”
রাজনীতির আর্থিক দিক নিয়ে মন্তব্য করে তিনি লিখেছেন, “সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আর্থিক সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই—যতক্ষণ না আপনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ হন।”
শফিকুল আলম বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী সময়ে আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না। আমি সাংবাদিকতা এবং সক্রিয় লেখালেখির পেশায় ফিরে যেতে চাই। আমার মনে কিছু বই আছে। আমি আমার বাকি জীবন জুলাইয়ের বিদ্রোহের উপর একচেটিয়াভাবে লেখার জন্যও ব্যয় করতে পারি।”
এই আন্দোলনকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, সুন্দর ও বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগ্রাম’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শফিকুল আলম লেখেন, “রবার্ট ক্যারো যেভাবে তার প্রিয় বিষয় লিন্ডন জনসনের ওপর পুরো জীবন লেখালেখি করেছেন, তেমনি একজন লেখক সারাজীবন জুলাই বিপ্লব নিয়ে লিখে যেতে পারেন। যদিও অনেকে ‘বিপ্লব’ শব্দটি পছন্দ করেন না।”
নতুন পরিচয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন শফিকুল আলম। তিনি লেখেন, “আমার জীবনের শেষের দিকে নতুন রূপান্তরের পর কি আমি নিরাপদ থাকব? গত কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীর কাছ থেকে ভয়ংকর হুমকি পেয়েছি। তবে হতে পারে, এসব হতাশ কিছু মানুষের হতাশার প্রকাশ, যারা মানুষের শেষ ভালোবাসাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।”
সবশেষে শফিকুল আলম বলেন, “আমি সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। আমি অপেক্ষায় থাকবো আমার নতুন জীবনের।”
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে—একটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর এবং অন্যটি ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে চূড়ান্ত তারিখ নির্ভর করবে জনগণের চাওয়া সংস্কারের মাত্রার ওপর।
শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রূপা হকের সঙ্গে আলোচনার সময় ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন। আলোচনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও আগাম সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়ে কথা হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই সময় ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগণ তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের কণ্ঠস্বর জোরপূর্বক দমন করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।”
ব্রিটিশ এমপি রূপা হক বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে আমি খুবই উৎসাহিত।”
রূপা হক আলোচনায় উল্লেখ করেন, কেন গত জুলাই মাসে জনগণের বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের ঘটনাগুলোও উঠে আসে। তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভই গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণ।”
আলোচনার শেষে রূপা হক বলেন, “আমি আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আবারও আসতে আগ্রহী।” সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। শুনানির জন্য আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।এ ছাড়া প্রবেশমুখগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় একদল আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা আলিফ হত্যার বিচার চান। আইনজীবীরা আলিফ হত্যাকাণ্ড ও আদালত প্রাঙ্গণে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চিন্ময়কে আসামি করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত হাজারখানেক অনুসারীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে। সম্প্রতি যিনি সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
আইনজীবী আলিফ খুন এবং আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন তার বাবা ও ভাই। বাবার করা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ভাইয়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ১১৬ জনকে। সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও ৩৩ নম্বর আসামি।
এ ছাড়া তার অনুসারী আরও ৫০ জনের অধিক আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। মোট পাঁচটি মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩৯ জন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন