ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে মানুষ। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন।
সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই। নির্বাচনী অনিয়ম রুখতে এবং সত্যিকারের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।’
সিইসি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহের এই কর্মসূচি চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সবকিছু শেষ করে জুনের মধ্যে হালনাগাদ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকছে। একইসঙ্গে মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং ঠিকানা পরিবর্তনের সুবিধাও রাখা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফেরানোর উপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দিতে পারবে, সেদিনই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সংগ্রাম আজ থেকে শুরু হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন অনিয়ম প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা ব্যালট বাক্স লুটের মতো অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।’
তরুণদের ভোটের প্রতি আগ্রহ ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেক তরুণ জানিয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। এটাই আমাদের যাত্রার সূচনা।’
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানে। আমরা জনগণের সাথে আছি এবং তাদের পাশে থেকে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবো।’
সরকার প্রধানের দেওয়া সম্ভাব্য সময়সূচি অনুযায়ী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসি সেই সময়কে মাথায় রেখে কাজ করছে বলে জানান সিইসি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘এ যাত্রা লম্বা হতে পারে। তবে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে নির্ভুল ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
এ বছর থেকেই এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের স্বয়ংক্রিয় বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। বদলির সময় নারী-পুরুষ এবং বাড়িসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেওয়া হবে। আমি এসব মৌলিক কাজ করছি, যেখানে মহার্ঘ ভাতা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা এবং গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে জনমিতি সুবিধার ক্ষেত্রে। বর্তমানে জনসংখ্যার বয়স কাঠামো মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে, তবে ১০ বছর পর এটি থাকবে না, কারণ সবার বয়স বাড়বে এবং তখন চিকিৎসা খরচ আরও বাড়বে। তবে সুশাসিত গণতান্ত্রিক শাসনে যদি উত্তরণ সম্ভব হয়, তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত এটাই। আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো একটি ভালো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রপ্তানি গতি ফিরে এসেছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা আশাব্যঞ্জক। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে বলা হচ্ছে, তবে এটা পুরোপুরি কমে যায়নি। মূল্যস্ফীতি এখনও বাড়ছে, যার ফলে দিনমজুরদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়েছে। ২০১০ সাল থেকে কোনো বছরেই মার্চের আগে বই যায়নি। কিছু কিছু বছর বই জুলাই-আগস্টে পৌঁছেছে, তবে এবার বই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০ বছর ধরে বিতর্কের বিষয় ছিল, তবে রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ ভুল হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ভুল ভ্রান্তি হতে পারে এবং সেগুলো সংশোধন করা হবে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘দেশের নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা একটি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রয়োজন। তবে ডেল্টা প্ল্যান তার জায়গায় থাকবে, যা শত বছরের পরিকল্পনা। তবে কোন বিশেষজ্ঞই বলতে পারবে না শত বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে। তাই মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা আছে।’
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে এই হামলা চালায় তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হামলায় বেসামরিক হতাহত কমাতে’ বেশ কিছু পদক্ষেপ আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল, যে কারণে ওই এলাকায় আগে থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের এই হামলায় আল-হাজ আব্বাস সালামা মারা গেছেন।
আল-হাজ আব্বাস সালামা হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। এ সময় রাদা আব্বাস আওয়াদা এবং আহমাদ আলী হুসেন নামে আরও দুইজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা মারা গেছেন।
ইসরাইলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়াদা হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এছাড়া হুসেন একটি অস্ত্র তৈরির ইউনিটের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
তবে, এই হামলার বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে নিজ দলের প্রাণঘাতী বিক্ষোভ মিছিলের কয়েকদিন পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক্স পোস্টে ইমরান খান সমর্থকদের ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অঞ্চলটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত।
এক্স বার্তায় ইমরান খান ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে দমনপীড়ন এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীদেরও মুক্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান বলেন, যদি এই দুটি দাবি মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা অস্বীকার করেছে, উল্টো বলেছে, ইমরান খানের সমর্থকরা গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
৯ মে'র ওই হামলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত বছরের শেষ দিক থেকে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
ইমরান ও তার দল বলছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে মতবিরোধের পর রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে এসব মামলা সাজানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড. আসিফ নজরুল সৌদি আরব, ওমান ও কাতার সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই সফর ও বৈঠকের ফলাফল নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। তিনি লিখেন, "সৌদি আরবে আমার এবারের সফর ছিল সরকারি, সেখানে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। রিয়াদে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাতার ও ওমানের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সৌদি আরব সেখানে আকামাবিহীন বাংলাদেশিদের বিষয়ে চাকরিদাতাদের দায়-দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চাকরির চুক্তি আগেই বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাছে পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবে বলেছে, পেশাজীবীদের সার্টিফিকেটের সত্যায়ন বাংলাদেশ থেকেই করবে বলেছে।"
ওমানের বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "ওমান সেখানকার সকল বাংলাদেশিদের থাকার বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দ্রুত বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে বলেছে।" কাতারও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল আরও লিখেন, "এখনো পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতিই। তবে সেগুলো আন্তরিক মনে হয়েছে। আমরা বিষয়গুলোর অগ্রগতি যেন হয়, তা নিয়ে ফলো-আপ করবো।"
প্রবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "প্রবাসে কেউ কেউ আমার কাছে বিমান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না, তবুও আমি বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে বসবো।"
তিনি আরও লিখেন, "সবশেষে, আপনাদের বহু মানুষের কাছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্পর্কে ভালো মূল্যায়ন পেয়েছি। তাদের কাজের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম দেখে আমারও ভালো লেগেছে। দুই দিনে চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুধু নয়, তারা আমার সঙ্গে সৌদি আরবের বড় বড় প্রায় ২০টি চাকরিদাতা কোম্পানি ও প্রবাসে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সঙ্গে দুটো মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো নিয়ে পরে লিখবেন বলেও জানান উপদেষ্টা।"
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন
দেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপনের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিরাপনের চেয়ারপারসন সাইমন সুলতানা এবং স্বাধীন পরিচালক তপন চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলও’র মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। শিগগির আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিক ইউনিয়ন ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এই খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
সাইমন সুলতানা পোশাক শিল্পে সংস্কার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিরাপন তার স্থানীয় অংশীদার ‘ব্র্যাক’ ও ‘আমাদের কথা’র মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্ভাবনী টুল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তার উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’
তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’
১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’
আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করে পাস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোর্ডের সামনে অবস্থান নেন এবং প্রধান ফটক আটকে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এসএসসিতে ভালো ফলাফল করলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও বাকী বিষয়গুলোর ফলাফল এসএসসির উপর ভিত্তি করে ম্যাপিং করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চায়, সব বিষয়ের ফল ম্যাপিং করে তাদের পাস দেখানো হোক।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বোর্ডে জড়ো হন। তারা বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং নানা স্লোগান দেন। পরে বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিছু শিক্ষার্থী বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। চেয়ারম্যান তাদের লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে আশ্বাস দেন।
তবে সেই আশ্বাসে অনেক শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল পরিবর্তনের দাবি জানান। বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফটকে অবস্থান করে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে বলেছি এবং তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো। কিন্তু তারা তা না শুনেই বোর্ডের সামনে বসে আছে। তারা সবাই আজই পাস চায়।’
মন্তব্য করুন