

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং-ব্রাহ্মণ পাড়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ এস এম আলাউদ্দিন অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনুরোধে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এস এম আলাউদ্দিন জানান, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার সাধারণ মানুষ যদি আমাকে চায়, তাদের ভালোবাসা ও আস্থা যদি পাই, তবে আমি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। জনগণের ইচ্ছাই হবে আমার সিদ্ধান্তের মূল ভিত্তি। জনগণ চাইলে আমি তাদের শাসক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা করা এবং এলাকার উন্নয়নে কাজ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের সেবা করে আসছি। তাদের পাশে থেকে আমৃত্যু সেবা করে যাবো। আমি ২০০৭ ও ২০০৮ সালে কুমিল্লা-৫ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা পেয়েছি। ১৯৯১ সাল থেকে আমি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে রাজনীতি করছি। এলাকার মানুষ যদি আমাকে সুযোগ দেয়, তবে আমি প্রমাণ করতে চাই একজন সৎ ও আদর্শ এমপি চাইলে কীভাবে এলাকার আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে মাদকের অনুপ্রবেশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করব। পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন আমার অগ্রাধিকার হবে।
তিনি আরও বলেন,আগামী দিনে আমি এমন একটি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার স্বপ্ন দেখি যেখানে মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে দরজা খুলে ঘুমাতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, এসএম আলাউদ্দিন স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীও বটে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের হয়েছে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
বোরবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টা দিকে কলেজের কান্দিরপাড়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১১টার পর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসা শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এঘটনার সময় সিপাত ফাহাদকে হামলা করে এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। পরে পাহাদ ও সিফাতের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সিফাত তার বিভিন্ন কলেজে থাকা বন্ধুদের কল দিলে তারাও সিপাতের সঙ্গে এসে যোগ দেয়। বেলা ১২ টার কিছু সময় পর কলেজের শিক্ষার্থীরা বের হওয়া শুরু হলে সিফাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে ধারলো রামদা নিয়ে অন্য তরুণদের দৌড়াচ্ছে। এসময় এক তরুণদের হাতে পিস্তল দেখা যায়। তবে তার চেহারা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিলো না। ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া ঐ তরুণ সিফাত বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনায় আহত ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক জনের অবস্থা আশংকাজনক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনায় যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমরা এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং এঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানানোর ব্যবস্থা করছি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেই পুলিশ পাঠিয়েছি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় র্যাবের পৃথক অভিযানে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
১৯ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা। অভিযানে যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) এবং রতন দত্ত (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে এবং রতন দত্ত (৩৮) কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ দত্তর ছেলে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২৭ জানুয়ারী ২০১২ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোয়ার সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা-২, (হোমনা–তিতাস আসনে) বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার সরকারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার নির্বাচনি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত টিনশেড ঘরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, পুড়ে যায় ঘরের ভেতরের টেবিল, চেয়ার, পোস্টার ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিতাস থানার সাব ইন্সপেক্টর বিমল দাস বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি।আইসা কোন লোকজন দেখতে পাই নি। ঘরটি বিএনপি নেতা মনোয়ার সরকারের নির্বাচনি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তদন্ত চলছে কারা, কী কারণে আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে মনোয়ার সরকার বলেন, কলাকান্দি ইউনিয়নের কর্মী সভা এবং গণ সমাবেশ শেষে গণসংযোগ করি।সেটা শেষ করে আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই ।পথিমধ্যে জানতে পারি আমার অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এটি নিঃসন্দেহে পরিকল্পিত হামলা।
তিনি দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় একটি মহল ঈর্ষা ও প্রতিহিংসা থেকে এ ঘটনার পরিকল্পনা করতে পারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) আল হামিদ টেক্সটাইল নামে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। নয়তলা ভবনটিতে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে কারখানায় আগুনের সংবাদ পেয়েছি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় প্রিন্টিং কারখানা এবং কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এই আগুনে ১৬ জন পুড়ে মারা যায়।
তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনের মরদেহ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত শনাক্ত করেন স্বজনরা। ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে এসব মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের (২০২৫-২৬) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৬ জুন সাধারণ সভা শেষে ৩০ জুন দুপুরে সবার মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে কুমিল্লা টোয়েন্টি ফোর টিভির হেড অব নিউজ তামজিদ হোসেন লিপুকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে খোলা কাগজের প্রতিনিধি শাহ ইমরান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ম্যাক রানাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য পদে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র প্রতিবেদক মো: আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ডেইলি বাংলাদেশ মিররের বিশেষ প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন সোহেল, কোষাধ্যক্ষ পদে চ্যানেল বাংলাদেশের জুয়েল খন্দকার, দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক আজকের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দৈনিক সংবাদের সৈয়দ রাজিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে চ্যানেল বাংলাদেশের কন্ট্রিবিউটর বি এম মহিউদ্দিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে দৈনিক আজকের কুমিল্লার বার্তা সম্পাদক নাছরিন আক্তার ও আমোদ- প্রমোদ বিষয়ক সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র ডেস্ক ইনচার্জ সাবিয়া সুলতানা রয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, ডেইলি বাংলাদেশ মিররের সিনিয়র রিপোর্টার এড. সুদীপ রায় , দৈনিক মানবকন্ঠের মাহবুবুল আলম আরিফ ও দৈনিক যায় যায় দিনের বেলাল হোসাইন।
এ কমিটির উপদেষ্টা পদে রয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন মামুন, দৈনিক পূর্বাশার নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম বাবু, কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপুল, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, মোহনা টিভির প্রতিনিধি তাওহিদ হোসেন মিঠু, বাসসের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসাইন আকাঈদ।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন জিটিভির প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুন্সি, দৈনিক আজকের জীবনের নেকবর হোসেন, দৈনিক বাংলার আলোড়নের বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান খান, মাই টিভির প্রতিনিধি আবু মুসা, দৈনিক রূপসী বাংলার এন কে রিপন, আরটিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, সময় টিভির প্রতিনিধি ইসতিয়াক আহমেদ, দৈনিক পূর্বাশার জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান আশিক, দৈনিক আলোকিত কুমিল্লার সম্পাদক সাইফুল সুমন, সাপ্তাহিক মেগোতীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আসিফ মান্না, সারাবাংলা টোয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি রাসেল সোহেল, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, কুমিল্লা টোয়েন্টি ফোর টিভির আব্দুল মোতালেব নিখিল, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি সাকলাইন জোবায়ের, জাগো কুমিল্লার সম্পাদক অমিত মজুমদার, দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান মুন্না, দৈনিক ইত্তেফাকের দাউদকান্দি প্রতিনিধি শরীফ প্রধান, বার্তা টোয়েন্টি ফোরের মঈন নাসের খান রাফি, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি রাজিব সাহা, ডিবিসি টিভির ক্যামেরাপার্সন বিপ্লব।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের দুটি ধারায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো.সালমান হোসেন শিবলু (২২)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতার শিকার জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে। একই দিন সন্ধ্যার পরে তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার দুদিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ২২জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদন্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিল। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু লাভলুসহ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।
মন্তব্য করুন


বিদেশি পিস্তলসহ কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার (৪ জূলাই) ভোর রাত ৫ টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক হওয়া খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মেঘের রাজ্যে পর্যটকদের না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তারের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনভর সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় বিবদমান দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় মূলত বুধবার থেকে সাজেক যেতে না করছে প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটির সকল পর্যটন কেন্দ্র থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এবং র্যাব-১১ (সিপিসি-২) এর যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ নাজমুল ইসলাম শামীম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায় , গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে মোঃ নাজমুল ইসলাম শামীমের বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তার বাসা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি ও বিদেশি গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত গোপন আস্তানাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় জিপিএস ও লোকেশন ট্র্যাকিং পরিচালনা করে সন্দেহভাজন শামীমকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া নাজমুল ইসলাম শামীম মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া এলাকার মরহুম আব্দুল হালিমের ছেলে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র / পাইপগান, ৬০ রাউন্ড শটগান কার্তুজ, ( ১২ বোর × ৭০ মিমি – ৪০ রাউন্ড ও ১২ বোর × ৭৬ মিমি – ২০ রাউন্ড) । ১৮ রাউন্ড মেশিনগান গোলাবারুদ (৭.৬২×৫৪ মিমি, POF নির্মিত), ১ রাউন্ড পিস্তল গোলাবারুদ (৭.৬২×২৫ মিমি, টোকারেভ: S&B নির্মিত), ১ রাউন্ড রিভলভার/ এয়ারগান গোলাবারুদ, ১০টি ছুরি, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল। এছাড়া দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৮টি মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি জব্দ করা হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি পূর্বে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত বড় চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। ভয়ের কারণে অনেকেই প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করতে সাহস পান না, তবে একাধিক সূত্র থেকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই সেনাবাহিনী তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।
সন্দেহভাজন শামীমের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় কমপক্ষে ৭টি মামলা বিদ্যমান।
অস্ত্রসহ তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন