ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত শোকাহত হয়েছে। ভারত শেখ হাসিনার জন্য খুব কষ্ট পেয়েছে এবং তারা যড়ষন্ত্র করছে যাতে শেখ হাসিনাকে আবার দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানো যায়।
রবিবার বিকেলে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল-জুলুম সহ্য করে দেশে ছিলেন এবং এখনো আছেন, কিন্তু শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটিই হলো শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় মিডিয়া স্বাধীন দেশের বিষয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার জন্য। ভারতকে আমি বলব— যদি শেখ হাসিনার জন্য এত মায়া থাকে, তাহলে ভারতে তার জন্য আরেকটি তাজমহল তৈরি করুন।
তিনি বলেন, ভারতীয় যড়ষন্ত্রের কারণে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন মেয়রের বাড়ি থেকে ভাত আনতে রাষ্ট্রের মাসে ২৫ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে—এটা কী ভাবা যায়? এর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিমাণ বোঝা যায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে জনগণের গণতন্ত্র হরণ করে নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছে। পুলিশের একজন আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক, এবং একজন মন্ত্রীর দেশের বাইরে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছেন, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো দেশ পরিচালনা করেছেন এবং ব্যাংক লুট করেছেন। শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু, এখন ভারতে পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তাই ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ক্ষমতায় না আসে, সে জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের হাতে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় আরও জানানো হয়, সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গতকালই ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে আরও ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার মামলায় দণ্ডবিধির ১২০ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ জুন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। তবে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল না।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেফতার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্যেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আইন ও নীতিমালা মেনে চললে জনগণের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিত করাই জেলা প্রশাসকদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আপনারা যদি আইন ও বিবেক অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে জনগণের প্রতিপক্ষ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটি আইন ও সংবিধানের পরিপন্থী।"
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এই অধিবেশনে আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আসিফ নজরুল বলেন, "ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক বাস্তবতা এবং চ্যালেঞ্জগুলি ডিসিরা ভালোভাবে বুঝেন।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "ডিসিরা আমাদের জানিয়েছেন যে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেপ্তারের পর তারা দ্রুত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন, যা তাদের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আদালতের কাজই হলো উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া। তবে এ ধরনের বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা ডিসিদের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেছি। মামলার ক্ষেত্রে সলিসিটর উইংকে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ডিসি অফিসে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থান সংকুলানের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং এর সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা ডিসিদের অনুরোধ করেছি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পর ছাত্ররা যে কয়েক মাস সময় পায়, সে সময়টাতে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হোক।" তিনি আরও যোগ করেন, "ডিসিরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক সকলের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা উচিত, শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নয়। আমরা এই পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি এবং শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে।"
তিনি আরও বলেন, "জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি নিয়োগ সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করার বিষয়েও ডিসিরা পরামর্শ দিয়েছেন। এটি আমাদের চিন্তাভাবনার সাথে মিলে গেছে।"
প্রশাসনের মেধাবী কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, অতীতের একটি ফ্যাসিস্ট সরকার এই দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের কাজে ব্যবহার করেছে। তবে আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এই বিশাল সম্ভাবনাকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করা হোক। সংবিধানেও এটিই প্রত্যাশিত।"
তিনি আরও বলেন, "সারা দেশে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেগুলো থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু টিটিসি নয়, বাংলাদেশে অনেক ভবন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গত ছয় মাসে আমি এটি অনুভব করেছি। আমরা ভালো কিছু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৮ জন একত্রিত হয়ে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকারের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ এটি প্রথমবার। এই বৈঠক বাংলাদেশ ও ইইউ-এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রফিকুল আলম আরও বলেন, আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যত গঠনে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকার কারণে নয়াদিল্লির বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থিত বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত বুলগেরীয় দূতাবাস থেকে ৮৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান করছে।
রফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাংককে অবস্থিত কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, চলমান আলোচনা অনুযায়ী, বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তারা ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান করতে আগ্রহী।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ৩৮ দিনের ছুটিতে গেলো স্কুল-কলেজ। আজ ২ মার্চ থেকে এ ছুটি শুরু হয়েছে এবং চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ছুটি শেষে আগামী ৯ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে এ ছুটি নির্ধারিত ছিল।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান, দোলযাত্রা, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি একসঙ্গে রাখা হয়েছে। ২ মার্চ রমজান দিয়ে দীর্ঘ এ ছুটি শুরু হয়েছে এবং ঈদুল ফিতর শেষে ৮ এপ্রিল ছুটি শেষ হবে।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। তাতে ২ মার্চ থেকে ছুটি শুরুর কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ছুটির আগে শেষদিন ক্লাস চালু থাকবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে, ২০ রমজান পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণির কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সোমবার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আজাদ খানের কাছে স্মারকলিপি দেন।
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, "শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো সব বই পৌঁছায়নি। গত দুই মাসে সেভাবে পড়াশোনা হয়নি। এর মধ্যে রমজান, ঈদুল ফিতরের এক মাসের বেশি ছুটি। এরপর শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা দাবি জানিয়েছি, এ লম্বা ছুটিতে সরাসরি সম্ভব না হলেও অনলাইনে যেন ক্লাস হয়। মোটকথা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে হবে।"
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, "দীর্ঘ এ ছুটি শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী। যদিও এবার বই দেরিতে হাতে পাওয়ায় কিছু ঘাটতি হয়েছে। প্রতি বছর এ ছুটি থাকে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা বাস্তবায়ন করবো।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চৌদ্দগ্রামে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা সবাইকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী আব্দুল হাই কানুর অভিযোগ, রোববার দুপুরে ওষুধ কিনতে বাড়ির কাছে বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে ধরে জুতার মালা পরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে তাকে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার এই ঘটনার ভিডিও গতরাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয় জামায়াত দাবি করছে, আবুল হাসেমসহ ঘটনায় জড়িতরা জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে হেনস্তাকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সকালে বিজিবির সদরদপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী সব জায়গায় রয়ে গেছে। যে দুষ্কৃতিকারীরা তাকে হেনস্তা করেছে, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপিত হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সহায়তায় আমরা উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভার শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিনের জন্য পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে:
থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য পরিকল্পনা:
উৎসব দুটি সফলভাবে উদযাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় করেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও নোট বিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি বিষয়ক সহযোগিতা, ব্যবসায়িক কাউন্সিল গঠন (এফবিসিসিআই ও এনসিসিআইএম), বিএমসিসিআই ও মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান এমআইএমওএসের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (আইএসআইএস) মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত।
এর আগে সকাল ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। সেখানে ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
গার্ড অব অনার প্রদান শেষে আনোয়ার ইব্রাহিম তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।
মন্তব্য করুন
২০২৪ এর জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠুভাবেই করা হবে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এই বিচার নিয়ে আপনাদের হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আমাদের সরকারের আমলেই কাঙ্ক্ষিত রায় পাবেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার বিষয়ে এক আলোচনাসভা ও তথ্য প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, এই সরকারের আমলেই গণহত্যার বিচার পাবে শহীদ পরিবার। এমনভাবে সাক্ষ্য এবং প্রক্রিয়া রেখে যাওয়া হবে, যা কোনোভাবেই ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।’
আসিফ নজরুল বলেন, আর আমি বিশ্বাস করি না, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা বিচারে শৈথিল্য বা গাফেলতি দেখাবে। তারা সবাই নির্যাতিত মানুষ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি (বন্দিবিনিময়) আছে এবং এই প্রক্রিয়াও (ফিরিয়ে আনার) চলছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপ-প্রেস সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি বিষয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ভারতের মধ্যে রয়েছেন। ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
মন্তব্য করুন