

ডেস্ক রিপোর্ট:
দিল্লি যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুনায়েদ আহমেদ পলককে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একজন জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। তিনি মাস্ক পরিহিত ছিলেন। এ সময় কর্মচারীরা তাকে দেখে চিনে ফেলেন। সেখানেই আটক হন পলক।
এদিকে, গতকাল সোমবার তার ব্যক্তিগত সহকারী গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার রাতের পর থেকে পলকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই নাটোরের সিংড়ায় জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন বিকেল ৪টা নাগাদ সিংড়া উপজেলা সদরের গোডাউন পাড়ায় পলকের বাড়িতে জনতা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, শেখ হাসিনার বিচার হলেও তাঁকে হয়তো দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা জানি, প্রধান যে আসামি আছে, প্রধান অপরাধী আছে, আমার ধারণা, আমি জানি না এভাবে বলাটা ঠিক হচ্ছে কি না, আমার ধারণা, তাঁর শেষ দিন ভারতেই কাটবে। তাঁকে বোধ হয় আমরা কখনো পাব না।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মনে যে ঘৃণা নিয়ে সে বেঁচে থাকবে, সেটাও যদি আমাদের অর্জন হয়, সেটাও কম নয়। এত ঘৃণা মানুষের, এত কষ্ট, এত ক্ষোভ। এই ঘৃণা থেকে, ক্ষোভ থেকে, ক্রোধ থেকে আশা আছে, সংস্কারের মাধ্যমে এ রকম শাসক যেন এ দেশে আর তৈরি না হয়। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নাই।
তিনি বলেন, ‘পুলিশকে যে এ রকম একটা অমানুষ, বেপরোয়া, ভয়াবহ বাহিনীতে রূপান্তর করেছে, সে কত বড় অমানুষ। কত বড় অমানুষ হতে পারে সে। কোনো একটা পুলিশ বাহিনী, সম্ভবত ইসরায়েলিরা প্যালেস্টাইনের মানুষকে বোধ হয় এভাবে মারে।...একটা দেশের সুশৃঙ্খল বাহিনী, আমার ট্যাক্সের টাকায় চলা, তাকে (পুলিশ বাহিনী) ইজরায়েলি বাহিনীর মতো করে বাহিনী বানিয়েছে, যেটা আমাকে এভাবে খুন করতে পারে।
মন্তব্য করুন


শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় মাছের বিভিন্ন প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে, যা শুধুমাত্র অভয়াশ্রমের মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব। একদিকে হাওর সংরক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে হাওরে ধানের উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কীটনাশক পানির সঙ্গে মিশে হাওরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা পাখি শিকার করে আনন্দ পেতে চান, তাদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এ ধরনের শিকার নির্মম, অমানবিক এবং প্রাণবৈচিত্র্য ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভর না হয়ে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তিনি জানান, নিজস্ব অর্থায়নে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষা করা কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, কালচারাল মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না। অভয়াশ্রম তৈরি করে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দায়িত্ব। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্ট শহিদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা তাদের সহায়তায় কাজ করবে।
এর আগে উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার কবীর, মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন, সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আল-মিনান নূর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় এবং বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীরা।
মন্তব্য করুন


জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এর উপরই নির্ভর করে সরকারের সফলতা।’
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৩৫৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইনকানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা সম্মেলনে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অধিকাংশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে হবে। এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা হবে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ফিডব্যাক অধিবেশন ও সম্মেলনের মূল্যায়ন এবং সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার রেওয়াজ থাকলেও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন।
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চারটি কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা প্রতিবেদনগুলো জমা দেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো: ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বৈঠক চলছে বলে জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। আজ বিকেল তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে সরকার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এটি হলো গত ৩ অক্টোবর কমিশন গঠনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের পরবর্তী ধাপ।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন


চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক।
ওসি গোলাম ফারুক বলেন, আদালতের নির্দেশে সালমান শাহ হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। এতে ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা রুজুর পর তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার ১১ আসামির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে থাকতে পারেন। দেশে থাকা আসামিদের শনাক্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য তাদের নামসহ তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, মামলার তদন্তে কোনো ধরনের চাপ নেই। শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার বাদী হলেন তার মামা আলমগীর কুমকুম।
এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হককে। এছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। মোট ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তীসময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়।
তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই ওই প্রতিবেদন মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি করে আসেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি যে চক্রই থাকুক কেউ রেহাই পাবে না বলেও সাবধান করেছেন সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ। রবিববার বিকেলে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি যে চক্রই থাকুক কেউ রেহাই পাবে না। বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হবে।’
ফিলিপাইন থেকে এ অর্থ উদ্ধারের পদ্ধতি কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় বাস্তবায়নে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন তারা।’
এদিন রিজার্ভ চুরির মামলার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন সিআইডির আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি বলেন, ‘আলোচিত এ মামলায় সিআইডির দায়িত্ব ছিল শুধু তদন্ত করা।’ তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এ রায় দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন (৮ কোটি ১০ লাখ) ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। আজ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আদালতের মাধ্যমে সিআইডি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাবে রাখা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার জাল সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হয়।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের (কর্মপরিকল্পনা) খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঘোষণা করা হবে।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন ভবনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানি শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়ার অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।
যত দ্রুত সম্ভব ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব জানান, ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট ৪ দিনে সীমানা পুনর্নির্ধারণে ৩৩ জেলার ৮৪টি আসনে ১৮৯৩টি দাবি-পরামর্শ পেয়েছে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘শুনানিতে হাতাহাতি ইসির জন্য লেসন (শিক্ষা)। কেউ যদি বাইরে ধাক্কাধাক্কি করে সেটি ইসির বিবেচনাধীন না। ইসি এই বিষয়ে এরই মধ্যে জিডি করেছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এশীয় নেতাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ চীনের বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মিয়ানমারের সংকট শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত নেই, এটি পুরো এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। গত সাত বছরে বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক। এখন এশীয় নেতাদের উচিত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
তিনি বলেন, "গাজায় চলমান গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও তা থামছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম বা আরব বিশ্বের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।"
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, "ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ঋণের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠেছে এবং মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই অবস্থায় এশিয়াকে শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, দায়িত্বশীল অর্থায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এশিয়ার সভ্যতা বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুধু এশিয়াই নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।"
তিনি এশিয়ার যুবশক্তির সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "এই অঞ্চলের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন, যেখানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন