

ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় ২৫ জনকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট। সেই সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যোগ দিয়েছে ২ প্লাটুন বিজিবি। দুপুর ১টা ২২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। বর্তমানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট কাজ করছে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-7 বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-7 বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কারসহ বিভিন্ন সংশোধন কমিটির রিপোর্ট হাতে আসলে নির্বাচন কবে হবে তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করেছে, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেনি। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে, মার্চ মাসের ২ তারিখে ভোটার তালিকা সম্পন্ন হবে এবং এরপর বিভিন্ন সংশোধন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুমিল্লায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মো. আশরাফুল আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডাটাবেস) মেজর মো. মামুনুর রশিদ এবং কুমিল্লা অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বঙ্গোপসাগরে জরিপ চালিয়ে মৎস্য আহরণের সঠিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আর এজন্য বাড়াতে হবে গবেষণা।
আজ সোমবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাছ আমাদের জন্য প্রকৃতির উপহার, আল্লাহর দান। কিন্তু প্রকৃতির উপর আমরা নির্মম, নির্দয়। আমরা প্রকৃতির উপর এতো নির্দয় যে, এভাবে চললে মাছ একদিন কপাল থেকে উঠে যাবে। আমরা নদী শাসনের কথা বলছি, নদী পালনের কথা বলছি না। এতে আরও ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা তা এখনও পুরোপুরি আহরণ করতে পারিনি। আমাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মাছের সম্ভাবনা প্রচুর, আবার দুর্ভাবনাও প্রচুর। প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবৈধ জাল ব্যবহার করে মৎস্যহরণ খুব উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নদীতে সব ধরনের বর্জ্য ফেলে পানিকেও নষ্ট করছি আমরা। জলাশয় দূষণ ও ফসল উৎপাদনে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার করছি। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৎস্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে টেকসই পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাছের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিতে হবে এজন্য সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন


কাউকে গ্রেফতার করলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে হবে- ফৌজদারি কার্যবিধিতে এমন সংশোধনী এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন এটি কার্যকর হলে কাউকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়ার সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবার, বন্ধু বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে হবে। কোনো অবস্থায় এই সময় ১২ ঘণ্টার বেশি নেওয়া যাবে না।
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করতে হয়। অন্যদিকে কাউকে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার ও স্বজনদের জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ২৯৮ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৮৮০ জনে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা এবং অন্যজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৭ জনে।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চায় না। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, ইলেকশন কমিশনের বদনামের সবচেয়ে বড় কারণ হলো রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া।
নাসির উদ্দিন বলেন, "আমরা কমিশনে যারা আছি, আমরা কোনো রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।"
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, "সব জায়গায় মতপার্থক্য থাকবে। ভিন্নমত মানেই বিপক্ষে নয়। একই বিষয়ে ভিন্নমত থাকবেই। এটা সহজ হিসাব। কিন্তু এই জিনিসটা অনেকে মানতে পারে না। তবে মানার বিষয়ে আমার অভ্যাস আছে। আমাকে নিয়ে সমালোচনা করলে ধরে নেব কোনো ঘাটতি বা সমস্যা রয়েছে, তখন নিজেকে শুধরে নেব।"
তিনি তালে তাল মেলানোর সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সবাই তালি বাজাতে বাজাতে দেশটার ১২টা বাজিয়েছে। তালি বাজানো আমাদের ভুলে যেতে হবে। সব বিষয় বাস্তবতার ভিত্তিতে দেখতে হবে। একজন একটা কথা বলল, আর আমি তালি বাজাতে থাকলাম—এটা যাতে না হয়।"
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, "ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম, এত গালি দেওয়া হয়, এটা কেন হলো? ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন। কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো—পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অব দ্য ইলেকশন কমিশন। এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া, এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ।"
নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদের প্রভাব বিস্তার বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, "রাজনীতিবিদদের 'ইনফ্লুয়েন্স অন দ্য ইলেকশন কমিশন' যদি বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি। এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয়েছে অতীতে। এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা যথাযথ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্য আমাদের বাংলাদেশের সবার সহযোগিতা লাগবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়—যদি না আমরা সবার সহযোগিতা পাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
মন্তব্য করুন


কাতারের রাজধানী দোহায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর আল-জাজিরার।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের স্থানীয় সময় বিকালে দোহায় বিকট শব্দে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। এসময় দোহার আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা যায়।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযানে তারা হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।
যদিও হামাসের কোন নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে তা জানায়নি আইডিএফ। তবে বহু বছর ধরে হামাসের শীর্ষ নেতারা গাজা উপত্যকার বাইরে রাজনৈতিক সদর দপ্তর হিসেবে দোহাকে ব্যবহার করে আসছেন।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, দোহায় তাদের আলোচক দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক সব আইন ও বিধির চরম লঙ্ঘন এবং কাতারের নাগরিক ও অধিবাসীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কাতার এই হামলার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, এই বেপরোয়া ইসরাইলি আচরণ, আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ এবং কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে যেকোনো পদক্ষেপকে বরদাশত করা হবে না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’ হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে বিচার বিভাগে অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।'
এ পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যাতে বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করা যায় এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা পায়। বিশেষভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে মনিটরিং সভা নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্যান্য আদালতে সেবার মানোন্নয়নের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা নিতে পারেন এবং যেকোনো অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। অভিযোগসমূহের তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত অন্যান্য পরিকল্পনাগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে। বিশেষত, ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলোকে পুরোপুরি ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, বিচার বিভাগে মেধার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেলোশিপ বাস্তবায়ন করতে নীতিমালা প্রণয়ন দ্রুত চলছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিচার বিভাগ জনগণের সেবার জন্য গঠন করা হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা কী এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে বিচার বিভাগ কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা জানার জন্য প্রধান বিচারপতি ২০২৫ সালে দেশের সকল বিভাগীয় শহরের আদালতগুলোতে স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এই মিটিংগুলো রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে কাগজবিহীন বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এই বেঞ্চের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল কাগজাদি অনলাইনে প্রদান করা হবে। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও পেপার-ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে এক কনফারেন্সে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত সংগ্রহ করা হয়। শিগগিরই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
মন্তব্য করুন


পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। পুলিশ যে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেটি সবাই জানে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রসমাজের সহযোগিতা চাই। সবাই মিলে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এছাড়া, সমন্বয়কদের হুমকি সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এখনো কোনো গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পরে জনগণ এমন একটি পুলিশ বাহিনী চায়নি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের পুলিশের ওপর এত ক্ষোভ কেন, তা বিশ্লেষণ করা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতো, তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।
মন্তব্য করুন


উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ওয়েবসাইট ছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডগুলোর এক বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর পুনঃনিরীক্ষণের ফল রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে ও আবেদনকারীর দেওয়া মোবাইল ফোন নাম্বারে এসএমএস-এ ফল পাঠানো হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল সংগ্রহ করার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে। একইভাবে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ফল দেখা যাবে।
এ ছাড়া http://www.educationboardresults.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো আলাদাভাবেও পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করেছে।
এবার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ডে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন (৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন