বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়ের অন্যতম অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গড়েছেন বহু রেকর্ড এবং অর্জন করেছেন অগণিত সাফল্য।
তবে এত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
ডিসেম্বরের শুরুতে সাকিব বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের সামনে তিনি মোট চার ওভার বল করেন। এই পরীক্ষায় তার ২৪টি ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে সাকিবের ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাকিব প্রায় ১৩ বছর পর আবারও কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে যান। সারের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেন তিনি। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন। তবে এই ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা।
এরপর কাউন্টি লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাকিবকে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ কারণেই এ মাসের শুরুতে সাকিব এই পরীক্ষা দেন।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭১২টি উইকেট শিকার করেছেন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। শ্রীলঙ্কান কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
উল্লেখ্য, হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিলো বিসিবি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বিয়ের সাড়ে পাঁচ বছর পর সুখবর দিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার মুস্তাফিজ ও তার স্ত্রী সামিয়া পারভীন শিমুর ঘর আলোকিত করেছে পুত্র সন্তান।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে একটি পোস্ট দিয়ে সুখবরটি জানিয়ে মোস্তাফিজ জানান, বর্তমানে মা এবং নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। স্ত্রীর সন্তানসম্ভবা অবস্থায় পাশে থাকার জন্যই তিনি এই ছুটি নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিজ জেলা সাতক্ষীরার মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া পারভীন শিমুর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন মোস্তাফিজ। বিয়ের পর থেকে তারা সুখী দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন। তবে সাবেক এই আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দেশে ফিরে খেলায় অংশগ্রহণ করুন, এটা চান না একদল ক্রিকেটপ্রেমী। তারা মিরপুর স্টেডিয়াম ঘিরে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের পর ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবির পরামর্শে সাকিব এই সিরিজে অংশ নিতে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
তাই ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে কানপুরে খেলা টেস্টই সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের তার প্রতি ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনা করে সাকিব কানপুর টেস্ট দিয়েই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারতেন কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
স্থানীয় একটি ক্রীড়াবিষয়ক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব ইস্যুতে আশরাফুলের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘আগেই বলেছি সাকিব চাইলেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা কানপুরেই করতে পারতেন।’
সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক আশরাফুল মনে করেন, সাকিবকে ঘিরে যে পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে এটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু ছিল না। তাই ‘রাজনীতিবিদ’ সাকিবের দেশের মাটিতে খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘তাকে ঘিরে দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তো তিনি আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আমার কাছে তো মনে হয় সাকিব এখানেও হয়তো বা এই বিষয়ে একটা গেম খেলেছেন। যেহেতু সে এখন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের সাতমাসের এমপি ছিলেন তিনি।’
কানপুর টেস্ট দিয়েই সাকিব লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললে ভালো করতেন বলে মত আশরাফুলের, ‘কানপুরেই সাকিব টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলে আজ হয়তো আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ধাপে ধাপে আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করছে আইসিসি। এর আগে শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করা হয়েছিল সেরা দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা যুবরাজ সিংকে।
এবার তিন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের তালিকায় যুক্ত হলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে ব্যাট-বল হাতে দারুণ কিছু প্রদর্শনী দেখানোয় তাকে এই সম্মান জানিয়েছে আইসিসি।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে টুর্নামেন্টসেরা হয়েছিলেন আফ্রিদি। সে আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে গিয়েছিল তার দল পাকিস্তান।
তবে পরের আসরে (২০০৯ সালে) ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ওই আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন আফ্রিদি।
শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিকত হওয়ার বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি ইভেন্ট যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী সংস্করণে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি জয় পর্যন্ত এই মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমার ক্যারিয়ারের কিছু পছন্দের বিষয় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমি এই সংস্করণের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত। যেখানে আগের চেয়ে আরও বেশি দল, আরও ম্যাচ এবং আরও বেশি আনন্দ দেখতে পাবো। আমি ৯ জুন ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী হওয়ার জন্য বিশেষভাবে মুখিয়ে আছি। এটি খেলাধুলার অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং নিউইয়র্ক হবে দুটি দুর্দান্ত দলের মধ্যকার লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ।’
মন্তব্য করুন
স্প্যানিশ ফুটবলের নতুন প্রজন্মের আলোচিত নাম লামিনে ইয়ামাল। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের নজর কাড়ছেন এই প্রতিভাবান তরুণ। শিশুকালে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সংস্পর্শ পেয়েছিলেন তিনি। এখন নিয়মিত মাঠে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বার্সেলোনার হয়ে একের পর এক ট্রফি জিতে নিচ্ছেন নিজের অর্জনের ঝুলিতে।
অনেকে মেসি পরবর্তী যুগে শূন্যস্থান পূরণ হিসেবে এই স্প্যানিশ তারকাকে দেখে থাকেন। তবে মেসি নয়, ইয়ামাল নিজের আইডল মনে করেন সাবেক বার্সা তারকা ব্রাজিলিয়ান সেনসেইশন নেইমারকে। সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল নিজের আদর্শ, ভবিষ্যৎ এবং বার্সেলোনার জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
নিজের ফুটবল আদর্শ প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি ৫ বছর বয়সে তাকে (নেইমার) সান্তোসে (ব্রাজিলিয়ান ক্লাব) দেখেছিলাম। পরে যখন বয়স সাত হয়, তাকে বার্সেলোনায় ক্যাম্প ন্যু’র একজন সদস্য হিসেবে পাই। তার সরাসরি সাক্ষাৎ পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্য কিছু। এটি সত্য যে, সেখানে থাকা (লিওনেল) মেসিও একজন দুর্দান্ত ফুটবলার, তবে সে (নেইমার) সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। নেইমার সবসময়ই আমার আদর্শ (আইডল) ছিলেন, তিনি একজন তারকা এবং ফুটবল কিংবদন্তি।’
বার্সেলোনাতে দীর্ঘ সময় খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ তরুণ তারকা। ইয়ামাল বলেন, ‘আমি জানি না কখন কী (চুক্তি স্বাক্ষরের সময়) হবে, তবে বিশ্বাস করি সেটি শিগগিররই হবে। সবমিলে বার্সা ক্লাব আমার জীবন, আমি আশা করব যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। আমি স্প্যানিশ লিগে খেলতে চাই, বার্সার হয়ে খেলতে চাই এবং চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী।’
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন, মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্লাব সতীর্থদের কাছ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ পান মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে কেক কেটে তাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন দেখা যায়নি। অবসর নেওয়ার দুদিন পর, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আজ মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, মুশফিকের জন্য বিশেষ আয়োজনের ভাবনা তাদের আছে। তিনি মুশফিককে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথে ‘নাবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘এটা (মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা) আমরা পরিকল্পনা করব। এটা তো খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। মুশফিক সম্ভবত দেশের একজন কিংবদন্তি। দীর্ঘ ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট যে আজকে এই অবস্থায় এসেছে, তার মধ্যে সে অন্যতম একজন নাবিক, যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পথ দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি, ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে যে পথটা দেখিয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তা অনেক বড় অনুপ্রেরণা। ক্রিকেট বোর্ড অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে তার সব অর্জন স্মরণ করেছি আমরা। বিসিবি থেকে একটা বার্তা দিয়েছি, আমার লেখা ছিল। আমরা চেষ্টা করব, ক্রিকেট বোর্ড থেকে পরিকল্পনা করব কীভাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া যায়।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বেলজিয়ামের কেউ নাকে আঘাত করার চেষ্টা করলে একদম অবাক হবেন না কিলিয়ান এমবাপে। তবে দেশের জন্য এই ব্যথা সইতেও প্রস্তুত ফ্রান্স অধিনায়ক।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই নাকে আঘাত পেয়েছিলেন এমবাপে। পরে জানা যায়, সময়ের সেরা এই ফুটবলারের নাক ভেঙেই গেছে। যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাকে মাঠে নামাননি ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম।
পরে নাকে মাস্ক পরে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। ওই ম্যাচেই ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম গোলটিও করেন তিনি। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিতের পর এবার নকআউটে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নামবে তারা।
নাকে আঘাত পাওয়ার পর এই ম্যাচের আগের দিনই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এমবাপে। ওই সময়ের তাৎক্ষণিক অনুভূতি জানান ফ্রান্স অধিনায়ক। তার এটিও জানা, যে কোনো সময় আরও গুরুতর আঘাত পেতে পারেন নাকে। এমবাপের শঙ্কা, বেলজিয়াম ম্যাচেই আঘাত করা হতে পারে তার ভাঙ নাকে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আপনি যদি ভাঙা নাক নিয়ে খেলেন এবং নাকের এখনও অপারেশন না করা হয়, তাহলে আপনিই (প্রতিপক্ষের) লক্ষ্য। দেশে ফিরে অপারেশন না করে, খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই আমি জানতাম, কীসের ঝুঁকি নিচ্ছি আমি।
তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি মাথায় রেখেই অপারেশন না করিয়ে মাস্ক পরে খেলার সিদ্ধান্তের কথা বলেন তিনি। এমবাপে জানান, হয়তো কিছুটা পেশীশক্তি প্রয়োগ করা হতে পারে আমার ওপর। এটি হয়তো ব্যথার কারণ হবে। তবে এই জার্সির জন্য ও ফ্রান্সকে সাহায্য করার জন্য আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত। এটি যদি হয় যে, কেউ আমার নাকে মারবে, তাই হোক। এটি এরই মধ্যে ভাঙা।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
কিংস কাপের উত্তাপ ছড়ানো ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার (৩১ মে) রাতে আল নাসরকে হারিয়েছে আল হিলাল। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে সমতায় ছিল ম্যাচ। টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে জিতে যায় আল হিলাল। তবে ম্যাচের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে গেছে রোনালদোর কান্নায়। ম্যাচ শেষে দলের হারের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পর্তুগিজ মহাতারকাকে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াইয়ে শুরু থেকেই ছড়িয়েছে উত্তাপ। ৭ মিনিটে রোনালদোদের জালে বল জড়ান আল হিলাল তারকা আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। এরপর থেকেই আল নাসরের সমতায় ফেরার চেষ্টা শুরু। তবে প্রথমার্ধে একাধিক চেষ্টা করেও জালের দেখা পায়নি দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আল নাসর। তবে এই অর্ধে আরও বড় ধাক্কা খায় রোনালদোর দল। ৫৬ মিনিটে ডেভিড ওসপিনা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আল নাসর। তবে লড়াই থামায়নি দলটি।
ম্যাচের ৮৫ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পিছিয়ে ছিল নাসর। একসময় মনে হচ্ছিল, লড়াইবিহীন এক ম্যাড়মেড়ে ফাইনাল হতে যাচ্ছে এটি। তবে শেষদিকে আসে চমক। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আল হিলালের আলি আলবুলাইহিকে। খেলোয়াড় সংখ্যা সমতায় আসার পর ১ মিনিটের মধ্যে গোল করে আল নাসর।
ম্যাচের ৯০ মিনিটে আল হিলালের কালিদু কুলিবালি লাল কার্ড দেখায় ৯ জনের দলে পরিণত হয় প্রো লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি রোনালদোর দল। টাইব্রেকারে গড়ানোর পর ম্যাচ জিতে নেয় আল হিলাল।
পুরো ম্যাচ মাঠে থেকেও তেমন কোনো বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারেননি রোনালদো। সে কারণে ম্যাচ হারের পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠে না থাকলেও আল হিলালের শিরোপা–উৎসবে যোগ দেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিরোপা উৎসবের ছবিও পোস্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
মন্তব্য করুন
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে চিটাগাং কিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে 'ব্যাক টু ব্যাক' শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের এই দলটি।
দলের এমন সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় থাকা ফরচুন গ্রুপ। শিরোপা জেতায় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্টে থাকা সবাইকে আইফোন ১৬ উপহার দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান।
এর আগে বিপিএলের একাদশ আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে বরিশাল। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে আড়াই কোটি টাকা প্রাইজমানি পেয়েছে তারা। অন্যদিকে, রানার আপ হয়ে দেড় কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে চিটাগাং কিংস।
বিপিএলের একাদশতম আসরের ফাইনালে চিটাগাংকে ৩ উইকেটে হারায় বরিশাল। ২৯ বলে ৫৪ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তামিম ইকবাল। এছাড়া সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ৩৫৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন
অবশেষে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরলেন নেইমার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এক রাজকীয় আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারকে বরণ করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস। নেইমারের ফেরাকে ঘিরে সান্তোসের স্লোগান ছিল—‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’।
বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নেইমার। এর আগে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় সকালে সাও পাওলোতে অবতরণ করে তার ব্যক্তিগত বিমান। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামের পর হেলিকপ্টারে করে সান্তোসে পৌঁছান ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। মাঠের মাঝখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। বৃষ্টির মধ্যেই মঞ্চে উঠে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন নেইমার।
ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে দর্শকরাও তাকে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। মাঠে মাথা ও হাত নুইয়ে নিজের বিখ্যাত গোল উদযাপনের ভঙ্গিমা করেন তিনি। এরপর সান্তোসের মাটিতে চুমু খান। ‘নেইমার মিথ’-এর জন্ম তো এই ভিলা বেলমিরোর মাটিতেই।
নেইমার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতেই দর্শকরা তার পায়ে ড্রিবলিং দেখতে চান। উত্তরে নেইমার বলেন, ‘আমি খুবই সুখী। এখানে দারুণ সময় কেটেছে। সামনে তেমন সময় আরও আছে। (ড্রিবল করতে) সাহসের অভাব হবে না।’
গত সোমবার রাতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। ২০২৩ সালে আল-হিলালে যোগ দেওয়ার পর ইনজুরির কারণে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন নেইমার। পরে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তি বাতিল হয়।
নেইমারের চুক্তি নিয়ে সান্তোসের সহসভাপতি ফার্নান্দো বোনাভিদেস ক্যানাল বলেন, ‘এই চুক্তিপত্র প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের। তবে তাকে ধরে রাখতে আমরা সব রকম চেষ্টাই করব। আমরা চাই, সে যেন আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকে।’
কালো ক্যাপ ও কালো গেঞ্জি পরা নেইমার ছয় মাসের চুক্তিপত্রে সই করার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সান্তোস শহর এবং ক্লাবটির রাজা হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সান্তোস। এর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পেলের কণ্ঠে নেইমারকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেটারই দ্বিতীয় সংস্করণে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি নেইমারকে বলতে শোনা যায়, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছাই আমার জন্য নির্দেশ। সিংহাসন ও মুকুট আপনারই আছে। কারণ, আপনি চিরকালীন। কিন্তু পবিত্র ১০ নম্বর জার্সিটি পরা হবে সম্মানের সঙ্গে, যা সান্তোস এবং এই পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু। আপনার রেখে যাওয়া লিগ্যাসিকে সম্মান দিতে আমি সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
সান্তোসের আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হয়নি। সবাই জানত, সৌদি আরবের আল-হিলালের পাট চুকিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরছেন নেইমার। তার জন্য স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি কনসার্টেরও আয়োজন করে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের এই ক্লাব। বৃষ্টির মধ্যেই ভিলা বেলমিরোর গ্যালারিতে প্রায় ২০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। স্টেডিয়ামের বাইরেও ছিল ভিড়।
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সিতে খেলার এটাই নেইমারের শেষ সুযোগ। সে জন্য ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরতে হলে আগে নিয়মিত ম্যাচ খেলার দরকার, যা আল-হিলালে হচ্ছিল না। সান্তোসে সেই সুযোগ পাবেন নেইমার। বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় দলে ফিরতে চাই। অর্জনের জন্য এখনো একটি (বিশ্বকাপ) মিশন বাকি আছে, যা আমার শেষ সুযোগ বলে মনে করি। যা–ই হোক না কেন, আমি এটার পেছনে ছুটব।’
সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসে ফেরার কারণও ব্যাখ্যা করেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা ফুটবলীয় চুক্তির বাইরে। আল-হিলালে ভালোই ছিলাম। পরিবারও ভালো ছিল। কিন্তু কিছু ঘটনায় সিদ্ধান্তটি নিতেই হলো। অনুশীলনে নিজেকে অসুখী লাগছিল। ফেরার সুযোগটা পেয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’
ফেরার পর কেমন লাগছে, তা-ও জানান নেইমার। তিনি বলেন, ‘এখানে পা রাখার পর থেকেই মনে হচ্ছে, ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি। খুব ভালো লাগছে এবং খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা নেইমারের। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলে। এরপর ইউরোপযাত্রা। প্রথমে বার্সেলোনা, এরপর পিএসজি হয়ে দেড় বছর আগে সৌদি আরবের আল-হিলালে যোগ দেন। তবে ব্রাজিল ছাড়ার সাড়ে ১১ বছর পর আবারও সান্তোসে ফিরে নেইমার যেন ক্যারিয়ারের চক্র পূরণ করলেন। এর মধ্যে অনেকবার চোটে পড়েছেন। মৌসুমে নিয়মিত মাঠেও নামতে পারেননি। আগের সেই ধারা আছে কি না, সান্তোস ঠিক নিশ্চিত না হলেও ঘরের ছেলেকে আগের মতো হৃদয় দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। পার্থক্য একটাই, প্রথম দফায় খেলেছেন ১১ নম্বর জার্সিতে, এবার ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন।
সেই জার্সিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেইমার ফটোসেশনও করেন। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠে ফিরে খেলার। গত বছর নভেম্বরে আল-হিলালের হয়ে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। সংবাদ সম্মেলনে নেইমার জানান, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো বোধ করলেও এখনো ১০০ শতাংশ ফিরে পাননি।
ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় আগামী বুধবার বোটাফোগোর মুখোমুখি হবে সান্তোস। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, এই ম্যাচে সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় দফায় অভিষেকের সম্ভাবনা আছে নেইমারের।
মন্তব্য করুন