

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ৩৬শে জুলাই বা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। গত বছরের এই দিনটিতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক জুলুমের শাসন ‘স্থগিত’ হয়। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থাকে যেভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন তারা। ইউনূস সরকার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন—সংস্কার। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এই সংস্কারটা ভীষণ জরুরি ছিল। তবে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো খাত এই সংস্কার-প্রকল্প থেকে বাদ পড়ল কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।
পাশাপাশি, বিতর্কিত এক বা একাধিক কমিশনের প্রতিবেদন পুনর্মূল্যায়ন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। কারণ, একটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না। একই সঙ্গে এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা অপরিহার্য—প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ভবিষ্যতে যেন কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। স্থগিত হওয়া জুলুমের শাসন আবারও যেন দেশের মানুষের ওপর চেপে বসার সুযোগ না পায়।’
তিনি আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশের মানুষ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরিচ্ছন্ন এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতির চর্চা দেখতে চায়। কোনো প্রকার হানাহানি, মারামারি বা বিভক্তি আর দেখতে চায় না। জাতিকে বিভক্ত করার রাজনীতিতে কারো জন্যই কল্যাণ নেই। দেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেশকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় ও স্বাধীনচেতা উল্লেখ করে আজহারি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা রাখে, তারা স্বাধীনভাবে স্ব-স্ব আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করবেন। কোনো বৈদেশিক শক্তির আঞ্চলিক শাখায় পরিণত হওয়া তারা বরদাস্ত করবেন না কিছুতেই। এ দেশের মানুষ আরো চায়, নিজ-নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকেই কর্মের সুযোগ পাবেন এবং নিজেদের অন্ন-বস্ত্রের জোগান দিতে পারবেন—কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই। পথে-ঘাটে এক মুহূর্তের জন্যও তারা অনিরাপদ অবস্থায় পড়তে চান না।
মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মিনতি জানাই, তিনি যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার শক্তি দেন। অভিভাবক হিসেবে আমাদেরকে উপহার দেন যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসক। দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমরা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি বিশ্ব দরবারে। আসুন, ভেদাভেদ দূরে ঠেলে ঐতিহাসিক এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই। ঐক্যবদ্ধভাবে— ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ আর জুলুমের চির অবসান ঘটিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুব-ই ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন


হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরগরম হয়ে উঠেছে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টে। মূলত গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে নতুন প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিউজফিডজুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে হ্যাঁ না পোস্টের প্রতিযোগিতা।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ঘুরছে এমন পোস্ট। যদিও এর বেশিরভাগেরই কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে অনেক মানুষ অবাক হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এই ট্রেন্ডটিতে। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনের কারণ কী? কারা হ্যাঁ, কারা না এর পক্ষ নিচ্ছেন অথবা কেনই বা নিচ্ছেন? সবমিলিয়ে যে প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে তা হলো গণভোট।
মূলত গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অংশ নিয়েছে বিএনপি একদিকে জামায়াত ও এনসিপি। আর এই সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশটিই হলো ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ছবি পোস্ট করা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করার বিষয়ে অনড়। তবে জামায়াতে ইসলামী চায় নভেম্বরে গণভোট।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি সুনির্দিষ্ট সময় না বললেও সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। ফলে জামায়াত ও এনসিপির দাবি কিছুটা কাছাকাছি হলেও বিএনপি এ ব্যাপারে কোনো ধরনের সমর্থন দেয়নি। বরং দলটি সংসদ ও গণভোট নির্বাচন একই দিনে চায়। ফলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল হয়।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরও এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নিজের প্রোফাইলে না পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এমন প্রচারণা দেখা গেছে। তারা ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট করেছেন।
এরই মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে। কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে প্রিয় জন্মভূমিতে স্বাগত জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৯ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘সুদীর্ঘ ১৮ বছর পর জনাব তারেক রহমান সপরিবারে দেশে ফিরেছেন।
প্রিয় জন্মভূমিতে আপনাকে সুস্বাগতম। দেশের কল্যাণে নিবেদিত হোক আপনার এই প্রত্যাবর্তন। মসৃণ হোক আপনার আগামীর পথচলা।’
প্রথমে সিলেটে অবতরণের পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাকে বহনকারী বিমানটি।
দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসে করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে অভিমুখে রওনা হয়েছেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, লাল ও সবুজ রঙের বাসটি বিশেষভাবে প্রস্তুত করা। বাসটির দুপাশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় প্রতিকৃতি সংযুক্ত রয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা কাচে আবৃত জানালাগুলো।
ঢাকার জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে দলের আয়োজিত গণসংবর্ধনা সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। পরে তারেক রহমান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এরপর তার গুলশানের বাসভবনে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ৩৬শে জুলাই বা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। গত বছরের এই দিনটিতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক জুলুমের শাসন ‘স্থগিত’ হয়। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থাকে যেভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন তারা। ইউনূস সরকার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন—সংস্কার। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এই সংস্কারটা ভীষণ জরুরি ছিল। তবে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো খাত এই সংস্কার-প্রকল্প থেকে বাদ পড়ল কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।
পাশাপাশি, বিতর্কিত এক বা একাধিক কমিশনের প্রতিবেদন পুনর্মূল্যায়ন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। কারণ, একটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না। একই সঙ্গে এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা অপরিহার্য—প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ভবিষ্যতে যেন কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। স্থগিত হওয়া জুলুমের শাসন আবারও যেন দেশের মানুষের ওপর চেপে বসার সুযোগ না পায়।’
তিনি আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশের মানুষ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরিচ্ছন্ন এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতির চর্চা দেখতে চায়। কোনো প্রকার হানাহানি, মারামারি বা বিভক্তি আর দেখতে চায় না। জাতিকে বিভক্ত করার রাজনীতিতে কারো জন্যই কল্যাণ নেই। দেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেশকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় ও স্বাধীনচেতা উল্লেখ করে আজহারি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা রাখে, তারা স্বাধীনভাবে স্ব-স্ব আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করবেন। কোনো বৈদেশিক শক্তির আঞ্চলিক শাখায় পরিণত হওয়া তারা বরদাস্ত করবেন না কিছুতেই। এ দেশের মানুষ আরো চায়, নিজ-নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকেই কর্মের সুযোগ পাবেন এবং নিজেদের অন্ন-বস্ত্রের জোগান দিতে পারবেন—কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই। পথে-ঘাটে এক মুহূর্তের জন্যও তারা অনিরাপদ অবস্থায় পড়তে চান না।
মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মিনতি জানাই, তিনি যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার শক্তি দেন। অভিভাবক হিসেবে আমাদেরকে উপহার দেন যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসক। দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমরা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি বিশ্ব দরবারে। আসুন, ভেদাভেদ দূরে ঠেলে ঐতিহাসিক এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই। ঐক্যবদ্ধভাবে— ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ আর জুলুমের চির অবসান ঘটিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুব-ই ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন