

ডেস্ক রিপোর্টঃ
নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল জব্বার। কোটা সংস্কার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। সরকার পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনরত অবস্থায় বুকে, মাথায় ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। পাশে থাকা বন্ধুরা প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তার মাথা ও বুক থেকে গুলি বের করা হলেও কোমরেরটা বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। দুদিন হাসপাতালে রাখার পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।
জব্বারের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুর কালীবাড়ি গ্রামে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা প্রবাসে থাকেন। একমাত্র বোনকে নিয়ে আশুলিয়ায় থাকতেন জব্বার। বোন সেখানে কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাবা আবুল কালাম আজাদ ব্যবসায়ী ছিলেন, এখন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
চিকিৎসার সবশেষ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, যত দ্রুত সম্ভব গুলি বের করা না হলে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হতে পারেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের কারণে দুই মাস পার হলেও কোমরের গুলি বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে আমার দিন কাটছে।
গত ৪ আগস্ট ঘটে যাওয়া নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সেদিন সকালে আশুলিয়া থেকে শাহবাগে যেতে চেয়েছিলাম। পরে কিছুক্ষণ ওখানে থেকে বাসায় চলে আসি। আবার কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে ইপিজেডের সামনে যাই। সেখানে প্রচুর ছাত্র-জনতা জড়ো হচ্ছিলো। আমি তাদের সঙ্গে মিছিলে যাই। আশুলিয়া থানার সামনে যাওয়ার পরে দেখি পুলিশের গুলিতে অনেকে আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ সদস্যরা মসজিদের দিকে চলে যায়। তখন তারা আমাদের ওপরে কিছু করবে না বলে জানায়। আমরা এ সময় মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। তখন পুলিশ আমাদের একদম কাছাকাছি। এ সময় তারা আমাদের থানার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং গুলি ছুড়তে থাকে। বেশিরভাগ গুলি ছুড়েছে ছাদ এবং টাওয়ারের ওপর থেকে। আমরা কখনো বুঝতে পারিনি এভাবে গুলি করবে। জীবন বাঁচাতে সবাই এদিকে-সেদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় আমার শরীরে গুলি লাগে।
জব্বার বলেন, আহত হওয়ার পর আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। ব্যথা কমলে পরের দিন সকালে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে দুইদিন রেখে১৪ দিন পরে আবার হাসপাতালে যেতে বলা হয়। পরে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক জানান, অপারেশন করার দরকার নেই, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। অপারেশন করলে অনেক ঝুঁকি হয়ে যাবে।
এরপর নিজ উদ্যোগে পিজিতে ভর্তি হই। সেখানে প্রায় ১০-১১ দিনের মতো ভর্তি ছিলাম। চিকিৎসকরা একটি বোর্ড গঠন করেছিলেন। তারা জানান, অপারেশন করলে প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নাহলে বুলেট যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে। আমার এখন চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। হাঁটা-চলা বেশি করলে পায়ে অনেক ব্যথা হয়। যদি বিদেশে যাওয়া লাগে তাহলে তো অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর অপারেশনটি করলে যদি আরও খারাপ কিছু হয় সেজন্য চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। আমার যদি কিছু হলে মা-বোনকে দেখবে কে।
তিনি আরও বলেন, থার্ড সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে দিতে পারছি না। পড়াশোনায়ও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এক সময় চিন্তা করতাম বিদেশ যাবো। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর মনে হচ্ছে দেশে থেকেই ভালো কিছু করবো। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হচ্ছে। মনের মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা চলে এসেছে যে, গুলিটা শরীরে থাকলে ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যা হবে কিনা। আগে একটা স্বাভাবিক শরীর নিয়ে চলাফেরা করেছি, এখন ভিন্ন। সবসময় মনে হয় আমার হিপ জয়েন্টের মধ্যে কিছু একটা আছে।
জব্বারের বোন স্বর্ণা বলেন, ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবা নেই, ভেবেছিলাম ভাইয়া লেখাপড়া করে সংসারে হাল ধরবে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে তো ভাইয়া আর ভালো হতে পারবে না। ভাইয়া যেন চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বুকে অপারেশন হয়েছে, তাই ভারী কাজ করতে পারি না। এ জন্য তেমন কাজ পাই না, আর কাজ না করতে পারলে খাবার জুটে না। তবে যেদিন থেকে ভালো কাজের হোটেলের সন্ধান পেয়েছি, সেদিন থেকে কোনোদিন আর না খেয়ে থাকতে হয়নি।’
কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর কাওরানবাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে স্থাপিত 'ভালো কাজের হোটেলে’ খেতে আসা দিনমজুর রফিক মিয়া।
তিনি বলেন, ভালো কাজের হোটেলে প্রতিদিন একবার এসে খেয়ে যাই। এই একবেলা খাবারটাই দুইবেলা না খেয়ে খাওয়া হয়। প্রতিদিন এসে একটা ভালো কাজের কথা বললেই খেতে পারি। তা-নাহলে পুরোদিনই না খেয়ে থাকা লাগত।
রফিক মিয়ার মতো অসংখ্য দিনমজুর, ভিক্ষুক ও অসহায়ের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে ভালো কাজের হোটেল নামে ব্যতিক্রমী এ হোটেলটি। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানুষকে ভালো কাজের দিকে উৎসাহ জুগাতেই তাদের ‘ভালো কাজের হোটেলে’র কার্যক্রম। অস্থায়ী এই হোটেলে যারাই এসে খাবার খান, তারা প্রতিদিনই কোনো না কোনো একটি ভালো কাজ করে আসেন। আবার কেউ কোনো ভালো কাজ করতে না পারলেও প্রতিশ্রুতি দিলে তিনিও খাবার পান।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে রাজনীতিতে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক সংস্থার রিপোর্ট হতে হবে স্বচ্ছ, অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে সিইসি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য একটাই—জাতিকে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না, বরং সামনে এগোতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে আমরা সহযোগী হিসেবে পেতে চাই। তারা ভোটের অনিয়ম তুলে ধরবেন, কিন্তু রাজনীতিতে জড়াবেন না। পর্যবেক্ষকদের চোখ দুষ্টু হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’
সিইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোটারদের উপস্থিতি অনেক বেশি হবে।
পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও সানাউল্লাহ বলেন, ‘অতীতকে সামনে আনা নয়, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণে সমস্যা হতে পারে।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। ’
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন


নিজেকে মেয়র ঘোষণা করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দখলের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, আর চুপ থাকার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি নেই। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এটা নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পাবলিক লাইব্রেরির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
এখন ডেঙ্গুর সময়। যেখানে নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে, কতদিন এভাবে চলবে- দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়টি নিয়ে আমরা কনসার্ন আছি উচ্চপর্যায়ে থেকে।
এটা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব একাধিক মিটিং করেছেন। সিটি করপোরেশনগুলো কনসার্ন আছে। সিটি করপোরেশনগুলোর কার্যক্রম সারফেসে আপনারা হয়তো দেখছেন না। এটা নিয়ে ডেডিকেটেডলি আমরা আপনাদের ব্রিফ করব। কী কী উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি, কী কী উদ্যোগ আমরা নেব। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাটা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্বভাবতই ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যতটা সম্ভব বাইরে থেকে হলেও নাগরিক সেবা কন্টিনিউ রাখা এবং সেটা কাভার করা।’
আমরা দেখলাম একজন স্বঘোষিত মেয়র। নগর ভবন তার দখলে, নাগরিক সেবা বন্ধ। আপনারা সরকার নতজানু হয়ে আছেন। সরকার সমস্যা সমাধান করছে না, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে না-এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার কনসার্ন আছে। এটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এ সরকার গুড কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করে।
একই সঙ্গে আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলি, সেটা রক্ষা করতে গেলে প্রত্যেকের কাছ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করার চেষ্টা করছি। তবে যেভাবে নাগরিক সেবা ডেডলকের দিকে যাচ্ছে, আর চুপ থাকার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি নেই। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এটা নিয়ে কনসার্ন আছে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে যেটা সিদ্ধান্ত আসে, আমি সেটাই বাস্তবায়ন করব।’
কতদিনে সিদ্ধান্ত হবে- জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে।’
গত সোমবার ও মঙ্গলবার ৭০টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক ও ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার নগর ভবনে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
এদিকে, ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে আজও অবস্থান নিয়েছে সংস্থাটির কর্মচারীরা। এর সঙ্গে 'ঢাকাবাসী'র ব্যানারে নগর ভবনে একত্রিত হয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা।
বুধবার (১৫ জুন) ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে একত্রিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও দুপুর ১টার দিকে নগর ভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন। এরপর তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের পরই নগর ভবন প্রাঙ্গণে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সংস্কার বড় স্বপ্ন, তার জন্য ঐক্য দরকার, নির্বাচনেও যেতে হবে; কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ এ কথা বলেন।
ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সংলাপের শুক্রবার ছিল প্রথম দিন। এ সংলাপের আয়োজক ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ। সকালে এ সংলাপের উদ্বোধন করা হয়।
সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সংস্কারমুখী মানুষকে আইনশৃঙ্খলা না দিয়ে, তার খাওয়ার ব্যবস্থা না করে, চাকরির নিশ্চয়তা না দিয়ে বিপথে নিয়ে যাবেন না। সর্বোত্তম পেতে গিয়ে আমরা যেন উত্তমকে হারিয়ে না ফেলি। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে চাই, কিন্তু এই মুহূর্তের সমস্যাগুলো মনোযোগে না নিলে ওই জায়গাটায় পৌঁছানো যাবে না।
সর্বজনীন মানবাধিকার থাকার ওপর গুরুত্ব দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া, নদীভাঙনের মধ্যে থাকা, আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়, নারী-পুরুষের ভেতরে বিভেদ, ধর্মীয় চিন্তার ভেতরে বিভেদ, লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে বিভেদ- সেই মানুষগুলোর বেঁচে থাকা, কথা বলা, সমাবেশ করা, জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার থাকবে- সেই নিশ্চয়তা আমাদের পেতে হবে। সেই ঐক্যের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। একটা ন্যূনতম জায়গায় আমাদের একমত হতে হবে।
দেবপ্রিয় মনে করেন, কাঠামোগত প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর মধ্যে ঘাটতি লাগার বিষয় আছে। আর তা হলো, উপরিকাঠামো নিয়ে যতখানি আলোচনা হচ্ছে, এই দেশ-সমাজের ভিত্তি নিয়ে তত আলোচনা হয় না।
তিনি বলেন, এ আলোচনা শোনা যায় না যে গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতন কত হবে, সে ন্যায্য মজুরি কিভাবে পাবে, কৃষক ফসলের দাম পাবে কি না, এ মুহূর্তে মধ্যবিত্ত ৮০ টাকায় শাকের আঁটি কেমন করে খাবে? সেই আলোচনা তো আসেনি। একবারও তো আলোচনা হলো না যুবসমাজের কর্মসংস্থান কেমন করে হবে। সেই সংস্কার কি আমরা দেখেছি। কিসের উপরিকাঠামো সংস্কার করবেন, যদি আমার ভিত ঠিক না থাকে। আসল ক্ষমতায়ন তো রুটি-রুজির ক্ষমতায়ন। আমার খুব কষ্ট লাগে এ বিষয়গুলো আমাদের নেতারা দেখছেন না।
দেবপ্রিয় বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আলোচনা চললেও বাদবাকি মানুষ কোথা থেকে মহার্ঘ্য ভাতা পাবে সেই আলোচনা শোনা যায় না। শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য কোনো ভাতার প্রচলন হবে কিনা, সেটাও শোনা যায় না।
তিনি বলেন, সময়ের মধ্যে শ্বেতপত্র তৈরি করতে পারায় গর্ববোধ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না লুণ্ঠনের মাত্রাটা কী; কী ভয়ংকর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এটাকে ঠিক করতে হবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।
খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এমন সতর্ক থাকতে হবে, যেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের এই বিষয়ে খুবই স্বচ্ছ হতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারও পক্ষে অন্যায় বা বেআইনিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, নির্বাচনে আমাদের নির্দেশনা হবে সম্পূর্ণ আইনের বিধি মোতাবেক। বেআইনি নির্দেশনা, কারও পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেবো না। সঠিক কাজটি, সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেবো।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন- ঐতিহাসিক নির্বাচন করবো। আমরা অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, আইন মেনে কাজ করবো।
কারাবন্দি ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটে আনার (ভোটাধিকার প্রয়োগের) কথা ভাবছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচন বিশেষ পরিস্থিতিতে হচ্ছে। তাই আমাদের বিশেষভাবে এটা মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষভাবে এটাকে ফেইস করতে হবে। যারা বিদেশে আছেন তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো। যারা জেলখানায় আছেন, যারা সরকারি কর্মকর্তা তাদের ভোটে আনার কথা ভাবছি। এই কাজগুলো নতুন। আমরা একসঙ্গে অনেক কাজ নিয়ে ফেললাম।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা যে শপথ করেছি সেটা আপনাদের কাছে ছড়িয়ে দিলাম। আমরা আমাদের শপথ রক্ষা করতে পারবো যদি আপনারা সঠিকভাবে কাজ করেন। দায়িত্ব আপনাদের কাছে দিয়ে দিলাম। আমাদের মাসুদ সাহেব (নির্বাচন কমিশনার) শপথের কথা বলেছেন, এখানে কোরআনের আয়াত আলোচনা হয়েছে। আমি অত বিস্তারিত আর যাবো না। আমরা শপথ নিয়েছি পাঁচজন। শপথ নিয়েছি, কিসের শপথ? একটা সঠিক নির্বাচনের শপথ।
সিইসি আরও বলেন, আমি কিন্তু গত বছরের ২ মার্চ পহেলা রমজানে আপনাদের শপথ করিয়েছিলাম। আপনারা কিন্তু ওয়াদা করেছিলেন যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন, আইন মেনে কাজ করবেন। আমাদের ব্রিগেডিয়ার ফজল সাহেব (নির্বাচন কমিশনরা) বলেছেন যে আমরা কোনো রকমের কোনো অন্যায় ইন্সট্রাকশন এখান থেকে দেবো না। আমরা কিন্তু বেআইনি কোনো ইন্সট্রাকশন দেবো না। আমরা কাউকে ফেভার করার জন্য ইন্সট্রাকশন দেবো না। আমরা কারও পক্ষে কাজ করার জন্য ইন্সট্রাকশন দেবো না। আমাদের ইন্সট্রাকশন হবে সম্পূর্ণ আইনের বিধি মোতাবেক। আইন মোতাবেক, সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করার নির্দেশনা আমরা দেবো। সঠিকভাবে আপনারা কাজ করবেন এটা নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা কাজটা সঠিকভাবে করছেন এটা শুধু আপনাদের জন্য না, এটা দেশের জন্য করতে হবে।
নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য এ সময় সিইসি কর্মকর্তাদের হাত তুলে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে শপথ করতে বলেন। কর্মকর্তারা হাত তুলে সে শপথ করেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, কাজ আদায় করা ডিফিকাল্ট- এখন এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি, যার কিছু অদৃশ্য। আমি পজিটিভ মানুষ, নেগেটিভ কিছু দেখতে চাই না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিনা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের নতুন ভবনে আগুন লেগেছিল। দুপুর ২টার দিকে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের ১০ম তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, ভবনে আগুন লাগার পরপরই সেখানে কর্মরত সবাই দ্রুত নিচে নেমে আসেন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন