স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলেই যেন তাসকিন আহমেদকে লক্ষ্য করে ওত পেতে থাকে ইনজুরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। মাংসপেশীর ইনজুরিতে পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত তাসকিনের খেলা। তবে এখনো আশা হারায়নি বিসিবি। তাসকিনকে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি সংস্থাটি।
তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার, সেটি নিতে পারছেন না তাসকিন। আসর শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরির কারণে এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। তার বিকল্প হিসেবে ডাক পেতে পারেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। বিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন তাসকিন। সেখানে চিকিৎসা করা হবে তার। এরপর সময় মতো যদি চোট থেকে সেরে উঠতে পারেন তাসকিন, তাহলে বিশ্বকাপে খেলবেন। যদি চোট কেটে উঠতে না পারেন, তাহলে দেশে ফিরে আসতে হবে ডানহাতি সেনসেশনাল এই পেসারকে।
আগামী ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচগুলো হবে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। বিশ্বকাপের আগে এটিই হবে বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি।
এদিকে আজ সোমবার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার জোর সম্ভাবনা থাকলেও তাসকিনের চোটের রিপোর্ট দেখার অপেক্ষায় দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দল ঘোষণা করা বলে জানিয়েছে বিসিবি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেড কোচ এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করেছে। এর ফলে রেড ডেভিলদের সঙ্গে ডাচ কোচের আড়াই বছরের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটলো। বিবিসি এবং ESPN সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গতকাল রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যামের কাছে পরাজিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো। আজ সোমবার ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর, কেউই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেননি। সর্বশেষ টেন হাগের অধীনে ক্লাবটি আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
টেন হাগের সময় সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আরেক ডাচ কিংবদন্তি রুড ফন নিস্টেলরয়। তাকেই এবার অন্তবর্তীকালীন হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
৮ জুলাই ২০১৪। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের হইহুল্লোড় আর উচ্ছ্বাস। স্টেডিয়ামের ভেতরে ব্রাজিল-জার্মানির মধ্যকার ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন। সেখানকার দর্শকদের আনন্দ অভিব্যক্তি দেখে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শুরু হওয়ার প্রহর গুনছে পুরো ফুটবলবিশ্ব।
টুর্নামেন্টে তখন পর্যন্ত দুই দলই অপরাজিত। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরির স্বীকার ব্রাজিলের প্রধান তারকা নেইমার জুনিয়র হাসপাতালে। আর টানা দুই ম্যাচে হলুদকার্ড দেখে নিষিদ্ধ দলের মূল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ব্রাজিলের দুই তারকা না থাকলেও আশা করা হচ্ছিল, দুর্দান্ত এক সেমিফাইনালই দেখবে বিশ্ব। কারণ, ২০০২ বিশ্বকাপে এই জার্মানিকেই ২-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
খেলা শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের ভেতরের চিত্র।
কিন্তু কে জানতো, কিছুক্ষণ পরই লেখা শুরু হবে ব্রাজিল ফুটবলের কালো অধ্যায়। যে কালোতে ঢাকা পড়বে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসের আগের সব ক্ষত। ব্রাজিলিয়ানদের হতে হবে সেমির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খলনায়ক। ঘরের মাঠে টানা ৬২ ম্যাচে অপরাজিত সেলেসাওদের হজম করতে হবে ৭-১ গোলের ন্যাক্কারজনক হার।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবল ইতিহাসের বিভীষিকাময় ঘটনাই ঘটেছিল সেদিন। ১১ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ডানপায়ের শটে ব্রাজিলের জালে প্রথম কম্পন সৃষ্টি করেন টমাস মুলার। সেই তো শুরু। এরপর ২৯ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইনের চিত্র ব্রাজিল ০-৫ জার্মানি।
গোল হজমের পর হতাশায় মুখ লুকাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।
মারাকানায় সেদিন ৬ মিনিটে ৪ গোল হজম করে ব্রাজিল। ২৩ মিনিটে জার্মানির মিরাস্লাভা ক্লোসা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এতে অনেক ব্রাজিল সমর্থকের অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে পানির স্রোত। এরপর একের পর এক গোলে সেই পানির স্রোত বইতে শুরু করে পুরো মারাকানায়।
টনি ক্রুসের প্রথম গোল উদযাপন করছে জার্মানি।
২৪ মিনিটে গোল করেন টনি ক্রস। তার ২ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠের খেলোয়াড় সামি খাদিরার গোলে ব্যবধান ৫-০ করে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন জার্মান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে হর্স্ট স্কুরেল। এতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ব্রাজিল ০-৭ জার্মানি। ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অস্কার (৭-১)।
মন্তব্য করুন
রমজান মাস মুসলিমদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের বিশেষ সময়। এই মাসে মুসলিমরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সিয়াম পালন করেন। শুধু সাধারণ মানুষই নন, পেশাদার ক্রীড়াবিদরাও রোজা রেখে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। রোজা রেখে ফুটবলের মতো শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং খেলা খেলা সহজ কাজ নয়। তবুও বিশ্বের অনেক মুসলিম ফুটবলার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে রোজা রাখেন এবং মাঠে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামাল।
লামিন ইয়ামালের বাবা মরক্কোর এবং মা গিনির বংশোদ্ভূত। তবে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্পেনে। মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ ফুটবলার ইতিমধ্যেই বার্সেলোনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে তিনি অন্যান্য মুসলিমদের মতোই রোজা রাখছেন এবং রোজা অবস্থায়ই লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলছেন।
সম্প্রতি কিছু গুঞ্জন উঠেছিল যে, ক্লাবের পক্ষ থেকে লামিন ইয়ামালের রোজা রাখার বিষয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে তাকে দ্রুত বদলি করে নেওয়ার পেছনেও রোজা রাখাকে কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডিয়ারিও এএস জানিয়েছে, ট্যাকটিকাল কারণেই সেদিন ইয়ামালকে বদলি করেছিলেন বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোজা রাখার ক্ষেত্রে ইয়ামালকে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। বরং ক্লাবের মেডিক্যাল টিম তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্লাবের পুষ্টিবিদরা ইয়ামালের সাহরি ও ইফতারের মেন্যু ঠিক করে দিচ্ছেন, যাতে তিনি রোজা রাখার পাশাপাশি খেলায় সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে পারেন।
চলতি মাসে ইয়ামাল বার্সেলোনার নিজস্ব আবাসন প্রকল্প লা মাসিয়া ত্যাগ করে তার দাদি ফাতিমা ও চাচা আব্দুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে ইফতার ও সাহরি করছেন তিনি। ক্লাবের পক্ষ থেকে ম্যাচের দিন তার ইফতারের সময়সূচির দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এই উদ্যোগগুলো দেখায় যে, ক্লাব লামিন ইয়ামালের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রোজা রাখার সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে এবং তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। রোজা রেখেও মাঠে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার মাধ্যমে ইয়ামাল তার ধর্মীয় ও পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছেন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সমান ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা অগ্নিঝরা বোলিংয়ে মোট ৬ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ২২.১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। ৬৫ বলে ২৮ রান করেন মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। ৪১ বলে ১৮ রান করেন অধিনায়ক সাদ বাইগ। ৩০ বলে ১০ রান নেন হারুন আরশাদ। বাকিরা ছিলেন এক অংকে আটকা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পায় যুব টাইগাররা। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহাব জেমস আউট হয়ে গেলে রিজান হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ জেতান আজিজুল হাকিম।
৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। তার সঙ্গে রিজান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি জোরদারে প্রতিটি দেশ খেলায় ব্যস্ত।
বাংলাদেশ দল নিজেদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি জোরদারে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে দুই ম্যাচ। দুটি ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পরও হাতাশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছেন- জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের সঙ্গে জিতে আত্মবিশ্বাস তেমন পাওয়া যাবে না। তার চেয়ে ভারত-পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তি দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো।
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সাকিব আল হাসান বলেছেন, জিম্বাবুয়ে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা উচিত নয়। বিশ্বকাপ পুরো আলাদা একটা মঞ্চ, অনেক চাপ থাকে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠলেই ভালো পারফরমেন্স হবে। তবে গতবারের থেকে এবারের পারফরমেন্স ভালো করার চেষ্টা তো থাকবেই দলের, সেক্ষেত্রে গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ যেহেতু আমাদের অজানা, তাই সেখানে তাদের বিরুদ্ধে খেলার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু একদম দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে খেলে কখনো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। গতবার নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৫ সালে লিভারপুলের কোচ হয়ে আসেন জার্মানির জার্গেন ক্লপ। ২০১৭ সালে তিনি ইতালিয়ান ক্লাব রোমা থেকে লিভারপুলে উড়িয়ে আনেন মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। ৭ বছর যুগলবন্দী হয়ে ক্লাবকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন এই দুজন। এই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ছেন ক্লপ। তাই একসঙ্গে দুজনের পথচলাও শেষ হচ্ছে।
নিজেদের অধ্যায়ের শেষ দিকে এসে ক্লপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন সালাহ। গত মাসে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে ডাগআউটে ক্লপের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে সালাহকে। সেই ঘটনা নিয়ে সালাহ বলেছিলেন, তিনি কথা বললে আগুন লেগে যাবে। তবে সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লপের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের গল্পই শোনালেন সালাহ।
সালাহ বলেছেন, ‘আমরা যখন প্রথমবার কথা বলেছিলাম, প্রথম তার যে কথাটি আমার মনে আটকে গিয়েছিল সেটি হলো, তিনি আমাকে এখানে (লিভারপুল) নিয়ে আসতে চান। তিনি আসলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, নতুনভাবে একটি দল গঠন করছেন তিনি এবং সেখানে সাদিও (মানে) ও ববি (ফিরমিনো) আছে, আমাকেও সেখানে খেলাতে চান। তিনি (ক্লপ) আমাকে বলেছিলেন, ‘‘ফুটবলে আমি তোমার ধার আরও বাড়াবো এবং তুমি যেভাবে চাও তার স্বাধীনতা দেব।’’ আমার অবস্থা এমন ছিল যে, আচ্ছা আমি আসছি। আমি এসেছি এবং তার পরেরটা তো আপনারাই দেখেছেন।’
লিভারপুলে প্রিয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে মিশরীয় এই তারকা আরও বলেছেন, ‘আমরা এখানে একসঙ্গে সাত বা আট বছর ধরে আছি, তাই অনেক প্রিয় মুহূর্তই জড়ো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যেই ম্যাচে চেলসি ম্যানচেস্টার সিটিকে হারালো আর আমাদের প্রিমিয়ার লিগ নিশ্চিত হলো এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমার মাথায় আটকে আছে। কারণ সেখানে অনেক আবেগ জড়িত ছিল।’
দুজন দুজনকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন উল্লেখ করে সালাহ বলেন, ‘একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে তিনি নিশ্চিতভাবে আমার উন্নতি করেছেন এবং তার ভালো ম্যানেজার হয়ে ওঠার পেছনে আমারও অবদান আছে। আমরা একে অপরকে অনেক সাহায্য করেছি। শিরোপা জয়ের জন্য ক্লাবকে সবকিছু দিয়েছি, সবাই সেটা দেখেছে।’
সালাহ আরও বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি যদি সমস্যায় পড়ি আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পারি এবং যেকোনো কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি। আমার মনে হয়, আমরা অবশ্যই আজীবন আমাদের যোগাযোগ রাখব। কারণ এটা শুধু কাজের ক্ষেত্রের সম্পর্কই নয়, আমরা এটিকে বাইরেও নিয়ে যাই এবং আমাদের চিরকাল যোগাযোগ থাকবে।’
ক্লপের অধীনে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সালাহ। ক্লাবের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৪৮ ম্যাচে ২১১ গোল ও ৮৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ২০২০ সালে দীর্ঘদিন পর জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ। ম্যানচেস্টার সিটিকে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে বেশ কয়েকবারই টেক্কা দিয়েছে ক্লপ-সালাহর লিভারপুল।
উলভসের বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো লিভারপুলের ডাগআউটে দাঁড়াবেন ক্লপ। সবকিছু ঠিক থাকলে সালাহও এই ম্যাচে খেলতে যাচ্ছেন। ক্লপের সম্মানে এই ম্যাচ শেষে একটি সংবর্ধনারও আয়োজন করা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবালের যুগের সমাপ্তি হয়েছে। জাতীয় দলকে বিদায় জানালেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে আরও এক-দুই মৌসুম দেখা যাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাট-প্যাড গুটিয়ে রাখার আগেই নিজেকে সংগঠক হিসেবে গড়ে তুলতে চান বাংলাদেশের এই সেরা ওপেনার।
সেই লক্ষ্যে ঢাকা লিগের একটি ক্লাব কিনে তিনি ইতিমধ্যে এগিয়েও গেছেন। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব কিনেছেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একটি সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল ক্রিকেট সংগঠক হওয়ার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি নয়, ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চান। ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা তার সেই পরিকল্পনারই প্রথম ধাপ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব আগে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ছিল।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে বেক্সিমকোর পক্ষে স্পোর্টস ক্লাব পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে ক্লাবটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নতুন যুক্ত হওয়া গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তামিম জানান, ক্লাবের সভাপতি করা হয়েছে মিজানুর রহমানকে। তিনি নিজে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু প্রকাশ করা হবে বলে জানান তামিম। সভাপতি মিজানুর রহমানও ক্লাব কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রিকেট সংগঠকদের অনেকেই ক্লাব কেনার চেষ্টা করছেন। বিসিবির সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের মালিকানাধীন ২৩টি ক্লাবের মালিকানা পেতে চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে তামিম ও মিজানুর রহমান সে পথে না গিয়ে সরাসরি বেক্সিমকো স্পোর্টসের কাছ থেকে টাকা বিনিয়োগ করে ক্লাবটি কিনেছেন।
তামিমের আগেও ক্রিকেটাররা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সাকিব আল হাসান মোহামেডান ক্লাবের সদস্য। বিসিবির নির্বাচন সামনে রেখে আরও অনেক ক্রিকেটারই ক্লাবে বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ এই বছর অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন হতে যাচ্ছে। পরিচালক পদে নির্বাচন না করলেও কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইতোমধ্যেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামীকাল ভোর ৬টায় পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি। এ ম্যাচে চোটের কারণে বিশ্রামে থাকবেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবং এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি।
চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে ডান পায়ের ঊরুতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল মেসি হয়তোবা পরের ম্যাচে মাঠে নামছেন না পেরুর বিপক্ষে। সেই ধারণাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।
মেসিকে বিশ্রাম করানোর ব্যাপারে আর্জেন্টিনা দলের সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল বলেছেন, ‘সর্বশেষ ম্যাচে লিওর একটু সমস্যা হয়েছে। সে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবে না। (চোটের) কতটা উন্নতি করে, সেটা বুঝতে আমরা দিনের পর দিন তাকে পর্যবেক্ষণ করব।’ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে মেসিকে পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে আর্জেন্টিনা।
খবরের কাগজের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
এদিকে, চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির পর মাঠে ফিরতে দেরি করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। পেরুর বিপক্ষে তাই ডাগআউটে দেখা যাবে না আর্জেন্টিনা কোচকে। ফলে ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় পাবলো আইমার অথবা রবার্তো আয়ালাকে দেখা যেতে পারে।
স্কালোনির মতো চিলি কোচ রিকার্দো গারেকাও বিরতির পর মাঠে দেরিতে ফেরায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় কানাডা, ১ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় চিলি এবং পেরুও ১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।
মন্তব্য করুন
সফট সিগন্যালের বিপক্ষে মন্তব্য করেছিলেন বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, মার্নাস ল্যাবুশেনের মতো ক্রিকেটারও। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে জরিমানাও গুনতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। অবশেষে এই নিয়ম বাতিল করতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল দিয়েই এই নিয়মের ইতি টানতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরই মধ্যে এই বিষয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমনটাই নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি সফট সিগন্যালের নিয়ম বাতিল করে আইন সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
সাধারণত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলে মাঠের আম্পায়াররা থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা চান। সে সময় নিজেদের একটি মত জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। তৃতীয় আম্পায়ার অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ভুগলে মাঠের আম্পায়ারের মতকেই গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এই নিয়ম বাতিলের ফলে থার্ড আম্পায়ারের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এখন থেকে মাঠের আম্পায়ারদের মতামত ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন থার্ড আম্পায়ার। ফলে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।
সফট সিগন্যালের নিয়মের সঙ্গে আরও দুটি নিয়মের পরিবর্তন আনতে চলেছে আইসিসি। এর মধ্যে একটি হলো দিনের আলো কমে গেলে ফ্ল্যাড লাইটের আলোয় ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার নিয়ম চালু হচ্ছে। সেই সঙ্গে টেস্ট ম্যাচেও রিজার্ভ ডের প্রচলন হতে যাচ্ছে। যদিও সবগুলো বিষয়ই চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডিপিএল শেষেও বিশ্রামের সুযোগ থাকছে না ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে আছেন, তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে আবারও মাঠের ক্রিকেট। আগামীকাল থেকে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ খেলতে নামবে আফিফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
সিরিজের শুরুর আগের দিন আজ সিলেটে গণমাধ্যমকে আফিফ বলেন, 'প্রিমিয়ার লিগে আমি ফিনিশিং রোলে ছিলাম না। আমি টপ অর্ডারে খেলেছি, সেখান থেকে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি বলে খুশি। আর লাল বলটা উপভোগ করি, চেষ্টা করবো এখানে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে যতটা ভালো পারফর্ম করা দলের জন্য।'
আক্রমণাত্বক নয় পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার আশা আফিফের। তিনি বলেন, 'সবসময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে এমনটা না। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো। আর আমাদের প্রথম শ্রেণির যে খেলাগুলো হয় ওখানেও আমি খেলেছি। সবসময় যে আক্রমণাত্মক খেলেছি এমন না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। এখানেও সেটা করবো। আমি কখনোই চাপ অনুভব করি না। যেকোনো পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে উপভোগ করতে পছন্দ করি।'
দলের অধিনায়কত্ব করা দারুণ ব্যাপার আফিফের কাছে। তিনি বলেন, 'অবশ্যই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা 'এ' দলের অধিনায়কত্ব করা। কিন্তু আপনি যেটা বললেন সামনের ব্যাপার নিয়ে আমি চিন্তা করি না। সবসময় চিন্তা করি বর্তমানে কি করা যায়। সে চেষ্টাই করবো যাতে প্রতিদিন ভালো করে একটা ভালো সিরিজ শেষ করতে পারি।'
মন্তব্য করুন