ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় চুরি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া এত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা সম্ভব নয়।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তার দাবি, দেশের বড় ব্যাংকগুলোতে জোরপূর্বক দখল ও নতুন শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধা দিতে ব্যাপক ঋণ বরাদ্দের মাধ্যমে এই অর্থ বের করা হয়েছে। তিনি এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে এই চক্রের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গভর্নরের অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা প্রায় এক হাজার কোটি ডলার (প্রায় ১.১ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার করেছেন। প্রতিদিন নিজেদের নামে ঋণ অনুমোদন করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এস আলম গ্রুপ গভর্নরের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আইনজীবী সংস্থা কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান বলেছে, আহসান মনসুরের এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে।
অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের জনসংযোগ এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সাক্ষাৎকারে গভর্নর আরও জানান, নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পদত্যাগ ও শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের চাপের মুখে পদত্যাগের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কিভাবে তাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়েছিল এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আহসান মনসুর জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোতে নিরীক্ষা চালিয়ে পাচারের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আদালতের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় চুরি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া এত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা সম্ভব নয়।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তার দাবি, দেশের বড় ব্যাংকগুলোতে জোরপূর্বক দখল ও নতুন শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধা দিতে ব্যাপক ঋণ বরাদ্দের মাধ্যমে এই অর্থ বের করা হয়েছে। তিনি এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে এই চক্রের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গভর্নরের অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা প্রায় এক হাজার কোটি ডলার (প্রায় ১.১ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার করেছেন। প্রতিদিন নিজেদের নামে ঋণ অনুমোদন করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এস আলম গ্রুপ গভর্নরের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আইনজীবী সংস্থা কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান বলেছে, আহসান মনসুরের এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে।
অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের জনসংযোগ এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সাক্ষাৎকারে গভর্নর আরও জানান, নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পদত্যাগ ও শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের চাপের মুখে পদত্যাগের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কিভাবে তাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়েছিল এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আহসান মনসুর জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোতে নিরীক্ষা চালিয়ে পাচারের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আদালতের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সফরে আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট। এ ছাড়া মানবাধিকার ইস্যুও গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে হোটেলে মহাসচিবের সঙ্গে প্রথমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে একসঙ্গে কক্সবাজার যাবেন। সেখান থেকে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গা শিবিরে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করবেন। শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর রোহিঙ্গা ও পবিত্র রমজানের প্রতি সংহতি জানিয়ে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করবেন তিনি। রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা।
আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে যাবেন মহাসচিব। সেখানে জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর দুপুরে হোটেলে ফিরে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন গুতেরেস। সেখানে বাংলাদেশের যুবসমাজ ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মহাসচিব। এদিন সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। ১৬ মার্চ সকালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে ডিজিএফআই’র বর্তমান ডিজি মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমানকে লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ডিজিএফআই’র প্রধান পদে পরিবর্তন আনা হয়।
এছাড়া ২৪ ইনফ্রেন্টি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মাইনুর রহমানকে লে. জেনারেল পদোন্নতি দিয়ে আর্টডক এর জিওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১২ আগস্ট মো. ফয়জুর রহমানকে ডিজিএফআই’র মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি মেজর জেনারেল হামিদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটার বিষয়টি আদালতের কাছে চলে গেছে। এখানে আমার দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই। কোটের বিষয়টি কোটেই সমাধান করতে হবে।
রোববার (১৪ জুলাই) চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না আইন মানবে না। সংবিধান কী তা তারা চেনে না। একটা সরকার কীভাবে চলে তা সম্পর্কে আন্দোলনকারীদের কোনো জ্ঞানই নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান কী বলে তা তাদের জানা উচিত। এখন আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। কিন্তু তারা আদালতে না গিয়ে রাজপথে দাবি আদায় করতে চায়।
তিনি বলেন, সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। আদালতের রায় মানতে হবে। আর যদি না মানে তাহলে কিছু করার নেই। তারা রাজপথে আন্দোলন করতেই থাকবে করুক। তবে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা যদি কাউকে আঘাত করতে চায়। পুলিশের ঘাড়িতে হামলা করতে চায় তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এখানে আমার কিছু করার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রোববার বিকাল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত সোমবার সরকারি সফরে বেইজিং যান। তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বুধবার প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণা পত্র সই করেছে।
মন্তব্য করুন
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। পরে র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ সময় র্যাবের ১৬ সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৪,২৪৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আনসার বাহিনীর বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। র্যাব এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার আসামি গ্রেপ্তারসহ অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, "আমি যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন র্যাব গুম ও খুনের মতো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না। এর আগে র্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল। আমি র্যাবের পক্ষ থেকে সেসবের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংক, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস—এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে এনআইডির তথ্য ফাঁস করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পেয়েছে। তবে এটি ইচ্ছাকৃত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রতিষ্ঠান কতটুকু তথ্য নিচ্ছে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্য নিচ্ছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পরে নাসির উদ্দিন কমিশন পুনরায় যাচাই-বাছাই করে। নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এবার বিসিসির পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিয়মিত মতবিনিময় ও তদন্ত চলমান থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেফতার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন।
গ্রেফতারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এইটার এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেইভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামিদের বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামিদের গ্রেফতার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেফতার করবে।
থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলার প্রতিকার হচ্ছে বলে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করতে করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ না করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ফিটনেসবিহীন বাসের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন শেষে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অনেক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন দায়ী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন কীভাবে সড়কে চলাচল করছে এবং কেন বিআরটিএ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের যানবাহনের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার সময় মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফোন বা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। মেসেজে লেখা থাকবে— ‘আপনার গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার সময় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা করুন।’ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে সেই যানবাহনের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।”
গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের ব্যর্থতা।”
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কাজ ধীরগতিতে চলছে। এটি দ্রুত করতে হবে।”
বিআরটিএতে প্রায় সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন এই লাইসেন্সগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি অল্প কিছু সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যদি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোট প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে, যা এখন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্টের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি সবাইকে সচেতন থেকে জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেছেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এই সময় বেঁধে দেন।
রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই মারধরের শিকার হয়েছিলেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীরাও ছিলেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৯১ জনের নামপরিচয় উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার শাহবাগ থানায় এ মামলার আবেদন করেন। এরপর বিকালে শাহবাগ থানার অভ্যন্তরে প্রেস ব্রিফিং করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে, ভোটের অধিকার হরণ করে এবং নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্যই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন