

চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সব বোর্ডের প্রশ্ন অভিন্ন হওয়ায় সোমবারের (১৫ মে) সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় ছয় শিক্ষাবোর্ডে সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে সই করেছেন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ১৫ মে ২০২৩ তারিখ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সব বোর্ডের প্রশ্ন অভিন্ন হওয়ায় উক্ত তারিখের সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ১৬ মে ২০২৩ তারিখ থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দীন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মলি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, আইন সম্পাদক কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুটপাতে ছানা ও মাঠা বিক্রি করার সময় জালাল উদ্দীন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের ফের নিরুৎসাহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক জীবনী আছে। তাদেরকে মানা করি কী করে? “তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদেরকে বলতে চেয়েছি।”
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় এবার চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথমধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত বলে আওয়ামী লীগের ভাষ্য।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবারো সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন আওয়ামী লগী সভানেত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পারিবারিক ফর্মুলা কী? নিজের ছেলে মেয়ে স্ত্রী, এই তো। তারপর হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলেমেয়ে, কয়জন স্ত্রী দাঁড়িয়েছে। এর বাহিরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমাদের লক্ষ্য।
“সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অর্থবহ করা।”
জাতীয় নির্বাচনের মত এবারের উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনারা। ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ তৈরি করতে দলীয় প্রার্থী না দেওয়া এমনকি কাউকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্য দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মত সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্ব কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে।
“আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। কারণ সাধারণত আসামিকে দেখালে পাবলিক তো সেটা নিবে না।”
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সময় বিমানবন্দর এলাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো গাড়িতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও গাড়িতে ছিলেন। এই সময়ে গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিয় নেত্রীর মুখ দেখার সুযোগ করে দিতে গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামান তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন।
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।
এছাড়া, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিরতির পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে কাতার থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। যাত্রার আগে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
তার আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের উপর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এবার তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিউলিপ সিদ্দিককে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় জোটটি। ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশনে অক্সফাম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও স্পটলাইট অন করাপশনের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন অন্তর্ভুক্ত।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ দেশটির অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ খোদ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কোয়ালিশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বর্তমান অবস্থান গুরুতর স্বার্থের সংঘাত তৈরি করেছে। ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে তিনি অর্থপাচার নিয়ম ও অর্থনৈতিক অপরাধের জন্য যুক্তরাজ্যের কাঠামোর দায়িত্বে আছেন, অথচ তার পরিবারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এমন একটি সরকারের সঙ্গে, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে।
কোয়ালিশন আরও জানায়, তার পদত্যাগ মন্ত্রী হিসেবে তার শপথ ভাঙা হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্বাধীন উপদেষ্টার তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে না। মন্ত্রীর বর্তমান দায়িত্বের আওতায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুনাম রক্ষায় জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টিউলিপ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থানে রয়েছেন কি না তা, নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে খালার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের পূর্ববর্তী সংযোগ ও সেই সময়ে কেনা পাঁচটি সম্পত্তির বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, এগুলোতে টিউলিপ বা তার পরিবার বসবাস করেছে ও এসব সম্পত্তি আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের দ্বারা-ই কেনা হয়েছিল।
এছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি বা নিজেকে বারবার নির্দোষ দাবি করলেও বাংলাদেশের গণভবনে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টারসহ টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশকিছু জিনিস পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস বলছে, তাদের প্রতিবেদক বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার হিসেবে টিউলিপকে দেওয়া পোশাক-গয়না, দামি কলমের মোড়কসহ নানা জিনিস গণভবনে পড়ে থাকতে দেখেছেন। এসব বিষয় টিউলিপকে নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
তবে বিতর্ক চলতে থাকলেও লেবার সরকার টিউলিপের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, ট্রেজারি মন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান ও আমরা সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে কিছু বলবো না।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও।
এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরাইলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি আরও বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’।
এছাড়া ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বিএএল), তাদের সহযোগী এবং গণহত্যাকারী নেত্রী সম্ভবত ভাবছেন, এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা কল্পনা করছে—দুপুরবেলা ডজনখানেক মানুষকে হত্যা করে হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে ঢাকার কেন্দ্রে পাঠিয়ে রাস্তাগুলো দখল করবে। দুঃখিত, এখন এটি নতুন বাংলাদেশ।”
তিনি আরও লেখেন, “জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই—চিরদিনের জুলাই।”
মন্তব্য করুন


জাতীয় জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় এই স্বাক্ষরগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষরগ্রহণ অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত।
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঞ্চে নেতাদের মধ্যে দেখা গেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে।
এর আগে দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুপুর ১টার দিকে জুলাই যোদ্ধারা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বৃষ্টি নামলে অনুষ্ঠান কিছুটা বিলম্বিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা দেরি হতে পারে। তিনি লেখেন, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, কিছু অতিথি ইতিমধ্যেই ভেন্যুতে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, খুব ভালো সনদ হতে যাচ্ছে। কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, তবে আমরা ভবিষ্যতে সেটি সমাধানে কাজ করব। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্রের পথে শক্ত যাত্রা শুরু হবে।
এদিকে দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ রকম ঘটনা বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। ঐকমত্য কমিশনের আহ্বানের পরও পরিস্থিতি যেভাবে গড়িয়েছে, তা শুভ বার্তা নয়।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি দাবি কমিশন বিবেচনায় নিয়েছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে জুলাই সনদে সংশোধন এনেছে। এখন আর তাদের উদ্বেগের কারণ নেই।
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ দুপুর ২টার দিকে জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করে।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দল আগেই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জানায়, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া তারা সনদে সই করবে না। একইভাবে, সংশোধিত খসড়া না পেলে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত জানায়।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতেই এই অভিযান চলছে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
আজ সোমবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৫ আগস্ট ঘিরে মানুষের মধ্যে কোনো আতঙ্ক রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ৩ আগস্ট নিয়েও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে এসেছে।
তিনি আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
তবে তা উন্নত হয়েছে কি না, সেটা জনগণই ভালো বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী, নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ এখন আর নেই। নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, দুটি ব্যালট থাকবে, একটি গণভোটের জন্য।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যেদিন ঐকমত্যের নথি জমা দেওয়া হলো, মনে আছে, সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল ১৭ তারিখ। তার আগে আবার সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার ঠিকঠাক করে সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়ে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে সেখানে স্বাক্ষর করলাম। কিন্তু যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সেটা উপস্থাপন করা হলো, তখন দেখা গেলো অনেক পার্থক্য। বিশেষ করে আমরা যে ‘নোট অব ডিসেন্ট’গুলো দিয়েছিলাম, সেগুলো উল্লেখ করা হয়নি। তাই আমরা বলেছি, ‘ইটস অ্যা ব্রিচ অব ট্রাস্ট’। অথচ তারা সেই আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যে কমিশন তৈরি করেছেন, সেই কমিশন প্রায় এক বছর আট-নয় মাস ধরে ঐকমত্যের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। সংস্কার ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রে একমত হয়েছিলাম। কয়েকটি বিষয়ে মতভেদ থাকায় আমরা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। অর্থাৎ, আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও মূল বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম, এটাই নিয়ম। যখন আমরা নির্বাচনে যাবো, তখন ম্যানিফেস্টোতে এই বিষয়গুলো থাকবে। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, তাহলে আমরা সেসব বিষয় সামনে আনবো, পার্লামেন্টে পাস করে দেশের পরিবর্তন ঘটাবো। আর যদি ভোট না দেয়, তাহলে সেটি বাদ পড়বে।
তিনি আরও বলেন, যারা বলে বিএনপি সংস্কার চায় না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে। আগে ১০ দফা, পরে ২৭ দফা, এরপর ৩১ দফা দিয়েছে, সবই সংস্কারের জন্য। আমরা প্রত্যেকটি সভায় উপস্থিত থেকেছি, আলোচনা করেছি, শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যের সনদে সই করেছি। বিভ্রান্তি যদি আসে, সেটা ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে।
নির্বাচন ও গণভোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন করবো, নির্বাচন করতে চাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু আজকে সেই নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে, তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ এখন আর নেই। নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, দুটি ব্যালট থাকবে, একটি গণভোটের জন্য, আরেকটি জাতীয় সংসদের জন্য। এই বিষয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা এই নিয়ে রাস্তায় নেমে গোলমাল করছেন, তাদের অনুরোধ করবো জনগণকে আর বিভ্রান্ত করবেন না। এক সময় আপনারা পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। আজকে জনগণ যে নির্বাচন চায়, তার বিরোধিতা করবেন না। এই দেশের মানুষ দেশ বিক্রির রাজনীতি ক্ষমা করে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই। যাদের সঙ্গে আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়েছি, একসঙ্গে কাজ করেছি, তাদের নিয়েই আমরা জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট আসুন, সবাই মিলে নির্বাচনের সুযোগকে কাজে লাগাই। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার গঠন করি।
মন্তব্য করুন


মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আজ (১৯ নভেম্বর) ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার এই ঐতিহাসিক ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে জমকালো আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে সতীর্থদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন মুশফিক। এসময় গ্যালারিতে তার ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ভক্ত-সমর্থকরাও। এই বিশেষ মুহূর্তে মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও।
মুশফিককে সম্মাননা জানাতে বোর্ড ও সতীর্থরা তার হাতে নানা স্মারক তুলে দেন। তার হাতে শততম টেস্ট উপলক্ষে বিশেষ ক্যাপ পরিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, যিনি ২০০৫ সালে তার অভিষেক টেস্টেও তাকে ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার আকরাম খানও তাকে একটি বিশেষ ব্যাগি ক্যাপ উপহার দেন।
এছাড়াও, মুশফিকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং হাবিবুল বাশার যৌথভাবে মুশফিকের প্রথম ও শততম টেস্টের সতীর্থদের স্বাক্ষর করা জার্সি তাকে উপহার দেন।
মন্তব্য করুন