

ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী।
বুধবার ধনশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় কেটেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, কিছু মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি। আমার নীরবতা কোনো দুর্বলতার পরিচয় নয়, বরং এটি আমার শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকতা খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অন্যদের উন্নতির জন্য সহানুভূতি ও সাহসের প্রয়োজন হয়।”
ধনশ্রী আরও বলেন, “আমি সততা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এগিয়ে যেতে চাই নিজের আদর্শ মেনে। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। তখন কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
এর আগেও চাহাল একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি উক্তি শেয়ার করেন। উক্তিটিতে লেখা ছিল, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। যারা বিকট শব্দের মধ্যেও তা শুনতে পারে, তারাই সেই সুর উপলব্ধি করতে পারে।”
এরপর থেকে চাহাল ও ধনশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। চাহাল তার ইনস্টাগ্রাম থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সব ছবি মুছে ফেলেছেন। যদিও ধনশ্রীর প্রোফাইলে এখনো তাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রয়েছে।
চাহালের আরেকটি পোস্টও এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে উজ্জ্বল করে। আপনি জানেন নিজের যাত্রাপথ কেমন ছিল, কীভাবে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সেই যাত্রায় যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনিই ভালোভাবে জানেন। নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য মাথা উঁচু করে সোজা দাঁড়ান।”
এই পোস্টে চাহাল বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী ধনশ্রীর নাম উল্লেখ করেননি। যা তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার বিয়ে হয়েছিল ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধনশ্রী ছিলেন চাহালের নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচের ক্লাস করার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিয়মিত একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্কঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওপেন কনসার্টের আয়োজন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। সেখানে গাইবেন বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক শিল্পী।
বিজয় দিবসের এই কনসার্টে জেমসসহ গাইবেন খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, বেবী নাজনীন, কনক চাঁপা, মনির খান, রাফা, প্রীতম, ইমরান, কনা, মৌসুমী, জেফার ও একদল লোকশিল্পী। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবে ডিফারেন্ট টার্চ, সোলস, আর্ক, শিরোনামহীন, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাসের মতো বেশ কয়েকটি ব্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের উদয় টাওয়ারে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই কনসার্টের ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।
এ বছর সার্বজনীনভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। ভিন্নদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তি ও নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এই কনসার্টে বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে কনসার্ট চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। তরুণ প্রজন্মকে এই কনসার্টে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
মন্তব্য করুন


ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী।
বুধবার ধনশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় কেটেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, কিছু মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি। আমার নীরবতা কোনো দুর্বলতার পরিচয় নয়, বরং এটি আমার শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকতা খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অন্যদের উন্নতির জন্য সহানুভূতি ও সাহসের প্রয়োজন হয়।”
ধনশ্রী আরও বলেন, “আমি সততা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এগিয়ে যেতে চাই নিজের আদর্শ মেনে। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। তখন কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
এর আগেও চাহাল একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি উক্তি শেয়ার করেন। উক্তিটিতে লেখা ছিল, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। যারা বিকট শব্দের মধ্যেও তা শুনতে পারে, তারাই সেই সুর উপলব্ধি করতে পারে।”
এরপর থেকে চাহাল ও ধনশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। চাহাল তার ইনস্টাগ্রাম থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সব ছবি মুছে ফেলেছেন। যদিও ধনশ্রীর প্রোফাইলে এখনো তাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রয়েছে।
চাহালের আরেকটি পোস্টও এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে উজ্জ্বল করে। আপনি জানেন নিজের যাত্রাপথ কেমন ছিল, কীভাবে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সেই যাত্রায় যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনিই ভালোভাবে জানেন। নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য মাথা উঁচু করে সোজা দাঁড়ান।”
এই পোস্টে চাহাল বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী ধনশ্রীর নাম উল্লেখ করেননি। যা তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার বিয়ে হয়েছিল ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধনশ্রী ছিলেন চাহালের নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচের ক্লাস করার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিয়মিত একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।
মন্তব্য করুন


বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন


করোনার পর বলিউডে বড় ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে। শীর্ষ তারকাদের অনেক সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে, আবার কিছু স্বল্প বাজেটের সিনেমা বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে। সিনেমার হিট-ফ্লপের হিসাব করতে গিয়ে বারবার উঠে এসেছে নামী তারকাদের উচ্চ পারিশ্রমিকের বিষয়টি। এর ফলে সিনেমার বাজেট বেড়ে যায়, অনেক টিকিট বিক্রি হলেও লগ্নির টাকা ওঠে না।
এবার বলিউডের কিংবদন্তি গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার জানালেন, শুধু তারকারাই নন; তাদের হেয়ারস্টাইলিস্টরাও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেন। সিনেমার বাজেট বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে তারকাদের ‘স্টাফ’দের ভূমিকা কম নয়।
সম্প্রতি কৌতুকশিল্পী স্বপন বর্মার কমেডি শো-তে উপস্থিত হয়ে সিনেমার সেটে তারকাদের কাজকর্ম দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জাভেদ আখতার।
তিনি বলেন, “আজকাল তারকাদের ১৮-১৯ জন কর্মচারী লাগে। জিমের জন্য একটি ভ্যানিটি ভ্যান লাগে এবং খাবার তৈরির জন্যও দুটি ভ্যান দরকার হয়।”
জাভেদ আখতার এ বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, “তাদের (অভিনয়শিল্পীদের) চুল ঠিক করে দেওয়ার জন্যও কেউ দিনে ৭৫ হাজার রুপি চার্জ করে। আগে জানলে আমিও সে কাজই করতাম।”
পুরানো যুগের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টেনে তিনি যোগ করেন, “আগে তারকারা ই-রেগুলার এবং শৃঙ্খলাহীন ছিলেন। তারা বেশিরভাগ সময়ই সেটে দেরি করতেন, তবে তখন এত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার মতো টাকাও ছিল না।”
উল্লেখ্য, সেলিম-জাভেদ হলেন বলিউডের সবচেয়ে সফল চিত্রনাট্যকার জুটি। তারা ‘শোলে’, ‘জাঞ্জির’, ‘দিওয়ার’সহ বহু ব্লকবাস্টার সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক চিত্রনায়িকা তমা মির্জা’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।
মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন


বছর দুয়েক আগে মাদক মামালায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই ঘটনার নাকি মাসুল দিতে হচ্ছে মামালার ভারপ্রাপ্ত এই অফিসারকে। মুম্বাই থেকে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছিলেন সমীর। সম্প্রতি এ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে সিবিআই।
মাদক গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আরিয়ানকে ২২ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল। ২০২২-এর মে মাসে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এনসিবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সিবিআইয়ের অভিযোগ, এই ঘটনায় নাকি খান পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।
আরিয়ানকে মুক্ত করতে নাকি প্রায় ২৫ কোটি টাকা চান সমীর। ভিজিল্যান্স রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্তকারীদের প্রাথমিক তদন্তের পর সমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়।
সমীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করল সিবিআই। শুধু তাই নয় সম্প্রতি সমীরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে এই তল্লাশি অভিযান। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সমীরের স্ত্রী ও পুত্র। তার পরই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান সমীর। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হওয়ার মাসুল গুনছি। তবে আমি আমৃত্যু লড়ে যাব। আমার গোটা পরিবার ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।’
এমএ
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান সম্প্রতি ভক্তদের প্রতি একটি আবেদন জানিয়েছেন। সেটা হলো- তারা যেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আর প্রশ্ন না করেন।
শনিবার করাচিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম উর্দু সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে এই অনুরোধ জানান লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
মাহিরা খান বলেন, ‘আমি নিজে থেকে কখনোই শাহরুখ খানের প্রসঙ্গ তুলিনা। কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি শুধু তার প্রশ্নের উত্তর দিই’।
৩৯ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সমস্যা হয় তখন, যখন আমি এ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার পর লোকজন মন্তব্য করে যে আমি বারবার শাহরুখ খানকে নিয়ে কথা বলি। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তেমন নয়’।
তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি চাই না কেউ আর এই বিষয়ে প্রশ্ন করুক। যাতে আমাকে কোনো উত্তর দিতে না হয়’।
মাহিরা খান ২০১৬ সালে বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা রইস-এ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি তার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তবে বারবার এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ায় এ নিয়ে এখন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ঢালিউডে তার মতো সুন্দরী নায়িকা কমই রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি নাকি পরীর মতোই সুন্দর। যদিও সিনেমার ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়েই সবসময় আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব থাকেন পরীমনি।
বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার এই নায়িকার। মা হওয়ার পর থেকে নিজের প্রতি খুব একটা যতœ নিতে পারেননি তিনি। ব্যস্ত থেকেছেন সন্তানদের নিয়ে। এখন আবারও আগের রূপ-ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন পরী।
বুধবার সকালে শাড়িতে উষ্ণতা ছড়াতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। ধূসর রঙের একটি শাড়িতে কোনো একটি রাস্তার পাশে হেঁটেছেন পরীমনি। গানের ছন্দে, ফুল হাতে বিভিন্ন পোজ দিয়েও ছবি তুলেছেন তিনি।
পরীমনির এই ছবি-ভিডিওতে মুগ্ধ হয়েছে তার ভক্তরা। অনেকেই পুরোনো সেই পরীকে খুঁজে পেয়েছেন। নায়িকার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন। যার বেশ কিছু মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন পরী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জিমের পোশাকে একটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে পরী লেখেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে পরী’। বোঝাই যাচ্ছে, মেদ ঝরাতে, নিজেকে ফিট করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্কঃ
কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই উৎসবে স্থান পেয়েছে ২৯টি দেশের ১৮০টি সিনেমা। আর এবারই প্রথম ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)’-এ থাকছে না বাংলাদেশের নাম। রাজনৈতিক অবস্থা ও ভিসা জটিলতার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ।
কলকাতার উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমার জায়গা না পেলেও ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ঠিকই থাকছে ভারতীয় সিনেমা। আগামী ১১ জানুয়ারি শুরু হবে উৎসবের ২৩তম আসর। ৯ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের প্রায় ২৫০টি সিনেমা। যদিও এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ফিল্ম কমপিটিশন’ বিভাগের তালিকা রয়েছে দুটি ভারতীয় সিনেমা। এগুলো হলো- জটলা সিদ্ধার্থের ‘ইন দ্য বেলি অব আ টাইগার’ ও সৌমিক রায় চৌধুরীর ‘বেলাইন’। এছাড়াও ‘সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিভাগে আছে সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘সরকারি আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের সিনেমা কেন নেই- এর উত্তর দিতে পারবে উৎসব কর্তৃপক্ষ ও তাদের সরকার। ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ইফিতে কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। আর ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব সরকারি কোনো আয়োজন হয় না। আমরা সিনেমাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এখানে পাকিস্তানের সিনেমা যেমন আছে, তেমনি ভারত, চীনসহ ৭০টির বেশি দেশের সিনেমা আছে। আমরা কোনো দেশ বিবেচনায় সিনেমা নির্বাচন করছি না। এছাড়া সরকার থেকে আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি যে নির্দিষ্ট কোনো দেশের সিনেমা দেখানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের সিনেমার সংখ্যা কমে গেছে। অন্যান্যবার ২৫-৩০টি সিনেমা থাকে। এবার মাত্র ৫-৬টি সিনেমা আছে। তাছাড়া ভারতের কোনো ফিল্মমেকার, কলাকুশলী বা অতিথি কেউ আসছেন না ভিসা জটিলতার কারণে।’
গতবার ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ আলো ছড়িয়েছিলেন ইরানের নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের শর্মিলা ঠাকুর, অঞ্জন দত্তরা।
মন্তব্য করুন