ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জব্বারের দিন কাটছে মৃত্যু যন্ত্রণায়

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জব্বারের দিন কাটছে মৃত্যু যন্ত্রণায়
গুলিবিদ্ধ জব্বার


ডেস্ক রিপোর্টঃ

নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল জব্বার। কোটা সংস্কার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। সরকার পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনরত অবস্থায় বুকে, মাথায় ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। পাশে থাকা বন্ধুরা প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তার মাথা ও বুক থেকে গুলি বের করা হলেও কোমরেরটা বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। দুদিন হাসপাতালে রাখার পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।

জব্বারের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুর কালীবাড়ি গ্রামে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা প্রবাসে থাকেন। একমাত্র বোনকে নিয়ে আশুলিয়ায় থাকতেন জব্বার। বোন সেখানে কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাবা আবুল কালাম আজাদ ব্যবসায়ী ছিলেন, এখন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।

চিকিৎসার সবশেষ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, যত দ্রুত সম্ভব গুলি বের করা না হলে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হতে পারেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের কারণে দুই মাস পার হলেও কোমরের গুলি বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে আমার দিন কাটছে।

গত ৪ আগস্ট ঘটে যাওয়া নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সেদিন সকালে আশুলিয়া থেকে শাহবাগে যেতে চেয়েছিলাম। পরে কিছুক্ষণ ওখানে থেকে বাসায় চলে আসি। আবার কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে ইপিজেডের সামনে যাই। সেখানে প্রচুর ছাত্র-জনতা জড়ো হচ্ছিলো। আমি তাদের সঙ্গে মিছিলে যাই। আশুলিয়া থানার সামনে যাওয়ার পরে দেখি পুলিশের গুলিতে অনেকে আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ সদস্যরা মসজিদের দিকে চলে যায়। তখন তারা আমাদের ওপরে কিছু করবে না বলে জানায়। আমরা এ সময় মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। তখন পুলিশ আমাদের একদম কাছাকাছি। এ সময় তারা আমাদের থানার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং গুলি ছুড়তে থাকে। বেশিরভাগ গুলি ছুড়েছে ছাদ এবং টাওয়ারের ওপর থেকে। আমরা কখনো বুঝতে পারিনি এভাবে গুলি করবে। জীবন বাঁচাতে সবাই এদিকে-সেদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় আমার শরীরে গুলি লাগে।

জব্বার বলেন, আহত হওয়ার পর আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। ব্যথা কমলে পরের দিন সকালে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে দুইদিন রেখে১৪ দিন পরে আবার হাসপাতালে যেতে বলা হয়। পরে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক জানান, অপারেশন করার দরকার নেই, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। অপারেশন করলে অনেক ঝুঁকি হয়ে যাবে।

এরপর নিজ উদ্যোগে পিজিতে ভর্তি হই। সেখানে প্রায় ১০-১১ দিনের মতো ভর্তি ছিলাম। চিকিৎসকরা একটি বোর্ড গঠন করেছিলেন। তারা জানান, অপারেশন করলে প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নাহলে বুলেট যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে। আমার এখন চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। হাঁটা-চলা বেশি করলে পায়ে অনেক ব্যথা হয়। যদি বিদেশে যাওয়া লাগে তাহলে তো অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর অপারেশনটি করলে যদি আরও খারাপ কিছু হয় সেজন্য চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। আমার যদি কিছু হলে মা-বোনকে দেখবে কে।

তিনি আরও বলেন, থার্ড সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে দিতে পারছি না। পড়াশোনায়ও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এক সময় চিন্তা করতাম বিদেশ যাবো। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর মনে হচ্ছে দেশে থেকেই ভালো কিছু করবো। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হচ্ছে। মনের মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা চলে এসেছে যে, গুলিটা শরীরে থাকলে ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যা হবে কিনা। আগে একটা স্বাভাবিক শরীর নিয়ে চলাফেরা করেছি, এখন ভিন্ন। সবসময় মনে হয় আমার হিপ জয়েন্টের মধ্যে কিছু একটা আছে। 

জব্বারের বোন স্বর্ণা বলেন, ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবা নেই, ভেবেছিলাম ভাইয়া লেখাপড়া করে সংসারে হাল ধরবে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে তো ভাইয়া আর ভালো হতে পারবে না। ভাইয়া যেন চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

রাষ্ট্রপতি অপসারণে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের অপেক্ষায় সরকার

রাষ্ট্রপতি অপসারণে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের অপেক্ষায় সরকার
সৈয়দা রিজওয়ানার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই আবার অনেক বেশি দেরিও করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক ঐক্যমত্য তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, সেখান পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে গোপনীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা প্রকাশ্যে নেওয়া হবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য যত তাড়াতাড়ি হবে, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত আসবে।"

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, "বিএনপি বলছে যে তারা রাজনৈতিক সংকট দেখছে, আবার বিএনপির কিছু নেতারা বলছেন, তারা সেই সংকট দেখছেন না। যারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাচ্ছেন এবং যারা মনে করছেন এটা হলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে—তাদের মধ্যেই ঐক্যের চেষ্টা চলছে।"

তিনি বলেন, "এখন কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না বা রাজনৈতিক ঐক্যের ফলে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা বলা সম্ভব নয়। কারণ রাজনৈতিক ঐক্য কোন দিকে যাবে এবং মতামত কোন দিকে বেশি যাবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।"

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি, তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে বলা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।


আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।


এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


অন্য পাঁচজন হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।


গত ২০ নভেম্বর, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে, তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।


এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

‘সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে’

‘সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে’
ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যারা ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন, তাদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি কতদিন চলবে?


শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ছিল সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিএসএফ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।


তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে জোরালো প্রতিবাদ জানানোর পর আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ১৫-২০ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।


বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সংঘাতের সময় বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে ওই যুবকের পেটে গুলি লাগে। দুর্বল স্থানে রাবার বুলেটও প্রাণঘাতী হতে পারে। আহত যুবককে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।


তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আমরা এটা মেনে নেই, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া কতদিন চলবে?


তিনি আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণেই হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি আরও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করতে চাই।


তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা। বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও কিছু ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। আমরা দুইভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব: বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে। তৃতীয়ত, কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।


মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিএসএফ সদস্যের রক্তাক্ত অবস্থার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে যে, ঘটনাটি সত্যিই ওই স্থানে ঘটেছে কি না।


মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যদি কোনো ঝুঁকি থাকে, আমরা বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে যেতে হবে: উপদেষ্টা

আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে যেতে হবে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হতে পারে। তিনি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে সমাধান হবে না।" স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, ধৈর্যের সঙ্গে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে।


সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ না করে মাঠ বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ জানানো শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের দুর্ভোগের জন্য অবরোধ করা ঠিক নয়। দাবিদাওয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন।


এ সময় তিনি বলেন, "সরকার চায় প্রতিটি বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা দেশের জন্য কাজ করে, তারা পজিটিভ কাজই করে, কিছু ভুল হতে পারে, তবে সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: রিজওয়ানা

উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: রিজওয়ানা
রিজওয়ানার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন ও উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।

তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় কাজের জোনিং করতে হবে। কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট রুলস এবং স্পেসিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করতে হবে। কোস্টাল জোন পলিসি আপডেট করাও প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটন ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন রিজওয়ানা হাসান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষায় ল্যান্ড জোনিং ও কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে। সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ এবং বনায়ন কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, এই প্রকল্পের প্রস্তাবনাগুলো রিভাইজড আকারে আনতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।

সেমিনারে প্রকল্প পরিচালক শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, অধ্যাপক ড. ইসরাত ঈসলাম এবং অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.), অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মতিন, প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্টমার্টিন দ্বীপকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে প্রস্তাবিত ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালাইন্স এর সদস্যগণের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সেখানে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল)  বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।


সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।


একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”


আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ: কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ: কমিশন
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।


এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

গত নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি

গত নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি
সাখাওয়াত হোসেন ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বলেছেন, "যদি সবাই চায় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি হবে অথবা নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে বর্তমান সরকার এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

বুধবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তবে সে সময় কোনো বাধা আসবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আর কোনো মামলা আদালতে যাবে না।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বিগত তিন নির্বাচনে জনগণ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেনি। এসব সমস্যা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আদালত থেকে যে রায় এসেছে, তা প্রয়োজন ছিল।"

উপদেষ্টা বলেন, "আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে যদি কেউ নির্বাচন করতে চান, তাহলে তাদের ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেসব উপদেষ্টা আছেন, তারা কোনো দলের সদস্য নন। সবাই যদি মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন করবে, তাহলে সেটি দেখা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ম্যান্ডেট রয়েছে নির্বাচনের আগে সংস্কার করার। তবে সময় হলে সব কিছু পরিষ্কার হবে।"

এর আগে, এদিন সকালে তামাবিল স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন উপদেষ্টা। এসময় ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের নানা সমস্যার কথা শুনেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল ভিসা করার আহ্বান

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল ভিসা করার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।


গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।


হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।


প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।


তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।


ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।


মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।


ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।


তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।


এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি:  প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’

তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’

দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’

তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’

১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’

আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

কর্মীদের বিদেশে পাঠানো ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির চালের দাম সহনীয় হবে: উপদেষ্টা

‘মার্চ ফর গাজা’ স্রোতের মতো আসছে মিছিল, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়ে যাওয়া নিয়ে যা জানাল চারুকলা

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

ভারতে পালিয়ে থাকা আ’লীগ নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ : প্রেস সচিব

দেশের ৭ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও

১০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

১১

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

১২

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে’

১৩

চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

‘১৫ লাখ অনলাইন আয়কর রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য’

১৬

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

১৭

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

১৮

দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি ১৮ বাংলাদেশি

১৯

ঈদযাত্রায় নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর শাস্তি: উপদেষ্টা

২০