

রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউজের উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করেন এবং জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এরপর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি নিকট অতীতের তুলনায় আরও কার্যকরভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক শেষে তিনি তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া, বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবির জানান, দুপুরে গুলশানের এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সেখানে তিনি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত মেডিকেল বোর্ডের কাছে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। পরবর্তীতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে বলে জানান।
দলের পক্ষ থেকে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দেশবাসীর কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শায়রুল কবির খান।
এর আগে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। সবশেষ বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানান শায়রুল কবির খান। সেই সঙ্গে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। কিছুদিন পরপরই নানা জটিলতায় তাকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
গত ১৬ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, "দুদক ছিল, উচ্চ আদালত ছিল, কিন্তু বিচার হয়নি। তবে বিচার হয়েছে খালেদা জিয়ার।"
বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "দুদকে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।"
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, "সৎ প্রজন্ম তৈরি করতে পারলে দুর্নীতিবিরোধী সমাজ গঠন করা সহজ হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেবল প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ নয়, বরং সবার মনে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে হবে।"
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে আত্মগোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় পলক এই তথ্য জানান।
শুনানিতে তিনি আরও বলেন, "আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে জেলগেটেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। আমি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।" শুনানি শেষে আদালত ভাটারা থানার হত্যা মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন


সাবেক ৪ সংসদ সদস্যের পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তারা হলেন- শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবার, শওকত হাচানুর রহমান ও তার স্ত্রী এবং আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী। এছাড়া মঙ্গলবার মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
দুদকের পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের ভিন্ন ভিন্ন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শাহীন চাকলাদারের পরিবার
যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, তার স্ত্রী ফারহানা জাহান মালা, দুই মেয়ে সামিয়া জাহান অন্তরা ও মাঈসা জাহান অহনা এবং ছেলে জাবীর চাকলাদারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের উপপরিচালক মো. শফি উল্লাহ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শাহিন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শুনানি করেন।
হাচানুর ও তার স্ত্রী
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান, তার স্ত্রী রওনক রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন।
হাচানুর রহমানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (বরিশালের আগুরপুর রোড, রুপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়; বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা; ঢাকার নলটোনা, নতুন শহর এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে-যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তার স্ত্রী রওনক রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি করেন।
আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী
গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী রুহুল আরা রহিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। আবুল কালাম আজাদ গোবিন্দগঞ্জে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার জমি, ৬ তলা বাড়িসহ ৬টি ফ্ল্যাট, বগুড়া শহরের জলেশ্বরী তলায় ২টি বাড়ি, ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১টি বাড়ি, গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ ২০টির মতো বাস ও ট্রাক ক্রয় করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
আবুল কালাম আজাদ এবং তার স্ত্রী মোছা. রুহুল আরা রহিম অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুদকের পক্ষে বিশেষ পিপি রেজাউল করিম রেজা তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শুনানি করেন।
মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রী
চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’ হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে বিচার বিভাগে অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।'
এ পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যাতে বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করা যায় এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা পায়। বিশেষভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে মনিটরিং সভা নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্যান্য আদালতে সেবার মানোন্নয়নের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা নিতে পারেন এবং যেকোনো অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। অভিযোগসমূহের তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত অন্যান্য পরিকল্পনাগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে। বিশেষত, ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলোকে পুরোপুরি ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, বিচার বিভাগে মেধার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেলোশিপ বাস্তবায়ন করতে নীতিমালা প্রণয়ন দ্রুত চলছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিচার বিভাগ জনগণের সেবার জন্য গঠন করা হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা কী এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে বিচার বিভাগ কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা জানার জন্য প্রধান বিচারপতি ২০২৫ সালে দেশের সকল বিভাগীয় শহরের আদালতগুলোতে স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এই মিটিংগুলো রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে কাগজবিহীন বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এই বেঞ্চের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল কাগজাদি অনলাইনে প্রদান করা হবে। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও পেপার-ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে এক কনফারেন্সে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত সংগ্রহ করা হয়। শিগগিরই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
মন্তব্য করুন


মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি জানান, জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তখন ওই ৩০০ জায়গাতেই ‘মব’ ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করেন, তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবে। তখন একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। যারা মব সৃষ্টি করতে চায় বা মব সৃষ্টি করবে, তারা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না।
নাসির উদ্দীন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মূলত জানতে চেয়েছেন—নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনি চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করেছি। যদিও তার আগেই বড় বড় কাজগুলো শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যেন প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকে। নির্বাচন কমিশনকে যাতে কোনো ব্লেম (দোষ) দিতে না পারে।’
মন্তব্য করুন


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার তিনি নিজেই এই পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে আমি কেন পদত্যাগ করেছি, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।"
এর আগে, তিনি কেবিনেট সেক্রেটারির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার ব্যক্তিগয় সচিব (পিএস) এর মাধ্যমে এই পদত্যাগপত্র কেবিনেটে পাঠানো হয়।
গত নভেম্বরে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন। তাদের মধ্যে অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে তাদের জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। বিজিবির ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি মহাপরিচালককে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
অভিবাদন গ্রহণ শেষে বিজিবি ডিজি নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত এই বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সুদীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষাসহ সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রেও বিজিবি অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিক জীবনের অলংকার।
আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিক হিসেবে এই সকল পেশাগত ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল পূর্বসূরীদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করতে পারবে।
নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আজ নবীন নারী সৈনিকরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃপ্ত শপথ নিয়ে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নবীন নারী সৈনিকরা বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আরও গতিশীল ভূমিকা রাখাসহ বাহিনীর সুনাম-সুখ্যাতি বৃদ্ধিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করবে।
বিজিবি মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। নবীন সৈনিকরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।
উল্লেখ্য, ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৬ জানুয়ারি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ৬৫৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুট আজ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে সৈনিক জীবনে পদার্পন করলো ।
মন্তব্য করুন


কারাগারে থাকা বন্দিদের জামিন পাওয়ার পরও আদেশ না পৌঁছানোয় বিভিন্ন সময়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। সব ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই এসব নিরসনে বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরা করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়া। বুধবার অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। এই জামিননামাটা, একটা লোক জামিন পাওয়ার আদালত থেকে শুরু করে ছাড়া (মুক্তি) পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়াতে যেতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। ১২টা ধাপে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। আগামীকাল বুধবার আমরা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে যেখানে আসামি আছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। কারো সহযোগিতা লাগেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা বিশ্বাস করেন। অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের আইজিআর অফিসে (রেজিস্টার অফিস) ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে। বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন, হিউম্যান রাইটস আইন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
মন্তব্য করুন


সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নেই। বাজারে যারা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, সেটা তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত হতে পারে—সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৬ টাকা, পাম ওয়েলের দাম ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৩ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
গত আগস্টেও ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। সে সময় ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছিল মাত্র এক টাকা বাড়াতে।
নতুন করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হলেও উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে—সরকার এখনো বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয়নি।
মন্তব্য করুন