এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফ হাসান র্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন। বোলিংয়ে এগিয়েছেন মুস্তাফিজ, আর ব্যাটিংয়ে সাইফ।
সাময়িক ফর্মহীনতায় কিছুটা পিছিয়ে পড়ার পর মুস্তাফিজুর রহমান আবারও স্বরূপে ফিরেছেন। এশিয়া কাপের গত দুই ম্যাচে তিনি মাত্র ৮ রান গড়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন, যা তাকে র্যাঙ্কিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে এনেছে। বর্তমানে তিনি বোলারদের তালিকায় ৯ নম্বরে অবস্থান করছেন। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানি লেগস্পিনার আবরার আহমেদও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গত সপ্তাহে ১১ ধাপ এগিয়ে আসার পর এবার আরও ১২ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন চতুর্থ স্থানে।
তবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের তারকা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। বাংলাদেশের অন্যান্য বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান তিন ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে, তানজিম হাসান সাকিব দুই ধাপ এগিয়ে ৪০তম স্থানে এবং শরীফুল ইসলাম ছয় ধাপ পিছিয়ে ৬৪তম স্থানে আছেন। অন্যদিকে, তাসকিন আহমেদ এক ধাপ পিছিয়ে ৩১ নম্বরে আছেন।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ব্যাট হাতে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে তিনি ১৩৩ ধাপ এগিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৮১তম স্থানে অবস্থান করছেন। ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। ওমানের বিপক্ষে ৩৮ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানের ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সে তার অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। তার সতীর্থ তিলক ভার্মা ১৯ বলে ৩০ রান করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান ৩১ ধাপ এগিয়ে ২৪তম স্থানে উঠে এসেছেন।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া শীর্ষে থাকলেও পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ দারুণ পারফর্ম করে ১২ ধাপ এগিয়ে ৩৯তম স্থানে আছেন। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুই ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনলেন লিওনেল মেসি। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয় আর্জেন্টাইন মহাতারকার জন্য। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন এখন প্রতিনিয়তই হচ্ছেন। ম্যাচশেষে পিএসজি কোচ এক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, এসবে (দুয়ো) অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মেসি।
শনিবার (১৩ মে) রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে অ্যাজাক্সের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একবার করে বল জালে জড়িয়েছেন ফাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। তবে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা মেসি গোল-অ্যাসিস্ট কিছুই পাননি।
শত্রুভাবাপন্ন ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যেখানে দুয়ো শোনা এখন এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডের জন্য একরকম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সুর নরম করা প্যারিসিয়ানদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি। পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে যতবারই মেসির পায়ে বল গেছে, ততবারই তিনি ‘আল্ট্রাস’ সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন।
তবে ম্যাচশেষে গণমাধ্যমকে গালটিয়ের বলেন, মেসিকে দুয়ো দেওয়া হচ্ছিল। তবে দ্রুতই স্টেডিয়ামের বড় অংশের দর্শকরা লিওর সমর্থনে সরব হয়। এতে দুয়োধ্বনি চাপা পড়ে যায়।'
পিএসজি কোচ আরও যোগ করেন, 'আমার মনে হয়, সে এ ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত। সে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন পরিস্থিতিতে অনেক পড়েছে। তবে আমি আবার বলতে চাই, মেসিকে দেওয়া প্রতিটি দুয়োই সমর্থকদের অনুপ্রেরণাদায়ী চিৎকারে ঢেকে গেছে।'
এদিকে, সমর্থকদের তোপের মুখে পড়লেও সতীর্থদের সমর্থন পেয়েছেন মেসি। খেলা চলাকালে সুয়ারেজের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথনের স্ক্রিনশট পরে নিজেদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন ব্রাজিল তারকা। যেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একসঙ্গে আমাদের বন্ধু লিওনেল মেসিকে দেখছি।’
পরে নেইমারের সেই পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুয়ারেজও। স্প্যানিশ ভাষায় সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘আমি সব সময় গ্রেটদের সম্মান করি।’ তার এই মন্তব্যের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট—মেসি ফুটবল–বিশ্বে কতটা শ্রদ্ধার পাত্র, সেটাই পিএসজির সমর্থকদের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব খোলা। এরপরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে দর্শক উন্মাদনার কমতি নেই। মিরপুর শেরে বাংলায় প্রথম ম্যাচেই গ্যালারি ভরে গেছে দর্শকে। স্টেডিয়ামের গেটেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়।
দর্শকদের চাপ এত বেশি ছিল, খেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই হোম অব ক্রিকেটের মূল প্রবেশদ্বার ২ নম্বর গেটের বাইরে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের উন্মত্ত আচরণে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। টিকিট না পেয়ে ২ নম্বর গেট দিয়ে মূল গেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন দর্শকরা। এক পর্যায়ে গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা।
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনা বাদ দিলে দর্শকদের এই উন্মাদনা বিপিএলের মতো আসরে ইতিবাচক। বিশেষ করে এর আগে বিপিএলে সিলেট, চট্টগ্রামে এই উন্মাদনা থাকলেও ঢাকার মাঠে দর্শক কম দেখা গেছে। এবারের শুরুতে বেশ দর্শক দেখা গেলো।
প্রথম ম্যাচ চলছে ফরচুন বরিশাল আর দুরন্ত রাজশাহীর। দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালস আর রংপুর রাইডার্সের। হাইভোল্টেজ সে ম্যাচে দর্শক উন্মাদনা আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে।
দেড়মাসব্যাপী বিপিএলের একাদশ আসর ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়ের অন্যতম অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গড়েছেন বহু রেকর্ড এবং অর্জন করেছেন অগণিত সাফল্য।
তবে এত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
ডিসেম্বরের শুরুতে সাকিব বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের সামনে তিনি মোট চার ওভার বল করেন। এই পরীক্ষায় তার ২৪টি ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে সাকিবের ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাকিব প্রায় ১৩ বছর পর আবারও কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে যান। সারের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেন তিনি। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন। তবে এই ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা।
এরপর কাউন্টি লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাকিবকে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ কারণেই এ মাসের শুরুতে সাকিব এই পরীক্ষা দেন।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭১২টি উইকেট শিকার করেছেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি মৌসুমের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ ফুটবলার ফিল ফোডেন। তার পুরস্কারও এবার পেলেন ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ইংল্যান্ডের ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন সিটিরই জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড খাদিজা শ।
আজ শুক্রবার এই দুজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এটি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী-পুরুষ দুই বিভাগেই বর্ষসেরা পুরস্কার উঠল সিটির ঘরে। ২০১৯ সালে ছেলেদের বিভাগে পুরস্কার জিতেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। মেয়েদের বিভাগে জিতেছিলেন নিকিতা প্যারিস।
২০২৩-২৪ মৌসুমে সিটির হয়ে আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের নাম হয়ে উঠছেন ফোডেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে করেছেন ২৪ গোল। এছাড়া সতীর্থদের দিয়ে আরও ১০টি গোল করিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা হয়েছেন ফোডেন। পরের স্থানগুলোতে আছেন ফোডেনের ক্লাব সতীর্থ রদ্রি ও আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস। গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হল্যান্ড।
মেয়েদের বিভাগে খাদিজা পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। চলতি মৌসুমে উইমেনস সুপার লিগে এখনো পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ওপরেই আছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
মন্তব্য করুন
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন সবসময়ই ছন্দময়। আরেকটি ম্যাচে আরেকটি গোল করে তিনি গড়লেন নতুন এক রেকর্ড। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় লাভ করেছে পর্তুগাল। ম্যাচে দলের দ্বিতীয় গোলটি করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেলেন রোনালদো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য শট নেয়ার সময় হাঙ্গেরির লোইক নিগোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে কোনো ভুল না করে গোল করেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। এটি ছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার ৩৯তম গোল। একই সংখ্যক গোল রয়েছে গুয়েতেমালার সাবেক তারকা কার্লোস রুইজের। তবে সামনে আরও ম্যাচ থাকায় রোনালদো এই রেকর্ড এককভাবে নিজের করে নেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে ৪০ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে টানা ৫ ম্যাচে গোল করেছেন। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৩ ম্যাচে ১৪১টি।
ম্যাচে পর্তুগাল ২১ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়লেও ৩৬ মিনিটে বার্নান্দো সিলভার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর রোনালদোর গোলের মাধ্যমে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ৮৪ মিনিটে হাঙ্গেরির বার্নাবাস ভার্গা আবার গোল করে সমতা ফেরালেও দুই মিনিটের মধ্যে জোয়াও ক্যান্সেলো গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ের ‘এফ’ গ্রুপে দুটি ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল আর সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে তিনে রয়েছে হাঙ্গেরি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ধাপে ধাপে আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করছে আইসিসি। এর আগে শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করা হয়েছিল সেরা দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা যুবরাজ সিংকে।
এবার তিন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের তালিকায় যুক্ত হলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে ব্যাট-বল হাতে দারুণ কিছু প্রদর্শনী দেখানোয় তাকে এই সম্মান জানিয়েছে আইসিসি।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছিলেন আফ্রিদি। সে আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে গিয়েছিল তার দল পাকিস্তান।
তবে পরের আসরে (২০০৯ সালে) ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ওই আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন আফ্রিদি।
শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিকত হওয়ার বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি ইভেন্ট যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী সংস্করণে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি জয় পর্যন্ত এই মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমার ক্যারিয়ারের কিছু পছন্দের বিষয় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমি এই সংস্করণের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত। যেখানে আগের চেয়ে আরও বেশি দল, আরও ম্যাচ এবং আরও বেশি আনন্দ দেখতে পাবো। আমি ৯ জুন ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী হওয়ার জন্য বিশেষভাবে মুখিয়ে আছি। এটি খেলাধুলার অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং নিউইয়র্ক হবে দুটি দুর্দান্ত দলের মধ্যকার লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়রথ চলছেই। সবার আগে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছিল দলটি, গ্রুপপর্ব শেষ করেছে শীর্ষে থেকেই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে আইপিএল ফাইনাল।
আইপিএলে দলকে উৎসাহ যোগাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিয়মিতই গ্যালারিতে দেখা যায় কলকাতার যৌথ মালিক শাহরুখ খানকে। গতকাল প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও কন্যা সুহানা খান, ছোট ছেলে আব্রাম খান ও ম্যানেজার পূজা দাদলানিসহ মাঠে উপস্থিত ছিলেন বলিউড বাদশাহ।
কলকাতার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর উৎসবে মেতে উঠতে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন শাহরুখ। পরে দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে করেন মাঠ প্রদক্ষিণ। সেই সময় সম্প্রচারকারী সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন বলিউডের এই তারকা। সেই অনুষ্ঠান করছিলেন আকাশ চোপড়া, পার্থিব পটেল এবং সুরেশ রায়নার মতো ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। ভুল বুঝতে সময় লাগেনি কলকাতা মালিকের। দ্রুতই সরে যান সেই জায়গা থেকে। পরে ওই তিনি সাবেক তারকার কাছে ক্ষমাও চান।
অবশ্য শাহরুখ ঢুকে পড়ার পর তার সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন রায়নাসহ অন্য তিন ক্রিকেটার। সেই মুহূর্তের দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ক্যাপশনে সেখানে লেখেন, ‘সবসময়ের মতো বিনয়ী শাহরুখ খানের সঙ্গে আজ দেখা হওয়া ছিল অসাধারণ ব্যাপার। বিশাল তারকা হওয়া সত্ত্বেও তিনি সবসময় নম্র আচরণ করেন ও প্রত্যেকটি আলোচনায় বিনয়ী থাকেন। ফাইনাল নিশ্চিত করায় কলকাতাকে অভিনন্দন।’
মন্তব্য করুন
রিয়াল মাদ্রিদ শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও শীর্ষে। লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল এবার গড়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক রেকর্ড। ডেলোয়েটের বার্ষিক ফুটবল মানি লিগের তথ্য অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ এক মৌসুমে ১.০৫ বিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) আয়ের রেকর্ড গড়েছে।
রিয়ালের এই আকাশছোঁয়া আয়ের পেছনে বড় অবদান তাদের সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাবেউ স্টেডিয়ামের। স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণের ফলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়ালের ম্যাচডে আয় দ্বিগুণ হয়ে ২৪৮ মিলিয়ন ইউরো হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে স্টেডিয়াম সংস্কারে ক্লাবটি ১ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি ঋণ নিয়েছে।
নতুন বার্নাবেউতে যোগ হয়েছে আধুনিক ধাতব ছাদ, উন্নত ভিআইপি এলাকা, দোকান, রিট্র্যাক্টেবল পিচ এবং আরও অনেক সুবিধা। পপ তারকা টেলর সুইফটের কনসার্ট এবং স্পেনে এনএফএলের প্রথম খেলা এখানেই আয়োজিত হয়েছে। তবে আওয়াজ দূষণের অভিযোগের কারণে কিছু সময়ের জন্য কনসার্ট আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ডেলোয়েটের মানি লিগে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম (১.০৫ বিলিয়ন ইউরো)। তাদের পরেই রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি (৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো) এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইঁ (৮০৬ মিলিয়ন ইউরো)। শীর্ষ দুই দলের আয়ের ব্যবধান ২০৮ মিলিয়ন ইউরো, যা মানি লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইংলিশ ক্লাবগুলো টিভি সম্প্রচার রাজস্বের ফলে মানি লিগের শীর্ষ ২০-এ আধিপত্য করেছে। এর মধ্যে ৯টি ক্লাবই ইংল্যান্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার পর আয়ের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে (৭৭১ মিলিয়ন ইউরো) উঠে এসেছে। অন্যদিকে, ক্যাম্প ন্যু সংস্কারের কারণে বার্সেলোনা ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে।
আর্সেনাল, লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি শীর্ষ দশে অবস্থান করছে। যদিও লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
ডেলোয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের প্রধান টিম ব্রিজ বলেছেন, “ফুটবল ক্লাবগুলো এখন তাদের স্টেডিয়ামকে শুধুমাত্র খেলার স্থান হিসেবে নয়, বরং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করছে। এটি নতুন দর্শক, স্পনসর এবং ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে।”
রিয়াল মাদ্রিদের নতুন পথচলা শুধু ফুটবল নয়, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটি অনন্য উদাহরণ।
মন্তব্য করুন
ততক্ষণে রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব। তবে আল্ট্রা এস্পানিওল বা উগ্রপন্থী সমর্থকদের তোপের মুখে শিরোপা উৎসবে ক্ষান্তি দিয়ে একপ্রকার পালিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লেভানদোভস্কিদের।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। আর তাতে তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন