

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানায়। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় বিজিবির সদস্যরা কাজ করবেন।
এদিকে গত কয়েকদিনে রাজধানীতে প্রায় ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছে।
জানা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৩ নভেম্বর। দিনটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচার—যার মধ্যে রয়েছে গণসমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, লকডাউন ঘোষণার গুজব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো প্রচারণা। কথিত দুর্বৃত্তরা টানা কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) খান মো. এরফান তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভির দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ডিসিস্ট আসাদুল হক বাবু মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে মহান সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকারককে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দল-মতকে প্রত্যাখ্যান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক এহেন কার্যক্রম সংগঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু।
দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিলে নামে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা। এসময় আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতারা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থনে মহাসড়কে নেমে ভাঙচুর চালায়। পরে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষ মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন


২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি; যাতে ক্ষমতা আসল প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে মনোযোগী।
এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়েও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এবং তিনটি নোট বিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া গেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে-সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এসব ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ শুক্রবার তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ। এ অবস্থায় বঙ্গপোসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অপরাধে ভারতীয় পতাকাবাহী ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ সময় দেশীয় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার তিনটি বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার বিকালে আটক জেলেদের আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন


প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্থানীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বাত ইয়ামে যে তিনজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত অন্য দুইজন নারীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৯ এবং আরেকজনের বয়স ৮০ বছর।
এদিকে ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নতুন করে এবার ইরানের তেল স্থাপনা ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও কমান্ডার ও অন্তত ১২ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’-এ তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায় এবং জাপান সেই বন্ধু। আমাদের কাজ হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং আপনি আমাদের সঙ্গী ও বন্ধু। এটি বাস্তবে রূপ দিন।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে। অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতিমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি পিছিয়ে থাকা একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়। এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ব্যাপার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতো যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে। মাতারবাড়ি হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখব।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, বাংলাদেশ হলো একটি কৌশলগত বিন্দু যা এশিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে জাপান দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার।
জাপান সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তাকেউচি ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল শিল্পভিত্তিক উল্লেখ করে তিনি আরো বিস্তৃত খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে এবং এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা প্রতিটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।"
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।"
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দল আজ বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।"
তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান এখন দেশকে হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"
মন্তব্য করুন


সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনকার নির্বাচন কমিশন কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। তারা আইন অনুযায়ী নিউট্রালি কাজ করতে চায়। যেহেতু আগের সিইসি, নির্বাচন কমিশন থেকে অনেক কিছু চেয়েছে, আমাদের এখন সেরকম কোনো সমস্যা নেই। এই সরকার এখন পর্যন্ত চায়নি। আমাদের বলতে দ্বিধা নেই, যেদিন সরকার চাইবে সেদিন নাসির উদ্দিন এই চেয়ারে থাকবে না। যেদিন সরকার চাইবে তার মতো করে কাজ করতে, আমাকে এই চেয়ারে দেখবেন না। সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা অনিয়ম করেছিলেন, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেরকে কোথায় পাঠাবো? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়াও প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।
কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটকেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে, নিঃসন্দেহে তারা ইতোমধ্যে অনেক ভালো কাজ করেছে। আমাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন।
শনিবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আগে ও পরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। তার মাধ্যমে আমাদের আশাগুলো কিছুটা হলেও পূরণ করার সুযোগ হবে। আশা করব, আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো, ফ্যাসিবাদবিরোধী আমরা সবাই একজোট হয়ে একসঙ্গে তাদেরকে সহযোগিতা করব। আমাদের যে লক্ষ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারব।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বেশ কয়েকটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হচ্ছে, একটা গুরুত্বপূর্ণ দল (এনসিপি) সম্ভবত কাল (রবিবার) নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবে। আমরা তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা প্রত্যাশা করি, এই তরুণেরা, এই নবীনেরা যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।’
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানিয়ে দলের মির্জা ফখরুল বলেন, কতগুলো বিষয়ে একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছি না। যতগুলো বিষয়ে একমত হওয়া যাবে, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। যেগুলোতে একমত হবে না, নির্বাচনের পরে সেগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা করব, ওই বিষয়গুলো আমরা একমত হব।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বলেছেন যে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা পোষণ করেন না। তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার সরকার এখনো নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করেনি। সাক্ষাৎকারটি বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমাদের কাজ হলো সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবো।"
ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগে ফ্যাসিবাদের সব বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে তাদের কোনো স্থান নেই।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তার নেতৃত্বাধীন সরকার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, সরকার শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাইবে না, যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা না বাড়ে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অবস্থান থাকার প্রয়োজন নেই।"
দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কারচুপি ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ করে আসছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি পরবর্তী সময়ে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে বলে আমার ধারণা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।"
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আমরা ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারি। তবে রায় ঘোষণার আগে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।"
ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের প্রতিবেশী সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারত যদি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সমর্থন দেয়, তবে তা উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে।"
মন্তব্য করুন