

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম এম.কে আনোয়ারের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোয়ার সরকার।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মরহুম এমকে আনোয়ারের হোমনা বাসভবনে অবস্থিত মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন মনোয়ার সরকার।
এরপর তিনি মরহুমের কবর জিয়ারত করেন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন।
এসময় তিনি বলেন, মরহুম এম.কে আনোয়ার ছিলেন হোমনা-মেঘনা-তিতাসের উন্নয়নের রুপকার। তিনি সারা বাংলার গর্ব এবং মাটি মানুষের নেতা। তিনি তার অসাধারণ গুণাবলি ও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে এখনো আমাদের মাঝে চীর অম্লান হয়ে আছেন। আমরা তার ন্যায়, নীতি ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের কে আরো উদ্ধুদ্ধ করতে চাই। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি ও তার জন্য দোয়া করি।
এরপর তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মরহুম এম.কে আনোয়ারের পরিবারবর্গের আয়োজনে মিলাদ, মাহফিল ও দোয়ায় অংশ গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন


ঝটিকা মিছিলের মাধমে জন নিরাপত্তা বিঘ্ন ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে কুমিল্লা জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের কাছ জানা যায়, বিদেশে পলাতক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার,রওশন আলী মাষ্টার সহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা তাদের নিজ এলাকায় অর্থ পাঠিয়ে সরকার পতনের জন্য ঝটিকা মিছিল করাচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ৫০ সেকেন্ড স্থায়ী মিছিলকারীকে। একেবারে সংক্ষিপ্ত সময়ের এই মিছিলের অধিকাংশ সদস্য নিজেকে গোপন করতে রুমাল কিংবা মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকতে দেখা যায় । টাকার বিনিময়ে করা মিছিলে কিছু কিছু নির্দলীয় ভাড়াটে লোকও রয়েছে, যারা মাইক্রোবাস ও সিএনজি যোগে নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে এই কাজ করে। আবার সোস্যাল মিডিয়ায় উস্কানি কিংবা প্ররোচনা দিয়ে আত্ম গোপনে থাকা কেউ কেউ মিছিল করতে ইন্দন দিচ্ছে।
রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধমুলক কার্যকলাপের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করা এসব সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


মাত্র ৯ টাকার একটি ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ‘সাহ মেডিকেল হল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে পরিচালিত অভিযানে একাধিক অনিয়ম উদ্ঘাটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এ জরিমানা আরোপ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। তিনি বলেন, “সাহা মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মীরা নির্ধারিত খুচরা মূল্য (MRP) অমান্য করে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করছিলেন। এটি সম্পূর্ণভাবে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা এবং আইন লঙ্ঘনের শামিল। এ ধরনের অপকর্ম কখনোই বরদাশত করা হবে না।”
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ৯ টাকা মূল্যের একটি ওষুধের প্যাকেট একজন রোগীর কাছে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর বাইরে আরও কিছু ওষুধের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার প্রমাণ মেলে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির স্টোর পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মূল্যতালিকা এবং ভোক্তার অভিযোগ জানাবার সুবিধাজনক ব্যবস্থার অভাব পাওয়া যায়।
মো. কাউছার মিয়া আরও জানান, “জনস্বার্থে এবং রোগীদের অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করে যাচ্ছি। যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে সহায়তা করেন কুমিল্লা জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
এই ঘটনার পর ভোক্তাসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এমন কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “আমরা তো গরীব মানুষ, ওষুধই যখন এভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়, তখন কোথায় যাব? এই রকম নিয়মিত অভিযান দরকার।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের ওষুধখাতের স্বচ্ছতা এবং ভোক্তা সুরক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি ও আইন প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চান্দগাঁও ক্যাম্পের অফিস থেকে পলাশ সাহা নামে এক কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থিত র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ সাহা (৩৭) র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন জানান, পলাশ সাহাকে তার অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশ সাহার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন


জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। তাই ভোট টাকার বিনিময়ে না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশ, নতুন সরকার। সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। সেই সঙ্গে নতুন মেম্বার, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীর নির্বাচন হবে। ভোটের দিন আমরা টাকার বিনিময়ে ভোট না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।"
সারজিস আলম আরও বলেন, "পাঁচ বছরের জন্য একজন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার সুযোগ আমাদের কাছে মাত্র একবার আসে। যদি আমরা সেই সুযোগ কয়েকশ টাকার বিনিময়ে নষ্ট করি, তাহলে আগামী পাঁচ বছর সেই প্রতিনিধি আমাদের উপর জুলুম করবে। এ দায়ভার আমরা এড়াতে পারব না। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।"
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম এম.কে আনোয়ারের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোয়ার সরকার।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মরহুম এমকে আনোয়ারের হোমনা বাসভবনে অবস্থিত মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন মনোয়ার সরকার।
এরপর তিনি মরহুমের কবর জিয়ারত করেন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন।
এসময় তিনি বলেন, মরহুম এম.কে আনোয়ার ছিলেন হোমনা-মেঘনা-তিতাসের উন্নয়নের রুপকার। তিনি সারা বাংলার গর্ব এবং মাটি মানুষের নেতা। তিনি তার অসাধারণ গুণাবলি ও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে এখনো আমাদের মাঝে চীর অম্লান হয়ে আছেন। আমরা তার ন্যায়, নীতি ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের কে আরো উদ্ধুদ্ধ করতে চাই। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি ও তার জন্য দোয়া করি।
এরপর তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মরহুম এম.কে আনোয়ারের পরিবারবর্গের আয়োজনে মিলাদ, মাহফিল ও দোয়ায় অংশ গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় র্যাবের পৃথক অভিযানে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
১৯ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা। অভিযানে যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) এবং রতন দত্ত (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে এবং রতন দত্ত (৩৮) কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ দত্তর ছেলে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২৭ জানুয়ারী ২০১২ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যৌথভাবে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে । এ সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
সোমবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এত তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথভাবে পরিচালিত এই চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মনোহরদী-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের শিবপুর পচাঁরবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক ছাড়া কারো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম শাহীন মিয়া (৩০)। তার বাড়ি উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সাতপারা এলাকায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন। আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কক্সবাজারের সীমান্ত পরিদর্শনকালে টেকনাফে হ্নীলা জাদিমুড়া পশ্চিম পাহাড় থেকে ১৭ শ্রমিকসহ ১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগের জায়গায় কাজ করতে গেলে তাদেরকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
অপহৃতরা হলেন বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, শ্রমিক আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১),সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০),সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। এছাড়া আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকা থেকে ফরেস্টসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বাগানে কাজ করতে গেলে ১৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ ট্রান্সফোর্স গঠন করে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় টেকনাফে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের অভ্যন্তরে মারা যাওয়া রিজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
রিজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন