ডেস্ক রিপোর্ট:
দিল্লি যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুনায়েদ আহমেদ পলককে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একজন জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। তিনি মাস্ক পরিহিত ছিলেন। এ সময় কর্মচারীরা তাকে দেখে চিনে ফেলেন। সেখানেই আটক হন পলক।
এদিকে, গতকাল সোমবার তার ব্যক্তিগত সহকারী গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার রাতের পর থেকে পলকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই নাটোরের সিংড়ায় জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন বিকেল ৪টা নাগাদ সিংড়া উপজেলা সদরের গোডাউন পাড়ায় পলকের বাড়িতে জনতা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
মন্তব্য করুন
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল, এবং ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোটামুটি যা আসছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। কিছু ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে এককভাবে টাকার অঙ্ক খুব বেশি নয়। আগে অনেক বড় বড় কিছু অনুমোদন দেওয়া হত, তবে এখন যে অনুমোদনগুলো আসবে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে, এবং মসুর ডালের কেনা হচ্ছে, কারণ এর প্রয়োজন রয়েছে। অতএব, রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে—চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি—এগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারকে আরও সহনীয় করার চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে। কারণ এসব পণ্য বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের কিছুটা গ্যাপ আছে। দাম বাড়ানোর পর পরেই অনেক সাপ্লাই ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই ৮ টাকা বাড়ানোর পর আরও দাম বাড়বে বলে আশা করেন। তিনি বলেন, আমরা আজ সয়াবিন আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে যতটা সম্ভব সাপ্লাই আসুক, যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়।
তিনি আরো বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কত জায়গায় যেতে পারেন? কিছুদিন আগে আমি পাবনা গিয়েছিলাম, সেখানেও একই অবস্থা। ডিসি বলছেন, আমরা কমিটি করেছি এবং তারা বাজারে যায়। তবে, যখন তারা চলে আসেন, পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানুষ যদি সচেতন না হয় এবং মনিটরিং না করে, তবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমাদের এখানে সহনশক্তি বেশি, তবে বাইরে ক্রেতারা সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ করেন। ভারতে দাম বেড়ে গেলে তারা প্রতিবাদ করে, কিন্তু আমি এখানে প্রতিবাদ করতে বলছি না, তবে সবাই যেন মনিটরিং করে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের শক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "ডেফিনেটলি।" সিন্ডিকেট না বললেও, ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, যারা সরাসরি আমদানি করেন এবং সাপ্লাই দেন, তারা সবই এই সিস্টেমের অংশ।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি, তবে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছে, যাতে দেশীয় উদ্যোক্তারা বিকল্প পণ্য তৈরি করতে পারে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘নীতি থেকে বাস্তবায়ন: বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ ও সামুদ্রিক আবর্জনা মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যতদিন না একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যায়, ততদিন ধাপে ধাপে এর ব্যবহার কমিয়ে আনা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, সরকার সব ধরনের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে—এ ধরনের গুজবকে তিনি ‘ভিত্তিহীন মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য কখনও সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয় না, বরং এটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়, যা মাছের মাধ্যমে আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে ব্যক্তি, সরকার ও ব্যবসায়ী—সবারই দায়িত্ব রয়েছে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সহজলভ্য বিকল্প রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নেওয়া প্রয়োজন।
পুরান ঢাকার অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করার পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। শুধু নিষিদ্ধকরণই সমাধান নয়, বরং ধাপে ধাপে ব্যবহার বন্ধ করা, পুনর্ব্যবহার ও পুনর্ব্যবস্থাপনা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও জানান, ফিনল্যান্ড সরকার অত্যাধুনিক পুনর্ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী। শিগগিরই তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ব্যবসায়ীদের ২০৩০ সালের আগেই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মকানুন মেনে চলার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যদি আমরা একযোগে কাজ করি, তবে প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, ইউনিডো-ভিয়েনা, অস্ট্রিয়ার সার্কুলার ও রিসোর্স এফিসিয়েন্সি ইউনিট প্রধান জেরোম স্টুকি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ ও সামুদ্রিক আবর্জনা হ্রাসে কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
মানব পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি জীবন কাটানো ১৮ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মীরা।
জানা গেছে, ভালো চাকরি ও উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারীরা দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এই বাংলাদেশিদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে পাঠানো হয়। পাচারকারীরা তাদের জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে নিয়োজিত করে। কেউ কাজ করতে অস্বীকার করলে তাদের বৈদ্যুতিক শকসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন এন্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সিআইডি এবং থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ১৮ বাংলাদেশি দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম, মো. আলিফ, রায়হান সোবহান, শেখ আরমান, মো. পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. নিজাম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আকন্দ রাফি, তোয়ানুর খলিলুল্লাহ, মো. সায়মন হোসেন, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. কায়সার হোসেন, মো. শাহ আলম ও মো. আকাশ আলী।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রামের মো. আলিফ বলেন, "দুবাইতে আমি জাহাজে কাজ করতাম। আমাকে উচ্চ বেতনে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাচারকারীরা আমাকে থাই-মিয়ানমার সীমান্তের ম্যাসটে নিয়ে যায়। সেখানে আমার মতো বিভিন্ন দেশের আরও অনেক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যাম সেন্টারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমি ছয় মাস ধরে ভয়াবহ নির্যাতনের মধ্যে বন্দি ছিলাম। জীবন বাঁচাতে আমি স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য হই।"
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পাচারকারীদের মূল হোতা ইফতেখারুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে আটক করা হয়। পাচারকারী চক্রের আরেক নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ব্র্যাকের শরিফুল হাসান আরও জানান, "সাইবার স্ক্যাম মানব পাচারের একটি ভয়াবহ রূপ। কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপর সুকৌশলে তাদের স্ক্যাম সেন্টারে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যামের কাজ করানো হয়। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। সরকার ইতিমধ্যে এসব দেশে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই নতুন ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে বিদেশগামীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।"
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে কালকে খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারবো। কারণ, যেটা দিয়েছে, সেটা ঠিক অফিসিয়াল…। ইউএসটিআর’র সঙ্গে যখন আলাপ করবেন উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ম্যান্ডেটরি। এর আগের দিন কথা বলেছেন। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।
মিটিংয়ে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি। যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য পদক্ষেপগুলো নেবো। এখন বৈঠকটা মোটামুটি পজিটিভ। ৬ তারিখ বোধহয় একটা মিটিং হয়েছে, মোটামুটি পজিটিভ।
চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট দিয়েছে। এটা ওয়ান টু ওয়ান যখন নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এইটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সেজন্যই তো ইউএসটিআর’র সঙ্গে কথা বলা। এটা ফাইনাল না।
ভিয়েতনাম চেষ্টা করে ২৬ শতাংশ কমিয়েছে, বাংলাদেশের কেন মাত্র ২ শতাংশ কমানো হলো। তার মানে কি নেগোসিয়েশন ভালো হয়নি? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, না নেগোসিয়েশন….। এটা ঠিক যে আমাদের ডেফিসিট মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা কনসেশন দিতে পারে, মানে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম ডেফিসিট। আমরা চেষ্টা করছি যে, আমাদের এত কম ডেফিসিট, এতো শুল্ক দেওয়ার তো জাস্টিফিকেশন থাকে না।
তিনি বলেন, ওরা যেটা করছে ব্ল্যাঙ্কেট কতগুলো করেছে। চায়নার জন্য আলাদা। একেবারে চায়নার একটা সিঙ্গেল হ্যান্ডেলে ডিল করে ওরা। আর বাকিরা… এটা যেটা করেছে ১৪টা দেশের একই বলেছে। এখন আমরা নেগোশিয়েট করবো।
চিঠিতে যে সমস্ত কন্ডিশন দেওয়া হয়েছে এগুলো কি ফুলফিল করা সম্ভব? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন তো আমি কিছু বলতে পারবো না।
রাজস্ব আয় নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এইবার কালেকশন যা হয়েছে মোটামুটি, একেবারে বিরাট গ্যাপ না। আর আগামী বছর চেষ্টা করছি শুধু ট্যাক্স, ভ্যাট না দিয়ে সিস্টেমটা চেঞ্জ করলে দেখবেন কালেকশনটা অনেক বেশি হবে। লিকেজ হবে না, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতাঁত করে কিছু করতে পারবে না। আমাদের ট্যাক্স ক্যাপাসিটি ভালো, কিন্তু আমরা সেটা ইউটিলাইজ করতে পারিনি। সে কারণে রেভিনিউ কিছুটা শর্ট।