বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গোটা দুনিয়ার সিনেপ্রেমী দর্শকের নজর এখন ফ্রান্সের কান সৈকতে। কারণ সেখানেই যে বসেছে সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীরা। প্রথমবারের মতো সেখানে এবার গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, প্রতিবারই কানে বলিউড অভিনেত্রীদের ভালো প্রভাব থাকে। লাল গালিচায় ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে নজর কাড়েন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, অদিতি রাও হায়দারি, সবিতা ধুলিপালা ও উর্বশী রাওতেলা লাল গালিচায় নজর কেড়েছেন।
‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন উইমেন ইন সিনেমা’ গালায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রেড কার্পেটে হাঁটার আগে নায়িকা তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের সাজসজ্জার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে কবির সিং’খ্যাত নায়িকা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিভেরায় মিলনমেলা।’
এ সময় নায়িকার কানে দেখা যায় মানানসই মুক্তার লম্বা দুল ও পায়ে সাদা হাই হিল। এক হাতে আংটি, অন্য হাতের কবজিতে সুন্দর কাজ করা রিস্টব্যান্ড। কিয়ারার এ পোশাকটি ডিজাইন করেছেন প্রবাল গুরুং। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়কের মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার (২২ মে) সকালে অসুস্থ বোধ করায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কিং খানকে।
জানা গেছে, তীব্র তাবদাহের জেরেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তার অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গত চব্বিশ ঘণ্টায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে ঝড় বয়ে গেছে! তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে শাহরুখ খানকে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আহমেদাবাদ থেকে স্পেশাল চার্টার্ড বিমানে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছেন বাদশা। যেহেতু ডিহাইড্রেশন হয়ে বুধবার সকালে বিপত্তি ঘটেছিল, তাই কিং খানকে আপাতত বিশ্রামে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসা।
এদিনই আবার বন্ধু জুহি চাওলা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন বাদশা। তবে চিকিৎসকদের এমন সাবধান বাণীর পর আদৌ সেই ম্যাচে কিং খান নাইট শিবিরকে উৎসাহ দিতে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা- সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরে ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে শাহরুখের। নাইট শিবিরের পাশে থাকতে গত সোমবারই ভোট দিয়ে আহমেদাবাদে পৌঁছেছিলেন। এদিকে আহমেদাবাদে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। এর কারণেই বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ফলে বেলা বাড়তেই দেরি না করে মাল্টি স্পেশালিটি কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলিউড সুপারস্টারকে। হাসপাতালে শাহরুখের ভর্তি হওয়ার খবর শুনে এদিন বিকেলেই মুম্বই থেকে আহমেদাবাদে ছুটে গিয়েছেন স্ত্রী গৌরী খান।
জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণেই ‘হিটস্ট্রোক’ হয়েছে শাহরুখের। তবে বাদশার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় তার টিমের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ না করায়, অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। শেষে শাহরুখের অসুস্থতা নিয়ে তার ম্যানেজার পূজা দাদলানি মুখ খুলেছেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশের খেতাব পেয়েছিলেন তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু সে খ্যাতি যেন জৌলুস হারাচ্ছে।
বলিউডের অন্দরমহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ‘আশিকি থ্রি’ থেকে কাদ দেওয়া হয়েছে তৃপ্তিকে। যার নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক অনুরাগ বসু।
সোমবার থেকেই এমন খবরে সয়লার ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে এই গুঞ্জনের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই মুখ খুললেন অনুরাগ। এই নির্মাতা বললেন, তৃপ্তি সিনেমাতে থাকছেন না, এমন কথা আমি একবারও বলিনি। সে কথা তৃপ্তিও জানেন।
তা হলে কি তৃপ্তি ‘আশিকী থ্রি’তে থাকছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কোন পাকা কথা দেননি পরিচালক। মুখ বন্ধ রেখেছেন ‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’র নায়িকাও। ফলে ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে। অনুরাগের এই জবাব ইতোমধ্যেই সমাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাইতো নতুন করে চর্চা শুরু।
‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় কার্তিক-তৃপ্তির রসায়ন ভালো লেগেছিল দর্শকদের। তাই তাদের আশা, আবারও এই জুটির দেখা মিলবে পর্দায়। এদিকে সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ‘আশিকী থ্রি’।
একাধিক নায়ক-নায়িকার নাম সেসময় প্রকাশ্যে এসেছিল। তাদের মধ্যে পরিচালক বেছে নিয়েছিলেন কার্তিক-তৃপ্তিকে। তার আগে ‘অ্যানিমেল’ মুক্তি পেয়েছে। এতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তৃপ্তি। ফলে তাকে পছন্দ হয়েছিল প্রযোজনা সংস্থারও।
তবে এখন গুঞ্জন উঠেছে অতি সাহসই নাকি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃপ্তির জন্য। অত্যধিক শরীর দেখানোর ফলে সারল্য হারিয়ে ফেলেছেন নায়িকা। তাই নাকি ‘আশিকী থ্রি’ থেকে বাদ পড়তে পারেন তৃপ্তি!
‘
মন্তব্য করুন
বলিউড অন্যতম তারকা দম্পতি ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। সম্প্রতি ভিকি কৌশলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভাল মেয়ে পেলে ক্যাটরিনাকে ডিভোর্স দেবেন কিনা। তবে স্মার্ট ভিকি কিন্তু জুতসই জবাব দিয়েছেন।
ভিকি কৌশল ও সারা আলি খানের নতুন ছবি ‘জারা হাটকে জারা বাঁচকে’র ট্রেলেরে এ প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে একেবারে হতবাক ভিকি। তবে উত্তর দিতে বেশি সময় নিলেন না।
ভিকি বলেন, ‘আমাকে রাতে বাড়ি ফিরতে হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার আর ক্যাটরিনার সম্পর্ক শুধু এই জন্মের নয়, আগামী সাত জন্মের।’
এই প্রথমবার এক সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন ভিকি-সারা। লক্ষ্মণ উটেকর পরিচালিত ‘জারা হাটকে জারা বাঁচকে’ সিনেমায় কপিল ও সোমিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দু’জন। ইন্দোরের মধ্যবিত্ত পরিবারের এই কাহিনীর সূত্রধর পঙ্কজ ত্রিপাঠী। তার কণ্ঠস্বরেই ট্রেলার শুরু হয়। দু’ভাগে বিভক্ত কাহিনী।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে হিট। পেয়েছেন একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। বলিউড পাড়ায় কেউ কেউ তার প্রশংসায় বলে থাকেন ‘বিউটি ইউথ ব্রেইন’।
তবে অসাধারণ প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে জন্য চিকিৎসাও চলে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের রোগের কথা প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী নিজেই।
আলিয়া জানান, তিনি ‘এডিএইচডি’ (অ্যাটেনশন ডেফিশিট/হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার) রোগে আক্রান্ত।
এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হল মানসিক চাঞ্চল্য, অস্থির ভাব ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। কোনো কিছুতে মনযোগ দিতে বেগ পেতে হয়।
আলিয়া জানান, কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তিনিও এই রোগের শিকার। শৈশবে এই রোগের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাকে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও। ক্লাস চলাকালীন প্রায়ই অন্য মনস্ক হয়ে পড়তেন আলিয়া। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেও মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলতেন। তার বন্ধুরা বিষয়টা লক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কেন এমন হয়, বুঝতে পারতেন না আলিয়া।
তবে ক্যামেরার সামনে যখন অভিনয় করেন তখন এই সমস্যাটা তার হয় না। তখন মনযোগ অক্ষত থাকে। মস্তিষ্কও শান্ত থাকে। বর্তমানে একমাত্র কন্যা রাহার সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ও কোনো অসুবিধা হয় না। তার মন স্থির থাকে। নিজের অভিনয়ের কাজ ও মেয়ের সঙ্গ —এই দুই সময় মন সবচেয়ে শান্ত থাকে বলে নিজেই জানিয়েছেন আলিয়া।
এমনকি বিয়ের দিন সাজগোজের জন্যও স্থির হয়ে বসে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আলিয়া। রূপটানশিল্পী পুনীত বি সইনি তার থেকে দু’ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এতটা সময় টানা বসে থাকতে পারবেন না বলে জানান তিনি। তার চেয়ে নিজের মতো বসে বিশ্রাম করতে চেয়েছিলেন আলিয়া।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি আলিয়া তার ছবি ‘জিগরা’ নিয়ে ব্যস্ত। বরাবরের মতোই অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। আলিয়ার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেদাঙ্গ রায়না।
মন্তব্য করুন
ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জামিলা জামিল। এরপর থেকে তার ভেতর সব সময় একধরনের ট্রমা কাজ করে। এড়িয়ে চলেন রগরগে দৃশ্যে অভিনয়, এমনকী কোনো ছবিতে এমন দৃশ্য থাকলে তা দেখেনও না তিনি। আর এ কারণেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘ইউ’-এর অডিশন থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ‘দ্য গুড প্লেস’ খ্যাত তারকা পডক্রাশড পডকাস্টে তার নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। জামিলা বলেন, “নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'ইউ'-এর চতুর্থ সিজনের জন্য আমার অডিশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে যখন জানতে পারি এই চরিত্রটি বেশ সেক্সি, তখনই আমি অডিশন থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে দিই। কারণ, এ ধরনের যৌন দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ নই।’ যদিও ঠিক কোন দৃশ্যের জন্য তিনি অডিশন দিচ্ছিলেন, তা প্রকাশ্যে আনেননি জামিলা জামিল।
কেন যৌন দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তার অন্যতম কারণ হিসাবে শৈশবের 'ট্রমা' (মানসিক আঘাত), শৈশবের যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এনেছেন জামিলা জামিল। অভিনেত্রী জানান, তার শৈশব ভীষণই কঠিন, নোংরা ছিল। শৈশবে তার ওপর চলা যৌন নির্যতনের কথা তিনি ভুলতে পারেননি, সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আর তারই ফলস্বরূপ তিনি নিজের জন্য এই নিয়ম তৈরি করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনো কোনো যৌন দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না।
তার কথায়, ‘অন্য অভিনেতাদের কাছে যৌনদৃশ্য যেমন, আমার কাছে এটা ঠিক তেমন নয়। এমনকী ছবিতে কোনো যৌন দৃশ্য থাকলে সেটা আমি দেখি না, এড়িয়ে যাই।’
জামিলা জামিল জানান, তিনি ‘ইউ’-এর নির্মাতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি যৌন দৃশ্য ছাড়া সিরিজে অন্য কোনো চরিত্রে তাকে প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে তারা ডাকতে পারেন।
‘সি-হাল্ক’ অভিনেত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা লজ্জার কিছু নয়। তবে আমি অনুভব করি যে এটির চারপাশে একটি বিশ্রীতা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন
শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। মুম্বাইয়ের যানজট থেকে বাঁচতে অচেনা এক ব্যক্তির বাইকে চেপে বসেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। এবং সেটিতে করে সঠিক সময়ে শুটিংয়ে পৌঁছান। পুরো ঘটনায় বেশ কৃতজ্ঞ অভিনেতা। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ছবি প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অচেনা বন্ধুটিকে।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিগ বি লিখলেন, ‘এই যাত্রার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু। তোমায় চিনি না। কিন্তু তুমি যে দায়িত্ব নিয়ে আমায় পৌঁছে দিলে, প্রশংসনীয়। মুম্বাইয়ের জ্যাম থেকে বাঁচিয়ে তাড়াতাড়ি আমায় পৌঁছে দিলে, ধন্যবাদ! হলুদ জামা এবং সাদা টুপির মালিক।’
এই আপদকালীন যাত্রায় নামও জানেননি সেই আগন্তুকের। কিন্তু তারপরও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি অমিতাভ।
এমন একটি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধতা ঝরে পড়েছে নেটাগরিকদের কণ্ঠে। পাশাপাশি সতর্ক করেছেন উভয়কেই। হেলমেট না পরতেই কেউ কেউ বলে বসলেন, ‘দুজনেই হেলমেট ব্যবহার করুন। কখন বিপদ আসে বলা যায় না।’
মন্তব্য করুন
ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী।
বুধবার ধনশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় কেটেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, কিছু মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি। আমার নীরবতা কোনো দুর্বলতার পরিচয় নয়, বরং এটি আমার শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকতা খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অন্যদের উন্নতির জন্য সহানুভূতি ও সাহসের প্রয়োজন হয়।”
ধনশ্রী আরও বলেন, “আমি সততা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এগিয়ে যেতে চাই নিজের আদর্শ মেনে। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। তখন কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
এর আগেও চাহাল একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি উক্তি শেয়ার করেন। উক্তিটিতে লেখা ছিল, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। যারা বিকট শব্দের মধ্যেও তা শুনতে পারে, তারাই সেই সুর উপলব্ধি করতে পারে।”
এরপর থেকে চাহাল ও ধনশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। চাহাল তার ইনস্টাগ্রাম থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সব ছবি মুছে ফেলেছেন। যদিও ধনশ্রীর প্রোফাইলে এখনো তাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রয়েছে।
চাহালের আরেকটি পোস্টও এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে উজ্জ্বল করে। আপনি জানেন নিজের যাত্রাপথ কেমন ছিল, কীভাবে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সেই যাত্রায় যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনিই ভালোভাবে জানেন। নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য মাথা উঁচু করে সোজা দাঁড়ান।”
এই পোস্টে চাহাল বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী ধনশ্রীর নাম উল্লেখ করেননি। যা তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার বিয়ে হয়েছিল ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধনশ্রী ছিলেন চাহালের নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচের ক্লাস করার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিয়মিত একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই উৎসবে স্থান পেয়েছে ২৯টি দেশের ১৮০টি সিনেমা। আর এবারই প্রথম ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)’-এ থাকছে না বাংলাদেশের নাম। রাজনৈতিক অবস্থা ও ভিসা জটিলতার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ।
কলকাতার উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমার জায়গা না পেলেও ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ঠিকই থাকছে ভারতীয় সিনেমা। আগামী ১১ জানুয়ারি শুরু হবে উৎসবের ২৩তম আসর। ৯ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের প্রায় ২৫০টি সিনেমা। যদিও এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ফিল্ম কমপিটিশন’ বিভাগের তালিকা রয়েছে দুটি ভারতীয় সিনেমা। এগুলো হলো- জটলা সিদ্ধার্থের ‘ইন দ্য বেলি অব আ টাইগার’ ও সৌমিক রায় চৌধুরীর ‘বেলাইন’। এছাড়াও ‘সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিভাগে আছে সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘সরকারি আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের সিনেমা কেন নেই- এর উত্তর দিতে পারবে উৎসব কর্তৃপক্ষ ও তাদের সরকার। ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ইফিতে কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। আর ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব সরকারি কোনো আয়োজন হয় না। আমরা সিনেমাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এখানে পাকিস্তানের সিনেমা যেমন আছে, তেমনি ভারত, চীনসহ ৭০টির বেশি দেশের সিনেমা আছে। আমরা কোনো দেশ বিবেচনায় সিনেমা নির্বাচন করছি না। এছাড়া সরকার থেকে আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি যে নির্দিষ্ট কোনো দেশের সিনেমা দেখানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের সিনেমার সংখ্যা কমে গেছে। অন্যান্যবার ২৫-৩০টি সিনেমা থাকে। এবার মাত্র ৫-৬টি সিনেমা আছে। তাছাড়া ভারতের কোনো ফিল্মমেকার, কলাকুশলী বা অতিথি কেউ আসছেন না ভিসা জটিলতার কারণে।’
গতবার ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ আলো ছড়িয়েছিলেন ইরানের নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের শর্মিলা ঠাকুর, অঞ্জন দত্তরা।
মন্তব্য করুন