

ডেস্ক রিপোর্ট:
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রূপরেখা তৈরি করবে। সরকার এই রূপরেখা পর্যালোচনা করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।"
তিনি আরও বলেন, "সাংবাদিকতা একটি বহুমুখী ক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন পক্ষ সক্রিয়। সম্পাদক, মালিক এবং সাংবাদিক—প্রত্যেকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজ করেন। তবে তাদের এক জায়গায় আসতে হবে, সম্মিলিতভাবে সমাধান খুঁজতে হবে।"
সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, "এই আইন নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং অন্যান্য আইনও পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। যত কম আইনি বাধা থাকবে, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ততটাই ভালো।"
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনগণের সামনে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা উচিত। "যদি কেউ ভুল করে থাকে বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকে, তাহলে তা স্বীকার করা উচিত। সত্যের মধ্য দিয়ে রিকনসিলেশন সম্ভব।"
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, "গণমাধ্যম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে মতবিরোধ থাকলেও সবাইকে সঠিক পথে কাজ করতে হবে।"
মন্তব্য করুন


দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকলেও তা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে, সবাইকে কাজ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন


অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা জানান, আনসারদের অস্ত্রগুলো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
এছাড়া, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৪০ হাজার বডি অন ক্যামেরা কেনা হচ্ছে না। যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, শুধু সেখানেই দেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সাথে কেনা হবে এগুলো। ইসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করে এসব ঠিক করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরো জানান, চাহিদা থাকায় এক কোটি ই-পাসপোর্টের বই কেনার জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া টিকার সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে ইপিআই টিকা কেনা হবে। এ সময়, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজার আগে চাল ও গম আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


সরকার এবার কেজিপ্রতি ৩৯ টাকায় ধান এবং ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, আমন সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু নির্বাচন, তাই আগেভাগেই সংগ্রহ শেষ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, আমন ধান বেশি পরিমাণে কেনা হবে। ধান ও চালের মধ্যে আগে সংগ্রহের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ব্যবধান থাকতো। এবার তা হবে না, যা কৃষকদের উৎসাহিত করছে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হবে। সংগ্রহের ডেডলাইন আগামী ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় এর আগেই প্রায় সবটা সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, ৫০ হাজার টন ধান, ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের মিনিমাম টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু হিসাব করে ধান উৎপাদনে কিছু পরিমাণ ঘাটতি থাকে, যার কারণে আমাদের আমদানি করতে হয়।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫০ লাখ পরিবার থেকে ৫৫ লাখ পরিবারের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ৫ মাস দেয়া হত আগে, এখন সেটা ৬ মাস করা হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কমিটেড। অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব হস্তান্তর করবে, তখন খাদ্য মজুদ অনেক বেশি পরিমাণে থাকবে বলে আশা করি।
মন্তব্য করুন


যারা খাল বা ভূমি দখল করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভূমিদস্যুরা দেশ ও সমাজের শত্রু। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ঝাউবাড়ি এলাকায় শুভাঢ্যা খাল খনন ও সুরক্ষা কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একসময় এই খালটি সচল এবং প্রবাহমান ছিল। কিন্তু ভূমিদস্যুরা দখল করে এটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। আর কিছুদিন গেলে এই খালটি ফিরে পাওয়া যেত না। ভূমিদস্যুরা এটিকে রাস্তায় পরিণত করত।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে খাল দিয়ে মানুষ যাতায়াত করত এবং বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত পানি প্রবাহিত হতো, সেই খালটিকে আজ ভূমিদস্যুরা দখল ও দূষণ করে সর্বনাশ করেছে। যারা এই নির্দেশনা মানবে না, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ। এ লক্ষ্যে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুমোদন দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ টন করে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয়ে পাওয়া আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নামের নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো।
রপ্তানির শর্তে বলা হয়, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পণ্যের কায়িক পরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ই-মেইল করতে হবে এবং অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।
প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এসোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন, এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।
মন্তব্য করুন


আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ এসেছে তা যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়। এটাই সবার মূল প্রত্যয় হওয়া উচিত।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "শহিদ বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন, প্রত্যয় এবং দেশপ্রেম নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেটার ধারাবাহিকতাই ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান। তরুণরা জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য লড়াই করেছে।"
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, "১৯৭১ সালে শহিদ বুদ্ধিজীবীসহ অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তবে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম। একদলীয় মানসিকতা ও কিছু দলের ব্যর্থতার কারণে তা নষ্ট হওয়ার পথে ছিল। আজ আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।"
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এবং আদর্শকে পুরোপুরি ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।"
এর আগে সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও দেশ গড়ার স্বপ্ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেরণা। ৭১-এর হানাদার বাহিনীর জুলুমের পুনরাবৃত্তি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ করেছে।’
আজ শনিবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি আমরা এ বছরের জুলাই মাসে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন কিভাবে আমাদের শীর্ষ ছাত্র নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি এবং যেভাবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন, তা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের ধারাবাহিকতা। তাদের আদর্শ ও স্বপ্নকে ধারণ করেই আমরা এগিয়ে চলেছি। ড. ইউনূসের পুরো টিম শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে লালন করে কাজ করছে।’
এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধারা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি। ছাত্ররা জীবনের মায়া ত্যাগ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে তাদের ত্যাগের কথা মনে পড়ছে।’
মন্তব্য করুন


দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি, বিশাল অংকের টাকা। সব টাকা আনতে সময় লাগবে। তাদের শনাক্ত করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন। এখানে কতগুলো আইনের পদক্ষেপও রয়েছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য একটি বিশেষ আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, শিগগিরই যা অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।"
সরকার কয়েকশ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "হ্যাঁ, এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।"
মন্তব্য করুন


নাগরিকরা নিজেরা পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদ কিছু করতে পারবে না, নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না করলে পরিবর্তন আসবে না। সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ভিত্তিতে কোনো দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয়।
শনিবার সকালে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পুরোনোকে নিয়ম ভাবলে হবে না। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিবর্তন সম্ভব নয়।
নদী দূষণ রোধে দ্রুত ঘোষণা আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, দূষণের একটি জায়গা নিয়ে কাজ করলে হবে না, বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে হবে।
মানুষ নয়, নিয়ম বদলানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, নিয়ম ঠিক থাকলেই ফলাফল আসবে। আমরা সেই নিয়মগুলো ঠিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি করবর্ষে জমা দেওয়া অনলাইন আয়কর রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।
আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।
শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।
করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।
ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।
ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।
মন্তব্য করুন