২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি সপরিবার লন্ডনে যান। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৭ বছর। দীর্ঘ এ সময়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে নানা গুঞ্জন ওঠে। তবে তিনি কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের শীর্ষ নেতা লন্ডনে সাদামাটা জীবন যাপন করে আসছেন। চড়েন পাবলিক বাসেও। সেখানে তার নেই কোনো গাড়িবহর।
সম্প্রতি তারেক রহমানের বাসে চড়ার কয়েকটি স্থির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। আর তার এমন কাজ নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) গভীর রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে তারেক রহমানের বাসে চড়ার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়। ওইসব ছবিতে দেখা যায়, বাসের জন্য অপেক্ষা করছে বিএনপির শীর্ষ নেতা। ছাউনিতে অপেক্ষারত তারেক রহমান মোবাইল টিপছেন। বাস আসার পরই যানটিতে ওঠেন তিনি।
ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যে বসবাসকালীন কোনো ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ না করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করেন সাধারণ মানুষের মতোই। ’
ইতোমধ্যে ওই পোস্টে ৬৫ হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট পড়েছে। কমেন্ট পড়েছে প্রায় ৯ হাজার। শেয়ার হয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে দেশে তিনটি শক্তি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রভাব বিস্তার করা শক্তিগুলোর মধ্যে দুটি আঞ্চলিক এবং একটি বিশ্বমোড়ল শক্তি। তাদের স্বার্থ আলাদা হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বার্থ। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই বিদেশি শক্তিগুলো এই অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় একটি মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণি তৈরি করেছে। আজও সেই ধারা চলছে, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’
শহিদ আবরার ফাহাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আবরার এদেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। আমাদের সকলকে সবার বক্তব্যে, সোশ্যাল মিডিয়ার ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নীতিতে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেমন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়িগুলো নির্মাণ করেছি শহিদ আবরারের মতো শহিদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ হঠাৎ করে আসেনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, রাজনীতি ও ত্যাগের ফসলই মুক্তিযুদ্ধ। আজ আমরা ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও সেই রক্তের উত্তরাধিকার বহন করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি আধিপত্যবাদ রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই বিদেশি শক্তির কুশীলব হিসেবে কাজ করছে। আবরার ফাহাদ ছিলেন সেই আধিপত্যবাদের শিকার, কেবল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতের বিএনপি হবে গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো একটি জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য—জনগণ, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব। অতীতের ভালো কাজগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ গড়তে চাই।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা গর্ব করি যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা—এই দুটো ক্ষেত্রই বিএনপির শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এমনকি সেই সময় বাংলাদেশ বিদেশে খাদ্য রপ্তানিও করেছিল।
তিনি বলেন, যখন দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব দল নিষিদ্ধ ছিল, তখন বিএনপির হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরেছিল। সেই ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণা।
রাজনীতিতে জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। অভিযোগকে আমরা বিবেচনায় রাখব। তবে সুযোগ পেলে প্রমাণ করব, জবাবদিহিতা কেমন হওয়া উচিত। এটা একদিনে সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ গঠনের কাজে শুধু রাজনীতিক নয়, নাগরিকরাও অংশীদার। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।
প্রবাসজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৭ বছর আমি বিদেশে আছি। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এই দূরত্ব থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হতো না। আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের সহায়তা না থাকলে এই কঠিন কাজ আরও কঠিন হতো।
তারেক রহমান আরও বলেন, নানা বাধা-বিপত্তি, দমন-পীড়নের মধ্যেও যারা দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন, জনগণের দাবির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন—আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। যুক্তরাজ্যে থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, সুযোগ পেলে সেই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই।
মন্তব্য করুন
বিএনপি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায় জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমরা কাউকে হেয় করতে চাই না, আমরা কাউকে ছোটও করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।
আজ সোমবার নওগাঁয় বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, আমরা সবার মতামতকে সন্মান জানাতে চাই। তবে আজকে যারা সংস্কার সংস্কার করছে, তাদেরকে বলতে চাই শহিদ জিয়ার সৈনিকেরা আরও আড়াই বছর আগেই এসব সংস্কারের দাবি তুলেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি কী কী সংস্কার করতে চায়, রাষ্ট্রকে জনগণের মতো করে গড়ে তোলার জন্য কী কী মেরামত করতে চায়, সেই বিষয়গুলোর সব আছে ৩১ দফার মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই ৩১ দফা আর সরকারের ঐকমত্য কমিশেনের বক্তব্য শুনলে দেখবেন সবগুলো বিষয় মিলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র ২/১ টা বিষয় এদিক-সেদিক হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের মনোনয়নপত্র ক্রয় ঠেকাতে মব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সারাদেশে আইনবহির্ভূতভাবে মব করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে। জাতি নির্বাচনী রোডম্যাপের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে ভোটারবান্ধব কেন্দ্র করতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে যেসব কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সোমবার ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রদলের নেত্রীকে ফরম তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে ছাত্রদল।
মন্তব্য করুন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর শাহবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জুলাই আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল এই বাংলাদেশে আয়নারঘর থাকতে পারে না। জুলাই আয়নাঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ এই জুলাইয়ের নতুন দাবি, আমাদের সবার প্রত্যাশা হাসিনার বিচার। এই বিচারটা অনেক বেশি প্রয়োজন। হাসিনার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আমাদের জানিয়ে দিতে চায়, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দেশে একটা জনগণের সরকার, একটা নির্বাচিত সরকার খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যদি বাংলাদেশে একটা স্বাভাবিক, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারের নেতৃত্ব দেবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা থাকতে পারে।
আজ সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তাঁর ভাষায়, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে কি না এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত বা বিলম্বিত করার কোনো অপচেষ্টা চলছে কি না—সে সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটিকে এখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাই। বিএনপির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল বহন করে না। মামলায় যাদের নাম এসেছে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘মিটফোর্ডের এই ঘটনা কোনো চাদাবাজি বা ব্যক্তিগত বিরোধ নয়, বরং এটি পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এই ঘটনার পেছনে একটি চিহ্নিত মহলের হাত রয়েছে, যারা বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময় ও উদ্দেশ্য নিয়ে। এসব ইঙ্গিত দেয়, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করতে চাইছে এবং বিএনপিকে টার্গেট করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পথে দেশকে ফেরত নেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সরকারের উদাসীনতা ও একপেশে অবস্থান আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জনগণকে সংঘাত-উসকানিতে না পা দেওয়ার আহ্বান জানান এবং সোহাগ হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পূর্ণগঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এ স্বল্প সময়ে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। তিনি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইন তিনি এসময়ে প্রণয়ন করেছেন। বর্তমানে সময়ে এসে সেগুলোকে শুধু যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে অধিদপ্তর আয়োজিত সাপ্তাহিক ‘বিশেষ লার্নিং সেশন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এর গ্রন্থাগারটি হবে পরিবেশবান্ধব জায়গায় বসে জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। আর গ্রন্থাগার হলো সভ্যতা-সংস্কৃতির সূতিকাগার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জীবনের সব ক্ষেত্রেই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. মরিয়ম বেগম।
সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক সাপ্তাহিক লার্নিং সেশন আয়োজন একটি সময়োপযোগী ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ কর্মসূচিকে দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যেতে হবে এবং নিত্য নতুন বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে হবে যাতে আমাদের পাঠকদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
সরকার চলতি বছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই সরকার ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ করেছে। এ সিদ্ধান্ত জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বর্তমান রাজস্ব আদায় দিয়ে বাজেট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কার্যত অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এখন ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার টাকার অযৌক্তিক মুদ্রণ করে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। জ্বালানি খরচসহ দৈনন্দিন খরচও বেড়ে যাবে, যা জনগণের নাভিশ্বাস উঠাবে।’
সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে বাজেটের খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এতে অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজেটে আরও ১ কোটি টাকার সাশ্রয় করা যেতে পারে।’
আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। তাই আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কঠিন শর্ত শিথিল করার চেষ্টা করা উচিত।’
সরকারকে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উচিত সবার আগে বাজেটের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করা।’
মন্তব্য করুন