বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি বলি যে আগামীকাল রাস্তায় নামবো, তাহলে মনে হয় ড. ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। কিন্তু আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস সফল হোন। ওনার সাফল্য মানেই হলো, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সফলতা। আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের মুকুট চায়, তাদের তো মুকুট অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। আমরাও দিয়েছি।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং মন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করিনি। কিন্তু ওনারা (বৈষম্যবিরোধী নেতারা) এত ঘন ঘন সচিবালয়ে যায় কেন, ডিসি অফিসে যায় কেন। আজকে যে জাতি তাদের মাথায় তুলেছে, সেই মাথা থেকে যদি পায়ের তলায় পড়ে যায় সেটার জন্য কি জাতি দায়ী?
দেশে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা। দুর্নীতি বাড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনার আমলের ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়ে গেছে। এই সরকার তো দুর্নীতি রোধে হাত দেয়নি! কয়জনকে ধরা হয়েছে? ধরার উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিচারও করেনি।
দেশের বন্দর নিয়ে গয়েশ্বর বলেছেন, বন্দর চালানোর জন্য যদি দেশে লোক না থাকে তাহলে বিদেশ থেকে আমরা এক্সপার্ট আনতে পারি। যেমনটি গার্মেন্টস শিল্প উন্নয়নে বিদেশের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলিডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।
বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট ছিল এবং তাতে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, যা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ২০২৬ সালের জুনের কথা বলেছেন, যা পরস্পরবিরোধী এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতরা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাব, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্তব্য করুন
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথম দিন থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে এবং তাকরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞ টিম এ বিষয়ে কাজ করছে।’
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ‘ভেটেরিনারি সায়েন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ইত্যাদি খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর সেটাই হবে নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এককভাবে রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। সেই গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য আমাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য ছিল। বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর অবিচার হয়েছে। ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার লোক গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে, জেলখানার মধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দী ছিলাম।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাইয়ের ত্যাগের প্রতি আমরা যদি সম্মান জানাতে চাই, তাহলে যার যার অবস্থান থেকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে এই ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে গণতান্ত্রিক হতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পরিচালক (পিআরটিসি) অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
আবদুস সালাম পিন্টুর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
অবশেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্টে বেশ কিছু ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন পিন্টু। এসময় ছাদ খোলা গাড়িতে মাথা বের করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ নেতাকর্মীকে দায়মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
আদালত অব্যাহতি দেওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী সদস্য নিপুণ রায়, যুবদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ছাত্রদল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন প্রমুখ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'এই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিযোগের কোনও সত্যতা মেলেনি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনেই আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।' তিনি বলেন, 'ফ্যাসিস্ট সরকারের করা এই মিথ্যা মামলায় দেরিতে হলেও আমরা আইনের আশ্রয়ে সুবিচার পেয়েছি।'
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। একইভাবে নবী উল্লাহ নবী, কফিল উদ্দিন এবং পরে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আরও তিনটি মিছিল ওই এলাকায় জমায়েত হয়।
অভিযোগে বলা হয়, তারা ভিআইপি রোড অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এবং পুলিশের অনুরোধে কর্ণপাত না করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে বিএনপি অফিস থেকে বের হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা পুলিশের গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়, ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই মো. আল-আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে সম্প্রতি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের দায়মুক্তির আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, চট্টগ্রামে ভাইরাল হওয়া এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়নি; নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার ওপর কেউ হামলা করেনি— তিনি নাকে রং লাগিয়ে লাইভে এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন রিজভী আহমেদ। বলেন, সামনে নির্বাচন, ফলে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসব করা হচ্ছে।
এ ছাড়া রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুইজনকে মবের (হামলা) মাধ্যমে হত্যারও নিন্দা জানান বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। বলেন, মব ক্যান্সারের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আইন করা হোক, যাতে কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার সাহস না পায়।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে লুটপাট করা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ফারমার্স ব্যাংকে রাখা হয়। এখন সেটি পদ্মা ব্যাংক নামে চালু থাকলেও, সেই টাকার কোনো হদিস নেই। এসব লুটপাটের টাকা উদ্ধারে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির জন্য দেশের মানুষ এখনও প্রস্তুত নয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এই দাবি যারা করছেন তারা জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আগামী শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির কার্যালয় বা মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। সেখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের জন্যও দোয়া করা হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেও তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে ভারতকে দাদাগিরি করা বন্ধ করতে হবে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছিলেন। একদিকে ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, অন্যদিকে তারা আমাদের শত্রু শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার মতো সম্মান দিয়ে রেখেছে।
তিস্তা রক্ষার আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং সব অধিকার আদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন
সরকারপ্রধান বলেন ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন করতে চান। সেই বিবেচনায় আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছি। তবুও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস যেন কোনোভাবে ক্রস না করে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক প্রতীকী যুব সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যথাসময়ে, সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। ফ্যাসিবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে ফ্যাসিবাদ ও তার দোসররা মিডিয়াতে যেভাবে কথা বলছে, যেভাবে চলাফেরা করছে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ।
তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে তার মানে এই নয় আমরা সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি। স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা, অধিকারের জন্য। যদি সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা না যায় তাহলে অধিকারও প্রতিষ্ঠা হবে না। আর সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, ভালো নির্বাচন হওয়া দরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানে, দেশের পর্যবেক্ষক, দেশের মানুষ জানে ডিসেম্বরেই নির্বাচন করা সম্ভব ছিল। তারপরেও সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ঐতিহাসিক একটি নির্বাচন করতে চান। সেই বিবেচনায় আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা গত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তার বিচার এবং দেশের সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হতে হবে। দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে টালবাহানা করে, তাহলে বুঝতে হবে তারা ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক করতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের অহেতুক প্রলাপে প্রতীয়মান হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ সুকৌশলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনকে অনিরাপদ করে তুলতে চায়। অবিলম্বে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে-বিদেশে তার অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেশের জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনি এমন একজন ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বানিয়েছেন দেশের জন্য যার কোনো দৃশ্যমান অবদান নেই। তিনি তো বাংলাদেশের জন্য নন, বিদেশের জন্য কাজ করবেন।
গত বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, খলিলুর রহমান যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গটি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক। ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়ার মতো ড. খলিলুর রহমান বলেন, কেবল আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে আমাকে যদি বলা হয় আপনি বিদেশি নাগরিক, তাহলে কাল তারেক রহমান সাহেবকেও সে কথা বলতে হবে। আমাকে ঢিল নিক্ষেপ করলে সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এহেন বক্তব্য নিঃসন্দেহে আত্মগরিমার প্রদর্শন এবং দুরভিসন্ধিমূলক। খলিলুর রহমান তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত এবং মানুষের মাঝে তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্য নিয়েই এই বক্তব্য রেখেছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক বিভ্রান্তিকর।
মন্তব্য করুন