

ডেস্ক রিপোর্ট:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে না’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। চীন সফর নিয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিন তথা আগামী ২০ জানুয়ারি বেইজিং সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। মার্কিন নতুন প্রশাসনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হচ্ছে কিনা- জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বা এ রকম বড় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটা কিন্তু সরকার স্পেসিফিক হবে না। নতুন সরকার এলে তাদের কিছু বক্তব্য থাকতে পারে, সেটা আমরা দেখব। স্পেকুলেশন করার কিছু নাই। আমি কবে গেলাম চীনে সেটা কোনো বিষয় না। আমি মনে করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে না। আমরা মনে করি, এটা স্মুথলি চলবে।’
সম্পর্ক একটা বহমান ধারা উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটাতে পারস্পরিক চাওয়া-পাওয়ার হিসেব সব সময় একটু-আধটু পরিবর্তন হয়। এ রকম যখন হবে তখন আমরা সেই অনুযায়ী আমাদের পদক্ষেপ নেব এবং আমরা নিতে পারব বলে আমি মনে করি।’
ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চান না জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই একটা ভারসাম্য সম্পর্ক রক্ষা করব। আমরা কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব।’
উল্লেখ্য, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সফরে শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।
মন্তব্য করুন


অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল, এবং ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোটামুটি যা আসছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। কিছু ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে এককভাবে টাকার অঙ্ক খুব বেশি নয়। আগে অনেক বড় বড় কিছু অনুমোদন দেওয়া হত, তবে এখন যে অনুমোদনগুলো আসবে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে, এবং মসুর ডালের কেনা হচ্ছে, কারণ এর প্রয়োজন রয়েছে। অতএব, রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে—চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি—এগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারকে আরও সহনীয় করার চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে। কারণ এসব পণ্য বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের কিছুটা গ্যাপ আছে। দাম বাড়ানোর পর পরেই অনেক সাপ্লাই ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই ৮ টাকা বাড়ানোর পর আরও দাম বাড়বে বলে আশা করেন। তিনি বলেন, আমরা আজ সয়াবিন আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে যতটা সম্ভব সাপ্লাই আসুক, যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়।
তিনি আরো বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কত জায়গায় যেতে পারেন? কিছুদিন আগে আমি পাবনা গিয়েছিলাম, সেখানেও একই অবস্থা। ডিসি বলছেন, আমরা কমিটি করেছি এবং তারা বাজারে যায়। তবে, যখন তারা চলে আসেন, পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানুষ যদি সচেতন না হয় এবং মনিটরিং না করে, তবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমাদের এখানে সহনশক্তি বেশি, তবে বাইরে ক্রেতারা সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ করেন। ভারতে দাম বেড়ে গেলে তারা প্রতিবাদ করে, কিন্তু আমি এখানে প্রতিবাদ করতে বলছি না, তবে সবাই যেন মনিটরিং করে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের শক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "ডেফিনেটলি।" সিন্ডিকেট না বললেও, ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, যারা সরাসরি আমদানি করেন এবং সাপ্লাই দেন, তারা সবই এই সিস্টেমের অংশ।
মন্তব্য করুন


গত বছরের আগস্ট মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তখন তাকে বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সে সময় রাস্তাঘাট রক্তে রঞ্জিত ছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ও শিশুর লাশ মর্গে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। তার নৃশংসতার প্রতিশোধ নিতে সাধারণ মানুষ তার বাসভবনের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
৮৪ বছর বয়সী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, যিনি দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি অনেক আগেই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন। মূলত শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতেন। ড. ইউনূসের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কেটেছে।
তবে যখন ছাত্র-জনতা তাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণে রাজি হন।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা দেশের যে ক্ষতি করেছেন তা নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত একটি দেশ, অনেকটা গাজাএর মতো। ভবনগুলো ধ্বংস করা না হলেও পুরো প্রতিষ্ঠান, নীতি, মানুষ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাসিনার শাসনামলে কোনো সরকার ছিল না, ছিল একটি দস্যু পারিবারিক শাসন। সরকারপ্রধানের যেকোনো আদেশই তখন পালিত হতো। হাসিনার আমলে দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি ছিল যে এতে ব্যাংকিং খাত এবং অর্থনীতি ধসে পড়েছে।
হাসিনার আত্মীয়স্বজনেরাও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বোনের মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও এতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর তাকে পদত্যাগ করতে হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ট্রাম্পকে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ড. ইউনূস বলেন, আসুন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি করুন। তিনি স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সম্পর্ক উন্নয়নের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউএসএআইডি তহবিল কাটছাঁট করেছে এবং বাংলাদেশের ওপর অভিযোগ এনেছে যে, তারা সাহায্যের অর্থ ‘চরম বামপন্থি কমিউনিস্ট’ নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং ড. ইউনূসের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ড. ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের জোটকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এই বিলিয়নিয়ারকে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে মাস্কের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে, অফিসার, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার একটা মুখ্য ভূমিকা রাখবে তো নির্বাচনের মধ্যে। এটা ছাড়া তো সম্ভব না।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় হলে আপনারা সবই জানতে পারবেন। এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না।
আপনারা কেন রোডম্যাপ..., আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা, এটাকে রোডম্যাপ বলবো না, আমাদের যে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে, সেগুলো কোনোটা কোনো সময় শুরু করব, কোনো সময় শেষ করব এটাকেই অনেকে রোডম্যাপ বলে, আমরা বলছি না। সেটা অবশ্যই আছে। যে কোনো অফিসের একটা কর্মপরিকল্পনা থাকবে। এত বড় একটা নির্বাচন হবে, একটা কর্মপরিকল্পনা আমাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
নট ফর শেয়ারিং এভরিবডি যে আপনারা জানুন। এটা নিজস্ব, সংশোধন হতে পারে, এদিক-ওদিক হতে পারে। একটা সম্ভাব্য একটা কর্মপরিকল্পনা প্রথম থেকেই করেছি তো।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের যে বিষয়টা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বা একদম হচ্ছে না, বিষয়টা এমন না। নির্বাচনের ডেট যথাসময়ে জানতে পারবেন।
আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করব। সরকারের সঙ্গে এ জন্য পরিকল্পনা করে ঘোষণা দিয়ে দেখা করতে হবে এমন না। ফরমালি, ইনফরমালি নানাভাবে যোগাযোগ হতে পারে। আমরা সরকারের ধারে কাছে নেই, একটা দ্বীপে আছি এমন তো না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে, এর মধ্যে ইসি সংস্কার আছে, এর মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত তো। এগুলোকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। সময় হলেই যোগাযোগ হবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশন ক্যাডার এবং জেলাপ্রশাসক এসব শব্দগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে। এর পাশাপাশি, সরকারি চাকরিজীবীরা যাতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এসব কথা জানান।
কমিশন প্রধান বলেন, "আমলারাই আমলাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।" তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা যেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন কিংবা রাজনৈতিক কথা না বলেন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, "কাক কিন্তু কাকের মাংস খায় না।"
জনপ্রশাসন সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান, এসি ল্যান্ড এবং রেজিস্ট্রি অফিসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়। এসব অফিসে এখনও ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, কমিশন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা জানার জন্য গণশুনানি করেছে এবং জনগণের মতামত ও চাহিদার ভিত্তিতে প্রশাসনের পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে। কমিশন নির্ধারিত সময়, ডিসেম্বরের মধ্যে এসব সুপারিশ জমা দেবে।
ড. মোখলেস উর রহমান আরও জানান, প্রশাসনে 'ক্যাডার' শব্দটি বাদ দিয়ে 'সিভিল সার্ভিস' ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এসি ল্যান্ড এবং রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি দূর করার জন্য কিছু প্রস্তাবনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, "মানুষ যে পরিবর্তন চায়, তা করতেই এই সরকার এসেছে। এতদিনের অনিয়মের পেছনে সরকারি কর্মকর্তাদেরও কিছু দোষ রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পরিবর্তন দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৮মে) এ বিষয়ে দুদক থেকে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে।
এর আগে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। যা আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এছাড়াও বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের বিভিন্নস্থানে বিমান বন্দর উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও ওই তলবের বিপরীতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়ার দেখা মেলেনি।
মন্তব্য করুন


অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন দিনের ভোট রাতে হবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি আপনাদের গোপন বুথ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার। সেখানে গিয়ে আপনার ভোট যাকে ইচ্ছা, তাকে দিতে পারবেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সপ্তাহব্যাপী কয়েকটি সভা ও সেমিনারে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেনদের মত কুলাঙ্গাররা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে ভোটের অধিকার হরণ নিশ্চিত করেছিলেন। বিচারাঙ্গনে কোন মাফিয়া থাকবে না, কোন চক্রের সিন্ডিকেট থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এ লড়াইয়ে সফলও হচ্ছেন। তিনি মাদক ও দুর্নীতির তথ্য দিয়ে সগযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা শৈলকুপাকে মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলবো। কথা দিচ্ছি মাদকের তথ্যদাতাদের নাম পরিচয় গোপন রেখে কেবল মাদকের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, "আমরা অন্তবর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্বে সামান্যতম গড়িমসি হয়, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যদি তারা এটি করতে না পারে, তাহলে এটি তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হবে।"
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, খুনী হাসিনার বিচার করা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যারা এই হত্যাযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত, যারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, খুনী হাসিনার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যদি আপনাদের দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র গড়িমসি করেন, তাহলে এই বাংলাদেশে আপনাদের মুখ দেখানোর আর কোনো জায়গা থাকবে না।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আগামীর প্রজন্ম- আপনাদের শুধু একটি অনুরোধ করতে চাই, আমরা দলকানা হবো না, কোনো গোষ্ঠীর পূজা করবো না। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।"
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, "বিভিন্ন মহলের প্রোপাগান্ডার সেলগুলো বক্তব্যের খণ্ডাংশ নিয়ে ঘটনাগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এই অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলোকে বিভিন্নভাবে গুজবের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে কি না, এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করার মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।"
শহীদ পরিবারগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "এটা শুধুমাত্র শুরু, অল্প কিছু টাকা দিয়ে মানুষ হারানোর শোক পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কথা দিতে চাই, এই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন যতদিন থাকবে এবং আপনারা যতদিন থাকবেন, আপনাদের জন্য জীবনের বিনিময়েও কাজ করে যাবো।"
শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৫৮ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আশশেফা খাতুন, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
মন্তব্য করুন


রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, সারা বিশ্বের কাছে এটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর তিনি এক ভাষণে এ কথা বলেন।
এর আগে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করেন তারা। এর আগে বিকাল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
এতে উপস্থিত হয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বলে আগেই জানিয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া তারা এখন জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবে না।
মন্তব্য করুন


টাইফয়েড টিকা নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (সিরডাপ মিলনায়তনে ‘টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি-২০২৫ এর সাফল্য এবং শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘টাইফয়েডের টিকা নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে এর মূলে রয়েছে সম্মক ধারণা না থাকা। উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।’
সরকারের উদ্যোগে দেশজুড়ে শিশুদের টাইফয়েডের টিকা দেয়ার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজব। এসব গুজব প্রতিহত করে টিকা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের সরকার আহ্বান জানিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ৯০ লাখ লোক টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ঝুঁকি নিরসনে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫ জনকে টাইফয়েডের টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটা মহলের আপত্তি নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে ঘনবসতি এবং দূষণের কারণে টাইফয়েডের টিকা দেয়া প্রয়োজন।’
মন্তব্য করুন