স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ২৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
আটককৃত মাদক কারবারিরা হলেন, স্বপন বিশ্বাস (৩৩) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কালিপদ বিশ্বাসের ছেলে এবং বেল্লাল হোসেন (৪৫) একই জেলার কসবা উপজেলার আকাপপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়া বাজার ও দক্ষিণ রামপুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ রাসেল ও মোহাম্মদ শরীফ নামের দুই দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, এয়ারসফট পিস্তল, ওয়াকিটকি সেট এবং মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২১ জুন) রাতে সেনাবাহিনী নেতৃত্বে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আটক হওয়া ব্যক্তিরা এই এয়ারসফট পিস্তল ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করত।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে । রাসেলের নামে ৩টি এবং শরীফের নামে ২টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
তাদেরকে দক্ষিণ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩ টি দেশীয় তৈরি দা, ২টি বড় ছুরি, ২টি ছোট ছুরি, ২টি এয়ারসফট পিস্তল, ৪টি ওয়াকিটকি সেট ও ৩টি মোবাইল ফোন।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালের ৪ মালিকের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালটি যখন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ছিল, তখন ২৩ জন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেটি সচল করেছিলেন। অথচ মালিকপক্ষ ৪ জন যথাক্রমে মাহবুব আরব মজুমদার, এস এম সাইফুর রহমান, জুয়েল খান ও সাইফুল আমিন এখন চুক্তিভঙ্গ করে নতুনভাবে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুমিল্লাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে হাসপাতালটি চালু করেছিলাম। অথচ মালিকপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল পুনরায় চালুর ব্যবস্থা চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক খায়রুন্নেসা, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ রিপন, জসিম উদ্দিন, মামুনুর রহমান, আসাদুজ্জামান রাসেল, মোজাম্মেল হকসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালটি কুমিল্লা অঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল।
মন্তব্য করুন
মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে।
আজ বুধবার সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান।
আহতরা হলেন—গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মার্চ টু গোপালগঞ্জকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে সমাবেত হয়।
পরে গোপালগঞ্জ টহল পুলিশের একটি টিমকে লক্ষ্য করে হামলা করে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান জানান, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা এখন পর্যন্ত জানিনা। তবে আমাদের পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছে এবং একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আহত ওই তিন সদস্যকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গাপূজা যথাযথভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার অংশ হিসেবে বুধবার কুমিল্লা নগরীর মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ নাজিম-উদ-দৌলা, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি।
তিনি বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টায় পূজামন্ডপে পৌঁছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পূজামন্ডপ প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন।
সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা (আহ্বায়ক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, কুমিল্লা মহানগর), সনজিৎ দেবনাথ (সদস্য সচিব), রাজীব সাহা (যুগ্ম আহ্বায়ক) ও প্রদীপসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে মুক্ত আলোচনা করে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের বিষয়টি জিওসি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সমাজের সকল ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সবসময় পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ঈশ্বর পাঠশালার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছেলেদের ও মেয়েদের হোস্টেলে দুটি ফ্রিজ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মালিক এবং কোতয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম। সিভিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি )তানজিনা জাহান।
পরিদর্শনকালে জিওসির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুল হক এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মেহেদী হাসান। পরিদর্শনের সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ছিলেন ২৩ বীর এর কমান্ডিং অফিসার ও ইউনিট সদস্যবৃন্দ।
মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপে জিওসি মহোদয়ের এ সফর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা, নিরাপত্তাবোধ ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে চরম অনিয়ম চলছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মিঠুকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। আর ভিতরে কোনরকমে যদি প্রবেশ করেও কোন কাজ পরিচালনা করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা ইউপির কাজ বন্টন করছে। এমন নানা ধরণের অভিযোগ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি টিসিবির কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চালও ভাগাভাগি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তেমন যেতে পারেন না। উনার কাজকর্ম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। টিসিবি কার্ড ও চাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিজের মত করে বন্টন করেছে। সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর নানা নির্যাতন, হামলা-মারধর চলছেই। উনার জমি দখল ও কলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ভয়ে-আতংকে তিনি এলাকাছাড়া।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু জানান, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি বিগত সময়ে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চভাবে জনগণের সেবা করতে। জনগণও আমাকে সব কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর আমি বেশ বিপদে আছি। আমাকে আমার কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোন কাজকর্ম আমি করতে পারছি না। পদে পদে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে আমাকে। এই দুইদিনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধেভোগি ওয়ার্ড মেম্বার টিসিবি ও চাল নিজেরাই ভাগাভাগি করে বন্টন করেছে। আমাকে একবারও জিগেস করেনি। আমি সব সময় কার্যালয়ে যোতে চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। আমি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তা মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড সাহেবকে এবং পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: তোফায়েল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমির হোসেন চৌধুরী ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: জামাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মিঠু সাহেব অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেককেই ১০ কেজি করে চাল না দিয়ে ২৫০/৩০০ গ্রাম করে কম দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে টিসিবি কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারকৃত চাল দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, আমরা গরীব মানুষ। কিন্তু টিসিবি কার্ড পাইনি। চালও পাইনি। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবও নাই , আর আমরাও চাল পাই না।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে কার্যালয়ে আসতে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কি না তা আমি বলতে পারবো না। আর টিসিবি ও চাল বিতরণ কে ভাগাভাগি করছে, তাও জানি না। কোন জায়গায় সমস্যা তা জানি না। চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, অনেক বস্তায় চাল কম থাকে। তাই অনেককে ২০০/১০০ গ্রাম করে চাল কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমরা উনাকে কোন বাঁধা দেইনি আসতে। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর চাল ভাগাভাগি ও বিতরণ আমি করিনি। সব মেম্বাররা মিলে করেছে। তারা সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমাকে এসে ২৫০/৩০০ কার্ড দিয়েছে। তারা বলছে গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিতে। আমি না করেছি। তারা জোর করে দিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ মিথ্যা। দলীয় অর্ন্তকোন্দল নিরসনে কোন ভূমিকা নিয়েছেন কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাই মিঠুকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। অথচ গত সাংসদ নির্বাচনে সে এমপি সাহেবের( স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনেও সে আনারস প্রতিকের( এমপি আজাদের ছোট ভাই মামুন) বিপক্ষে কাজ করেছে। এসব কারণে এমপি সাহেবের সাথে তার দূরত্ব রয়েছে। তারপরেও এমপি সাহেব তার বিপক্ষে আজও কোন কথা বলেনি। সর্বোপরি আমরা তাকে কোন বাঁধা দেইনি।
মন্তব্য করুন
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ বীর-এর আওতায় কুমিল্লা সদর উপজেলার রাণীরবাজার এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৩ গজ ইউনিফর্ম কাপড়সহ বিভিন্ন অবৈধ ও সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে আটককৃতদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালসমূহ হল, ইয়াবা ৭৮ পিস, মোবাইল ফোন ৯ টি,পাওয়ার ব্যাংক ১ টি, চাপাতি ১ টি, কুড়াল ১ টি, বড় ছুরি ১ টি
কাঁচি ২ টি, কাটিং প্লাস ১ টি, সিসিটিভি ডিভিআর ১ টি, সেলাই রেঞ্জ ১ টি, বাটুল (লোহার বস্তু) ১ টি, স্ক্রু ড্রাইভার ২ টি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম ও ছুরি ১ টি এবং
সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় ৩ গজ।
আটককৃত গ্যাং সদস্যরা হলেন, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার দিলীপ চন্দ্র শীলের ছেলে চয়ন চন্দ্র শীল, সদরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর এলাকার হানিফের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদ, দেবিদার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন
এবং একই গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে তুহিন।
উদ্ধারকৃত সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় একটি স্পর্শকাতর নিরাপত্তাজনক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এই ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতে বড় ধরণের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীর-এর এমন সঠিক ও কৌশলী অভিযানে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন
দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক আজকের কুমিল্লা পত্রিকার দাউদকান্দি প্রতিনিধি জাকির হোসেন হাজারীকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে হওয়া দু'টি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দাউদকান্দি তিতাসের সাংবাদিক নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আদালতে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আরিফ মিয়া ১৪৫ জনের নামে মামলা করেন। প্রধান আসামী করা হয় শামীম ওসমান কে। ২৪ সালের ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হাজারীকে ৩৫ নম্বর আসামি করা হয়।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় হওয়া নাশকতা মামলায় সাংবাদিক জাকির হাজারীকে আসামী করা হয়েছে।
সাংবাদিক জাকির হাজারী জানান, মামলার বিষয়ে আমি দু'দিন আগে জেনেছি। বাদি কারা তা জানিনা। তবে বাদি আমাকে চিনে কিনা সন্দেহ। মামলায় যে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ওই তারিখে আমি কোথায় ছিলাম মোবাইল নেটওয়ার্ক যাচাই করলেই বেরিয়ে আসবে।
আর আমি দীর্ঘদিন সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করছি। এজন্য বিগত আওয়ামী শাসন আমলে একাধিক হামলা এবং হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হয়েছি।
মামলায় উল্লেখ আওয়ামী লীগের পদের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কয়েকটি কমিটি হয়েছছিল। ওইসময় কোন কমিটিতে কোথায় আমার নাম তা জানি না।
এবিষয়ে দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, সাংবাদিক জাকির হাজারী একজন পেশাদার সাংবাদিক, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আমি আহত হয়েছিলাম। তখন সেসহ কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। আর দাউদকান্দির সাংবাদিকের নামে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মামলা হওয়া মানে তাকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। তাই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবী জানাচ্ছি।
বৃহত্তর দাউদকান্দি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহীন বলেন, সাংবাদিক জাকির হাজারী বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকদের মধ্যে একজন। পেশাগত কাজে কখনোই কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। স্বার্থান্বেষী একটি মহল হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সুকৌশলে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের মামলায় পেশাদার সাংবাদিক জাকির হোসেন হাজারীর নাম আসামি তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।আমরা ওই মামলা থেকে সাংবাদিক জাকির হাজারীকে অব্যাহতি বা নাম বাদ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ নাঈমুর রহমান মজুমদার মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাছুম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘাসি গ্রামের মৃত. মোখলেসুর রহমান মজুমদাের ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত আসামি এবং চৌদ্দগ্রামে সংঘটিত এইট মার্ডার হত্যাকাণ্ডের মামলার ৮৮ নং আসামি।
সূত্রে জানা যায়, নাঈমুর রহমানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নাশকতা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের ৮/৯টি স্থানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা চালানো হবে।
অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান আরও জানায়, এবার শুধু মহাসড়ক অবরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাস্তাঘাট কেটে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার কৌশলও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সেনা অভিযানে গ্রেফতারের পর নাঈমুর রহমানকে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিআইডিকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি এয়ারগান এবং ৩টি ছুরিসহ শহীদ মিয়া নামের এক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন