

ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন


সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তবে যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এতে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পুরোপুরি আয়োজন করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আবুল ফজল আরও বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, তা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে, এটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান। উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের প্রেক্ষাপটে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতিই এগোচ্ছে— এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বডি ক্যামেরা থাকবে। যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে খুন-অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে না। আমার কাছে তো ম্যাজিক নেই, বলবো যে লাইট অফ বন্ধ হয়ে যাবে আর তা হয়ে গেল। ব্যাপারটা এমন না।
জাতীয় পার্টি ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, সব রাজনৈতিক দল এখন মাঠে। অনেকে বের হতে চায় না, ঘরে বসে রাজনীতি করতে চায়। তাদের পার্টি অফিস নিয়ে সমস্যা আছে।
এ সময় রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আজ (১৯ নভেম্বর) ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার এই ঐতিহাসিক ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে জমকালো আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে সতীর্থদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন মুশফিক। এসময় গ্যালারিতে তার ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ভক্ত-সমর্থকরাও। এই বিশেষ মুহূর্তে মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও।
মুশফিককে সম্মাননা জানাতে বোর্ড ও সতীর্থরা তার হাতে নানা স্মারক তুলে দেন। তার হাতে শততম টেস্ট উপলক্ষে বিশেষ ক্যাপ পরিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, যিনি ২০০৫ সালে তার অভিষেক টেস্টেও তাকে ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার আকরাম খানও তাকে একটি বিশেষ ব্যাগি ক্যাপ উপহার দেন।
এছাড়াও, মুশফিকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং হাবিবুল বাশার যৌথভাবে মুশফিকের প্রথম ও শততম টেস্টের সতীর্থদের স্বাক্ষর করা জার্সি তাকে উপহার দেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে, অফিসার, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার একটা মুখ্য ভূমিকা রাখবে তো নির্বাচনের মধ্যে। এটা ছাড়া তো সম্ভব না।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় হলে আপনারা সবই জানতে পারবেন। এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না।
আপনারা কেন রোডম্যাপ..., আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা, এটাকে রোডম্যাপ বলবো না, আমাদের যে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে, সেগুলো কোনোটা কোনো সময় শুরু করব, কোনো সময় শেষ করব এটাকেই অনেকে রোডম্যাপ বলে, আমরা বলছি না। সেটা অবশ্যই আছে। যে কোনো অফিসের একটা কর্মপরিকল্পনা থাকবে। এত বড় একটা নির্বাচন হবে, একটা কর্মপরিকল্পনা আমাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
নট ফর শেয়ারিং এভরিবডি যে আপনারা জানুন। এটা নিজস্ব, সংশোধন হতে পারে, এদিক-ওদিক হতে পারে। একটা সম্ভাব্য একটা কর্মপরিকল্পনা প্রথম থেকেই করেছি তো।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের যে বিষয়টা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বা একদম হচ্ছে না, বিষয়টা এমন না। নির্বাচনের ডেট যথাসময়ে জানতে পারবেন।
আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করব। সরকারের সঙ্গে এ জন্য পরিকল্পনা করে ঘোষণা দিয়ে দেখা করতে হবে এমন না। ফরমালি, ইনফরমালি নানাভাবে যোগাযোগ হতে পারে। আমরা সরকারের ধারে কাছে নেই, একটা দ্বীপে আছি এমন তো না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে, এর মধ্যে ইসি সংস্কার আছে, এর মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত তো। এগুলোকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। সময় হলেই যোগাযোগ হবে।
মন্তব্য করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সাবেক ও কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন।
এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের আদালতে আনা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন। আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন।
তারা হলেন— বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক রয়েছেন। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। বাকি দুজন পলাতক।
মন্তব্য করুন


সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু নির্বাচন কমিশনের জন্য ৫ সদস্যের সিলেকশন কমিটি গঠনের সঙ্গে একমত বিএনপি। এজন্য একটা সার্চ কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮ তম দিন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধুমাত্র সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, তার কার্যকর স্বাধীনতা উপযুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা অতীতে বলে এসেছি যে, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে, নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা যায়- এই ক্ষেত্রে আমরা একমত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানায়, সংলাপে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি।
এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ নাম জমা দিতে পারবে। সংসদে একটি আইন প্রণয়ন করে এই অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেটি সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি চাইলে এই তালিকা থেকে অথবা নিজেরা আরও প্রার্থী বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।’
মন্তব্য করুন


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা লিভ টু আপিলের শুনানি একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেন। পরবর্তীতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে রায় ঘোষণা করে।
মন্তব্য করুন


আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জাতীয় নির্বাচন। এটি কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে আরো মহিমান্বিত করার এক সুযোগ।
রবিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন কেবল ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া নয়, এটা জনগণের বিশ্বাসেরও প্রতিফলন। আমাদের প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মনিটর করা হবে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলব।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু আইন-কানুন শেখানো নয়, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা জানব কিভাবে চাপের মধ্যেও নিরপেক্ষ থাকা যায়। কিভাবে সংঘাতের পরিবর্তে সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যায়।
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন পালন করি তবে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণের সুযোগ এসেছে, বাংলাদেশ পুলিশ একটি আধুনিক, গণতন্ত্র বান্ধব এবং কার্যকর বাহিনী।
আইজিপি বলেন, আমি প্রত্যেককে আহ্বান জানাই, প্রশিক্ষণে শেখা প্রতিটি কৌশল ও লব্ধ জ্ঞান মাঠে কাজে লাগাতে হবে। সর্বোচ্চ ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও আত্মসংযম প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। এই লক্ষ্যে আমরা সবাই দক্ষতা, নিরপেক্ষতা দিয়ে আস্থা অর্জন করব।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৭ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানির সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করে। এর আগে ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার উপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে আত্মগোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় পলক এই তথ্য জানান।
শুনানিতে তিনি আরও বলেন, "আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে জেলগেটেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। আমি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।" শুনানি শেষে আদালত ভাটারা থানার হত্যা মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন