শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে সৌদি আরবের সঙ্গে শিগগিরই একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধা দিবস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “মালয়েশিয়ায় গত বছর বিমানের টিকিট এবং ভিসা থাকা সত্ত্বেও যেতে না পারা কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসংক্রান্ত বৈঠক করে যখন ঢাকায় এসে বললাম যে তাদের মালয়েশিয়া নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে, তখন তীব্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।
আমাকে ফেসবুকে গালাগাল করছে–‘বর্তমানে যারা অবৈধ হয়ে আছে তাদের বৈধ করার খবর নেই, আবার নতুন করে লোক পাঠাচ্ছে।’ গালাগালের কোনো শেষ নাই। যেটা আপনাদের এত বড় দাবি সেটা করার পরও গালি খাই।”
এ সময় তিনি বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি আশা করি দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে শুনবেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে চুক্তি হচ্ছে।
এই চুক্তির চেষ্টা বিগত সরকারের আমলে অনেকবার করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু হয়নি। ভারত কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি নেই, বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি হতে যাচ্ছে। চুক্তি হলে সৌদি আরবে শ্রমিক ভাই-বোনদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা রিইন্টিগ্রেশনে কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ করেছি মন্ত্রণালয়ে যাতে আপনাদের ভোগান্তি ও হয়রানি কম হয়। সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করেছি, আপনারা নতুন করে বিদেশে গেলে এই সুবিধা বুঝতে পারবেন।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রবাসী ভাই-বোনরা যারা ফিরে এসেছেন, আপনারা হয়তো আবার যাবেন। কয়েকটা কথা আপনাদের বলি অন্যভাবে নিয়েন না। আপনারা বাইরে যাওয়ার আগে নিজেরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নেবেন।
আপনাদের কি কোনো প্রতারক পাঠাচ্ছে, এটা একটু ভালো করে খোঁজখবর নেবেন। বিদেশ যেতে এত মরিয়া হয়ে যাবেন না যে খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বিদেশ মানেই বেহেশত মনে করবেন না। এই সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রবাসীদের জীবনযাত্রা দেখেছি, সৌদি আরবে আমি এমন অবস্থা দেখেছি, বাংলাদেশের খারাপ বস্তিতেও মানুষ এর চেয়ে ভালো থাকে। এত খারাপ জীবন আট থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করে যাওয়ার পরও। কাজেই ভালোমতো খোঁজখবর নিয়ে যান। আপনার কাছে যদি ১০ লাখ টাকা থাকে বিদেশ যাওয়ার জন্য, এই টাকা দিয়ে অনেক ব্যবসা দেশে করা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ দেশে ১৮ কোটি মানুষ, কত ভোক্তা! ছোট্ট একটা দোকান দিয়ে বসলে কত লাভ হয়। আমি আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি না, মরিয়া হয়ে বিদেশ যাবেন না।’
মন্তব্য করুন
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার মামলায় দণ্ডবিধির ১২০ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ জুন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। তবে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল না।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেফতার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্যেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ভোট বানচালের ক্ষমতা কারো নেই। তিনি মনে করেন, সবদল সৎ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কোনো বাধা নেই, দেশের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়সূচি থেকে কেউ সরে আসতে চাইলে তা জাতির জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।
তিনি জানান, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকারের ইচ্ছায় নয়, সমাজের বিভিন্ন অংশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপরও নির্ভর করে। ‘ইলেকশন করে সোসাইটি, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো- তারা যদি চায়, তাহলে একটি ভালো নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব, যোগ করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, জনগণ যদি বন্যার জলের মতো ভোট দিতে কেন্দ্রে ছুটে আসেন, তাহলে কোনো শক্তিই সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে। ডাকসুতে যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনও সম্ভব।’
তিনি বলেন, সবাই নিজ নিজ অবস্থানে সৎ থেকে দায়িত্ব পালন করলে আগামী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।”
গাজার রাফাহতে অবস্থিত উদ্বাস্তুদের একটি ক্যাম্প।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েল শীঘ্রই গাজার রাফাতে হামলা চালাতে পারে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় সাহায্য প্রদানে ইসরায়েলের ধীর অগ্রগতিকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বা ন্যায্যতা দেওয়ার একটি অজুহাত হিসেবে দেখা উচিত নয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশগুলোকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রায় সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি 'দীর্ঘ প্রতিশ্রুত' হামলা চালানো হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।"
গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের প্রভাব কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে আন্তোনিও গুতেরেস জানালেও তিনি সেখানে আরো সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন। গুতেরেস বিশেষভাবে ইসরায়েলের প্রতি গাজার উত্তরাঞ্চলের দুটি সংযোগস্থল খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং সম্ভবত মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে গাজায় ও জুলাই মাসের মধ্যে ছিটমহলগুলোতে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। গুতেরেস বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের অসহায় মানুষ "ইতোমধ্যেই ক্ষুধা ও রোগে মারা যাচ্ছে।"
সাহায্য বাড়াতে এবং রাফাহতে হামলা এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের উপর কী প্রভাব রাখতে পারে এমন প্রশ্ন করা হলে গুতেরেস বলেন, "একটি সম্পূর্ণ বিধ্বংসী ট্র্যাজেডি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করাই গুরুত্বপূর্ণ।"
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় সাহায্য বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে তিনি বুধবার (১ মে) নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করবেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনের বেশী মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে পাঠানো প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে।
১২ জানুয়ারি, রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে, যার মাধ্যমে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে: রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি ইত্যাদি। এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধা সংক্রান্ত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ফি পাঠাতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন মির্জা আব্বাস জানান, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই, যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে তারা আজকের দিনকে খাটো করে দেখাতে চায়। তাদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।’
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ৭১ দেশকে জন্ম দিয়েছে, তবে বিগত সময়ে স্বাধীনতার ধারণা নষ্ট করা হয়েছে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি অল্প কিছু সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যদি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোট প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে, যা এখন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্টের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি সবাইকে সচেতন থেকে জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পালাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রবিবার (০৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শুনানির পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের একথা জানায়।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারদের সমিতি করা হলে, শেখ হাসিনা সভাপতি হতে পারেন। মিথ্যার পিএইচডি করা জন্য হিটলারও হয়তো তার কাছে আসতেন। আমাদের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে এসেছি। আমরা ন্যায়বিচার চাই, দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাইবো, ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়েই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাইবো। যুগ সন্ধিক্ষণে ন্যায়বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছি। শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, সকলে ন্যায়বিচার পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আগামী জন্য এমনভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে এখানে আর খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিচার অতীতের হিসাব চুকানোর চেষ্টা নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত পদক্ষেপ। কেউ যতেই ক্ষমতাধর হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আসামির অনুপস্থিতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা হবে না। আসামির ইচ্ছাকৃত পলায়ন এবং বিদেশি রাষ্ট্রের নিলির্প্ততা ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাধা হবে না। এই বিচারের প্রতিটি ধাপ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, এই বিচার হবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্পৃহার অঙ্গীকার।’
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ৩৬ মিনিটে শেষ হয়। মাওলানা জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এই মোনাজাতে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
এই দিনে তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। চোখ যতদূর যায়, শুধু মুসল্লিদেরই সারি দেখা গেছে। তারা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করেন। আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৬টা থেকে ঢাকার ৩০০ ফিট, ধওর ব্রিজ এবং ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ইজতেমাগামী সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ ছিল। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা ধীরে ধীরে ময়দান ত্যাগ করছেন। এরপরই এসব সড়ক আবারও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ হলো যৌতুকবিহীন গণবিয়ে। শনিবার বাদ আসর ইজতেমা ময়দানের মূল বয়ানের মঞ্চে ৬৩ জোড়া দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতের মাওলানা যোহাইরুল হাসান মোহরে ফাতেমা অনুসারে এই বিয়ের আয়োজন পরিচালনা করেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, "প্রতিবারের মতো এবারও ৬৩ জোড়া দম্পতির যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার সূচনা হয়। প্রথম পর্বের এই তিন দিনের ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত, যেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লেষে রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ তারা দেশ ত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন