

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর মহান সিপাহী জনতা সংগতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল লতিফ, মহাসচিব প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, যুগ্ম মহাসচিব কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোয়ার সরকার,ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শফিকুল হাসান রতনসহ থানা ও সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও মাদকসহ শামীম আহমেদ নাসির নামের এক যুবককে আটক করেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উনকুট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক হওয়া শামীম আহমেদ নাসির চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উনকুট এলাকার মৃত মুকুল আহমেদের ছেলে।
অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬টি পিস্তলের কার্তূজ, ৯০০ গ্রাম গাজা, ১৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ তালিকার মালামাল এবং আসামিকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ মে) দুপুরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন।
এর আগে শনিবার (১৩ মে) রাতে বেলকুচি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আল আমিন সরকার বাদী হয়ে বেলকুচির পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি দায়ের করেন। মামলায় রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ের শ্যামগাতি গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে সোহেল রানা ও পৌর এলাকার জিধুরী গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে রমজান আলী।
বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই সাংবাদিকসহ আওয়ামী
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠে অবস্থিত কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে স্থানীয় আলোকিত নারী সংঘের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা পানি বিতরণ করা হয়। এ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন ইভা সশরীরে উপস্থিত থেকে এ পানি বিতরণ করেন।
ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাক্তার চর এলাকার স্থানীয় খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত মাঠ ও ইট ভাটা শ্রমিক ও সাধারন মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। দাবদাহের
বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাদের শরীরের পানি শুন্যতা রোধে স্থানীয় উল্লেখিত নারী সংঘ গতকাল খেয়া ঘাটে পারাপাররত তৃষ্ণার্তদের মধ্যে বোতলজাত ঠান্ডা পানি বিতরণ করেন।
সংঘের প্রতিষ্ঠাতার সাথে এ কর্মসূচীতে যোগ দেয় সংঘের সদস্য এবং স্থানীয় অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্কুল ও কলেজের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ। গরমে অতিষ্ঠ এ সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে এ ধরনের কর্মসূচীর প্রশংসা করেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নারীদের এ সংঘটি এলাকার দরিদ্র পরিবারে নারী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সহায়তা, খাদ্য বিতরণ,অসুস্থদের পাশে দাঁড়ানো এবং গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন সচেতনতামুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এলাকার প্রবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নারী শিক্ষার্থীরা এ সকল কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসেন।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
তিনি জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ বন্ধ থাকবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান ও অত্র ইউনিয়নে বিধি মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) সকালে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২ নং দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে যান এবং এবং কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন। তবে অভিযোগকারী ওয়ার্ড সদস্য কেউই ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদে যাননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, এখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ইউনিয়ন সদস্যদের ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বাধা প্রদান করে।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মতিন, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মোঃ আসলাম খান, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মোঃ জাহের, রোছমত আলী, নাজমুল হাসান, খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন, আমরা আদর্শ সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য। ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে অত্র ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হাসানকে উপেক্ষা করা হয়, যাহা বিধি সম্মত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম ট্যাক্স টোল বৃদ্ধি করে দেয়। বিভিন্ন সরকারি অনুদানের বিষয় আমাদেরকে অবগত না করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন নিজের ইচ্ছামত। পরবর্তীতে আমাদেরকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। জনগণের সামনে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ইউনিয়নের রিলিফ বন্টনে নানা অনিয়ম করেন। নিয়মিত অফিস করেন না, ফলে জনসাধারণ বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে পরেন। উল্লেখ্য যে, ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাউলের ডিলারশীপ তার মায়ের নামে নিয়ে নিজে পরিচালনা করেন এবং বিতরণে নানা রকম অনিয়ম করেন। এহেন অবস্থায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান করিলাম এবং বিধি মোতাবেক একজন প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য মহোদয়ের নিকট সদয় আবেদন করছি।
সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার পরি পরিদর্শনের দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। ফলে আমি কথা বলতে পারিনি তাদের সাথে । তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, আমাদেরকে পথে পথে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আতঙ্কে ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারিনি। বিএনপি'র একটি শক্তিশালী মহল এর যুবলীগ নেত্রী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে এই পদে বহাল রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মুঠো ফোনে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবি ইউনিয়নের শুভপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে বিশাল পরিমাণ ইয়াবা ও ৩০ লাখ টাকা নগদ অর্থসহ মোঃ রিয়াজ (৪০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
২৯ জুন রাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
পাঁচথুবী ইউনিয়নের, শুভপুর এলাকায়, গোমতী নদীর দক্ষিণ পাড়ের আইলের রাস্তার দক্ষিণ পাশে মৃত. আলী মিয়ার বাড়ির সামনে অবস্থিত একটি দোকানের ভিতরে একটি চালের ড্রামের মধ্যে গোপনে রাখা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ ইয়াবা। অবৈধ নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয় একই ব্যাক্তির মায়ের খাটের নিচে থেকে।
এ সময় ২ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৬টি দেশীয় তৈরি দা, চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া মোঃ রিয়াজ পাঁচথুবি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের শুভপুর এলাকার মৃত. আলী মিয়ার ছেলে।
আর পলাতক আসামি হলেন ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকার বিহারী ক্যাম্পের সামনের মৃত শামীমের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (৩৫)।
সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ এবং সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতেও মাদকবিরোধী লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ময়নামতি রেজিমেন্ট বিএনসিসির আয়োজনে ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত ক্যাডেটদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় ময়নামতি রেজিমেন্ট বিএনসিসি, কুমিল্লার মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ, বিজিবিএমএস, পিবিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্যাডেটদের মাঝে সংবর্ধনা স্মারক এবং নগদ বৃত্তি প্রদান করেন।
এ বছর ময়নামতি রেজিমেন্ট এর আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ- ৫.০০ পেয়েছে ৫৪ জন ক্যাডেট এবং এইচএসসিতে জিপিএ- ৫.০০ পেয়েছে ২৮ জন ক্যাডেট।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের আওতাধীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচনে ২ জন প্রার্থীর তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে নির্বাচনী বিধিমোতাবেক ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত হলফনামায় তাদের মামলা সংক্রান্ত
উধরষু ইধহমষধফবংয গরৎৎড়ৎ
কোনো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেন নাই। তারপরও কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবং জাকির হোসেন দুলালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন তার হলফনামায় একাধিক মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যেমন, ২০০২ সালের মোহাম্মদপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪ অনুযায়ী মামলা নং-৩৯/২০০২ , ২য় মামলা ২০০৬ সালের তেজগাঁও থানাতে অস্ত্র আইনের ধারা ১৯ (ক) অনুযায়ী জি আর নং-৭৯৮/২০০৬, ৩য় মামলা ২০০৪ সালের মিরপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দন্ড বিধি অনুযায়ী জি আর নং- ৮২/২০০৪, চতুর্থ মামলা ২০০৪ সালের সবুজবাগ থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩) ধার অনুযায়ী জি আর নং-৪০২/২০০৪ সহ আরো অনেক মামলা তিনি গোপন করেছেন।
অপর প্রার্থী জাকির হোসেন দুলাল তার হলফনামায় নিম্নের মামলার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৯ সালের গোসাইরহাট থানাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ (এ) অনুযায়ী এফআইআর -০৭/৩৫ ।
এই মামলাগুলো ছাড়াও এই ২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা সংক্রান্ত সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এর এতগুলো মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের হলফনামায় ইচ্ছাকৃত মামলার তথ্য গোপন করেছেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) দফা (ঙ) এর পরিপন্থি।
যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী মনোনয়নপদত্রর সাথে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে এবং মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল তাদের হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন বিধায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ হওয়ার কথা।
এই ঘটনা বাইরে প্রকাশের পর নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাটে ভোটার ও অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার ভোটার দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার আগেই তারা অবৈধ, তাদের কাছ থেকে কিভাবে গোসাইরহাটবাসীর উন্নয়ন হবে!?” আরো একজন ভোটার আল-আমিন বলেন, “এতগুলো মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন অতিসত্ত্বর বাতিল করা হোক ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হোক”। এছাড়াও সাধারণ মানুষের আলোচনায় সুষ্ঠ ভোট না হওয়ার আশংকা প্রকট হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশ্ন করেন,”আমার হলফনামায় মাত্র ১টি নিষ্পত্তিকৃত মামলার তথ্য না দেওয়াতে, নির্বাচন কমিশনার আমার মনোনয়নপত্রটি স্থগিত করলেন, অথচ মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এতগুলো মামলার তথ্য গোপন করেও কিভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়? ” তিনি আরো বলেন, “আমি আশা করি আগামী আপিল শুনানীর দিনে, নির্বাচন কর্মকর্তা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উপহার দিবেন”
উল্লেখ্য, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বৈধতার আপীলের শুনানী আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটার ও সকল প্রার্থী ১১ মে নির্বাচন কমিশনার থেকে সঠিক সিদ্ধান্তের আশায় থাকবে।
মন্তব্য করুন


ফেনী জেলায় টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
গত ০৮ জুলাই জেলা প্রশাসক, ফেনী এর তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত বছরের (২০২৪) ভায়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার আলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রস্তুতি কার্যক্রম গ্রহণ শুরু হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সেনা ক্যাম্প সমূহে ইতোমধ্যে ট্রাইশার্ক বোট, ওবিএম ইঞ্জিন এবং লাইফ জ্যাকেট মোতায়েন করা হয়েছে, যা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়াও জরুরী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল জেলা সিভিল সার্জন এর সাথে সমন্বয় সভা করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জানানো হয় যে, সেনাবাহিনী সবসময় জাতির দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফেনী বন্যা মনিটরিং সেল হেল্পলাইন নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন