অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না বলে জানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার চ্যানেলে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৭ মে) সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সুন্দরবনের জল সীমানায় বিজিবির যশোর রিজিয়নের আওতাধীন রিভারাইন বর্ডার গার্ড (আরবিজি) কোম্পানির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জলসীমান্ত রক্ষায় কাজ করবে বিজিবির ভাসমান বিওপি।
ভারত সুন্দরবনের জলসীমাসহ বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারত মান্দারবারি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করেছিল, সেখানে আমি পরিদর্শন করেছি। ভারতকে আমরা জানিয়েছি- আমাদের কোনো বাংলাদেশি যদি তাদের (ভারতে) ওখানে থেকে থাকে তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠান। যেমন ভারতের যারা বাংলাদেশে আছে তাদের আমরাও প্রোপার চ্যানেলে পাঠাই। আমরা কাউকে পুশইন করি না।
তিনি জানায়, গতকাল আপনারা দেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে আনসার এবং স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধে ভারত পুশইন করতে পারেনি। আপনারা সবাই যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ভারত পুশইন করতে পারবে না। বিজিবির সঙ্গে জনগণ এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা দরকার।
পুশইন ঠেকাতে প্রতিবাদমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিপ্লোমেটিক সল্যুশনের (কূটনৈতিক সমাধান) জন্য এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এ বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এটা (পুশইন) ওরকম উসকানি মনে হচ্ছে না। যেহেতু এর আগেও উনারা (ভারত) পুশইন করেছিল অনেক আগে; যে সময় পুশইন করেছিল সে সময় আমি বিজিবির ডিজি ছিলাম।
হঠাৎ এই সময় আবার কেন ভারত পুশইন করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছেন গুজরাটে বাঙালি কলোনির মতো ছিল (বাঙালি বস্তি)। গুজরাটে সেটা ভেঙে দেওয়ার পরেই এটা (পুশইন) শুরু হয়েছে।
ইউএনএসিআরের কার্ড হোল্ডারদেও পুশইন করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটা আমরা অলরেডি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। এর ভেতর কিছু রোহিঙ্গা চলে আসে। যেসব রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ছিল তাদেরও পাঠিয়েছে, আবার ভারতীয় রোহিঙ্গাদেরও পাঠিয়ে দিচ্ছে। এজন্য আমরা এটার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় আছে কি না, যাদের পুশব্যাক করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় একেবারেই নাই আমি বলবো না। আপনাদের অনুরোধ করবো যদি থাকে জানান, আমরাও যেন প্রোপার ওয়েতে (নিয়ম মাফিক) পাঠাতে পারি।
ভারত যেহেতু পুশইন করছে বাংলাদেশও ভবিষ্যতে পুশব্যাক করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার দেশের নাগরিক হলে পুশব্যাক করার কোনো অধিকার নেই। অবৈধভাবে ভারতীয় যারা বাংলাদেশে আছে তাদেরকে ভারতের মতো পুশব্যাক করবো না, তাদের প্রোপার চ্যানেলে পাঠাবো। অবৈধভাবে পাঠানো আইনসিদ্ধ নয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, আরবিজি কোম্পানির অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশে নিষিদ্ধ থাকলেও বিদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন মালয়েশিয়া সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়া সফর করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে কলকাতায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের কার্যক্রম নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তারা দেশের বাইরে কী করছে, আমরা তা মনিটর করছি।
তিনি বলেন, বাইরে থেকে যদি তারা (আওয়ামী লীগ) এমন কোনো কার্যকলাপ করে যা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, সেক্ষেত্রেও আমরা নজর রাখছি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে জানানো হবে।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুরুতে বাসাবাড়িতে সীমিত আকারে দলীয় কার্যক্রম চালাতেন। তবে সম্প্রতি কলকাতা লাগোয়া একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে তারা নতুন ‘পার্টি অফিস’ খুলেছেন, যেখানে যাতায়াত করছেন দলের সাবেক শীর্ষ ও মধ্যম স্তরের কয়েকজন নেতা।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাবাহিনীকেও আমরা অনুরোধ করেছি। বিজিবি, আনসার, তাদেরও আমরা অনুরোধ করেছি। ইলেকশনে আনসারের ভূমিকা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। আগে ১২ জন আনসার থাকতেন নির্বাচনের দায়িত্বে। এখন আরেকজন বাড়িয়ে দেব প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তার দায়িত্বে। পুলিশ সব জায়গায় ২ জন করে, আবার কোনো জায়গায় ৩ জন করে থাকবে। সেনাবাহিনী তো মোবাইলে থাকবে। বিজিবি, র্যাব, এবিপিএন সবাই থাকবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত আছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যে ব্যবস্থা নেওয়ার, সেটা নেওয়া হচ্ছে। আমরা কিন্তু নতুন পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছি। এর আগে ৪ হাজারের বেশি ট্রেনিং করে বের হয়ে গেছে। এখন একটা ব্যাচ এখনো ট্রেনিং করতেছে এবং আরেকটা ব্যাচ খুব তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণে যাবে। তা ছাড়া অন্যান্য বাহিনীতেও ইলেকশনের আগে আমরা প্রশিক্ষণ দেব।’
নির্বাচনের জন্য ‘বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে এর উদ্বোধন হবে। শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য সব বাহিনীরই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগে।’
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারাও আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রেও আপনারা সহযোগিতা করুন।’
যাদের তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হবে তাদের তথ্য গোপন রাখা হবে এবং পুরস্কৃত করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির কিংস পার্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুধু নতুন দল গঠন করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের জাতিগতভাবে পরিবর্তন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমালোচনা থাকাটা স্বাভাবিক, না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অন্তর্বর্তী সরকারের সরাসরি রাজনীতি করার আকাঙ্ক্ষা আমরা দেখি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার।’
যে শক্তি দেশের জন্য ইতিবাচকভাবে কাজ করবে, তাদের সবাইকে শুভকামনা জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মন্তব্য করুন
দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরীর যানজট নিরসনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
রোববার (১ জুন) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জার্মানি প্রতিষ্ঠান ওরাসকম ও মিশরের প্রতিষ্ঠান আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপের এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নগরীতে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী ওরাসকম ও আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপ মনোরেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
মনোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও বাস্তবায়ন কাঠামো তুলে ধরেন আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে যানজট ও পরিবহণ সংকট ক্রমবর্ধমান। মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। আমরা এই প্রকল্পে পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
তিনি জানায়, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য তিনটি রুট হচ্ছে : লাইন-১ (২৬.৫ কি.মি.) কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে), লাইন-২ (১৩.৫ কি.মি.): সিটি গেট থেকে শহীদ বাশিরুজ্জামান স্কয়ার (এ.কে. খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) পর্যন্ত লাইন-৩ (১৪.৫ কি.মি.): অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) পর্যন্ত।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মনোরেল প্রকল্প চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার এবং এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। পুরো অর্থায়ন আনবে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান-ওরাসকম কনস্ট্রাকশন ও আরব কন্ট্রাক্টরস।
তিনি বলেন, ‘এই বিনিয়োগের জন্য চসিকের কোনো আর্থিক দায় থাকবে না। কেবল আমরা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ভূমি বরাদ্দ দেব। এই মনোরেল শুধু যানজট নিরসনে নয়, বরং চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করার দিকেও এগিয়ে নেবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগের একটি আধুনিক সেতুবন্ধন তৈরি করবে। মনোরেল থেকে রাজস্ব আসবে শুধু টিকিট নয়, বরং বিজ্ঞাপন, স্টেশনে দোকানপাট, আশপাশের সম্পত্তিমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেও। একটি ভাল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে ৫-৭ গুণ পর্যন্ত অর্থনৈতিক রিটার্ন পাওয়া যায়।’
অনুষ্ঠানে গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও টেকসই নগরীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে মনোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নগরবাসীকে নিয়ে একটি ইকোনমিক ফোরাম গঠন করে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নে কাজ করবো।’
চসিক কর্মকর্তারা জানান, মনোরেল একটি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যা একক রেলপথ দিয়ে চলে। এটি সাধারণত উঁচু পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়। মনোরেল প্রযুক্তি মেট্রোরেলের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ সাশ্রয়ী। এটি কম জায়গায় স্থাপন করা সম্ভব, ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর বা স্থাপনার মধ্য দিয়েও সহজে চলাচল করতে পারে। মনোরেলের যাত্রী ধারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও এটি দ্রুত নির্মাণযোগ্য এবং শহরের যানজট কমাতে কার্যকর। বর্তমানে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের কিছু শহরে মনোরেল সফলভাবে চালু রয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এর আগে ২০২১ সাল থেকে বিদেশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মনোরেল নির্মাণে চসিককে প্রস্তাব দিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা কয়েকবার তৎকালীন সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
মন্তব্য করুন
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)কে শিশুটির ছবি সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাগুরার ওই শিশুর সব ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা মামলা করেছেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুলিশের হেফাজতে আছেন। মামলার এজাহারে শিশুটির মা অভিযোগ করেন, তার মেয়ের স্বামীর সহায়তায় শ্বশুর শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন এবং তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালান।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। তবে শিগগিরই একটি রোডম্যাপ আসবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের এতো বেশি রাজনৈতিক দলের বিদেশি শাখা নেই, যতটা বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলের রয়েছে। এসব শাখা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমেজ নষ্ট করছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রবাসে মিছিল, স্লোগান এবং ডিম নিক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ড দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, “বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব প্রকাশ করার ঘটনা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসব সমস্যা দূর করতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, গত চার মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে। তারা এমনভাবে খবর প্রচার করছে, যাতে মনে হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চলছে। এই ধরনের অপপ্রচার রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, “বিদেশে অনেক প্রবাসী অভিযোগ করেন যে দূতাবাসগুলো থেকে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না। কিছু অভিযোগ সত্য হলেও সবগুলো সঠিক নয়। তবে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি করলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। তবে বাজারে এর প্রভাব পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়েছে কি না, তা ভিন্ন বিষয়। সরকারের খাদ্য মজুদের পরিস্থিতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) খাদ্যপরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বাফার স্টক গড়ে তোলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ না থাকলে বেসরকারি খাত এই সুযোগ নিয়ে বাজারে নানা ধরনের কারসাজি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি মহার্ঘ ভাতা বা আইএমএফের কোনো পরামর্শের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে তুলনামূলকভাবে খুব কম ভ্যাট দিতে হয়। এত কম কর দিয়ে ভালো মানের সেবা প্রত্যাশা করা সঠিক নয়।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১২৫ টাকায় চশমা পাওয়া কি সম্ভব? ৬০০-৭০০ টাকার খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু ভ্যাট দিতে চাইছেন না। আবার গ্লোরিয়া জিন্সে গিয়ে কফি খাচ্ছেন, সেখানে ১৫ টাকার ভ্যাট দিতে সমস্যা হয়। এমন প্রবণতা থাকলে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন।”
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজির বিল বকেয়া ছিল। তা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়াও গমের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বিগত সরকারের সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা এ থেকেই অনুমান করা যায়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয়েছে। এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও সরকার বিবেচনায় রাখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রচলিত আইনের আওতায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও সরকার অবগত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’-এ তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায় এবং জাপান সেই বন্ধু। আমাদের কাজ হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং আপনি আমাদের সঙ্গী ও বন্ধু। এটি বাস্তবে রূপ দিন।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে। অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতিমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি পিছিয়ে থাকা একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়। এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ব্যাপার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতো যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে। মাতারবাড়ি হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখব।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, বাংলাদেশ হলো একটি কৌশলগত বিন্দু যা এশিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে জাপান দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার।
জাপান সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তাকেউচি ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল শিল্পভিত্তিক উল্লেখ করে তিনি আরো বিস্তৃত খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি নাসির উদ্দীন সাথী। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ
মন্তব্য করুন