কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে ৯২ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আবাসিক হল সমূহও বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেট সদস্য জানান, উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ডুকতেছে। শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এবার পাসের হারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সেই হিসাবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
অন্যদিকে, এবার মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন
এসএসসি ও সমমানের গণিত পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডের দিনে এই পরীক্ষা হওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও, এসএসসি পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা গণিত বিষয়ের পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এরপর ৮ মে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। তারপর ১০ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন দাখিল পরীক্ষার্থী এবং কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে মাত্র ১০ দিন বাকি। আগামী ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে ফরম পূরণের সুযোগ বাড়িয়েছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ১৮ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখও ১৯ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এই সময়সীমার পর কোনোভাবেই ফরম পূরণের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন থেকে যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
প্রতিবছরের মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। তবে সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি জানায়, এবার গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৫ শতাংশ। আর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির ১ম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় শেষ হবে আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট)। এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। নির্বাচিতদের ফল প্রকাশের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না (ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে)। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে-
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। এ ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে।
গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে হবে-
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
তিন ধাপে আবেদন ও ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস কবে-
প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এখন চারদিন সময় বৃদ্ধি করা হলো। এখন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে প্রকাশ হবে। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে।
কলেজে ভর্তি ফি কত-
ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর বাদে অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করে পাস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোর্ডের সামনে অবস্থান নেন এবং প্রধান ফটক আটকে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এসএসসিতে ভালো ফলাফল করলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও বাকী বিষয়গুলোর ফলাফল এসএসসির উপর ভিত্তি করে ম্যাপিং করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চায়, সব বিষয়ের ফল ম্যাপিং করে তাদের পাস দেখানো হোক।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বোর্ডে জড়ো হন। তারা বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং নানা স্লোগান দেন। পরে বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিছু শিক্ষার্থী বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। চেয়ারম্যান তাদের লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে আশ্বাস দেন।
তবে সেই আশ্বাসে অনেক শিক্ষার্থী সন্তুষ্ট না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল পরিবর্তনের দাবি জানান। বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফটকে অবস্থান করে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে বলেছি এবং তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাবো। কিন্তু তারা তা না শুনেই বোর্ডের সামনে বসে আছে। তারা সবাই আজই পাস চায়।’
মন্তব্য করুন
এইচএসসিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৯২২ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে। আর সর্বনিম্ন পাসের হার ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে।
জানা যায়, সর্বোচ্চ সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এছাড়া ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এ ছাড়া এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৫৩ হাজার ৫৪৬ জন।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর এইচএসসি নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমদিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী— ১০ এপ্রিল থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে ৮ মে পর্যন্ত। এরপর ১০ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ১৮ মের মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েকবছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। তবে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলী
>পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে হবে।
>প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
>পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন আগে সংগ্রহ করবে।
>শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাতে হবে।
>পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
>পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
>প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ডে উল্লেখিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
>কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
>পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
>কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
>সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
>পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
চলছে ফরম পূরণ
গত ১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এক দফা সময় বাড়ানোয় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। এরপর জরিমানাসহ ফরম পূরণে কিছুদিন সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য প্রত্যেক বিভাগে ফরম পূরণের ফি ১০০ টাকা বেড়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফি নিতে পারবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪ মাসের বেশি সময়ের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে ৯২ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আবাসিক হল সমূহও বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেট সদস্য জানান, উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ডুকতেছে। শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যক্তির সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশকে সীমিত করে ফেলে। একই রকম মুখস্থ পড়াশোনা দেখে মনে হয় যেন সবাই এক কারখানায় তৈরি হচ্ছেন। এরকম শিক্ষাব্যবস্থায় যে সৃজনশীলতা ও মেধা রয়েছে তার পরিপূর্ণ বিচারের সুযোগকে সীমিত করে ফেলে।
সোমবার (১৫ মে) রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২০ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষা একেবারেই আবশ্যিক একটি বিষয়। কারণ যেকোনো দেশ গড়ে তোলার জন্য মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষা। একইসঙ্গে একটি দেশ কত উন্নত হবে, কতটা সমৃদ্ধশালী হবে সেটাও নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ওপর। আমাদের একেবারেই অতি প্রাচীন যে শিক্ষারব্যবস্থা ছিল সেখানে গুরুর কাছ থেকে তার শিষ্য শিক্ষা গ্রহণ করতেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী শিক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। দেখে শেখা, কাজ করে শেখা এবং যা শিখছে তার চর্চা করা, প্রয়োগ করা, এ বিষয়গুলো অতি প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।
আরও পড়ুন >>> স্থগিত এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু প্রণীত প্রথম শিক্ষাব্যবস্থার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এখনকার নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা উপনিবেশিক শাসন শোষণের শিকার হয়ে শিক্ষাব্যবস্থায়ও উপনিবেশবাদের শিকার হয়েছি। শিক্ষার গুণগত মান বলতে আমরা যা বুঝি সেগুলো আমাদের সেই অতি প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থায় যেমনভাবে ছিল, আবার উপনিবেশবাদী শিক্ষা ব্যবস্থায় সেটি তেমন ছিল না। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘উপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা হলো কেরানি পয়দা করা শিক্ষাব্যবস্থা’। তাই বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিলেন ড. কুদরত-ই-খুদা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।
দীপু মনি বলেন, আবার ২০১০ সালে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে আমরা নতুন আরেকটি শিক্ষানীতি পেয়েছি। যেটি সেই প্রচলিত কুদরত-ই-খোদার শিক্ষা কমিশনকে অনুসরণ করা হয়েছে। আমাদের নতুন এ শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এসময় শিক্ষা মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২০ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং এসব কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
মন্তব্য করুন