

রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
আজ ঢাকার সিএমএম আদালতে চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন, রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর আদালত এ মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ২৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।
এছাড়াও নথি থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান বাদী হয়ে গত ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অধ্যাদেশ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-২০২৫ (আরপিও বা রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অর্ডার অর্ডিন্যান্স) আইন পাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ দুটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিন বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানান।
এ দুটি আইন ছাড়াও আরও তিনটি আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। আইন তিনটি হলো- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন।
এ আইন তিনটি সম্পর্কে আরও কিছুটা আলোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনের সামনে থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে বাহার উদ্দিন নামে একজন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে মো.সোহাগ বলেন, আমরা দেখতে চাই চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে থাকতে পারে। ছাত্র আন্দোলনের আহতরা পথে পথে আর দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কেন বঙ্গভবনে আরাম-আয়েশ করবে। এই রাষ্ট্রপতি ভারতের দালাল এবং সে শেখ হাসিনার দোসর।
ইনকিলাবের মঞ্চ নামে ব্যানারে আরেকটি সংগঠনের অর্ধশত লোকজন বঙ্গভবনের সামনে হাজির হয়ে বলেন, আমরা চাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত পদত্যাগ করেন।
বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’
তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’
এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর, ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিচারপতি রউফ দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রধান উপদেষ্টা তার এই অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, "বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলায় বিচারপতি রউফ সর্বদা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।"
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, "বিচারপতি রউফ ছিলেন নাগরিক সমাজের এক বিশিষ্ট স্তম্ভ। ভোটাধিকার, সংস্কার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন, যা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।"
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আবদুর রউফ। গত দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বছর সাতেক আগে নাসিমাকে বিয়ে করেন সুদান প্রবাসী জাকির মিয়া। কঠোর পরিশ্রম করে সুদানের রাজধানী খার্তুমে একটি দোকানের মালিক বনে যান তিনি। সিলেটের এ বাসিন্দা ২০১৯ সালে স্ত্রীসহ এক বছরের সন্তানকে সুদান নিয়ে যান। দেশটিতে যাওয়ার পর এ দম্পতির আরেক সন্তান পৃথিবীতে আসে। দুই সন্তানকে নিয়ে সুদানে ভালোই চলছিল জাকির-নাসিমার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুদানের সংঘাত তাদের সুখের সংসারকে ভিন্ন পথে ঠেলে দিয়েছে।
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে দেশে ফেরা ১৩৬ জনের একজন নাসিমা। তিনি দুই সন্তান ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু নাসিমার স্বামী তাদের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। নাসিমা বলেন, ওখানে আমরা ভালোই ছিলাম। হঠাৎ করে সব অন্যরকম হয়ে গেল। কোনোরকমে সন্তানদের নিয়ে চলে এলাম। ওদের বাবা ওখানে রয়ে গেলেন। দোকান রেখে উনি আসতে চাইলেন না। ওনার জন্য চিন্তা হচ্ছে, যদি কিছু হয়ে যায়।
সুদানফেরত লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মো. শাহজাহান খার্তুমে থাকতেন। খার্তুমে নিজ চোখে সংঘাত দেখা শাহাজাহান এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন। কথা বলতে গেলে তার চোখ বেয়ে নেমে আসে জল। বিমানবন্দরে আলাপকালে তিনি বলেন, কীভাবে যে বেঁচে আসছি সৃষ্টিকর্তা বলতে পারবেন। শূন্য হাতে জীবনটা নিয়ে কোনোরকমে ফিরে এসেছি। চোখের সামনে গোলাগুলি দেখেছি। যা কিছু সঙ্গে ছিল সবই এক দল নিয়ে গেছে। কয়টা জামা ছাড়া কিছুই আনতে পারিনি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি যে চক্রই থাকুক কেউ রেহাই পাবে না বলেও সাবধান করেছেন সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ। রবিববার বিকেলে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি যে চক্রই থাকুক কেউ রেহাই পাবে না। বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হবে।’
ফিলিপাইন থেকে এ অর্থ উদ্ধারের পদ্ধতি কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় বাস্তবায়নে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন তারা।’
এদিন রিজার্ভ চুরির মামলার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন সিআইডির আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি বলেন, ‘আলোচিত এ মামলায় সিআইডির দায়িত্ব ছিল শুধু তদন্ত করা।’ তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এ রায় দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন (৮ কোটি ১০ লাখ) ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। আজ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আদালতের মাধ্যমে সিআইডি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাবে রাখা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার জাল সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হয়।
মন্তব্য করুন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি, তবে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছে, যাতে দেশীয় উদ্যোক্তারা বিকল্প পণ্য তৈরি করতে পারে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘নীতি থেকে বাস্তবায়ন: বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ ও সামুদ্রিক আবর্জনা মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যতদিন না একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যায়, ততদিন ধাপে ধাপে এর ব্যবহার কমিয়ে আনা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, সরকার সব ধরনের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে—এ ধরনের গুজবকে তিনি ‘ভিত্তিহীন মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য কখনও সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয় না, বরং এটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়, যা মাছের মাধ্যমে আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে। এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে ব্যক্তি, সরকার ও ব্যবসায়ী—সবারই দায়িত্ব রয়েছে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সহজলভ্য বিকল্প রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নেওয়া প্রয়োজন।
পুরান ঢাকার অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করার পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। শুধু নিষিদ্ধকরণই সমাধান নয়, বরং ধাপে ধাপে ব্যবহার বন্ধ করা, পুনর্ব্যবহার ও পুনর্ব্যবস্থাপনা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও জানান, ফিনল্যান্ড সরকার অত্যাধুনিক পুনর্ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী। শিগগিরই তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ব্যবসায়ীদের ২০৩০ সালের আগেই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মকানুন মেনে চলার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে যদি আমরা একযোগে কাজ করি, তবে প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, ইউনিডো-ভিয়েনা, অস্ট্রিয়ার সার্কুলার ও রিসোর্স এফিসিয়েন্সি ইউনিট প্রধান জেরোম স্টুকি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ ও সামুদ্রিক আবর্জনা হ্রাসে কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি করবর্ষে জমা দেওয়া অনলাইন আয়কর রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।
আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।
শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।
করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।
ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।
ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন সময়ে পাঁচটি ননস্টপ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দুই মিনিট করে যাত্রা বিরতি করবে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে। এছাড়া ইজতেমা উপলক্ষ্যে কয়েকটি ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ ও যাত্রা বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রুটে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি রাত (৩১ জানুয়ারি) ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ননস্টপ সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার, পর্যটক ও বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ছাড়া অন্য সব আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে উভয় পথে ২ মিনিট করে থামবে।
ইজতেমা চলাকালীন জয়দেবপুর কমিউটার ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ শনিবার বাতিল করে শুক্রবার করা হয়েছে। ইজতেমা চলাকালীন শুক্রবার জয়দেবপুর কমিউটার-৪ (জয়দেবপুর-ঢাকা) বাতিল করে রেকটি জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পাঠানো হবে। এবং বন্ধ সার্ভিসিং শনিবারের পরিবর্তে শুক্রবার করা হবে। শনিবার ৭৫৪ নম্বর ট্রেনের ইন রিপোর্টে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এনে ‘টাঙ্গাইল-টঙ্গী স্পেশাল-১’ হিসেবে টাঙ্গাইল থেকে দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইল-টঙ্গী-ঢাকা রুটে চালনো হবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ওই রেক দিয়ে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে জয়দেবপুর কমিউটার-১ এর পরিবর্তে মোনাজাত স্পেশাল হিসেবে টঙ্গী পর্যন্ত চালানো হবে। এরপর জয়দেবপুর কমিউটার-১ হিসেবে ট্রেনটি টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর এবং জয়দেবপুর কমিউটার-২ হিসেবে জয়দেবপুর থেকে ঢাকায় ফিরবে। পরবর্তীতে জয়দেবপুর কমিউটার-৩ ট্রেনটি ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চালিয়ে ১২টায় রুট বর্ধিত করে টঙ্গী থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত 'টঙ্গী-টাঙ্গাইল স্পেশাল-২' হিসেবে চালানো হবে এবং টাঙ্গাইল থেকে সুবিধাজনক পথে জয়দেবপুর কমিউটারের রেকটি ঢাকায় ফেরত আনা হবে। জয়দেবপুর কমিউটার-৩ টঙ্গী-জয়দেবপুর রুট এবং জয়দেবপুর কমিউটার-৪ বাতিল করা হয়েছে।
আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ফেব্রুয়ারি তুরাগ কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। মোনাজাতের দিন বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি ১১, ১২, ৪৫, ৪৬, ৯ এবং ১০ নম্বর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ৭৫/৭৬ নম্বর ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেন ও ২৬১, ২৬২, ২৬৩ ও ২৬৪ নম্বর লোকাল ট্রেন ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকবে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি এক্সপ্রেস, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনে যথাসম্ভব অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।
ইজতেমা উপলক্ষ্যে টঙ্গী স্টেশনে অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার খোলা হবে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট পরীক্ষক নিয়োজিত থাকবেন। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক এবং পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একজন কর্মকর্তাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচ্ছন্নতা কর্মী সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করবেন।
মন্তব্য করুন


অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মুজিব নগর দিবস উপলক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের হাতে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (৮ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্বাধীনতা একাডেমি ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ছাড়াও মোট ৮ জনকে এই পদক দেওয়া হয়।
পদক প্রাপ্তরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রকৌশলী কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী দেলোওয়ার হোসেন মজুমদার, প্রকৌশলী আবদুস সবুর।
পুরস্কার গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে ছিলেন। তিনি অনেক আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে গেছেন। আজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি রূপরেখা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামী জীবনের নানান ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন