

ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন


উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানান, বিভিন্ন হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা দুপুর পর্যন্ত ৩১ জন দাঁড়িয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ১৬৫ জন।
এরমধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ জন, মৃত্যু নেই। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন, মৃত্যু ১০ জন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তিনজন, মৃত্যু একজন। ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ২৮ জন, মৃত্যু ১৬ জন। উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে চিকিৎসাধীন ১৩ জন, মৃত্যু দুজন। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬০ জন, মৃত্যু একজন। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন, মৃত্যু নেই।
এছাড়াও শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন, মৃত্যু নেই। ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজন, মৃত্যু একজন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন এবং সেখানে কোনো মৃত্যু নেই।
আইএসপিআর জানিয়েছে, হাসপাতালগুলোতে মোট চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬৫ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩১ জন।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় দলটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ বছরে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত শেখ হাসিনা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
আদেশ অনুযায়ী, যাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে তাদের আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ইতোমধ্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রেফতার হয়েছেন। তাকেও একই দিন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। গুমের অপরাধকে আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এসব গুমের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের প্রমোশন ও বিদেশে পাঠানোর মতো প্রলোভন দেখানো হতো।
তিনি আরও বলেন, এবার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে দায়মুক্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) খান মো. এরফান তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভির দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ডিসিস্ট আসাদুল হক বাবু মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে মহান সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকারককে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দল-মতকে প্রত্যাখ্যান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক এহেন কার্যক্রম সংগঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু।
দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদুল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও।
এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরাইলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি আরও বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’।
এছাড়া ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে তাদের জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। বিজিবির ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি মহাপরিচালককে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
অভিবাদন গ্রহণ শেষে বিজিবি ডিজি নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত এই বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সুদীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষাসহ সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রেও বিজিবি অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিক জীবনের অলংকার।
আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিক হিসেবে এই সকল পেশাগত ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল পূর্বসূরীদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করতে পারবে।
নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আজ নবীন নারী সৈনিকরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃপ্ত শপথ নিয়ে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নবীন নারী সৈনিকরা বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আরও গতিশীল ভূমিকা রাখাসহ বাহিনীর সুনাম-সুখ্যাতি বৃদ্ধিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করবে।
বিজিবি মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। নবীন সৈনিকরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।
উল্লেখ্য, ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৬ জানুয়ারি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ৬৫৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুট আজ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে সৈনিক জীবনে পদার্পন করলো ।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। কারণ, ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পরামর্শ চাওয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিরা এ বিষয়ে মতামত দেন, যার প্রথম লাইন ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পদত্যাগ করেছেন...।’ এরপর সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় একটি নোট রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়, যা তিনি গ্রহণ করেন এবং তার ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।’’
আসিফ নজরুলের মতে, ৫ আগস্টের ভাষণ এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা সত্যিই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রায় আড়াই মাস পর রাষ্ট্রপতি যদি বলেন, তিনি পদত্যাগপত্র পাননি, তবে এটি স্ববিরোধী বক্তব্য এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। এতে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংবিধানে বলা আছে, যদি রাষ্ট্রপতির শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা না থাকে কিংবা তিনি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তবে তার পদে থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির এমন স্ববিরোধী কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তবে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন।
‘‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিন সপ্তাহ অনুসন্ধান চালান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো পদত্যাগপত্র জমা নেই। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চাইলে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে আছে কি না, জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাইনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘৫ আগস্ট সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ফোন আসে, বলা হয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে এসে সাক্ষাৎ করবেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানানো হয়, তিনি আসবেন না।’’
তিনি বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যখন বঙ্গভবনে এলেন, তখন আমি তার কাছে জানতে চাই, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না। কিন্তু তিনিও বলেন, শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে আসেন। তখন আমি তাকে বলি, আমিও এটি খুঁজে পাইনি।’’
এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে জটিলতা ও বিতর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ১০-১৫ জনের একটি দল।
এই অবস্থান চলাকালেই হঠাৎ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেখা যায়। আগুনের তীব্রতা কমলে বিক্ষুব্ধরা আবারও আগুন লাগিয়ে দেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। পরে ভবনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এসময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে রাজপথে অবস্থান নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাবাহিনীকেও আমরা অনুরোধ করেছি। বিজিবি, আনসার, তাদেরও আমরা অনুরোধ করেছি। ইলেকশনে আনসারের ভূমিকা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। আগে ১২ জন আনসার থাকতেন নির্বাচনের দায়িত্বে। এখন আরেকজন বাড়িয়ে দেব প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তার দায়িত্বে। পুলিশ সব জায়গায় ২ জন করে, আবার কোনো জায়গায় ৩ জন করে থাকবে। সেনাবাহিনী তো মোবাইলে থাকবে। বিজিবি, র্যাব, এবিপিএন সবাই থাকবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত আছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যে ব্যবস্থা নেওয়ার, সেটা নেওয়া হচ্ছে। আমরা কিন্তু নতুন পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছি। এর আগে ৪ হাজারের বেশি ট্রেনিং করে বের হয়ে গেছে। এখন একটা ব্যাচ এখনো ট্রেনিং করতেছে এবং আরেকটা ব্যাচ খুব তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণে যাবে। তা ছাড়া অন্যান্য বাহিনীতেও ইলেকশনের আগে আমরা প্রশিক্ষণ দেব।’
নির্বাচনের জন্য ‘বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে এর উদ্বোধন হবে। শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য সব বাহিনীরই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগে।’
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারাও আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রেও আপনারা সহযোগিতা করুন।’
যাদের তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হবে তাদের তথ্য গোপন রাখা হবে এবং পুরস্কৃত করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো মহল যেন রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের এজেন্ডাকে সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত হওয়ায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে—এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের কোনো স্থান নেই।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একই সঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি সংস্কার সনদ তৈরি করা সম্ভব, যা নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করবে। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকারই জনগণের প্রত্যাশিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। কারণ নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক যন্ত্রকে ব্যবহার করার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে, যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেও ইতিবাচক নয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলো দেওয়া হয়েছে, তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব বিষয় প্রস্তাব আকারে আসার কথা ছিল, সেগুলো প্রস্তাব না রেখে শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না—এ প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না। একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ’ এবং আইন সভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না—এ প্রশ্নের উত্তরও ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলতে বলা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধানের ‘প্রস্তাবনা’র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও স্প্রেডশিটে তা উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে প্রায় ৭০টি প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশের সংখ্যা প্রায় ১২৩টি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে প্রায় ১৫০টি সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যার অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট। তিনি মনে করেন, স্প্রেডশিটের পাশাপাশি মূল সুপারিশমালার উপর মতামত সংযুক্ত করলে বিভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়। এতে জনমনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এসব বিষয় যেন একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ, যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কিনা তা বলা কঠিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।
খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।
মন্তব্য করুন