মতভেদ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয় কোনো ইস্যুতে বা গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয় তিনি সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিজয় র্যালির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই- বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কারণ, আমি বিশ্বাস করি ধর্ম, দর্শন, মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।
এসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চান তিনি।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।
গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সম্ভাবনা এবং সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের কারণে আসা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে; জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে, ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। আর কোনো রক্তাক্ত চব্বিশ আমাদের দেখতে হবে না।
বিজয় মিছিল আয়োজন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা।
মন্তব্য করুন
ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না চাইলে ভালো রাজনীতি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায় বিএনপি। জনবান্ধব সংস্কৃতির প্রবর্তন করতে চাই। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জনগণের ভোগান্তি এড়াতে খাল, নর্দমা পরিষ্কার, ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না ঘটুক চাইলে, ভালো রাজনীতির সূচনা করতে হবে। জবরদস্তিমূলক মনোভাব পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু আইনকানুন বা সংবিধান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কার্যকর সংস্কার করা যায় না। মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং সহনশীলতার মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজার রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরণ ও দুঃশাসনের বিষয়ে জনগণ অবগত। জিয়াউর রহমানের পর দলটি দীর্ঘসময় দেশকে শাসন করেছে। কিন্তু দলটি দেশে কখনো জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীর জাতীয়তাবাদের মধ্যে সমস্যা দেখেছিলেন। সেই সমস্যার সমাধান তিনি খুঁজে বের করেছিলেন। তা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমান সবক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী নীতি মেনে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান দেশ থেকে একদলীয় স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ভিন্নমতকে উৎসাহিত করতেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা নিজে ও তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে একটি গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি পাশের দেশ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর যারা কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন দরবেশ (সালমান এফ রহমান) কারাগার থেকে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন। তিনি মাঝেমধ্যে জেলখানা থেকে বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, এতগুলো শ্রমিক নেমে গেলেই তো হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সেমিনার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনাসভার আয়োজন করে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আমি জানি না তাদের বিচার প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে। কিভাবে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এই কথাগুলো বলছে। নিশ্চয়ই তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা সেই সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা বলছে।’
কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদেরকে কারাগারে নিয়ে মাদকসেবী ও ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে রাখা হতো। আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে গুম-খুন করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী আরো বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলছে, যা ভালো। কিন্তু সংস্কারের নামে আপনারা সময়ক্ষেপণ করবেন না। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। এমন সংস্কার নিয়ে আসুন যাতে মানুষ ন্যায়বিচার পায়। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়। তা না হলে মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’
অ্যাবের সভাপতি ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনও কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। যার যে দাবি তা নির্বাচিত হয়ে পূরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির তিন দিনব্যাপী শান্তি প্রশিক্ষণ প্রবক্তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় যত দেরি হবে দেশ তত বিপদগ্রস্ত হবে। রাজপথের পর্ব শেষ হয়েছে। জনগণের মালিকানা ফেরানোর সময় এখন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে বিভক্তি ও গৃহযুদ্ধের শঙ্কা থাকে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিবন্ধীদের স্বক্ষমতা বাড়ানো ও ক্ষমতায়নে বিএনপি কাজ করবে জানিয়ে বলেন, অন্য নাগরিকদের মত প্রতিবন্ধীদের জন্যও রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করতে হবে। এ বিনিয়োগ হবে আর্থিক, নৈতিক ও মানবিক বিনিয়োগ।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করছে বিএনপি। দান-অনুদান নয়, নাগরিককে সক্ষম করাই লক্ষ। সেই সঙ্গে বিএনপি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করে বলেও জানান দলটির সিনিয়র এই নেতা।
প্রসঙ্গত, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ আরও কয়েক দফা দাবিতে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। বিএনপি হলো সেই রাজনৈতিক দল যে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি হলো সেই রাজনৈতিক দল যে আমাদের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২১ দফাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়া নতুন বাংলাদেশের রুপকল্প দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাংলাদেশ তছনছ হয়ে গেছে, ভেঙ্গে গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে সেগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার জন্য, দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তারেক জিয়া ৩১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ জেলায় নতুন একটি বিএনপি গঠন করবেন। যে বিএনপি একদিকে নতুন পথ দেখাবে। তেমনি অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ঠাকুরগাঁও প্রতিষ্ঠিত করবে।
এ সময় তিনি সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদুসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বিএনপি। এতে আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। এছাড়া ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
আজ রবিবার সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। হিসাব জমা দেওয়া শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী জানায়, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
এ সময় তিনি বলেন, আগে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এ ছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইসি। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
মন্তব্য করুন
সরকারপ্রধান বলেন ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন করতে চান। সেই বিবেচনায় আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছি। তবুও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস যেন কোনোভাবে ক্রস না করে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক প্রতীকী যুব সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যথাসময়ে, সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। ফ্যাসিবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে ফ্যাসিবাদ ও তার দোসররা মিডিয়াতে যেভাবে কথা বলছে, যেভাবে চলাফেরা করছে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ।
তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে তার মানে এই নয় আমরা সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি। স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা, অধিকারের জন্য। যদি সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা না যায় তাহলে অধিকারও প্রতিষ্ঠা হবে না। আর সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, ভালো নির্বাচন হওয়া দরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানে, দেশের পর্যবেক্ষক, দেশের মানুষ জানে ডিসেম্বরেই নির্বাচন করা সম্ভব ছিল। তারপরেও সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন করতে চান। সেই বিবেচনায় আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা গত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তার বিচার এবং দেশের সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হতে হবে। দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে টালবাহানা করে, তাহলে বুঝতে হবে তারা ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক করতে হবে।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন তাদেরকে দলের দু:সময়ে পাশে পাননি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
চরম দুঃসময়ে যেসব নেতা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন না তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। ছিলেন আড়ালে। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনিই বিরোধী দলকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেন তিনি।
সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি স্ত্রীসহ এক বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর কতদিন দেশে ছিলেন এবং পরে কীভাবে পালিয়েছেন সেটিও বেরিয়ে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারে।
ওই ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের উত্তাল দিনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সংসদ এলাকার আমার নিজের বাসাকে এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখন চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক। আমি যে বাসাটায় ছিলাম, তারা সে বাসাতেও হামলা করে। তারা জানত না, যে সেখানে আমি আছি।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, ‘আমি আমার স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ ছিলাম, প্রায় ৫ ঘণ্টা। তারপর একটা পর্যায়ে তারা বাথরুমে ভেতরেও কমোড-বেসিন এগুলো ‘লুটপাট’ করেছে। আমার স্ত্রী তখন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বারবার বলছিলেন যে আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার হুমকি দিতে থাকে, বাথরুমে কী আছে তা লুট করতে চায়। এই অবস্থায় আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী করব? আমি বললাম, দরজা খুলে দাও।’
ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, ‘এরপর ৭-৮ জন যুবক ভেতরে ঢোকে, এবং তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আচরণ করতে থাকে। হঠাৎ তারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘নেত্রী তো চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?’ আমি তখন কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এর মাঝেই তারা আচরণ পাল্টে ফেলে। কেউ একজন বলে, ‘আপনার ছবি তুলব’, তারপর শুরু হয় ছবি তোলা, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। ধারণা করি, এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে চিনতো।’
তিনি জানান, ঠিক কী কারণে প্রথমে তাদের মধ্যে এত আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, আর কেন হঠাৎ করে সেই আচরণ শীতল হয়ে গেল- তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। আচমকাই তারা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা শুরু করে। তাদের মধ্যেই একটা গ্রুপ তখন চাইছিল তাকে রাস্তায় নামিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে, আবার কেউ কেউ চেয়েছিল জনতার হাতে তুলে দিতে। এই পরিস্থিতি তার মনে গভীর চাপ ও মানসিক ভাঙন সৃষ্টি করে। এরপর তারা তাকে একটি শার্ট, লাল পতাকাসংবলিত ব্যাজ এবং মুখে কালো মাস্ক পরিয়ে সংসদ এলাকা থেকে গণভবন অভিমুখী বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। হঠাৎ কোথা থেকে একটি খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়- সেই মুহূর্তে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তিনি মনে করেন, এটি হয়তো তার ভাগ্যের বিষয় ছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম এই সহযোগী বলেন, তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ও তার স্ত্রীকে সেই গাড়িতে তোলে এবং পথে যেতে যেতে চারপাশের চেকপোস্ট ও লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি, বিরক্ত করবেন না।’ এইভাবেই তারা তাকে অনেক দূরের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী তিনমাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ফন্দি আঁটছিলেন দেশের শ্রমিক অসন্তোষ ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার।
মন্তব্য করুন
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণের সঙ্গে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নিজের দেশে ফেরা নিয়েও তথ্য দিয়েছেন তিনি। যদিও দেশে ফেরার বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কথা তিনি জানাননি।
তারেক রহমান কেবল বলেছেন, ‘কিছু সঙ্গত কারণে এখনো হয়তো দেশে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তবে সময় তো চলেই এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, দ্রুতই ফিরে আসব।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
প্রায় ৫০ মিনিটিরে সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পেরিয়ে গেছে, অনেকের ধারণা ছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আপনি দেশে এসে স্বশরীরে দলের নেতৃত্ব দেবেন, গত এক বছর বারবার প্রশ্নটি আসছে এখনো আসছে- আপনি এখানো দেশে ফিরেননি কেন? কবে দেশে ফিরবেন সেটা আমরা কি জানতে পারি?
এর জবাবে তারেক রহসান বলেন, ‘‘ফিজিক্যালি (শারীরিকভাবে) আমি এই দেশে (ব্রিটেনে) রয়ে গেলেও মন–মানসিকতার দিক থেকে আমি বিগত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই আছি। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
নির্বাচনের আগেই দেশে আসবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলি-নির্বাচনের সঙ্গে, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতি কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন থেকে কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকব।’
আপনি না আসার পেছনে আপনার দলের নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলেছেন, আপনি কি কোনাে ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন, এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ২০০৭-২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনের সময় সবক্ষেত্রে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে তারা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও ভূমিকা রেখে চলেছেন।
সুইডেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক খান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলিল উদ্দিন দুলু, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক আফসার আহমেদসহ সুইডেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ নরডিক শাখার নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন