বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা নিজে ও তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে একটি গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি পাশের দেশ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর যারা কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন দরবেশ (সালমান এফ রহমান) কারাগার থেকে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন। তিনি মাঝেমধ্যে জেলখানা থেকে বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, এতগুলো শ্রমিক নেমে গেলেই তো হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সেমিনার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনাসভার আয়োজন করে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আমি জানি না তাদের বিচার প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে। কিভাবে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এই কথাগুলো বলছে। নিশ্চয়ই তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা সেই সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা বলছে।’
কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদেরকে কারাগারে নিয়ে মাদকসেবী ও ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে রাখা হতো। আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে গুম-খুন করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী আরো বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলছে, যা ভালো। কিন্তু সংস্কারের নামে আপনারা সময়ক্ষেপণ করবেন না। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। এমন সংস্কার নিয়ে আসুন যাতে মানুষ ন্যায়বিচার পায়। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়। তা না হলে মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’
অ্যাবের সভাপতি ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় বসানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক র্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি করেন।
পার্থ বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণের কোনও সুযোগ নেই। কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যদি বর্তমান সরকার পরিকল্পিত বিলম্ব করে, তাহলে ১৭ মিনিটেই সরকারের পতন ঘটবে।'
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জিত হলেও দেশের মানুষ এখনো মুক্তির স্বাদ পায়নি। তার মতে, ভালো মানুষ এবং সৎ নেতৃত্ব ছাড়া রাজনীতিতে কোনও সংস্কার সম্ভব নয়।
এ সময় তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষিত মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পার্থ বলেন, '১৭ বছর পর এবার স্বাধীনভাবে বিজয় দিবস পালনের সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ আর নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।'
পরে তার নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনানী মাঠে গিয়ে গুলশান ডিসিসি মার্কেটে শেষ হয়।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদসহ মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে সূচনা থেকে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লব এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে যেন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেসব বিষয় মাথায় রেখে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করেছি। উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে।"
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এ প্রস্তাবনাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার বিষয়টি দেখবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির জমা দেওয়া প্রস্তাবনা এখনো পড়ে দেখা হয়নি। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।
বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট ছিল এবং তাতে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, যা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ২০২৬ সালের জুনের কথা বলেছেন, যা পরস্পরবিরোধী এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পূর্ণগঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এ স্বল্প সময়ে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। তিনি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইন তিনি এসময়ে প্রণয়ন করেছেন। বর্তমানে সময়ে এসে সেগুলোকে শুধু যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে অধিদপ্তর আয়োজিত সাপ্তাহিক ‘বিশেষ লার্নিং সেশন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এর গ্রন্থাগারটি হবে পরিবেশবান্ধব জায়গায় বসে জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। আর গ্রন্থাগার হলো সভ্যতা-সংস্কৃতির সূতিকাগার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জীবনের সব ক্ষেত্রেই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. মরিয়ম বেগম।
সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক সাপ্তাহিক লার্নিং সেশন আয়োজন একটি সময়োপযোগী ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ কর্মসূচিকে দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যেতে হবে এবং নিত্য নতুন বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে হবে যাতে আমাদের পাঠকদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
মন্তব্য করুন
নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমদানির অনুমতি পাওয়া নতুন ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
সম্প্রতি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বলা হয়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়বে ১২ টাকা। এর মধ্যে দুই ধাপে মোট ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমিত দিলো সরকার।
এছাড়া ডিম আমদানিতে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:
১. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
২. আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
৩. নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না।
৪. সরকারের অন্যান্য বিধি–বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
এদিকে ডিমের দাম নির্ধারণকে স্বাগত জানালেও আমদানির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ডিম আমদানি করলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আরও বেশি দামে ডিম খেতে হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন এলাকায় দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। উপস্থিতি বাড়ার শঙ্কা থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের জনবলও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের আর্মড ভেহিক্যাল, এসকর্ট ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান এপিসি, জলকামান।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৩৬ দলের সমাবেশ আজ। সেজন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে।
আজ বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা কিংবা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কি না– জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। তারা আমাদের কাছে অনুমতি নিয়েই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি অপচেষ্টা হতে পারে। তবে সেটা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে প্রস্তুতি আমাদের আছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সোমবার রাত কিংবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে কাতারের আমির রাজকীয় বহরের বিশেষ এই বিমান পাঠিয়েছেন। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।
লন্ডন যাত্রার আগে রোববার রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, “বেগম খালেদা জিয়া তার চিকিৎসার জন্য আগামী মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেই কারণেই আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।”
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পর তিনি কিছুদিন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কেয়ার ইউনিটে যাবেন। সেখানেই তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেডিকেল রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর, জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার এবং পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ট্রান্সজুগুলার ইনট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (TIPSS) সম্পন্ন করেছিলেন।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলই যুক্তরাষ্ট্রে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি নুর বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন- আমি ঢাকা থেকে নির্বাচন করব; কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, এই নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে। আপনারা যদি সমর্থন করেন তাহলে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) থেকেই নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে রাষ্ট্র ঠিক করতে বেগ পেতে হচ্ছে। হয়ত আগামী ২-১ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা না করে সংহতি এবং সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুরনো দল পুরনো নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব দরকার। গণঅধিকার পরিষদের যে গণজোয়ার উঠেছে, আমরা এ রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
ভিপি নুর বলেন, একক কোনো দল যেন সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না করতে পারে তাই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করার দাবি করেছি। সব দলের যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকে এ প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। কোনো অপরাজনীতি নতুন বাংলাদেশে চলবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচনের চিন্তাভাবনা। অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এ দেশের স্বৈরশাসকের বিদায় হয়েছে আবার ফিরে আসার জন্য নয়, ফিরিয়ে আনার জন্য নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের আত্মার শান্তি দিন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক পাঠান আজাহারের সভাপতিত্বে মনির মোল্লার সঞ্চালনায় ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফল ভোগ করতে যারা বিভিন্নভাবে বিচারপতি, ডিসি, এসপি নিয়োগ দিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, আপনারা কিন্তু গণহত্যাকারীদের ঠেকাতে পারছেন না। আমাদের জীবন থাকতে এ দেশের রাজনীতিতে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ঠাঁই দেওয়া হবে না, হবে না। আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভারতসহ বেশ কিছু দেশ উঠেপড়ে লেগেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে নুরুল হক নুর বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই। শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমতায় বসায়নি। জনপ্রত্যাশা পূরণের জন্য জনগণ আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। একটি স্বৈরশাসক সরকার রাষ্ট্রকে যেভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, তা সংস্কারের মাধ্যমে জনবান্ধব রাষ্ট্র কাঠামো হিসেবে দাঁড় করাবেন। তারপর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবেন। কিন্তু আপনাদের মতিগতি ভালো বুঝতেছি না। আপনাদের সতর্ক করে বলতে চাই, জনআকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না। ফল ভালো হবে না।
মন্তব্য করুন