আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।
এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে। বিশ্বাস করি এটি হবে ঐতিহাসিক বৈঠক এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বিএনপি। যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনসহ সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের প্রতি ভয়ংকর বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে। বিদেশী তকমা দিয়ে প্রতিদিন পুশইন হচ্ছে। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগানোর প্রচেষ্টা। সীমান্ত এলাকায় পুশইনের হিড়িক লেগেছে। বাংলাদেশ কি বর্জ্য ফেলার স্থান, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
দেশের লোককে বিদেশী বানিয়ে ভারত বাংলাদেশে পুশইন করতে চাইলে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ। ভারতকে মনে রাখতে হবে অত্যাচার-নিপীড়ন করে শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারেনি।
সম্প্রতি করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারতে এরই মধ্যে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে একজন মারাও গেছে। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত করনীয় নির্ধারণ করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। সুরক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
‘পাশাপাশি ডেঙ্গুও মারাত্মক রূপ নিয়েছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এর জন্য সরকারের সঙ্গে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বা জানান।’
ঈদযাত্রা ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৭ জন মৃত্যুর সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনা বেড়েছে। এছাড়াও ঈদে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্মও ছিল। ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন আনন্দের ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতির অবনতি দেখা গেছে। প্রশাসন আরও তৎপর হলে তা কমানো সম্ভব হতো।
মন্তব্য করুন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, ২ মার্চ মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানি নির্ধারণ করেছিলেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে এক রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ আদেশ স্থগিতের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। একপর্যায়ে এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬,৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
নতুন বছরের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অনেক শিক্ষার্থী এখনও নতুন বই হাতে পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই আশ্বাস দেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখনও অনেক শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছায়নি। তবে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে। বই ছাপাতে দেরি এবং বিতরণ প্রক্রিয়ায় সমস্যার কারণেই এখনও নতুন বই পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রকৃত চাহিদার চেয়ে বেশি বইয়ের অর্ডার দেওয়া হয়। অতিরিক্ত চাহিদা অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য সব লেনদেন দেখানো হয়।’
এই উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা ছিল। পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে, তা বলা যাবে না। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
এদিকে, নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মূল্যবোধ গঠনে কাজ করে যাবেন। সবার সহযোগিতায় শিক্ষা খাতের সমস্যা সমাধান এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি নিজ দপ্তরে যান। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে আসেন তিনি। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময়ও করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক সি আর আবরার। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছিলেন।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছি। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেছেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এই সময় বেঁধে দেন।
রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই মারধরের শিকার হয়েছিলেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীরাও ছিলেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৯১ জনের নামপরিচয় উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার শাহবাগ থানায় এ মামলার আবেদন করেন। এরপর বিকালে শাহবাগ থানার অভ্যন্তরে প্রেস ব্রিফিং করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
প্রতিদিন জনস্বার্থে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই অন্যের কল্যাণে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। সেই ইচ্ছাকে জাগ্রত করতে হবে। নিজের জন্য কাজ করার চেয়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করায় বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়াকাথন ও সমাজসেবা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, সরকারের চেয়ে ব্যক্তির ক্ষমতা বেশি, আর ব্যক্তির আত্মশক্তি জাগ্রত হলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে অন্যের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সমাজসেবা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সবাইকে এই দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া। যেন কেউ এই দায়িত্ব ভুলে না যায় বা এড়িয়ে না চলে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হলো সমাজের সবাইকে তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই জনস্বার্থে কাজ করার প্রবণতা লুকিয়ে থাকে। সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নে এটাই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এশীয় নেতাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ চীনের বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মিয়ানমারের সংকট শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত নেই, এটি পুরো এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। গত সাত বছরে বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক। এখন এশীয় নেতাদের উচিত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
তিনি বলেন, "গাজায় চলমান গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও তা থামছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম বা আরব বিশ্বের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।"
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, "ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ঋণের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠেছে এবং মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই অবস্থায় এশিয়াকে শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, দায়িত্বশীল অর্থায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এশিয়ার সভ্যতা বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুধু এশিয়াই নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।"
তিনি এশিয়ার যুবশক্তির সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "এই অঞ্চলের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন, যেখানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধ ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকেও টেনে আনল ইসরাইল। দুই ইসরাইলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরাইলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।
সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আইসিসি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের একটি কেলেঙ্কারি’ হবে।
মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া করে দেবে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির অধীনে তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
জাকির হোসেন ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করে ১৯৮১ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাকির হোসেন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার উদ্দেশ্যে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এই কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।”
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে জাপানের ‘দৃঢ় সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই সম্পর্ক সবসময়ই শক্তিশালী ছিল।”
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।”
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে কোনো জাপানি কোম্পানি চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।”
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগণের পুনর্বাসন হতে পারে এবং তারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন