প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সকল সরকারি কর্মকর্তার জন্য ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা এবং বৃহৎ করপোরেশনগুলোকে ই-রিটার্নে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) প্রকল্পকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত করার ওপর নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করা, সামগ্রিক চিত্র ও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন রোডম্যাপের দিকে নজর রাখা এবং ভূমি সম্পর্কিত জনসেবা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের জন্য কার্যনির্বাহী সময়সূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান অশিক চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি, তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য পাঁচজন হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২০ নভেম্বর, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে, তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সার্ভারে প্রবেশের সময় ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) না আসায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।
হুমায়ুন কবীর জানায়, এনআইডি সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না।
সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দ্রুতই এনআইডির অনলাইন সেবা চালু হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ মামলায় ১০ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। রায়ে সব আসামির খালাসের প্রত্যাশা করেন দলটির আইনজীবীরা।
তারা জানান, জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতেই বিচারের নামে প্রহসন করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আর রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, ধারণার ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। আর দুদকের অবস্থান ছিল, মামলার নথিপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণে কোথাও বেগম জিয়াসহ আসামিদের দুর্নীতি অনিয়ম কিংবা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ মেলেনি।
মঙ্গলবার খালাস চেয়ে শুনানি করেন এ মামলার আরেক আসামি কাজী সলিমুল হকের আইনজীবী। এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলাকালীন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার ও দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়, যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল, তার নেতৃত্বে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মামলা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা তুলে দেয়া হবে, রাখা হতে পারে অপ্রদর্শিত অর্থ হিসেবে। আজ শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত বাজেট আলোচনায় এ কথা জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, এই সুযোগ (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেয়া হোক।
এ সময় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তারা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
তবে উত্তরণ পেছানোর বিপক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন আমাদের হয়ে গেছে ২০২১ সালে। এখন আমরা প্রথম তিন বছরের পর দুই বছর এক ধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। এখন নতুন করে যদি তিন বা পাঁচ বছর চাওয়া হয়–এটা এক ধরনের আবদার হতে পারে।’
অর্থনীতিবিদরা বলেন, গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী প্রযুক্তির ব্যবহারে শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমার শঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
র্যাপিড চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হেলথে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি হয়, এডুকেশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি, স্যোশাল প্রটেকশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি–এটা হবে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট করার সবচেয়ে বড় জায়গা। এবং আগামী দিনে কৌশলে কিন্তু আমাদের সেটাই চিন্তা করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে তিনি পালিয়েছেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'
তাজুল ইসলাম আরও জানান, 'গুমের ঘটনার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস।'
'তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এ সময় তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক বিরোধী দলের সংসদ সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সংসদ সদস্য মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।
দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে—ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্ণাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে।
গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান—ভোটার তালিকার একটি খসড়া প্রকাশ করা হোক, যাতে বিরোধীরা ভুল খুঁজে বের করতে পারে।
বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়, যখন নির্বাচন কমিশন বিহারের ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া শুরু করে। যা রাজ্যের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে চালু হয়। এই প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, কমিশনের এই পদক্ষেপ তার ক্ষমতার বাইরে এবং সময়টি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—যাতে বিরোধীদের ভোটব্যাংক বাদ দেওয়া যায়। এ ছাড়া ভোটার পুনর্যাচাইয়ের জন্য আধার বা কমিশনের নিজস্ব পরিচয়পত্রের মতো সাধারণ সরকারি আইডি বাতিল করায় বিতর্ক বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া চালু রাখতে অনুমতি দেয়, তবে নির্দেশ দেয় যেন প্রকৃত ভোটারদের বাদ না দেওয়া হয় এবং যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের আপিল করার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগের জবাবে কমিশন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছে—তিনি যেন সই করা হলফনামায় প্রমাণসহ তার দাবি জমা দেন।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। "জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ" শীর্ষক এই আলোচনায় উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয় রাখা হবে এবং জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার অস্থায়ী হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। "বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ আমাদের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে না," বলেন তিনি।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস চুরি ও লাইন লিকেজ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজিএস আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আগামী বছর বকেয়া পরিশোধের চাপ কমবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। "ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি," যোগ করেন তিনি।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, বিটিতে অংশগ্রহণকারী না পাওয়ায় পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসিকে দায়িত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তেলের দাম ওঠানামা করে। প্রতিবেশী দেশের বাজার ও ভর্তুকির বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হয়।"
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না।
তিনি বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, এটা তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং এটা অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পত্তি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এ রকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।
গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে আপিল দায়েরে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭ (১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
মাদকের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, মাদকদ্রব্যের রিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাদকাসক্তদের জন্য আলাদা কারাগার নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়, সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মাদকের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন