ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিচালক সাঈমা ওয়াজেদ পুতুলকে শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এর চার মাস আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। খবর হেলথ পলিসি ওয়াচের।
ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেইলে জানান, সাঈমা ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে থাকবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ডব্লিউএইচও-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বেহম ‘কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, বেহম ১৫ জুলাই মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কার্যালয়ে পৌঁছাবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সাঈমা দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তবে শুরু থেকেই অভিযোগ ওঠে যে তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই বিষয়ে দুদকের তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাঈমা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল দলিল ব্যবহার) লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি অনারারি পদে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এই তথ্য তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন করার সময় উপস্থাপন করেছিলেন।
দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, সাঈমা তার সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান থাকাকালে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন, যা তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আদায় করেন। তবে এই অর্থের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দুদকের মামলায় দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আরো যে ধারাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো—বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পত্তি গ্রহণ) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।
এই অভিযোগের পর থেকে সাঈমা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেই তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) র্যাব বিলুপ্ত, ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এসবি ইমিগ্রেশনের বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল/ট্রানজিট ভিসা আবেদনে অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজীকরণ ও পাসপোর্ট আবেদনকারীদের জটিলতা/অভিযোগ ৯৯৯-এ জানানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ র্যাব বিলুপ্তির প্রস্তাব দিয়েছে। বিজিবিকে সীমান্ত রক্ষার মধ্যে থাকা, ডিজিএফআইকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও আনসারের ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ না রাখার বিষয় প্রস্তাবনাও দিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা সবাই বসবো। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) সেটা আমরা জানাবো। তাদের এই তদন্তের বিষয়ে আমরা তো সবাই স্বাগত জানিয়েছি। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক ও অন্যরা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে এখন বেসামাল হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত রাখতে নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জেলা সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে আওয়ামী সরকারের মদদে জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোনও মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার এবং বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, গতকাল ১৭ মে রাতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৯নং ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, ৮নং ফুলকোচা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, ২নং কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল, সাবেক ছাত্রনেতা ও শেরপুর জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেনকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়। তার আগে শেরপুর জেলায় জেলা সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আগের রাতে ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে বানচাল করার লক্ষ্যে জনবিচ্ছিন্ন সরকার এ ধরনের অপকর্ম সংঘটিত করছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মন্তব্য করুন
আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দিতে আদালতের রায় এসেছে, আপনারা কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, এখন পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়ে আমরা কোনো পর্যবেক্ষণ পাইনি। পর্যবেক্ষণ পাওয়ার পর আইনিভাবে যা প্রযোজ্য, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের প্রতীকের বিষয়েও বলছি, আইনগতভোবে যেভাবে প্রাপ্য, সেভাবেই পাবে। প্রতীকের বিষয়ে তাদের নিবন্ধনের বিষয়ে কী পর্যবেক্ষণ আছে, ডকুমেন্ট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার কিছু বলার থাকে না।
এর আগে, ২০১৩ সালে করা এক মামলায় আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করলে নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায়ে সম্প্রতি ইশরাক হোসেন ডিএসসিসির মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষিত হলে তা বিরোধিতা করে রিট আবেদনের ওপর আপিল বিভাগ বিষয়টিতে ইসিকে সিদ্ধান্ত দিতে বলে।
মন্তব্য করুন
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস এপ্রিলে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন, এই ভেবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তারা আবার আক্রান্ত হতে পারেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনার অভিযোগ জানান। কোনো শক্তি নেই যারা আপনাদের গায়ে আবার হাত দিতে পারবে।’’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে যেসব বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহর-বন্দরগুলোতে দেয়াল ও দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও যারা আগে গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে তারা লিখে গেছেন, রেখেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে। এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই।’’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল দেশে নয়, গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌশলী করিম খানের সঙ্গে আমার ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়তে পারে, সে জন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তকাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য হয়নি। বরং এটি ছিল জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "মৌলিক ও গঠনমূলক সংস্কার করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান ও স্বচ্ছ হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জুলাই সনদ জাতির সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার, এবং এ অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে দেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ও পথ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই।"
এনসিপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মন্তব্য করুন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে পৃথক দুটি ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আব্দুল মালেক দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া, তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এর আগে, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মালেক। তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত তাকে উভয় ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এদিকে, আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে দেশ তিনটির এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার (২২ মে) বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ ছিল। আগামী ২৮ মের মধ্যে এই স্বীকৃতি আসতে পারে।
নরওয়ের ঘোষণার পরপরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, তার দেশও ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আমরা সবাই এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার বলেছেন, দেশটির মন্ত্রী পরিষদও ২৮ মে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। সমন্বিতভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন