ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘প্রশাসনের যাদের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’
আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া ৫৫ জনের পরিবারকে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রত্যেক শহিদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘কালো শকুনদের চক্রান্ত এখনও থামেনি। আপনাদের দোয়ায় যদি আমি বেঁচে থাকতে পারি, তাহলে শহিদ পরিবার ও আহতদের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগতে দেব না। শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের কাউকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন করতে হবে না। এটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে, তবে আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সবটুকু দিয়ে সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব, যে স্বপ্ন নিয়ে, যে স্পিরিট নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। আমরা একদিকে যেমন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করব, অপরদিকে প্রশাসনসহ সব স্তরে সার্বিক কাজে সহযোগিতাও করব।’
ময়মনসিংহ বিভাগে ৯২ জন শহিদ হলেও যোগাযোগের সমস্যা কারণে আজ ৫৫ জনকে অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের আগে শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জেন অফিসের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার তুবাউল জান্নান লিমাত, শহিদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক।
মন্তব্য করুন
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। পরে র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ সময় র্যাবের ১৬ সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৪,২৪৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আনসার বাহিনীর বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। র্যাব এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার আসামি গ্রেপ্তারসহ অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, "আমি যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন র্যাব গুম ও খুনের মতো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না। এর আগে র্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল। আমি র্যাবের পক্ষ থেকে সেসবের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
মন্তব্য করুন
৯৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৫-৬৬ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাহাজ দুটি কেনা হবে হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই জাহাজ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ‘দুটি প্রতিটি ৫৫-৬৬ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অর্জন’ প্রকল্পের আওতায় দুটি জাহাজ ও আনুষঙ্গিক সেবা ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। এর মধ্যে দুটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।’
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে ৭৬.৬৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জাহাজ দুটি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। জাহাজ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা হবে।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে জাহাজ দুটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। জাহাজ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করেনি। এজন্য নির্বাচনী অপরাধে জড়িতদের অবশ্যই বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনা উচিত।
বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের বিভিন্ন অপরাধ ঘটেছে এবং এসব অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং যারা অপরাধ করেছেন, যাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের অবশ্যই বিচার করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কমিশনকে বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়নি। তবে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩ থেকে ৯০ ধারায় নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বর্ণনা রয়েছে এবং এসব অপরাধ যথাযথভাবে প্রয়োগ করা উচিত।
বিগত নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পর যে যুক্তি দিয়েছিল, যে নির্বাচনের পর অপরাধের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়, তা নিয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা ইচ্ছা করলে তদন্তের ভিত্তিতে নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। গেজেট প্রকাশ হওয়ার আগেই তদন্ত করে নির্বাচনে ত্রুটি থাকলে পুনঃনির্বাচনও দেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু তারা ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেননি।
তিনি আরও বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এই সাক্ষাৎ অল্প সময়ের জন্য হতে পারতো, তবে এটি দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর, এবং সংস্কার কমিশনও তাদের যথাযথ সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি, তবে কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে প্রদান করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে আরও একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এক বিরাট ক্ষমতা রয়েছে, এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তারা আইন-কানুনের গ্যাপ পূরণ করতে পারেন।
নতুন কমিশন তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়া যায়নি, তবে তাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই এবং তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা তাদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত।
মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ এর জাকঁজমকপূর্ণ রেসিডেন্সিয়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জুন ঢাকার প্যানপ্যাসিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। ১৯ জুন ছিল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ-এর সভাপতি ডা. হাসনাত হোসাইন এমবিই ৷ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ-এর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী পরিচালক শরাফত হোসেন বাবু । এছাড়াও যুক্তরাজ্য , মালয়েশিয়া, গ্রিস, দুবাই , বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ , বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি নূর ও সেক্রেটারি রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, খিলাফত মজলিসের
মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের ।
অনুষ্ঠানে সারাবিশ্বের প্রবাসীদের অবদান ও দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতে প্রবাসীদের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়েও বিষদভাবে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশী ও ভয়েস ফর জাস্টিসের দীর্ঘ পথচলা ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় । স্বৈরাচারি সরকার বিতাড়নে ও বাংলাদেশে বিশেষ অবদানের জন্য উপস্থিত অতিথিরা ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজের প্রশংসা করেন৷
ইতোমধ্যে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সমন্বয়ে নতুন ধারার একটি সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের পক্ষে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজের ১০% আসন রাখার বিষয়ে মতামত দেন সকলে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশি সব সময় পাশে থাকবে বলে আশাব্যক্ত করা হয়। পরিশেষের ডিনারের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।
আগামী রেসিডেস্সিয়াল চলতি বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। "জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ" শীর্ষক এই আলোচনায় উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয় রাখা হবে এবং জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার অস্থায়ী হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। "বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ আমাদের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে না," বলেন তিনি।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস চুরি ও লাইন লিকেজ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজিএস আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আগামী বছর বকেয়া পরিশোধের চাপ কমবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। "ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি," যোগ করেন তিনি।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, বিটিতে অংশগ্রহণকারী না পাওয়ায় পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসিকে দায়িত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তেলের দাম ওঠানামা করে। প্রতিবেশী দেশের বাজার ও ভর্তুকির বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হয়।"
মন্তব্য করুন
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ এসেছে তা যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়। এটাই সবার মূল প্রত্যয় হওয়া উচিত।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "শহিদ বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন, প্রত্যয় এবং দেশপ্রেম নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেটার ধারাবাহিকতাই ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান। তরুণরা জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য লড়াই করেছে।"
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, "১৯৭১ সালে শহিদ বুদ্ধিজীবীসহ অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তবে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম। একদলীয় মানসিকতা ও কিছু দলের ব্যর্থতার কারণে তা নষ্ট হওয়ার পথে ছিল। আজ আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।"
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এবং আদর্শকে পুরোপুরি ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।"
এর আগে সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে সরানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দূতাবাসের কর্মীরা বাধা দিলেও বিএনপি সমর্থকদের চাপাচাপিতে শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা।
গতরাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেই সব রিপোর্টে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। বাংলাদেশে আন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হচ্ছে।আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যে কোনও পরিবর্তনের আহবান জানাই।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের ঘোষিত সময়েই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসছে নির্বাচনে ভোট ক্রয় করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ব্যবস্থা নিবে দুদক।
তিনি বলেন, কালোটাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচনে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠনসহ বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে দুদকের। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আশাপ্রকাশ করে এসময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে দুদকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা মাঠে তৎপর থাকবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি অধ্যায় যুক্ত করতে যাচ্ছে।
এতে থাকবে জুলাই মাসে হওয়া অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি এবং দেয়ালে আঁকা কিছু ছবি। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতিও বাদ দেওয়া হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন আগস্টে এক দফার সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সহিংস আন্দোলনে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জনের মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার কিছু প্রতিফলন থাকবে। তবে এই বিষয়গুলো লেখা হিসেবে না রেখে কিছু পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি রাখা হবে। তারা বলছেন, যেহেতু এই অভ্যুত্থানের বিষয়টি অতি নিকট ইতিহাস এবং সময় কম, তাই লেখার পরিবর্তে ছবি ব্যবহার করা হবে। ভবিষ্যতে বিস্তারিত কিছু লেখা হবে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রচ্ছদে বা বইয়ের কোনো অংশে এসব গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি যুক্ত করা হবে। বর্তমানে পাঠ্যবইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেসব ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। তার পরিবর্তে কিছু চিরন্তন বাণী যুক্ত হবে। এছাড়া ইতিহাস নির্ভর কিছু বিষয়ও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যা পুলিশের পেশাদারিত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, দলীয় স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। পুলিশ যেন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার না হয়, সেজন্য পুলিশের সংস্কারে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার বাকি রয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মামলার ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে। যেসব নিরীহ মানুষকে ভুলক্রমে আসামি করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। হয়রানি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন