বাবা সিদ্দিককে হত্যা নিয়ে তোলপাড়, দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের

বাবা সিদ্দিককে হত্যা নিয়ে তোলপাড়, দায় স্বীকার করেছে  লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের
বাবা সিদ্দিক,


ডেস্ক রিপোর্ট:

মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে  লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।

কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি  শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।

কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’

এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না, কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষেও নই আমরা: সিইসি

রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না, কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষেও নই আমরা: সিইসি
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চায় না। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, ইলেকশন কমিশনের বদনামের সবচেয়ে বড় কারণ হলো রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া।


নাসির উদ্দিন বলেন, "আমরা কমিশনে যারা আছি, আমরা কোনো রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।"


রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


সিইসি বলেন, "সব জায়গায় মতপার্থক্য থাকবে। ভিন্নমত মানেই বিপক্ষে নয়। একই বিষয়ে ভিন্নমত থাকবেই। এটা সহজ হিসাব। কিন্তু এই জিনিসটা অনেকে মানতে পারে না। তবে মানার বিষয়ে আমার অভ্যাস আছে। আমাকে নিয়ে সমালোচনা করলে ধরে নেব কোনো ঘাটতি বা সমস্যা রয়েছে, তখন নিজেকে শুধরে নেব।"


তিনি তালে তাল মেলানোর সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সবাই তালি বাজাতে বাজাতে দেশটার ১২টা বাজিয়েছে। তালি বাজানো আমাদের ভুলে যেতে হবে। সব বিষয় বাস্তবতার ভিত্তিতে দেখতে হবে। একজন একটা কথা বলল, আর আমি তালি বাজাতে থাকলাম—এটা যাতে না হয়।"


নাসির উদ্দিন আরও বলেন, "ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম, এত গালি দেওয়া হয়, এটা কেন হলো? ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন। কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো—পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অব দ্য ইলেকশন কমিশন। এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া, এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ।"


নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদের প্রভাব বিস্তার বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, "রাজনীতিবিদদের 'ইনফ্লুয়েন্স অন দ্য ইলেকশন কমিশন' যদি বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি। এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয়েছে অতীতে। এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা যথাযথ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্য আমাদের বাংলাদেশের সবার সহযোগিতা লাগবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়—যদি না আমরা সবার সহযোগিতা পাই।"


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

কানাডায় পুতুলের নাগরিকত্বের প্রমাণ মিলেছে: দুদক

কানাডায় পুতুলের নাগরিকত্বের প্রমাণ মিলেছে: দুদক
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলেও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।


রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দুদক জানায়, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরের সঙ্গী করা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে দেয়া তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। এছাড়া পুতুল পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।


পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা প্লট আয়ত্ব করেন। এরই মধ্যে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।

 

বিবৃতিতে দুদক আরও জানায়, এছাড়া পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ লুফে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।


তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থে ক্ষতি হয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত



পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ে হামলা চালানো এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত আবার পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইছে।


এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অন্তত আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের যুক্তি, নতুন ক্যাম্প হলে প্রতিটি রুটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে, অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি জরুরি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।


এসব সেনা কর্মকর্তার দাবি, শান্তিচুক্তির পর ক্যাম্প কমে যাওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং এখন তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো গত এক বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ইউপিডিএফ তুলেছে ১০৪ কোটি টাকা। চাঁদা নেওয়ার তালিকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও অপহরণ। এর মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো রাঙামাটি জেলা থেকে ২৪৪ কোটি, খাগড়াছড়ি থেকে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবান থেকে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে।


শুধু চাঁদা নয়; অপহরণ ও হত্যার সঙ্গেও জড়িত ইউপিডিএফ। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩৩২ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে পাহাড়িরাও ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্যও রয়েছেন।


ইউপিডিএফ এবং তাদের সহযোগীরা ভারতের মিজোরামে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী মনে করে, সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০, রাঙামাটিতে ৭০ এবং বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের ভৌগোলিক বাস্তবতায় তা যথেষ্ট নয়। আরো অন্তত আড়াইশ নতুন ক্যাম্প হলে সন্ত্রাসীরা আর মাথা তুলতে পারবে না।


সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি সদয় ছিল হাসিনার সরকার


সেনা সদর বলছে, শেখ হাসিনার আমলে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর প্রতি নমনীয় থাকার অলিখিত নির্দেশ ছিল, যার ফলে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী হয়। কিন্তু বর্তমান নীতি হলো ‘নো কম্প্রোমাইজ’। অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস বা আলোচনার জায়গা নেই, সরাসরি অ্যাকশনই একমাত্র পথ। কারণ, গোষ্ঠীগুলো কখনো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না; তারা পাহাড়ি ও বাঙালি- উভয় জনগোষ্ঠীকেই জিম্মি করে রেখেছে।


পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা একজন ব্রিগেড কমান্ডার জানান, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম এখন শুধু চাঁদাবাজি বা অপহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ভারতের মিজোরাম থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এসে পাহাড়ে হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অতিরিক্ত সেনা ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। আমরা মনে করি, কমপক্ষে আড়াইশ নতুন ক্যাম্প প্রয়োজন।


খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, যেভাবে মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজানো হলো, সামনে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সেনাদের দ্রুত উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় সেনা ক্যাম্প নেই, ফলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকফোকর কাজে লাগায়। তাই আমরা আড়াইশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেছি।


বান্দরবানে দায়িত্ব পালন করা একজন মেজর জানান, ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের তথ্য আমাদের হাতে আছে। তারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহায়তায় চলছে। প্রতিটি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। এখন প্রয়োজন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ। নতুন ক্যাম্পগুলো হলে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারব।


রাঙামাটির এক জোন কমান্ডার বলেন, আমাদের হাতে গোয়েন্দা প্রমাণ রয়েছে যে, ইউপিডিএফের অন্তত ছয়টি ক্যাম্প ভারতের মিজোরামে। তাদের লোকজন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো ছাড়া এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা আড়াইশতে উন্নীত করা জরুরি।


সার্বিক বিষয়ে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা এখন আমাদের যা পুঁজি আছে, সেগুলো নিয়ে নজরদারি করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।


নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার চাইলে কেন আমরা তা প্রত্যাহার করব? আমরা আমাদের কৌশলে এগিয়ে যাব।


নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, ইউপিডিএফ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকর নজরদারি ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন এখন একান্ত জরুরি। এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত



উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বঙ্গোপসাগরে জরিপ চালিয়ে মৎস্য আহরণের সঠিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আর এজন্য বাড়াতে হবে গবেষণা। 


আজ সোমবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাছ আমাদের জন্য প্রকৃতির উপহার, আল্লাহর দান। কিন্তু প্রকৃতির উপর আমরা নির্মম, নির্দয়। আমরা প্রকৃতির উপর এতো নির্দয় যে, এভাবে চললে মাছ একদিন কপাল থেকে উঠে যাবে। আমরা নদী শাসনের কথা বলছি, নদী পালনের কথা বলছি না। এতে আরও ক্ষতি হচ্ছে।


তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা তা এখনও পুরোপুরি আহরণ করতে পারিনি। আমাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মাছের সম্ভাবনা প্রচুর, আবার দুর্ভাবনাও প্রচুর। প্রকৃতির প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


অবৈধ জাল ব্যবহার করে মৎস্যহরণ খুব উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নদীতে সব ধরনের বর্জ্য ফেলে পানিকেও নষ্ট করছি আমরা। জলাশয় দূষণ ও ফসল উৎপাদনে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার করছি। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৎস্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে টেকসই পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হবে।


অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাছের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিতে হবে এজন্য সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের নামে মামলা

ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের নামে মামলা
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দীন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মলি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, আইন সম্পাদক কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুটপাতে ছানা ও মাঠা বিক্রি করার সময় জালাল উদ্দীন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

পুতুলকে বাধ্যতামূলক অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

পুতুলকে বাধ্যতামূলক অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিচালক সাঈমা ওয়াজেদ পুতুলকে শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এর চার মাস আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। খবর হেলথ পলিসি ওয়াচের। 


ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেইলে জানান, সাঈমা ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে থাকবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ডব্লিউএইচও-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বেহম ‘কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, বেহম ১৫ জুলাই মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কার্যালয়ে পৌঁছাবেন।


২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সাঈমা দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তবে শুরু থেকেই অভিযোগ ওঠে যে তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।


এই বিষয়ে দুদকের তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাঈমা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।


তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল দলিল ব্যবহার) লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি অনারারি পদে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এই তথ্য তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন করার সময় উপস্থাপন করেছিলেন।


দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, সাঈমা তার সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান থাকাকালে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন, যা তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আদায় করেন। তবে এই অর্থের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দুদকের মামলায় দেওয়া হয়নি।


এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আরো যে ধারাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো—বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পত্তি গ্রহণ) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।


এই অভিযোগের পর থেকে সাঈমা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেই তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

২ দিনের ফ্লাইট বিপর্যয়ের মাশুল সরকার মওকুফ করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২ দিনের ফ্লাইট বিপর্যয়ের মাশুল সরকার মওকুফ করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত



বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে। 


রোববার বিমানবন্দরের কার্গো (৮ নম্বর) গেটের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।


এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন ‘অর্থনৈতিক পরিমাণ নিদিষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস সঠিকভাবেই কাজ করতে পেরেছে। যত অভিযোগ আসছে সব আমলে নিয়েই তদন্ত করা হবে। সব কিছুই অনুসন্ধান করা হচ্ছে, শুরুতে মালামাল সরানোর মতো অবস্থা ছিল না।’


উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২ দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।’ 


শনিবার দুপুরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

‘মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না’

‘মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না’
ছবি: সংগৃহীত



বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না।


আজ শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।


সেনাপ্রধান বলেন, ‘শুধু ভালো ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভালো মানুষ হতে হবে। তাহলেই দেশের উপকার হবে।’


তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। উন্নয়নের জন্য প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।’ এসময় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে পুরস্কার দেন তিনি।


তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

বর্তমান আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বর্তমান আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত



দেশে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সব দলকেও সহযোগিতা করতে হবে। 


আজ সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের ৩ নম্বর ভোটকেন্দ্র তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 


তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের শরীরে থাকা ৪০ হাজার বডিক্যামেরা সেন্টার থেকে মনিটর করা হবে।


সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার মোতায়েনসহ ৮০ হাজার সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য থাকবে।


এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যেকোনো অন্যায় দেখলে তা প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান। 


তিনি আরো বলেন, গত জুলাইয়ের থেকে এই জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।


থানায় কেউ আসতো না। আনসার বাহিনী বিদ্রোহ করছিল, অন্যান্য বাহিনীগুলোও অতোটা সক্রিয় ছিল না। এখনও হয়তো আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারিনি। তবে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।


তিনি বলেন, নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে অনেকের নামে জুলাই-আগস্টে মামলা হয়েছে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেই চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

‘আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা’

‘আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা’
ছবি: সংগৃহীত



আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জাতীয় নির্বাচন। এটি কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে আরো মহিমান্বিত করার এক সুযোগ।


‎রবিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি এ কথা বলেন।


আইজিপি বলেন, নির্বাচন কেবল ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া নয়, এটা জনগণের বিশ্বাসেরও প্রতিফলন। আমাদের প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মনিটর করা হবে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলব।


তিনি আরো বলেন, এটা শুধু আইন-কানুন শেখানো নয়, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা জানব কিভাবে চাপের মধ্যেও নিরপেক্ষ থাকা যায়। কিভাবে সংঘাতের পরিবর্তে সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যায়।


‎তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন পালন করি তবে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণের সুযোগ এসেছে, বাংলাদেশ পুলিশ একটি আধুনিক, গণতন্ত্র বান্ধব এবং কার্যকর বাহিনী।


আইজিপি বলেন, আমি প্রত্যেককে আহ্বান জানাই, প্রশিক্ষণে শেখা প্রতিটি কৌশল ও লব্ধ জ্ঞান মাঠে কাজে লাগাতে হবে। সর্বোচ্চ ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও আত্মসংযম প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।


তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। এই লক্ষ্যে আমরা সবাই দক্ষতা, নিরপেক্ষতা দিয়ে আস্থা অর্জন করব।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০