প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না বলে জানান তার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।


তিনি বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।


শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে এ পোস্টে এসব তথ্য জানায় তিনি।


ওই পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বরং ক্যাবিনেটকে আরো গতিশীল হতে হবে।


সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।


তিনি বলেন, আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরো নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে।


কোন ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি।


তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না।

বিশেষ সহকারী  ফয়েজ বলেন, তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।


নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে'র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি।


এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। জুলাই-আগস্ট'২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি।


সবশেষে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় একই পরিবারের ৩জন মাদক কারবারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। 


বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


নিহতারা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি(৫০), তার ছেলে রাসেল মিয়া(৩৫), ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫),


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত রোকসানা আক্তার রুবি নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা করে আসছিল। 

যারাই রুবির মাদক ব্যবসায় বাধা দিত, তাদেরকেই মামলা দিয়ে হয়রানি করত রুবি। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, বাঙ্গরা সহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।


ফলে স্থানীয় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী রুবির বাড়িতে হামলা করে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই রোকসানা আক্তার রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার মৃত্যুবরণ করে। 


অপরদিকে রোকসানা আক্তার রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০) এই গণপিটুনির শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি গণপিটুনিতে রুমা আক্তারও নিহত হয়েছে। 


তবে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান ৩ জনের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ: কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ: কমিশন
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।


এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

সারা দেশে অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ

সারা দেশে অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।


সার্ভারে প্রবেশের সময় ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) না আসায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।


হুমায়ুন কবীর জানায়, এনআইডি সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না।


সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দ্রুতই এনআইডির অনলাইন সেবা চালু হবে বলে জানান তিনি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।


বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।


নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।


এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।


সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।


চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।


চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।


রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।


দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।


সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।


সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।


আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।


খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।


ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।


ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।


বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।


আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।


ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।


আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।


আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।


অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।


২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।


নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।


এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।


করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।


সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।


আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার
ছবি: সংগৃহীত

অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে ৪ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।


আজ সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজ রহমান এ আদেশ দেন।


এর আগে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী সর্বোচ্চ রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। পরে আদালত আদেশ দেন।


এর আগে রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।


প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

সারাদেশে অপরাধ কমাতে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

সারাদেশে অপরাধ কমাতে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। পুলিশ যে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেটি সবাই জানে।


শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।


আইজিপি বলেন, সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রসমাজের সহযোগিতা চাই। সবাই মিলে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।


সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।


এছাড়া, সমন্বয়কদের হুমকি সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এখনো কোনো গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।


অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পরে জনগণ এমন একটি পুলিশ বাহিনী চায়নি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের পুলিশের ওপর এত ক্ষোভ কেন, তা বিশ্লেষণ করা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতো, তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

সারজিসের হুঁশিয়ারি: গাফিলতি হলে স্থান থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের

সারজিসের হুঁশিয়ারি: গাফিলতি হলে স্থান থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের
সারজিসরে ছবি 28

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, "আমরা অন্তবর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্বে সামান্যতম গড়িমসি হয়, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর কোনো জায়গা থাকবে না।"

তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যদি তারা এটি করতে না পারে, তাহলে এটি তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হবে।"

আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সারজিস আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, খুনী হাসিনার বিচার করা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যারা এই হত্যাযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত, যারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, খুনী হাসিনার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র গড়িমসি করেন, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর আর কোনো জায়গা থাকবে না।"

তিনি আরো বলেন, "আমাদের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আগামীর প্রজন্ম- আপনাদের শুধু একটি অনুরোধ করতে চাই, আমরা দলকানা হবো না, কোনো গোষ্ঠীর পূজা করবো না। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।"

ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, "বিভিন্ন মহলের প্রোপাগান্ডার সেলগুলো বক্তব্যের খণ্ডাংশ নিয়ে ঘটনাগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এই অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলোকে বিভিন্নভাবে গুজবের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে কি না, এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করার মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।"

শহীদ পরিবারগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "এটা শুধুমাত্র শুরু, অল্প কিছু টাকা দিয়ে মানুষ হারানোর শোক পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কথা দিতে চাই, এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন যতদিন থাকবে এবং আপনারা যতদিন থাকবেন, আপনাদের জন্য জীবনের বিনিময়েও কাজ করে যাবো।"

শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৫৮ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আশশেফা খাতুন, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত


বাংলাদেশকে আবার কিভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন বলে জানায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 


আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


জুলাই আন্দোলনে বিএরপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশ নেমে এসেছিল। জুলাই আন্দোলনে যুবদলের শহীদ ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন। যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।


বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো একটি দল বা ছাত্র একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিল। সবার অংশগ্রহণে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে’।


মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর চাঁদাবাজি- এটা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনা পতনের মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশ এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। 


বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না?


সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরণের সহযোগিতা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। দেশের মানুষ লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কিভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় জামায়াত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় জামায়াত
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় জামায়াত


ডেস্ক রিপোর্টঃ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় মন্তব্য করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায়। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

আব্দুল হালিম বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একের রূপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রত্যাশা জামায়াতের।

আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি:  প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’

তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’

দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’

তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’

১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’

আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

জাতীয় নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল সৌদি

কেন ঢাকা সফর স্থগিত করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি

অফিশিয়াল পাসপোর্টে বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন : প্রেসসচিব

সাদা পাথরের পর এবার বিমানের ১০ চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১০

নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

১২

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেফতার

১৫

হাসিনার বিরুদ্ধে অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে : প্রসিকিউটর

১৬

বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

১৭

‘বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান’

১৮

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে শর্ত দিলেন পুতিন

১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০