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী বলেছেন, হরতালসহ যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ কোনো গোষ্ঠী যদি হরতাল বা অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে নাশকতার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, বইমেলার নিরাপত্তায় ডিএমপির পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নিয়োজিত থাকবে। এবার বইমেলা চলাকালীন টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়ক সারাদিন বন্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বইমেলা চলাকালীন এক মাস ঢাবি এলাকায় কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, বইমেলায় উস্কানিমূলক কোনো বই যেন না থাকে, সে বিষয়ে বাংলা একাডেমিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বইমেলায় খাবারের দোকানগুলোতে যাতে অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা না হয়, সে বিষয়ে পুলিশকে নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে চলমান বিভিন্ন আন্দোলন প্রসঙ্গে সাজ্জাত আলী বলেন, ছোট ছোট আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়, বরং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার এক সেমিনারে জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তিনি এই মন্তব্যটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সেমিনারে করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার প্রতিদিনের শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।"
এছাড়াও, ফাওজুল কবির খান জ্বালানি খাতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দেওয়া যাবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমি জানি না, কতদিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটকারীদের বিচারের জন্য একটি জ্বালানি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, "বর্তমান সরকার কোনো পিছুটান ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে, এখানে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।"
মন্তব্য করুন
ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীতে ১৫ হাজার ৮৫১ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) ৪ হাজার ৪৬৯ জন, ১ হাজার ৫৫৮ জন কারা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ২০৪ জন। এগুলো সব নতুন নিয়োগ।
এসব পদের মধ্যে কিছু সৃজিত পদ ও কিছু শূন্যপদ। পুলিশের এসব নিয়োগ সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। এ ছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রেও কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছেন এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নেই।
তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোর্টকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে কোর্ট তাকে ছেড়ে দিবে। তারা তো স্বাধীন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়।
যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সবসময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না।
সুতরাং নির্দোষ এমন কেউ ছোটখাটো কিন্তু তাকে ধরা হলে সে সম্পর্কে আপনারা বলেন। আপনারা সবসময় সত্য ঘটনা বলে থাকেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এর উপরই নির্ভর করে সরকারের সফলতা।’
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৩৫৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইনকানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা সম্মেলনে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অধিকাংশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে হবে। এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা হবে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ফিডব্যাক অধিবেশন ও সম্মেলনের মূল্যায়ন এবং সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার রেওয়াজ থাকলেও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন।
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও দেশ গড়ার স্বপ্ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেরণা। ৭১-এর হানাদার বাহিনীর জুলুমের পুনরাবৃত্তি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ করেছে।’
আজ শনিবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি আমরা এ বছরের জুলাই মাসে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন কিভাবে আমাদের শীর্ষ ছাত্র নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি এবং যেভাবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন, তা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের ধারাবাহিকতা। তাদের আদর্শ ও স্বপ্নকে ধারণ করেই আমরা এগিয়ে চলেছি। ড. ইউনূসের পুরো টিম শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে লালন করে কাজ করছে।’
এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধারা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি। ছাত্ররা জীবনের মায়া ত্যাগ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে তাদের ত্যাগের কথা মনে পড়ছে।’
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার তিনি নিজেই এই পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে আমি কেন পদত্যাগ করেছি, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।"
এর আগে, তিনি কেবিনেট সেক্রেটারির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার ব্যক্তিগয় সচিব (পিএস) এর মাধ্যমে এই পদত্যাগপত্র কেবিনেটে পাঠানো হয়।
গত নভেম্বরে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন। তাদের মধ্যে অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন