সমুদ্রের তলদেশে পড়ে থাকা বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, এবারের ভিডিওতে টাইটানিকের যে চিত্র ওঠে এসেছে তা আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে বিশাল বরফ খন্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষ প্রাণ হারান। আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এখন জাহাজটি পড়ে আছে।
দুর্ঘটনার ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে সমুদ্রের অতল গভীরে টাইটানিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকেই এ জাহাজটির প্রতি মানুষের কৌতুহল আরও বেড়ে যায়।
এই কৌতুহল মেটাতেই গভীর সমুদ্রে ম্যাপিং ও স্ক্যান করে টাইটানিক জাহাজটির থ্রিডি ভিডিও ধারণা করা হয়েছে। ভিডিওটি দেখলে মনে হয় যেন, জাহাজটির আশপাশে কোনো পানি নেই। শুধুমাত্র একটি খালি জায়গায় এটি পড়ে আছে।
ভিডিও ধারণ করার কাজটি করেছে গভীর সমুদ্রের তলদেশ মাপা প্রতিষ্ঠান ম্যাগেলান লিমিটেড এবং আটলান্টিক প্রোডাকশনস। ২০২২ সালে কাজটি করা হয়।
আগে টাইটানিকের যেসব ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো ঘোলা বা অস্পষ্ট ছিল। এছাড়া পুরো জাহাজটির চিত্রও তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
তবে নতুন ভিডিওতে জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র ওঠে এসেছে। এতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে টাইটানিকটি দুই খন্ড হয়ে পড়ে আছে। জাহাজটির বো, স্টার্ন এমনকি প্রপেলারটির নাম্বারও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
অবশ্য এ ভিডিও ধারণে সমুদ্রের নিচে যাননি বিশেষজ্ঞরা। তারা সমুদ্রের উপর থেকেই সাবমার্সিবল ব্যবহার করে ও ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করে জাহাজটি মাপামাপি এবং ছবি তুলেছেন।
জাহাজটির প্রত্যেকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ৭০ হাজারের বেশি ছবি তোলা হয়েছে। এরপর সেগুলো সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি ভিডিও।
নতুন এ ভিডিওতে জাহাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও ওঠে এসেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মদের বোতল, মানুষের জুতাসহ বেশ কিছু জিনিস দেখা গেছে। ভিডিও দেখুন এ লিংকে
মন্তব্য করুন
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক জোট কোয়াডের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এ চার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করায় সম্মেলনটিও বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস বুধবার সকালেও আশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সম্মেলনটি হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, এটি বাতিলই করা হয়েছে।
১৭ থেকে ১৯ মে জাপানে গ্রুপ অব সেভেন জি-৭ জোটের সম্মেলন হবে। এখন কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর নেতারা জি-৭ জোটের সম্মেলনের ফাঁকে আলাদাভাবে বৈঠক করতে পারেন।
যদিও জাপানে এ চার দেশের প্রধানদের আলাদা বৈঠক হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের কথা বলার বিষয়টি ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোয়াড একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। আমরা চাই নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বৈঠকটি হবে এবং আমরা এ সপ্তাহের শেষে এ নিয়ে আলোচনা করব।’
কয়েক সপ্তাহে আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া তার পাপুয়া নিউ গিনিতেও যাওয়ার কথা ছিল। ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির সংসদে বক্তব্য দিতেন তিনি।
জাপানে কোয়াড সদস্য দেশগুলোর বিশেষ বৈঠক হবে নাকি হবে না এ বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও, বাইডেনের সঙ্গে অজি প্রধানমন্ত্রী আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া বাইডেনকে আলাদাভাবেও অস্ট্রেলিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— তিনি নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর অন্তর্র্বতীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ মোখবারের নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির সংবিধানে বলা আছে- ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট অসুস্থতা, মৃত্যু, অভিশংসন বা সংসদ কর্তৃক অপসারণের ফলে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে সংসদ এবং বিচার বিভাগের প্রধানদের সাথে যৌথভাবে আলোচনা শেষে সর্বাচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আর এসব কিছুই হতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনসাপেক্ষে। কারণ ইরানের যেকোনো বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি; কিন্তু ভারি কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।’
নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে থাকা জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে ইসরাইলে ৭০টি রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আতঙ্কে সতর্ক সাইরেন বেজে উঠেছে ইসরাইলি শহরে। খবর বিবিসির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইল জানায়, সকাল ১১টা ৯ মিনিট থেকে ১১টা ১২ মিনিটের মধ্যে ওয়েস্টার্ন গ্যালি ও আপার গ্যালির মধ্যে সতর্ক সাইরেন বেজে ওঠে।
৭০টি রকেটই লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরাইলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন।
এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরাইলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে।
ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের সমর্থনে একটি প্রস্তাব পাস করার ঠিক আগে জাতিসংঘের সনদটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।
সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরাইলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।
যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।
জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।
জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবার বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানে আকস্মিক বন্যার (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) সৃষ্টি হয়। এ বন্যায় কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
শুধুমাত্র বাগলানি জাদিদ বিভাগে ১ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
তবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে ৬২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এভাবে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে শনিবার উত্তরাঞ্চলের তাকহার প্রদেশে বন্যায় ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবারের বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এ বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একমাস ইরানে বন্দি থাকার পর আটক ‘ইসরাইলি’ জাহাজের ৫ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইরান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এমএসসি এরিসের ৫ জন নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তারা ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য আমরা ইরানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।
গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরাইলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্য থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়টিকে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আটক হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যান টেসা জোসেফ নামক কেরালার এক নারী নাবিককে মুক্তি দেয় ইরান। ভারতে ফিরে টেসা জানিয়েছিলেন, বন্দি থাকলেও ভারতীয় নাবিকদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তখনই জানা গিয়েছিল, আটক বাকি ১৬ নাবিককেও দ্রুত মুক্তি দেবে তেহরান। নাবিকদের জন্য কনসুলার অ্যাক্সেসের ব্যবস্থাও করা হয়।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মালাউইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাওলাস চিলিমাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও বিমানটিতে আরও ৯ জন আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডিও রয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান।
দেশটির সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তারা ধারণা করছেন বিমানটি চিকানগাওয়ার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিমানটির সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
৫১ বছর বয়সী ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীসভার দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দুর্ভাগ্যবশত, বিমানে যারা ছিলেন তারা সবাই নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে রাজধানী লিলংওয়ে থেকে সামরিক বিমানটি উড্ডয়নের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।”
এর আগে মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার পল ভেলেন্তিনো ফিরি সকালে জানিয়েছিলেন, ঘন জঙ্গল এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল লিলংওয়ে ছেড়ে যাওয়ার পর মালাউই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই বিমানটি ‘রাডারের বাইরে চলে যায়’। বিমানটির স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পরে দেশের উত্তরে অবস্থিত মজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটিকে আবারও রাজধানী লিলংওয়ের বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পর এটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
সোমবার গভীর রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সৈন্যরা এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিমানটি না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি কঠোর নির্দেশ দিয়েছি।’
এর আগে প্রেসিডেন্ট চাকভেরা তার বাহামাস সফরে যাওয়ার ফ্লাইট বাতিল করেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই সফরে তার রওনা হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও আজ এটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আরও বোমা সরবরাহ করতে বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি এই যুদ্ধের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে আণবিক বোমা ব্যবহারের তুলনা করেন।
লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, পার্ল হারবারের আক্রমণের পর আমরা নাগাসাকি ও হিরোশিমায় যেভাবে জবাব দিয়েছিলাম, ইসরায়েলেরও তেমন টা করা উচিত। তাদেরকে সেই বোমা সরবারহ করা উচিত।
সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তে বারবার নিষেধের পরও ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করায় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই মার্কিন প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে একাধিক ধরনের বোমার সরবরাহ বন্ধ রাখছে বাইডেন প্রশাসন, যেগুলি দিয়ে ইসরায়েল গাজার শহরাঞ্চলে আক্রমণ চালাতে পারে।
বোমা সরবরাহ সীমিত করা ও রাফাহ সীমান্তে অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে। তবে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থন লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয় নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বোমা সরবরাহ করা উচিত। কোনোভাবেই তাদের হারতে দেওয়া যাবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরাল করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দীপ্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবনই আর কতদিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমনপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আর তাই অবিলম্বে এই ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আইনপ্রণেতাদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আরও সময় ব্যয় করলে খরচ বহু গুণ বেড়ে যাবে। যা করদাতাদের টাকা থেকেই নিতে হবে। এছাড়া আরও অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে।
এখনও পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ধর তক্তা মার পেরেক গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।
ওয়েস্টমিনস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বার বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে।
২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সকলে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।
যারা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তারা বার বার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এতদিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।
২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।
মন্তব্য করুন